১১ মাঘ, ১৪১৪ বাং/২৪ জানুয়ারি, ২০০৮ ইং তারিখে এস, আর, ও নং ২১-আইন/২০০৮ অনুযায়ি পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ২৪নং আইন) এর ধারা ৭০ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার ‘‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮” বিধিমালা প্রণয়ন করেছে।
পিপিআর-০৮ এ মোট নয়টি অধ্যায় রয়েছে –
১ম অধ্যায়ঃ প্রারম্ভিক (বিধি ১-৩)
প্রথম অধ্যায়ঃ প্রারম্ভিক
এখানে ব্যবহৃত যে কোন ধারা বা বিধি শুধু মাত্র বিভিন্ন আলোচনা ও সংশ্লিষ্ট প্রেক্ষাপট বোধগম্য করার জন্য উল্লেখ করা হয়েছে। বাস্তবিক প্রয়োজনে সিপিটিইউ এর ওয়েব-সাইটে সংযুক্ত আইন বা বিধিমালা থেকে তা ব্যবহার করতে হবে।
১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন।-
(১) এই বিধিমালা ‘‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮” নামে অভিহিত হইবে।
(২) পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ কার্যকর হইবার তারিখে ইহা কার্যকর হইবে।
২। সংজ্ঞা।-বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই বিধিমালায়-
(১) “অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ” অর্থ আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ আদেশ মোতাবেক পণ্য, কার্য বা সেবা ক্রয়ের জন্য চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ;
(২) “অনুমোদন পদ্ধতি” অর্থ বিধি ৩৬ এ উল্লিখিত কোন দরপত্র বা প্রস্তাব অনুমোদন পদ্ধতি;
(৩) “অন্যান্য স্থান বা স্থানসমূহ (secondary place or places)” অর্থ এই বিধিমালার অধীন ক্রয়কারী কর্তৃক ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে নির্ধারিত স্থান বা স্থানসমূহ যেখানে দরপত্র দাখিল করা হইবে কিন্তু উম্মুক্ত করা হইবে না;
(৪) “অর্পিত ক্রয়কার্য (delegated procurement)” অর্থ কোন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর বা পরিদপ্তর এর পক্ষে কোন ক্রয়কার্য সম্পাদনের নিমিত্ত ব্যবহারকারী সত্তা কর্তৃক সংশ্লিষ্ট ক্রয়কার্যে পারদর্শী কোন ক্রয়কারীর উপর উহা সম্পাদনের জন্য অর্পিত ক্রয়কার্য;
(৫) “আইন” অর্থ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ২৪নংআইন);
(৬) “আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ” অর্থ সরকারী ক্রয়কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে, সরকারকর্তৃক, সময় সময়, জারীকৃত আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ আদেশ বা উহার অধীন প্রদত্ত আর্থিক ক্ষমতা পুনঃঅর্পণ আদেশ;
(৭) “আবেদনকারী” অর্থ আইনের ধারা ৩২ (ক) এর অধীন সীমিত দরপত্র পদ্ধতিতে তালিকাভুক্ত হইবার জন্য, বা ষষ্ঠ অধ্যায়ের অংশ-২ এর অধীন প্রাক্-যোগ্যতা নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের আহবানের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাক্-যোগ্যতা অর্জনের জন্য, বা ধারা ৫৪ এর অধীন আগ্রহ ব্যক্তকরণের আহবানের পরিপ্রেক্ষিতে সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হইবার জন্য, আগ্রহী ব্যক্তি;
(৮) “ইলেকট্রনিক পরিচালন পদ্ধতিতে সরকারী ক্রয় (e-Government Procurement)” অর্থ কোন ক্রয়কারী কর্তৃক ইলেকট্রনিক পরিচালন পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে ক্রয়;
(৯) “উম্মুক্তকরণ (opening) কমিটি” অর্থ আইনের ধারা ৬ এর অধীন গঠিত দরপত্র উন্মুক্তকরণ বা প্রস্তাব উন্মুক্তকরণ কমিটি;
(১০) “একাধিক স্থানে দাখিল (multiple dropping)” অর্থ ক্রয়কারী কর্তৃক নির্ধারিত একাধিক স্থানে দরপত্র দাখিল;
(১১) “কোটেশন” অর্থ এই বিধিমালা দ্বারা নির্ধারিত আর্থিক সীমা সাপেক্ষে, সহজলভ্য প্রমিত পণ্য, কার্য বা ভৌত সেবা ক্রয়ের জন্য দরপত্রদাতাগণের নিকট হইতে লিখিতভাবে প্রাপ্ত মূল্য জ্ঞাপক প্রস্তাব;
(১২) “কার্য” অর্থ রেলপথ, রাস্তা, সড়ক, মহাসড়ক বা কোন ভবন, অবকাঠামো বা কাঠামো বা স্থাপনা নির্মাণ, পুন:নির্মাণ, সাইট প্রস্তুতকরণ, অপসারণ, মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ বা নবরূপদান সংক্রান্ত সকল কাজ, অথবা খননকার্য, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি সংস্থাপন, ডেকোরেশনসহ যে কোন প্রকারের নির্মাণ কাজ এবং উহার সহিত সংশ্লিষ্ট ভৌত সেবা যদি উহার মূল্য কার্যের মূল্য অপেক্ষা অধিক না হয়;
(১৩) “ক্রয়” অর্থ কোন চুক্তির অধীন পণ্য সংগ্রহ বা ভাড়া করা বা সংগ্রহ ও ভাড়ার মাধ্যমে পণ্য আহরণ এবং কার্য বা সেবা সম্পাদন;
(১৪) “ক্রয়কারী (procuring entity)” অর্থ সরকারী তহবিলের অর্থ দ্বারা কোন পণ্য, কার্য বা সেবা ক্রয়ের জন্য প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতাসম্পন্ন কোন ক্রয়কারী;
(১৫) “ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান (Head of the procuring entity)” অর্থ কোন মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব, সরকারী অধিদপ্তর বা পরিদপ্তরের প্রধান বা, ক্ষেত্রমত, বিভাগীয় কমিশনার, ডেপুটি কমিশনার, জেলা জজ বা পদনাম নির্বিশেষে কোন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা কর্পোরেশন অথবা কোম্পানী আইনের অধীন নিগমিত (incorporated) কোন সংস্থার প্রধান নির্বাহী;
(১৬) “গ্রহণযোগ্য (responsive)” অর্থ দরপত্র দলিল বা প্রস্তাব দাখিলের অনুরোধ সম্বলিত দলিলে ঘোষিত ও নির্দিষ্টকৃত মূল্যায়ন নির্ণায়কের ভিত্তিতে বিবেচিতব্য;
(১৭) “চুক্তি-মূল্য (contract price)” অর্থে চুক্তিপত্রে উল্লিখিত মূল্য এবং অতঃপর চুক্তির সংস্থান অনুযায়ী সমন্বয়কৃত মূল্য বুঝাইবে;
(১৮) “ঠিকাদার” অর্থ আইনের অধীন কোন কার্য সম্পদনের উদ্দেশ্যে ক্রয়কারীর সহিত চুক্তি সম্পাদনকারী ব্যক্তি;
(১৯) “ডে-ওয়ার্কস” অর্থ সেই কাজ যাহা ক্রয়কারী বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রকল্প ব্যবস্থাপকের নির্দেশ মোতাবেক সম্পন্ন করা হয় এবং যাহার মূল্য ঠিকাদারের শ্রমিক কর্তৃক নিয়োজিত সময় এবং ঠিকাদারের সরঞ্জামাদির ব্যবহারের ভিত্তিতে কার্যের পরিমাণগত হিসাব সম্বলিত বিবরণীতে (Bill of Quantities) উল্লিখিত হারে পরিশোধিত হয়;
(২০) “তফসিল” অর্থ এই বিধিমালার কোন তফসিল;
(২১) ত্রুটি (defect)” অর্থে চুক্তিপত্রের শর্তানুযায়ী কোন কার্যের অনিস্পন্ন অংশ বুঝাইবে;
(২২) ত্রুটি সংশোধন সংক্রান্ত সনদপত্র (defects correction certificate)” অর্থ ঠিকাদার কর্তৃক ত্রুটি সংশোধনের পর প্রকল্প ব্যবস্থাপক কর্তৃক জারীকৃত সনদ;
(২৩) “ত্রুটি জনিত দায়ের মেয়াদ (defects liability period)” অর্থ চুক্তির বিশেষ শর্তাদিতে (particular conditions of contract) উল্লিখিত মেয়াদ যাহা কার্য সমাপনের তারিখ হইতে হিসাব করা হয়;
(২৪) “দরপত্র” বা “প্রস্তাব” অর্থ দরপত্র দাখিলের আহ্বান বা, ক্ষেত্রমত, প্রস্তাব দাখিলের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কোন দরপত্রদাতা বা কোন পরামর্শক কর্তৃক পণ্য, কার্য বা সেবা সরবরাহের জন্য ক্রয়কারীর নিকট দাখিলকৃত দরপত্র বা প্রস্তাব; এবং এই আইনের উদ্দেশ্য পূরনকল্পে, কোটেশনও দরপত্রের অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(২৫) “দরপত্র দলিল” বা “প্রস্তাব দাখিলের অনুরোধ সম্বলিত দলিল” অর্থ দরপত্র বা প্রস্তাব প্রস্তুত করিবার ভিত্তি হিসাবে ক্রয়কারী কর্তৃক কোনো দরপত্রদাতা বা পরামর্শককে সরবরাহকৃত দলিল;
(২৬) “দরপত্রদাতা” অর্থ দরপত্র দাখিলকারী ব্যক্তি;
(২৭) “দিন” অর্থ ভিন্নভাবে কার্যদিবস হিসাবে উল্লিখিত না হইলে, খ্রিস্টীয় পঞ্জিকা বৎসরের দিন;
(২৮) দৈব দুর্ঘটনা (“Force Majeure”) অর্থ ঠিকাদারের বা সরবরাহকারী বা পরামর্শকের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত এমন কোন ঘটনা বা পরিস্থিতি, যাহা তাহাদের অবহেলা বা অযত্নের কারণে উদ্ভূত নহে, বা যাহা অদৃষ্টপূর্ব ও অবশ্যম্ভাবী; সরকার সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে সম্পাদিত কোন কাজ, যুদ্ধ, বা বিপ্লব, অগ্নিকান্ড, বন্যা, মহামারী, সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য আরোপিত বিধি নিষেধ, এবং মালামাল পরিবহণের ক্ষেত্রে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা (freight embargoes) উহার অন্তর্ভূক্ত হইবে, তবে কেবল উহার মধ্যেই সীমিত থাকিবে না;
(২৯) “নৈতিক বিধি” অর্থ ক্রয়কার্যে অংশ গ্রহণের সময় কোন ব্যক্তি কর্তৃক অবশ্য পালনীয় শর্ত বা বিধান;
(৩০) “পণ্য” অর্থ কাঁচামাল, উৎপাদিত পণ্যদ্রব্য ও যন্ত্রপাতি এবং কঠিন, তরল বা বায়বীয় আকারে পণ্যদ্রব্য, বিদ্যুৎ, প্রস্তুতকৃত কম্পিউটার সফটওয়্যার (Computer software) ও অন্যান্য তথ্য প্রযুক্তিজাত অথবা সমজাতীয় সফটওয়্যার এবং পণ্য সংশ্লিষ্ট সেবা, যদি উহার মূল্য পণ্যের মূল্য অপেক্ষা অধিক না হয়;
(৩১) “পরামর্শক” অর্থ বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা প্রদানের জন্য ক্রয়কারীর সহিত চুক্তিবদ্ধ ব্যক্তি;
(৩২) “প্রকল্প ব্যবস্থাপক” অর্থ চুক্তি পরিচালনা এবং কার্য সম্পাদন তদারক করিবার জন্য ক্রয়কারী কর্তৃক নিযুক্ত ব্যক্তি অথবা উক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য ঠিকাদারকে অবহিত করিয়া নিযুক্ত অন্য কোন যোগ্য ব্যক্তি;
(৩৩) “প্রত্যাশিত সমাপ্তির তারিখ (intended completion date)” অর্থ ঠিকাদার কর্তৃক কার্য সমাপনের প্রত্যাশিত তারিখ, যাহা চুক্তির বিশেষ শর্তাদিতে নির্ধারিত থাকে এবং যে তারিখ সময় বৃদ্ধির কারণে সংশোধন যোগ্য;
(৩৪) “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট” অর্থ সরকারী তহবিল দ্বারা ক্রয়কে বুঝাইবে;
(৩৫) “প্রভিশনাল সাম (provisional sum)” অর্থ কার্যের পরিমাণগত হিসাব সম্বলিত বিবরণীতে ক্রয়কারী কর্তৃক উল্লিখিত অর্থের পরিমাণ বুঝাইবে, যাহা ক্রয়কারী কর্তৃক, স্বেচ্ছাধীন বিবেচনায়, মনোনীত সহ-ঠিকাদার জন্য অর্থ পরিশোধ বা প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যয় নির্বাহের উদ্দেশ্যে ব্যয়িত হইবে;
(৩৬) “প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ” অর্থ, যথাক্রমে সংশ্লিষ্ট ক্রয়কারী, ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান,মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব;
(৩৭) “প্রাক্-যোগ্যতা” অর্থ দরপত্রে অংশগ্রহণের পূর্বশর্ত হিসাবে যোগ্যতা প্রদর্শনের জন্য আহ্বান জানাইবার প্রক্রিয়া;
(৩৮) ‘ফরম’ (Form) বা ‘ছক’ (Format) অর্থ এই বিধিমালার সহিত সংযোজিত কোন ফরম বা ছক;
(৩৯) “ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি” অর্থ পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবার মূল্য এবং, ক্ষেত্রমত, পরিমাণ বা অনুমিত পরিমাণ সম্পর্কিত শর্তাধীন কোন পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা ক্রয়ের জন্য এক বা একাধিক ক্রয়কারীর সহিত এক বা একাধিক সরবরাহকারীর একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সম্পাদিত চুক্তি;
(৪০) “বিজ্ঞাপন” অর্থ ব্যাপক প্রচারের উদ্দেশ্যে সংবাদপত্র, ওয়েবসাইট বা অন্য কোন গণমাধ্যমে আইনের ধারা ৪০ এর অধীন প্রকাশিত বিজ্ঞাপন;
(৪১) “ব্যক্তি” অর্থ ক্রয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণে আগ্রহী ব্যক্তি, ব্যক্তিবর্গ, ব্যক্তি মালিকানা প্রতিষ্ঠান, অংশীদারী কারবার, কোম্পানী, সংঘ বা সমবায় সমিতি;
(৪২) “বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা” অর্থ বুদ্ধিবৃত্তিক অথবা পেশাগত বিষয়ে চুক্তিতে বর্ণিত মতে পরামর্শক কর্তৃক পরামর্শ প্রদান, বা কোন কম্পিউটার সফটওয়্যার ও অন্যান্য তথ্য প্রযুক্তিজাত অথবা সমজাতীয় সফটওয়্যার প্রস্তুতকরণ, বা ডিজাইন প্রণয়ন, বা কাজের তত্ত্বাবধান বা ব্যবহারিক জ্ঞান হস্তান্তর বিষয়ক সেবা, এবং সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্দিষ্টকৃত কোন বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা;
(৪৩) “ভৌত সেবা (physical services)” অর্থ নিম্নবর্ণিত পরিমাপণীয় সেবা-
(ক) পণ্য সরবরাহ বা কার্য সম্পাদনের সহিত সম্পর্কিত সুযোগসুবিধা প্রদানকারী উপকরণাদি বা কোন প্রতিষ্ঠানের ভবন ও সরঞ্জাম পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ বা জরিপ বা অনুসন্ধানমূলক খননকার্য;
(খ) নিরাপত্তা সেবা, পরিবেশন সেবা, ভূতত্ত্ব বিষয়ক সেবা বা একক সেবাদানমূলক চুক্তির অধীনে তৃতীয় পক্ষ প্রদত্ত কোন সেবা;
(গ) প্রাক-জাহাজীকরণ পরিদর্শন [Pre-Shipment Inspection (PSI)] এজেন্ট নিয়োগ, ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট নিয়োগ, পণ্য পরিবহন কাজ, ভাড়ায় যানবাহন সংগ্রহ, মালামাল পরিবহনের জন্য পরিবহন ঠিকাদার নিয়োগ বা বীমা ঝুঁকি; বা
(ঘ) আউটসোর্সিং (out-sourcing) এর মাধ্যমে ক্রয়কারী কর্তৃক সেবা গ্রহণের লক্ষ্যে আইনের অধীন নির্দিষ্টকৃত কোন সেবা বা সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্দিষ্টকৃত কোন সেবা; ব্যাখ্যা: এই বিধিতে উল্লিখিত আউটসোর্সিং (out-sourcing) বলিতে এর মাধ্যমে সেবা গ্রহণের বিষয়টি সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে সময়ে সময়ে জারীকৃত বিধিমালা বা নীতিমালা বা অনুরূপ কোন নির্দেশনাকে বুঝাইবে।
(৪৪) “মান” অর্থ পণ্য, কার্য বা সেবার গুণগত মান;
(৪৫) “মূল স্থান (Primary place)” অর্থ ক্রয়কারীর কার্যালয় যেখানে দরপত্র দাখিল ও উন্মুক্ত করা হইবে;
(৪৬) “মূল্যায়ন কমিটি” অর্থ আইনের ধারা ৭ এর অধীন গঠিত দরপত্র বা প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি;
(৪৭) “মূল্যায়ন প্রতিবেদন” অর্থ আবেদনপত্র, দরপত্র বা কোটেশন, আগ্রহব্যক্তকরণপত্র বা প্রস্তাব মূল্যায়নের পর অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিলকৃত প্রতিবেদন;
(৪৮) “রিভিউ প্যানেল” অর্থ কোন ব্যক্তি কর্তৃক দাখিলকৃত অভিযোগ বিবেচনার জন্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত প্যানেল;
(৪৯) “লিখিতভাবে” অর্থ যথাযথভাবে স্বাক্ষরযুক্ত হাতে লিখিত বা যন্ত্রদ্বারা মুদ্রিত কোন যোগাযোগ এবং যথাযথভাবে প্রমাণীকৃত (authenticated) ফ্যাক্স বা ইলেকট্রনিক বার্তাও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৫০) “সমাপ্তির তারিখ (completion date)” অর্থ প্রকল্প ব্যবস্থাপক কর্তৃক প্রত্যায়িত কার্য সমাপ্তির তারিখ;
(৫১) “সরকারী তহবিল” অর্থ সরকারি বাজেট হইতে ক্রয়কারীর অনুকূলে বরাদ্দকৃত অর্থ, অথবা কোন উন্নয়ন সহযোগী বা বিদেশি রাষ্ট্র বা সংস্থা কর্তৃক সরকারের মাধ্যমে ক্রয়কারীর অনুকূলে ন্যস্ত অনুদান ও ঋণ এবং আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকারি, আধা-সরকারি বা কোন আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত কোন সংবিধিব্ধ সংস্থার তহবিল;
(৫২) “সরবরাহকারী” অর্থ আইনের অধীন পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা সরবরাহের উদ্দেশ্যে ক্রয়কারীর সহিত চুক্তিসম্পাদনকারী ব্যক্তি;
(৫৩) “সংক্ষিপ্ত তালিকা” অর্থ আইনের ধারা ৫৪ এর অধীন আগ্রহ ব্যক্তকরণের আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাপ্ত আবেদনপত্র মূল্যায়নের পর বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা প্রদানের প্রস্তাব দাখিলের আহ্বান জানাইবার জন্য যোগ্য বিবেচিত আবেদনকারীগণের তালিকা;
(৫৪) “সংশ্লিষ্ট সেবা” অর্থ পণ্য সরবরাহ চুক্তির সহিত সম্পর্কিত সেবা;
(৫৫) “সহ-পরামর্শক (sub-consultant)” অর্থ পরামর্শক কর্তৃক প্রদেয় সেবার কোন নির্দিষ্ট অংশ সম্পাদনের জন্য নিযুক্ত ব্যক্তি বা সংস্থা;
(৫৬) “সহ-ঠিকাদার (sub-contractor)” বলিতে চুক্তিবদ্ধ কার্যের কোন অংশ সম্পাদনের জন্য ঠিকাদারের সহিত চুক্তিবদ্ধ কোন ব্যক্তি বা বিধিবদ্ধ সংস্থাকে বুঝাইবে এবং নির্বাচিত স্থানে কাজও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।
(৫৭) “সিপিটিইউ (CPTU)” অর্থ আইন ও এই বিধিমালার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার কর্তৃক পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে স্থাপিত সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট;
(৫৮) “সেবা” অর্থ পণ্য সংশ্লিষ্ট সেবা, ভৌত সেবা বা বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা;
(৫৯) “স্বার্থের সংঘাত” অর্থ এইরূপ অবস্থা যেখানে কোন ব্যক্তির ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক স্বার্থ কোন ক্রয়কারীকে মিতব্যয়িতা, দক্ষতা, স্বচ্ছতা, সুবিচার এবং দরপত্র বা প্রস্তাব সমূহের প্রতি সম-আচরণ নিশ্চিত করিবার ক্ষেত্রে প্রতিকূল প্রভাব বিস্তার করিয়া থাকে।
৩। বিধিমালার প্রযোজ্যতা।-
আইন এর ধারা ৩ (২) অনুযায়ী যে সকল ক্ষেত্রে আইন প্রযোজ্য সেই সকল ক্ষেত্রে এই বিধিমালা প্রযোজ্য হইবে।
২য় অধ্যায়ঃ দরপত্র বা প্রস্তাব প্রস্তুতকরণ, কমিটি (বিধি ৪-১২)
দ্বিতীয় অধ্যায়: দরপত্র বা প্রস্তাব প্রস্তুতকরণ, কমিটি (বিধি ৪-১২)
এখানে ব্যবহৃত যে কোন ধারা বা বিধি শুধু মাত্র বিভিন্ন আলোচনা ও সংশ্লিষ্ট প্রেক্ষাপট বোধগম্য করার জন্য উল্লেখ করা হয়েছে। বাস্তবিক প্রয়োজনে সিপিটিইউ এর ওয়েব-সাইটে সংযুক্ত আইন বা বিধিমালা থেকে তা ব্যবহার করতে হবে।
অংশ-১: দরপত্র বা প্রস্তাব প্রস্তুতকরণ
৪। ক্রয় সংক্রান্ত দলিল এবং উহাতে অন্তর্ভুক্ত বিবরণাদি।-
(১) কোন সরকারী ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রাক-যোগ্যতা, দরপত্র বা প্রস্তাব দাখিলের অনুরোধ সম্বলিত দলিল সিপিটিইউ কর্তৃক জারীকৃত এবং তফসিল-১ (Schedule-I) এ বর্ণিত আদর্শ দলিলসমূহ (Standard Documents) অনুযায়ী হইতে হইবে।
(২) পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা, কার্য ও ভৌত সেবা ক্রয় সংক্রান্ত দলিলসমূহে, ক্ষেত্রমত, অন্যান্য বিষয়সহ নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত থাকিবে-
(ক) আবেদনপত্র বা দরপত্র প্রস্তুত ও উহা দাখিল সংক্রান্ত নির্দেশনা;
(কক) সীমিত দরপত্র পদ্ধতির আওতায় অনধিক ৩ (তিন) কোটি টাকার আভ্যন্তরীণ কার্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে, দরপত্র দলিলে কার্যের পরিমাণগত হিসাব সম্বলিত তফসিল (bill of quantities) একক দরসহ দাপ্তরিক প্রাক্কলন (official estimate);
(ককক) উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির মাধ্যমে যে কোন মূল্যেও আভ্যন্তরীণ কার্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে, দাপ্তরিক প্রাক্কলন ব্যতীত কার্যের পরিমাণগত হিসাব সম্বলিত তফসিল (bill of quantities);
(খ) আবেদনপত্র বা দরপত্র গ্রহণের সর্বশেষ সময়সীমা ও স্থান বা স্থানসমূহ বিষয়ক তথ্য;
(গ) দরপত্র গ্রহণ ও প্রকাশ্যে উন্মুক্তকরণের তারিখ, সময় (স্থানীয়) ও স্থান সম্পর্কিত তথ্য;
(ঘ) দরপত্র দাখিল শীট (tender submission sheet) এবং, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, দরপত্র জামানত, কার্য-সম্পাদন জামানত (performance security) এবং উৎপাদনকারী কর্তৃক প্রদত্ত অধিকারপত্র (authorisation);
(ঙ) আবেদনপত্র বা দরপত্রের কত কপি ল কপির সহিত দাখিল করিতে হইবে উহার সংখ্যা;
(চ) চুক্তির সাধারণ এবং বিশেষ শর্তাদি;
(ছ) চাহিদাকৃত পণ্য বা কার্যের বিস্তারিত বিনির্দেশের (specification) বিবরণ;
(জ) দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি কর্তৃক মূল্যায়ন-উত্তর যোগ্যতা প্রতিপাদনের উদ্দেশ্যে দরপত্রদাতা কর্তৃক যোগ্যতার সমর্থনে প্রামাণিক তথ্য;
(ঝ) যে মেয়াদের জন্য দরপত্র বৈধ থাকিবে সেই মেয়াদ;
(ঞ) প্রাক্-যোগ্যতার আবেদনপত্র বা দরপত্র ল্যায়নের জন্য বিবেচ্য যোগ্যতা ও অন্যান্য নির্ণায়কসহ এবং উহা ল্যায়নের ভিত্তি;
(ট) দরপত্রদাতা আইনের ধারা ৬৪ তে বর্ণিত কোন দুর্নীতি, প্রতারণা, চক্রান্ত বা জবরদস্তিমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হইবে না মর্মে দরপত্র দলিলে নির্দেশিত ফরমে অঙ্গীকার প্রদান বিষয়ক একটি অবশ্য পূরণীয় শর্ত;
(ঠ) ক্রয়কারী যে কোন বা সকল আবেদনপত্র, দরপত্র বা কোটেশন বাতিল করিতে পারিবে মর্মে একটি বিবরণ বা ঘোষণা;
(ড) দরপত্র দলিলের শর্ত বা উহাতে প্রদত্ত তথ্য সম্পর্কে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, সম্ভাব্য দরপত্রদাতাগণের সহিত প্রাক্-দরপত্র সভা অনুষ্ঠান সংক্রান্ত একটি শর্ত;
(ঢ) আবেদনকারী বা দরপত্রদাতা বিধি ৫৭ অনুসারে কাহার নিকট অভিযোগ দায়ের করিবে সেই বিষয়ে আবেদনপত্র উপাত্ত শীট (application data sheet) বা দরপত্র উপাত্ত শীট (tender data sheet) এ উল্লেখ; এবং
(ণ) দরপত্র দাখিলের সর্বশেষ সময়সীমা উত্তীর্ণের পূর্বে যে কোন সময় দরপত্র সংশোধন, প্রতিস্থাপন বা প্রত্যাহারের জন্য দরপত্রদাতাকে অনুমতি প্রদান করা যাইবে মর্মে একটি শর্ত।
(৩) ক্রয়কারীকে দরপত্র বা প্রস্তাব দলিলে নিম্নবর্ণিত তথ্য ও শর্তাদি উল্লেখ করিতে হইবে-
(ক) সম্পাদিতব্য কার্য ও ভৌত সেবার বিবরণ;
(খ) কার্যের অবস্থান এবং নকশা (drawings);
(গ) প্রদেয় পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবার বিবরণ;
(ঘ) সরবরাহ বা স্থাপনের স্থান;
(ঙ) সরবরাহ এবং কার্য-সম্পাদনের কর্মপরিকল্পনা;
(চ) কার্য সম্পাদনে অবশ্যপূরণীয় নূন্যতম শর্ত;
(চচ) চুক্তি বাস্তবায়নে দরদাতার সক্ষমতা বা tender capacity নিরূপণের লক্ষ্যে দরপত্র দলিলে প্রদত্ত সুনির্দিষ্ট clause এবং ফরমুলা;
(ছ) ওয়ারেন্টি, ত্রুটিজনিত দায় (defects liability) ও রক্ষণাবেক্ষণের শর্তাদি;
(জ) দরপত্রদাতাগণ যে মুদ্রায় বা মুদ্রাসহে দরপত্র দাখিল করিতে পারিবে সেই মুদ্রা বা মুদ্রাসহের নাম এবং বিনিময় মূল্য প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তারিখ;
(ঝ) দরপত্র জামানত ও কার্য-সম্পাদন জামানতের পরিমাণ এবং মুদ্রা বা মুদ্রাসহের নাম;
(ঞ) চুক্তি মূল্য (contract price) পরিশোধের শর্ত ও পদ্ধতি;
(ট) নূন্যতম বীমা কাভারেজ; এবং
(ঠ) প্রাসঙ্গিক অন্য কোন শর্ত।
(৪) সরবরাহের জন্য নির্দিষ্টকৃত পণ্য বা সরঞ্জামাদি, অথবা সম্পাদিতব্য কার্য কারিগরি বিনির্দেশের সহিত সংগতিপূর্ণ কিনা উহা নির্ধারণ করিবার জন্য যে পরীক্ষা (test), মান ও পদ্ধতি প্রয়োগ করা হইবে উহা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, দরপত্র দলিলে সঠিকভাবে উল্লেখ করিতে হইবে।
(৫) কারিগরি বিনির্দেশসমূহ এমনভাবে প্রস্তুত করিতে হইবে যেন উহা অ-সীমাবদ্ধকর (nonrestrictive) এবং পক্ষপাতহীন ও উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা নিশ্চিতকরণে সহায়ক হয় এবং দরপত্র দলিলে অন্তর্ভুক্ত নকশার সহিত সংগতিপূর্ণ হয়।
(৬) ক্রয়কারী দরপত্র দলিল প্রস্তুত করিবার সময় প্রয়োজনে ক্রয়কারীর দপ্তর বা সংস্থা বহির্ভূত বিশেষজ্ঞগণের সহায়তাও গ্রহণ করিতে পারিবে।
(৭) চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন দলিলের মধ্যে অগ্রগণ্যতার ক্রম (precedence) হইবে নিম্নরুপ –
(ক) স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্র (contract agreement);
(খ) চুক্তি সম্পাদন নোটিশ (notification of award);
(গ) দরপত্র এবং উহার পরিশিষ্ট (tender and the appendix to tender);
(ঘ) চুক্তির বিশেষ শর্তাদি (particular conditions of contract);
(ঙ) চুক্তির সাধারণ শর্তাদি (general conditions of contract);
(চ) কারিগরী বিনির্দেশ (technical specifications);
(ছ) সাধারণ বিনির্দেশ (general specifications);
(জ) নকশা (drawings);
(ঝ) কার্যের মূল্যযুক্ত পরিমাণগত হিসাব সম্বলিত তফসিল (priced bill of quantities) বা আবশ্যকীয় পণ্যের মূল্য সম্বলিত তফসিল (priced schedule of requirements); এবং
(ঞ) পত্র যোগাযোগসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কোন দলিল।
(৮) পরামর্শক সেবা ক্রয় সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় দলিল (প্রস্তাব দাখিলের অনুরোধ ও কার্যপরিধি) এই বিধিমালার ষষ্ঠ অধ্যায়ের বিধান অনুসরণে প্রস্তুত করিতে হইবে।
(৯) বিকল্প ডিজাইন, দ্রব্যাদি (materials), কার্য সম্পন্নের তফসিল, অর্থ পরিশোধ পদ্ধতি বা অন্য কোন শর্তের ভিত্তিতে দরপত্র দাখিলের সুযোগ প্রদান করিবার ক্ষেত্রে, উক্ত বিষয়সহের গ্রহণযোগ্যতার শর্ত ও মূল্যায়ন পদ্ধতি দরপত্র দলিলে উল্লেখ করিতে হইবে।
(১০) পণ্য সরবরাহের জন্য লট ভিত্তিক (lot-by-lot basis) দরপত্র আহ্বান করা হইলে, প্রতিটি লটই একটি দরপত্র হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্ত ক্ষেত্রে দরপত্র উপাত্ত শীটে (tender data sheet) এই মর্মে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করিতে হইবে যে, প্রত্যেক লটের অধীন মোট আইটেমসমূহের কমপক্ষে ৮০% (শতকরা আশি ভাগ) এবং প্রাক্কলিত লটের কমপক্ষে ৬৫% (শতকরা পয়ষট্টি ভাগ) এর জন্য দরপত্র দাখিল না করা হইলে উক্ত দরপত্র নন-রেসপন্সিভ বলিয়া বিবেচিত হইবে; অথবা কোন লট-টেন্ডারের কোন একটি আইটেমের মূল্য প্রাক্কলিত লট ল্যের ৫০% (শতকরা পঞ্চাশ ভাগ) এর অধিক হইলে, দরপত্র উপাত্ত শীটে এই মর্মে উল্লেখ করিতে হইবে যে কোন লট-টেন্ডারে উক্ত আইটেমের মূল্য অন্তর্ভুক্ত না করা হইলে, মোট আইটেমসহের মধ্যে শতকরা হিসাবে নূন্যতম যে সংখ্যক আইটেমের জন্য দরপত্র দাখিল করিতে হইবে বলিয়া দরপত্র উপাত্ত শীটে উল্লেখ করা হয়েছে, সেই শর্তপূরণ করিলেও উক্ত লট-টেন্ডার অগ্রহণযোগ্য (non-responsive) বলিয়া বিবেচিত হইবে।
(১১) এক বা একাধিক আইটেমের জন্য আইটেম ভিত্তিক (item-by-item basis) পণ্য সরবরাহের নিমিত্ত দরপত্র আহ্বানের ক্ষেত্রে, প্রত্যেক আইটেমের জন্য প্রদত্ত প্রস্তাব (offer) উক্ত আইটেমের অধীন পূর্ণ পরিমাণের জন্য প্রদান করিতে হইবে ও উহা একটি দরপত্র হিসাবে গণ্য হইবে এবং আলাদাভাবে প্রতিটি আইটেম দাখিলের সুযোগ প্রদানের জন্য দরপত্র দাখিল শীটে (tender submission sheet) একটি টেবিল সংযোজন করিয়া উক্ত শীট সংশোধন করিতে হইবে।
(১২) উপ-বিধি (১) এ যাহা কিছু থাকুক না কেন, ক্রয়কারী, কোন নির্দিষ্ট ধরনের ক্রয়ের প্রয়োজনে, উক্ত উপ-বিধিতে উল্লিখিত দলিলসহে অন্তর্ভুক্ত আবেদনপত্র উপাত্ত শীট, দরপত্র উপাত্ত শীট বা চুক্তির বিশেষ শর্তে, আইন ও এই বিধিমালার সহিত অসামঞ্জস্য নহে এইরূপ প্রয়োজনীয় পরিবর্তন বা সংযোজন করিতে পারিবে।
(১৩) সিপিটিইউ তৎকর্তৃক ইস্যুকৃত আদর্শ দলিলসহ উহার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করিবে।
৫। দরপত্র মূল্য নির্ধারণে অনুসরণীয় বিধান।-
(১) কোন নির্দিষ্ট গন্তব্য স্থলে কোন পণ্য সরবরাহ, বা কোন কার্য সম্পাদন বা স্থাপনের (installation) মূল্যসহ দরপত্রদাতা কর্তৃক প্রদেয় সকল সংশ্লিষ্ট ও সহায়ক সেবার মূল্যের ভিত্তিতে দরপত্র আহ্বান করিতে হইবে।
(২) চুক্তি সম্পাদন করা হইলে, সরবরাহকারী বা ঠিকাদার কর্তৃক মূল্য সংযোজন কর ও শুল্কসহ যে কর প্রদেয় হইবে তাহা আলাদা আলাদা ভাবে দরপত্র দলিলের মূল্য তফসিলে উল্লেখ করিতে হইবে।
(৩) দরপত্র দলিলে উল্লেখথাকিবে যে-
(ক) দরপত্রের মূল্য স্থির বা নির্দিষ্ট থাকিবে; বা
(খ) কোন চুক্তির মুখ্য অংশের যেমন- শ্রম, যন্ত্রপাতি, উপাদান, জ্বালানী ল্যের, ঊর্ধ্বমুখী বা অধমুখী, পরিবর্তনের ফলে দরপত্র মূল্য সমন্বয় করা যাইতে পারে।
(৪) কোন চুক্তির ক্ষেত্রে ১৮(আঠার) মাসের বেশী সময় আবশ্যক হইলে, সেইক্ষেত্রে দরপত্র দলিলে বর্ণিত ফরমুলা অনুসরণক্রমে মূল্য সমন্বয় করা যাইতে পারে।
(৫) সাধারণ বাণিজ্যিক রীতি-নীতির আওতায় সরবরাহের সময়সীমা নির্বিশেষে কোন নির্দিষ্ট ধরনের যন্ত্রপাতি নির্দিষ্ট ল্যে সংগ্রহের ক্ষেত্রে, বা ১৮(আঠার) মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন যোগ্য কোন সহজ চুক্তির ক্ষেত্রে সাধারণত- মূল্য সমন্বয়ের শর্ত আরোপ করা যাইবে না – তবে শর্ত থাকে যে, ক্রয়কারী, ১৮(আঠার) মাসের কম সময় আবশ্যক এইরূপ চুক্তির ক্ষেত্রে, ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধানের অনুমোদনক্রমে প্রয়োজনে মূল্য সমন্বয় ফরমুলা প্রয়োগ করিতে পারিবে।
(৬) ‘ডে-ওয়ার্কস’ বাবদ যে সকল আইটেমের দর প্রদান করিতে হইবে কার্যের পরিমাণগত হিসাব সম্বলিত বিবরণীতে উক্ত আইটেমসহের প্রত্যেকটির প্রাক্কলিত পরিমাণ উল্লেখ করিতে হইবে।
(৭) ক্রয়কারী, উহার নিজস্ব বিবেচনায়, দরপত্র দলিলে বিশদভাবে বর্ণিত মতে মনোনীত সহঠিকাদার এর পাওনা এবং অন্যান্য ব্যয় মিটানোর উদ্দেশ্যে কার্যের পরিমাণগত হিসাব সম্বলিত বিবরণীতে প্রভিশনাল সাম এর সংস্থান করিতে পারিবে।
৬। ক্রয় সংক্রান্ত দলিল বিতরণ সংক্রান্ত রেকর্ড সংরক্ষণ।-
কোন ব্যক্তির অনুকূলে প্রাক- যোগ্যতা, দরপত্র বা প্রস্তাব দাখিলের অনুরোধ সম্বলিত দলিল ইস্যু করার ক্ষেত্রে ক্রয়কারী নিম্নবর্ণিত তথ্য সংরক্ষণ করিবে-
(ক) ক্রয় সংক্রান্ত দলিল ইস্যু সংক্রান্ত রেফারেন্স নম্বর;
(খ) ব্যক্তির নাম ও ডাক যোগাযোগের ঠিকানা;
(গ) টেলিফোন নম্বর, ফ্যাক্স নম্বর ও ই-মেইল, যদি থাকে; এবং
(ঘ) ক্রয়কারী কর্তৃক প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত অন্য কোন প্রয়োজনীয় তথ্য।
অংশ-২: কমিটিসমূহ
৭। উন্মুক্তকরণ কমিটির গঠন।-
(১) ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোন কর্মকর্তা বা ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধানের নিম্ন পর্যায়ের কোন অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ, ক্ষেত্রমত, তফসিল-২ (Schedule II) এ উল্লিখিত সদস্যদের সমন্বয়ে দরপত্র বা প্রস্তাব উন্মুক্তকরণ কমিটি গঠন করিবে।
(২) উন্মুক্তকরণ কমিটির কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে উৎসাহ প্রদানের নিমিত্ত মূল্যায়ন কমিটির সদস্যদের ন্যায় নির্ধারিত হারে উন্মুক্তকরণ কমিটির সদস্যদের ফি বা সন্মানী প্রদান করা যাইবে।
(৩) উপ-বিধি (২) এর অধীন উন্মুক্তকরণ কমিটির সদস্যগণকে ফি বা সন্মানী প্রদানের জন্য উন্নয়ন ও রাজস্ব বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান রাখিতে হইবে।
৮। মূল্যায়নকমিটির গঠন এবং মূল্যায়নপদ্ধতি।-
(১) আবেদনপত্র, দরপত্র বা প্রস্তাব দাখিলের আহ্বান ইস্যু করিবার প্রাক্কালে, কিন্তু আবশ্যিকভাবে আবেদন পত্র, দরপত্র বা প্রস্তাব দাখিলের জন্য নির্ধারিত তারিখের পূর্বের যে কোন তারিখে, তফসিল-২ অনুসারে নির্বাচিত সদস্যদের সমন্বয়ে দরপত্র বা প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি গঠন করিতে হইবে।
(২) উপ-বিধি (১) অনুসারে গঠিত মূল্যায়ন কমিটিতে ল্যায়নের জন্য আবশ্যক জ্ঞানসম্পন্ন বহিঃসদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে এবং উক্ত সদস্যদেরকে পদবীর ভিত্তিতে মনোনীত করিতে হইবে –
তবে শর্ত থাকে যে, তফসিল-২ এ উল্লিখিত বিভিন্ন মূল্যসীমার মধ্যে ক্রয়ের ক্ষেত্রে, দরপত্র বা প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি উক্ত তফসিল-২ অনুসারে গঠন করিতে হইবে।
(৩) অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ মূল্যায়ন কমিটি গঠন করিবে, তবে যদি পরিচালনা পর্ষদ বা মন্ত্রণালয় অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ হয়, বা সরকারী ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি সুপারিশকারী কর্তৃপক্ষ হয়, তাহা হইলে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বা মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিবের অনুমোদনক্রমে মূল্যায়ন কমিটি নিয়োগ করিতে হইবে।
(৪) ক্রয়কারী, উপ-বিধি (৩) এ বর্ণিত কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে, নিম্নরুপভাবে মূল্যায়ন কমিটি গঠন করিতে পারিবে-
(ক) সকল প্রকার ক্রয়ের জন্য একটি মাত্র মূল্যায়ন কমিটি; বিশেষত- যদি সংশ্লিষ্ট ক্রয়কারী কর্তৃক প্রতি বৎসরে শুধু সীমিত সংখ্যক আবেদনপত্র, দরপত্র বা প্রস্তাব বিবেচনা করা হইয়া থাকে বা একটি মাত্র দরপত্র বা প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির মাধ্যমেই প্রয়োজনীয় সকল ক্রয় সম্পাদন করা সম্ভব হয়; বা
(খ) একাধিক মূল্যায়ন কমিটি; যদি ক্রয়কারীকে একই সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ক্রয়ের জন্য বহুসংখ্যক আবেদনপত্র, দরপত্র বা প্রস্তাব পরীক্ষা ও মূল্যায়ন সম্পন্ন করিতে হয়; এবং
(গ) একটি আলাদা মূল্যায়ন কমিটি; যদি প্রক্রিয়াকরণ প্লান্ট সরবরাহ, স্থাপন এবং চালুকরণ সংক্রান্ত বিপুল ব্যয়সাপেক্ষ বা জটিল ক্রয়, বা জটিল প্রকৃতির কার্য বা যোগাযোগ প্রযুক্তি সংক্রান্ত দরপত্র মূল্যায়ন করিতে হয়; বা
(ঘ) বিশেষ কোন ক্রয়ের জন্য প্রয়োজন হয়।
(৫) মূল্যায়ন কমিটির সদস্যদের নিম্নবর্ণিত কার্যালয় বা সংস্থা হইতে নির্বাচন করা যাইতে পারে, যথা –
(ক) ক্রয়কারীর কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট ইউনিটের (যেমন-আর্থিক, বাণিজ্যিক এবং কারিগরী ইউনিটসহ) কর্মকর্তাবৃন্দ;
(খ) ক্রয়কারী কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বা উহার অধীনস্থ অন্য কোন সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ;
(গ) উপকারভোগী বা ব্যবহারকারী সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ; এবং
(ঘ) বহি- সদস্যদের ক্ষেত্রে, কারিগরী, বাণিজ্যিক, আর্থিক বা আইন বিষয়ে অন্য যে কোন মন্ত্রণালয় বা বিভাগ, বা উহার অধীনস্থ কোন দপ্তর ও সংস্থার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ কর্মকর্তা, বা বিশ্ববিদ্যালয় বা খ্যাতিসম্পন্ন পেশাজীবী প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ, বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ।
(৬) বিধি ৩৬ অনুসারে মূল্যায়ন প্রতিবেদন পুনরীক্ষণ ও অনুমোদন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করিবার উদ্দেশ্যে, মূল্যায়ন কমিটি গঠনের সময় অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ এই মর্মে নিশ্চয়তা বিধান করিবে যেন উহার সদস্যগণ ন্যায়নিষ্ঠ ও যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মকর্তা বা পেশাজীবী হন।
(৭) অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ মূল্যায়ন কমিটি গঠনের সময় একজন সদস্যকে উহার সদস্যসচিব হিসাবে মনোনীত করিবে।
(৮) সভার নোটিশ মূল্যায়ন কমিটির সকল সদস্যের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং সভার বৈধতার জন্য তফসিল-২ এ বর্ণিত নূন্যতম সংখ্যক সদস্যের উপস্থিতি আবশ্যক হইবে।
(৯) মূল্যায়ন কমিটি মূল্যায়ন শুরু করিবার পর হইতে যতটা সম্ভব একনাগাড়ে কাজ করিবে যাহাতে বিধি ৩৬ এর অধীন নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মূল্যায়ন সম্পন্ন করা সম্ভব হয়।
(১০) মূল্যায়ন কমিটির সদস্যগণ নিজ নিজ দায়িত্বে আইন, এই বিধিমালা এবং আবেদনপত্র, দরপত্র বা প্রস্তাব দলিলের বিধান ও শর্তাদি অনুসরণক্রমে-
(ক) আবেদনপত্র, দরপত্র, আগ্রহ ব্যক্তকরণ পত্র বা প্রস্তাব পরীক্ষা ও মূল্যায়ন করিবে;
(খ) সুপারিশসহ একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রস্তুত করিবে; এবং
(গ) মূল্যায়ন প্রতিবেদন বিধি ৩৬ মোতাবেক অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবে।
(১১) মূল্যায়ন কমিটি গঠিত হইবার পর, কমিটির গঠন অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে কোন সদস্যকে উক্ত কমিটি হইতে, অপসারণ করা যাইতে পারে
(ক) যদি কোন সদস্য, নিরপেক্ষভাবে কর্মসম্পাদন অব্যাহত রাখা সত্ত্বেও, কোন আবেদনকারী বা দরপত্রদাতার সহিত তাহার সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ না করে; বা
(খ) যদি কোন সদস্য পর পর দুইবার মূল্যায়ন কমিটির সভায় অনুপস্থিত থাকেন; বা
(গ) যদি আইনের ধারা ৬৪ এর বিধান লংঘন করিয়া থাকেন; বা
(ঘ) কোন সদস্যের বদলী, মৃত্যু বা দেশে অনুপস্থিতি।
(১২) কোন সদস্যের সহিত ব্যবসায়িক বা অন্য কোন ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রহিয়াছে এইরূপ কোন দরপত্রদাতার নিকট হইতে দরপত্র প্রাপ্ত হইলে, উক্ত সদস্যের পরিবর্তে অন্য একজন সদস্য নির্বাচন করিতে হইবে।
(১৩) মূল্যায়ন কমিটির প্রত্যেক সদস্য-
(ক) এককভাবে পক্ষপাতহীনতার নিম্নবর্ণিত ঘোষণা সম্বলিত একটি বিবৃতি স্বাক্ষর করিবে, যথা–
“আমি ………………………………… (নাম ও পদবী) এই মর্মে ঘোষণা ও নিশ্চয়তা প্রদান করিতেছি যে, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী কোন দরপত্রদাতা বা আবেদনকারীর সহিত আমার ব্যবসায়িক বা অন্য কোনরূপ সম্পর্ক নাই।”; এবং
(খ) যৌথভাবে নিম্নবর্ণিত প্রত্যায়নপত্র স্বাক্ষর করিবে, যথা –
“মূল্যায়ন কমিটি এই মর্মে প্রত্যায়ন করিতেছে যে, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ ও তদধীন প্রণীত বিধিমালা এবং নির্ধারিত আবেদনপত্র, দরপত্র বা প্রস্তাব দলিলের বিধান ও শর্ত অনুসরণক্রমে মূল্যায়ন সম্পন্ন করা হইয়াছে এবং মূল্যায়ন প্রতিবেদনে প্রদত্ত সকল তথ্য ও বর্ণনা সঠিকভাবে প্রতিফলিত করা হইয়াছে এবং কোন গুরুত্বপূর্ণ ও কোন মৌলিক তথ্য বাদ দেওয়া হয় নাই”।
(১৪) ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা তৎকর্তৃক ক্ষমতপ্রাপ্ত ব্যক্তি, বিশেষ কোন দরপত্র বা প্রস্তাব মূল্যায়নে কারিগরী সহায়তা আবশ্যক বলিয়া অনুভূত হইলে, তফসিল-৩ (Schedule-III) এর ‘ক’ অংশে বর্ণিত সময়সীমা অনুসরণ সাপেক্ষে, তফসিল-২ অনুসারে একটি কারিগরী সাব-কমিটি গঠন করিতে পারিবে, বা উপবিধি (২) এর সংখ্যাগত সীমাবদ্ধতা সাপেক্ষে, মূল্যায়ন কমিটিতে অন্যান্য বিশেষজ্ঞ অন্তর্ভুক্ত করিতে পারিবে।
(১৫) মূল্যায়ন কমিটি ও কারিগরি কমিটির কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে উৎসাহ প্রদানের নিমিত্ত সভা আহ্বানকারী ক্রয়কারী তফসিল-২ এ বর্ণিত হার বা সরকার কর্তৃক সময় সময়, নির্ধারিত হারে উহার প্রত্যেক সদস্যকে ফি বা সম্মানী প্রদান করিবে।
(১৬) উপ-বিধি (১৫) এর অধীন মূল্যায়ন কমিটি ও কারিগরি সাব-কমিটির সদস্যগণকে ফি বা সম্মানী প্রদানের জন্য উন্নয়ন ও রাজস্ব বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান রাখিতে হইবে।
(১৭) মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদনের সহিত আবেদনপত্র, দরপত্র বা প্রস্তাব আহবান হইতে শুরু করিয়া প্রতিটি পর্যায়ে যে সময় ব্যয়িত হইয়াছে তাহা উপ-বিধি (১৮) তে বর্ণিত চেক-লিস্টে প্রদর্শনপূর্বক মূল্যায়ন প্রতিবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করিয়া অনুমোদন প্রক্রিয়া মোতাবেক পরবর্তী যে কর্মকর্তার নিকট মূল্যায়ন প্রতিবেদন দাখিল করার কথা তাহার নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং অনুরূপভাবে উক্ত কর্মকর্তা তাহার পর্যায়ে ব্যয়িত সময় চেক-লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করিয়া মূল্যায়ন প্রতিবেদন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দলিলাদি অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবে।
(১৮) উপ-বিধি (১৭) তে বর্ণিত চেকলিষ্টসমূহ ক্ষেত্রমত তফসিল-৪ (Schedule-IV) এর অংশ-ক, অংশ-খ এবং অংশ-গ অনুযায়ী হইতে হইবে।
৯। মূল্যায়ন কমিটির সদস্য হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে ক্রয়কারীর কার্যালয় বহির্ভূত কর্মকর্তার যোগ্যতা।-
(১) ক্রয়কারীর কার্যালয় বহির্ভূত মূল্যায়ন কমিটির সদস্যগণ ক্রয়কারীর মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা বা উহার অন্য কোন ইউনিটের কর্মকর্তা হইতে পারিবেন না।
(২) [***]
(৩) কোন বিশেষ ধরনের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে, কোন সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, বিশ্ববিদ্যালয় বা সুখ্যাতি রহিয়াছে এমন কোন পেশাজীবী প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞগণ বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞগণকে এই বিধি ও বিধি ৮ এ বর্ণিত যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে, মূল্যায়ন কমিটিতে ক্রয়কারীর কার্যালয় বহির্ভূত সদস্য হিসেবে নিযুক্ত করা যাইবে।
(৪) নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে এইরূপ কাহাকেও মূল্যায়ন কমিটির সদস্য নিয়োগ করা যাইবে না-
(ক) সংশ্লিষ্ট মূল্যায়ন কমিটি কর্তৃক মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত প্রাক-যোগ্যতার আবেদনপত্র, দরপত্র, আগ্রহব্যক্তকরণপত্র বা প্রস্তাব দাখিলের সম্ভাবনা রহিয়াছে বা দাখিল করা হইয়াছে এরূপ কোন ব্যক্তির সহিত তাহার ব্যবসায়িক বা ব্যক্তিগত স্বার্থ জড়িত থাকিলে; বা
(খ) নিরপেক্ষভাবে কাজ করা সম্ভব হইবে না এরূপ কোন স্বার্থ জড়িত থাকিলে।
১০। মূল্যায়ন কমিটির সভায় সভাপতিত্বকরণ।-
(১) নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাগণ মূল্যায়ন কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, যথা-
(ক) অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের অব্যবহিত নিম্ন পদমর্যাদার কোন কর্মকর্তা, যদি অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ প্রকল্প পরিচালক, প্রকল্প ব্যবস্থাপক বা আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ আদেশ অনুযায়ী আঞ্চলিক, উপ-আঞ্চলিক, জেলা বা উপ-জেলার ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন পর্যায়ের কর্মকর্তা হন;
(খ) উপ-জেলা বা অন্য কোন পর্যায়ের অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ, যদি উক্ত পর্যায়ে অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের নিম্নের কোন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা না থাকে; বা
(গ) ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা প্রধান নির্বাহীর অব্যবহিত নিম্ন পদমর্যাদার কোন কর্মকর্তা, যদি অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, স্বায়ত্বশাসিত বা আধা-স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার প্রধান নির্বাহী হন; বা
(ঘ) ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা, ক্ষেত্রমত, প্রধান নির্বাহী, যদি অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ পরিচালনা পর্ষদ, বা মন্ত্রণালয়, বা সুপারিশকারী কর্তৃপক্ষ সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি হয়; বা
(ঙ) মূল্যায়ন কমিটির কোন সভায় কোন কারণে ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা,ক্ষেত্রমত,প্রধান নির্বাহী সভাপতিত্ব করিতে অসমর্থ হইলে তাহাদের অব্যবহিত নিম্ন পদমর্যাদার কোন কর্মকর্তা; বা
(চ) কোন মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব ক্রয়ের ক্ষেত্রে, যেখানে সচিব স্বয়ং ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান, সেই ক্ষেত্রে সচিবের অব্যবহিত নিম্ন পদমর্যাদার কোন কর্মকর্তা।
(২) কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর অধীন নিবন্ধিত কোন কোম্পানী যদি কোন ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকারী রাজস্ব বা উন্নয়ন বাজেটের আওতায় প্রাপ্ত সরকারী তহবিল ব্যবহার করে, তাহা হইলে মূল্যায়ন কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করিবার ক্ষেত্রে উক্ত কোম্পানী, কোম্পানী আইনের অধীন প্রযোজ্য নিজস্ব প্রশাসনিক এবং আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ সংক্রান্ত বিধি বিধান অনুসরণ করিবে।
১১। দরপত্র বা প্রস্তাব অনুমোদন।-
(১) আইন ও এই বিধিমালার বিধান যথাযথভাবে অনুসরণক্রমে, অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ আইনের ধারা ৮ এর অধীন মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে।
(২) মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করিয়া অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ-
(ক) উক্ত সুপারিশ অনুমোদন করিতে পারিবে; বা
(খ) উক্ত সুপারিশ সম্পর্কিত কোন সুনির্দ্দিষ্ট বিষয়ে ক্রয়কারীর মাধ্যমে উক্ত কমিটির নিকট হইতে ব্যাখ্যা আহ্বান করিতে পারিবে; বা
(গ) কারণ ব্যাখ্যাপূর্বক-
(অ) উক্ত সুপারিশ বাতিলক্রমে পুন- মূল্যায়নের জন্য উক্ত কমিটিকে অনুরোধ করিতে পারিবে; বা
(আ) উক্ত সুপারিশ বাতিল করিয়া আইন ও এই বিধিমালার বিধান অনুসরণক্রমে নতুনভাবে ক্রয় কার্য পুন- প্রক্রিয়াকরণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে।
(৩) কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর অধীন নিবন্ধিত কোন কোম্পানী যদি কোন ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকারী রাজস্ব বা উন্নয়ন বাজেটের আওতায় প্রাপ্ত সরকারী তহবিল ব্যবহার করে, তাহা হইলে মূল্যায়ন প্রতিবেদন এবং চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন প্রদানের ক্ষেত্রে, উক্ত কোম্পানী, কোম্পানী আইনের অধীন প্রযোজ্য নিজস্ব প্রশাসনিক এবং আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ সংক্রান্ত বিধি বিধান অনুসরণ করিবে।
১২। ‘অর্পিত ক্রয়কার্য’ অনুমোদন ।-
(১) কোন পণ্য, কার্য বা সেবা ক্রয়কার্য সম্পাদনের জন্য কোন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, বা পরিদপ্তর এর পর্যাপ্ত কারিগরি সামর্থ্য না থাকিলে, সেই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ক্রয়কার্য সম্পাদনের দায়িত্ব উক্ত ক্রয়কার্যে পারদর্শী কোন ক্রয়কারীকে, অতঃপর এই ধারায় নির্বাহক এজেন্সি (executing agency) বলিয়া উল্লিখিত, অর্পণ করা যাইবে।
(২) অর্পিত ক্রয়কার্য সম্পাদনের জন্য মনোনীত নির্বাহক এজেন্সি ‘অর্পিত ক্রয়কার্য’ সম্পাদনের জন্য যথাক্রমে ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা ক্রয়কারী হিসাবে কাজ করিবে এবং নিম্নবর্ণিত কাজ সম্পাদন করিবে-
(ক) এই বিধিমালার বিধান অনুসরণক্রমে ক্রয়কার্য সম্পাদন;
(খ) আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ আদেশ অনুসরণক্রমে অনুমোদন প্রদান; এবং
(গ) চুক্তি পরিচালনা ও প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট কার্য বাস্তবায়ন তদারকি।
(৩) স্বত্বাধিকারী (owner) মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বা অধিদপ্তর বা পরিদপ্তর দরপত্র মূল্যায়ন কমিটিসহ সমগ্র ক্রয় এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য কোন কর্মকর্তাকে মনোনয়ন প্রদান এবং ক্রয়কার্য সুষ্ঠু বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মনিটরিং এর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে এবং অর্পিত ক্রয়কার্য সমাপ্তির পরে নির্বাহক এজেন্সির নিকট হইতে উহার কর্তৃত্ব গ্রহণ করিবে।
উদাহরণ।-গণপূর্ত বিভাগকে যদি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কোন প্রকল্পের কোন কার্য বাস্তবায়নের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়, সেই ক্ষেত্রে উক্ত প্রকল্পের জন্য গণপূর্ত বিভাগ এবং উহার প্রধান, যথাক্রমে ক্রয়কারী ও ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান হিসাবে কাজ করিবে এবং উহার বাস্তবায়নকারী পক্ষ হইবে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, স্বত্বাধিকারী কর্তৃপক্ষ হিসাবে গণ্য হইবে এবং প্রকল্প সমাপ্তির পর গণপূর্ত বিভাগের নিকট হইতে উহার কর্তৃত্ব গ্রহণ করিবে।
(৪) নির্বাহক এজেন্সি, অর্পিত ক্রয়কার্যের স্থান, ডিজাইন, নির্মাণ সামগ্রী এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ে স্বত্বাধিকারী মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর বা পরিদপ্তরের প্রয়োজনীয় অনুমোদন গ্রহণ করিবে।
৩য় অধ্যায়: ক্রয় সংক্রান্ত নীতিসমূহ (বিধি: ১৩-৬০)
তৃতীয় অধ্যায়: ক্রয় সংক্রান্ত নীতিসমূহ (বিধি ১৩-৬০)
এখানে কয়েকটি বিধি নিয়ে আলোচনা করা হলো। তবে পাঠকদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এই “প্রকিউরমেন্টবিডি” তে উল্লেখিত আইন বা বিধির কোন ধারা বা বিধিমালার কোন বিষয় যাচাই ব্যতীত ব্যবহার না করার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে। এখানে ব্যবহৃত যে কোন ধারা বা বিধি শুধু মাত্র বিভিন্ন আলোচনা ও সংশ্লিষ্ট প্রেক্ষাপট বোধগম্য করার জন্য উল্লেখ করা হয়েছে। বাস্তবিক প্রয়োজনে সিপিটিইউ এর ওয়েব-সাইটে সংযুক্ত আইন বা বিধিমালা থেকে তা ব্যবহার করতে হবে।
অংশ-১: সাধারণ
১৩। ক্রয় সংক্রান্ত আইন, ইত্যাদি সাধারণের প্রাপ্যতা।-
আইন এবং তদধীনে প্রণীত বিধি, আদেশ, নির্দেশ, নীতিমালা বা অন্যান্য দলিলপত্র সর্বসাধারণের নিকট সহজ প্রাপ্য করা ও উহার যথাযথ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে, সিপিটিইউ নিম্নরুপ দায়িত্ব পালন করিবে, যথা –
(ক) আইন ও তদধীনে প্রণীত বিধিমালার বাংলা ভাষ্য এবং ইংরেজীতে অনুদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ মুদ্রণ ও প্রকাশ করা;
(খ) ক্রয়কারী কর্তৃক ক্রয়কার্য পরিচালনা সহজতর করণার্থ ক্রয় সংক্রান্ত দলিলপত্র পর্যায়ক্রমিকভাবে প্রকাশ করা;
(গ) দফা (ক) ও (খ) এর অধীন প্রকাশিত আইনের বাংলা ও ইংরেজী পাঠ, বিধিমালা, সংশ্লিষ্ট দলিলপত্র সর্বসাধারণের সহজ প্রাপ্তির ব্যবস্থা করা এবং উহা সিপিটিইউ এর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা; এবং
(ঘ) উক্ত দলিল সমূহের হালনাগাদকরণ ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা।
১৪। যোগাযোগের ধরণ।-
(১) আইন ও এই বিধিমালার অধীন ক্রয়কারী ও ক্রয় কার্যে অংশগ্রহণকারী পক্ষের মধ্যে (যেমন-আবেদনকারী, দরপত্রদাতা, সরবরাহকারী, ঠিকাদার বা পরামর্শক) যাবতীয় যোগাযোগ লিখিত হইতে হইবে এবং উক্ত যোগাযোগের আইনগত বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করার জন্য উহা প্রেরক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা বা প্রতিনিধি কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইতে হইবে।
(২) ফ্যাক্স বা ইলেকট্রনিক মেইলে কোন যোগাযোগ করিবার পর উহার সমর্থনে প্রেরক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা প্রতিনিধির স্বাক্ষরযুক্ত দলিল দাখিল করিতে হইবে।
(৩) ইলেকট্রনিক পরিচালন পদ্ধতিতে ক্রয়ের ক্ষেত্রে এই বিধিমালার অষ্টম অধ্যায়ের বিধান প্রযোজ্য হইবে।
১৫। ক্রয় পরিকল্পনা (procurement plan) এবং ক্রয় পদ্ধতি নির্বাচন।-
(১) কোন একক কাজকে একাধিক প্যাকেজে বিভক্তকরণের ক্ষেত্রে, ক্রয়কারী, কোন ক্রয় পরিকল্পনা প্রণয়নের পূর্বে, প্রস্তাবিত ক্রয়কার্য এবং ক্রয়ের বিষয় সতর্ক তার সহিত পর্যালোচনা করিয়া এবং ক্রয়ের বৈশিষ্ট্য ও পরিমাণ বিবেচনা করিয়া প্যাকেজে বিভক্তকরণ এবং প্রয়োগযোগ্য ক্রয় পদ্ধতি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে।
(২) ক্রয়কারী ক্রয় পদ্ধতি নির্ধারণ এবং পণ্যের প্যাকেজ একত্রীকরণের ক্ষেত্রে, নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ বিবেচনা করিবে –
(ক) ক্রয়তব্য পণ্যের ধরণ;
(খ) ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোন কর্মকর্তা কর্তৃক অনুমোদিত প্রাক্কলিত ব্যয়;
(গ) স্থানীয় বাজারে সংশ্লিষ্ট পণ্যের প্রাপ্যতা;
(ঘ) স্থানীয় বাজারে প্রাপ্য সংশ্লিষ্ট পণ্যের মান, উৎস এবং ব্র্যান্ড;
(ঙ) মনোনীত পণ্যের মূল্য;
(চ) প্রয়োজনীয় পরিমাণ পণ্য সরবরাহে স্থানীয় সরবরাহকারীদের সামর্থ্য;
(ছ) সংশ্লিষ্ট জাতীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানের সামর্থ্য এবং উৎপাদিত পণ্যের মান;
(জ) বাজার পরিস্থিতি এবং প্রত্যাশিত প্রতিযোগিতা;
(ঝ) ক্রয়ের জরুরী প্রয়োজনীয়তা;
(ঞ) প্রাপকের ভাণ্ডারের ধারণ ক্ষমতা এবং প্রস্তাবিত সরবরাহের শর্তাদি ও সময়-তালিকা; এবং
(ট) স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহ সংক্রান্ত ঝুঁকি।
(৩) ক্রয়কারী, পুনঃপুন- আবশ্যক এইরূপ পণ্য সরবরাহের জন্য, বিধি ৮৯ অনুযায়ী ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারে এবং সুবিধাজনক হইলে লটভিত্তিক বা আইটেমভিত্তিক দরপত্র আহবান করিতে পারে।
(৪) ক্রয়কারী প্যাকেজ প্রণয়নে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করিবে এবং সম্ভাব্য সরবরাহকারীদের সংখ্যা যেন হ্রাস না পায় উহা নিশ্চিত করিবার জন্য একটি প্যাকেজে বেশী সংখ্যক আইটেম অন্তর্ভুক্ত করিবে না।
(৫) সাধারণত- একই ধরনের সরবরাহকারীগণ কর্তৃক সরবরাহ করা হইয়া থাকে, শুধু এইরূপ আইটেম সমূহের সমন্বয়ে ক্রয়কারী প্রতিটি লট সুবিন্যস্ত করিবে।
(৬) দরপত্র প্রক্রিয়ায় উৎপাদনকারীর অংশগ্রহণ উৎসাহিত করিবার অভিপ্রায় থাকিলে, বিশেষ ধরনের সরবরাহের (যেমন-স্বাস্থ্য সেক্টরের পণ্য) জন্য আইটেমভিত্তিক দরপত্র আহবান করা যাইবে।
(৭) ক্রয়কারী, কার্যের ক্ষেত্রে, ক্রয় পদ্ধতি নির্ধারণে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ বিবেচনা করিবেঃ
(ক) ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান কর্তৃক অনুমোদিত প্রাক্কলিত ব্যয়;
(খ) ঠিকাদারী সেক্টরের বিদ্যমান অবস্থা;
(গ) স্থানীয় ঠিকাদারদের সামর্থ্য;
(ঘ) প্রত্যাশিত প্রতিযোগিতা;
(ঙ) ভৌগলিক অবস্থান;
(চ) কার্য সমাপনের প্রত্যাশিত তারিখ;
(ছ) প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়।
১৬। ক্রয় পরিকল্পনা প্রণয়ন, ইত্যাদি।-
(১) ক্রয় পরিকল্পনা প্রণয়ন সকল ক্রয়কারীর জন্য বাধ্যতামূলক হইবে।
(২) ক্রয় পরিকল্পনায় মূল্য বা পদ্ধতি নির্বিশেষে ক্রয়ের জন্য নির্ধারিত সকল অভীষ্ট বস্তু বা বিষয়, যথা, পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা, কার্য, ভৌত সেবা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবার শ্রেণীভিত্তিক বিন্যাসপূর্বক অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে।
(৩) উন্নয়ন প্রকল্প বা কর্মসূচী এবং রাজস্ব বাজেটের জন্য আলাদাভাবে ক্রয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করিতে হইবে।
(৪) ক্রয়কারী উন্নয়ন প্রকল্প বা কর্মসূচীর অধীন ক্রয়ের ক্ষেত্রে, তফসিল-৫ এর অংশ-ক অনুসারে, প্রকল্পের পূর্ণ মেয়াদকালের জন্য সার্বিক ক্রয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করিবে এবং উহা উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (DPP) বা কারিগরী সহায়তা প্রকল্প (TPP) এর সঙ্গে সংযুক্ত করিতে হইবে।
(৫) ক্রয়কারী, প্রত্যেক অর্থ বৎসরের শুরুতে, অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে প্রত্যাশিত তহবিল প্রবাহের বিষয়টি বিবেচনাক্রমে, কোন উন্নয়ন প্রকল্প বা কর্মসূচীর সার্বিক ক্রয় পরিকল্পনা এবং দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় (cost estimate) বাৎসরিক ভিত্তিতে এবং যুক্তিসঙ্গতভাবে হালনাগাদ করিবে।
(৫ক) উপ-বিধি (৫) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ক্রয়কারী দরপত্র বা প্রস্তাব দাখিলের অনুরোধ সম্বলিত দলিল চূড়ান্তকরণের পূর্বে বা দরপত্র বা প্রস্তাব আহ্বানের পূর্বে উন্নয়ন বা রাজস্ব বাজেট নির্বিশেষে ক্রয়কারী কর্তৃক নিজ এবং অন্য ক্রয়কারীর প্রতিনিধিসহ ৩ (তিন) জন সদস্য সমন্বয়ে গঠিত কমিটি দ্বারা কোন নির্দিষ্ট ক্রয়ের দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় (official cost estimat) প্রস্তুত করিবে এবং দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় প্রস্তুতকালে পরিবহন ব্যয়, ওভারহেড, মুনাফা, ঝুঁকি, ভৌগোলিক অবস্থান, জটিলতা (complexity), অনগ্রসরতা, জেলা সদর বা ক্রয় কার্যস্থল হইতে দূরত্ব, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, মূল্য সংযোজন কর (VAT) এবং অগ্রিম আয়করসহ (AIT) আনুষঙ্গিক অন্যান্য প্রযোজ্য বিষয়সমূহ আবশ্যিকভাবে বিবেচনা করিবে।
(৫খ) উপ-বিধি (৫ক) এর অধীন প্রস্তুতকৃত দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় কোন উন্নয়ন প্রকল্প বা কর্মসূচীর সার্বিক বা বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনায় উল্লিখিত প্রাক্কলিত ব্যয় হইতে অধিক হইলে ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান এবং অধিক না হইলে ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ (যদি অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধানের নিম্নে হন) কর্তৃক অনুমোদনপূর্বক সীমিত দরপত্র পদ্ধতিতে অভ্যন্তরীণ কার্য ক্রয়ের ক্ষেত্র ব্যতীত, অনুমোদনকারীসহ উপ-বিধি (৫ক) তে উল্লিখিত কমিটির সকল সদস্যের স্বাক্ষরযুক্ত দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় সীলগালা করিয়া রাখিবে, যাহা দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটির নিকট দরপত্র খোলার প্রাক্কালে হস্তান্তর করিবে এবং দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটি দরপত্র উন্মুক্তকরণ সভায় দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্য ঘোষণাপূর্বক দরপত্র উন্মুক্তকরণ সীটে উহা লিপিবদ্ধ করিবে।
(৬) ক্রয়কারী, প্রত্যেক অর্থ বৎসরের শুরুতে, রাজস্ব বাজেটের অধীন ক্রয়ের জন্য শুধু একটি বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করিবে।
(৭) কোন উন্নয়ন প্রকল্প বা কর্মসূচীর জন্য হালনাগাদকৃত বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা ও দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় এবং রাজস্ব বাজেটের জন্য প্রণীত বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা কর্তৃক অনুমোদিত হইতে হইবে।
(৮) উন্নয়ন প্রকল্প বা কর্মসূচীর জন্য সামগ্রিক ক্রয় পরিকল্পনা ও হালনাগাদকৃত বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা এবং রাজস্ব বাজেটের জন্য বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে ক্রয়কারী ক্ষেত্রমত তফসিল-৫ (Schedule-V) এর অংশ-ক, অংশ-খ, অংশ-গ, অংশ-ঘ এবং অংশ-ঙ তে বর্ণিত ছক অনুসরণ করিবে।
(৯) প্রত্যেক অর্থ বৎসরের শুরুতে ক্রয়কারী, উন্নয়ন প্রকল্প বা কর্মসূচীর জন্য উপ-বিধি (৭) এর অধীন অনুমোদিত সামগ্রিক ক্রয় পরিকল্পনা ও হালনাগাদকৃত বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা, এবং রাজস্ব বাজেটের জন্য অনুমোদিত বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা, উহার নোটিশ বোর্ডে ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, উহার ওয়েবসাইটে এবং সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর বা পরিদপ্তর বা সংস্থার ওয়েবসাইটে, বুলেটিন বা রিপোর্টে প্রকাশের ব্যবস্থা করিবে।
(১০) ক্রয় প্রক্রিয়ায় বিলম্ব, পুন- দরপত্র আহবান এবং অন্যান্য অদৃষ্টপূর্ব (unforeseen) পরিবর্তন বা সীমাবদ্ধতা বিবেচনাক্রমে ক্রয়কারী নিজস্ব প্রয়োজনে ক্রয় পরিকল্পনায় প্রয়োজনীয় সামঞ্জস্য বিধানপূর্বক ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে উহা হালনাগাদ করিবে।
(১১) ক্রয়কারী, তফসিল-২ এ বর্ণিত মূল্যসীমার ঊর্ধ্বের উন্নয়ন প্রকল্প বা কর্মসূচীর জন্য,উহার সামগ্রিক ক্রয় পরিকল্পনা ও হালনাগাদকৃত বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা এবং রাজস্ব বাজেটের জন্য বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা সিপিটিইউ-কে অন- লাইন (on-line) বা অন-লাইন এ সম্ভব না হইলে অফ-লাইন (off-line) মাধ্যমে অবহিত করিবে, যাহা সিপিটিইউ’র ওয়েবসাইটেও নিয়মিতভাবে প্রকাশ করিতে হইবে।
১৭। একক কাজকে একাধিক প্যাকেজে বিভক্তকরণ।-
(১) ক্রয়কারী উহার ক্রয় পরিকল্পনা প্রণয়নের সময় কোন নির্দিষ্ট ক্রয় পদ্ধতি বা ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তার অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা পরিহারের উদ্দেশ্যে, সাধারণত- একটি প্রকল্প বা কর্মসূচীর কোন অংশ নিন্মতর মূল্যমানের একাধিক প্যাকেজে বিভক্ত করিবে না।
(২) ক্রয়কারী, মূল্যায়নের সময় আড়াআড়ি অবহার (cross-discounts) প্রদান সংক্রান্ত বিধানের প্রয়োগ সহজ করার উদ্দেশ্যে, সার্বিক ক্রয় পরিকল্পনায় অনুমোদিত কোন প্যাকেজ সাধারণত ৫ (পাঁচ) টির অধিক লটে বিভক্ত করিবে না।
(২ক) প্যাকেজ বা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, লটের ক্ষেত্রে দরপত্রদাতা শতকরা হারে মূল্যছাড় (discount) প্রদান করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, প্রদত্ত মূল্যছাড় (discount) প্যাকেজ বা লটের সকল আইটেমের উপর সমভাবে প্রযোজ্য হইবে:
আরও শর্ত থাকে যে, প্রদত্ত মূল্যছাড় (discount) দরপত্রের গাণিতিক ত্রুটি সংশোধনের পর বিবেচিত হইবে।
(৩) ক্রয়কারী কোন একক কাজ ক্ষুদ্রতর একাধিক প্যাকেজে বা প্যাকেজকে একাধিক ক্ষুদ্রতর লটে বিভক্ত করিবার সময় নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলি বিবেচনা করিবে –
(ক) সুপারিশকৃত আকারের প্যাকেজ বা লটের জন্য রেসপন্সিভ দরপত্র দাখিলের ক্ষেত্রে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারের সামর্থ্য; এবং
(খ) সম্ভাব্য কার্য চুক্তির ক্ষেত্রে, উক্ত কার্যের জন্য নির্ধারিত স্থানের ভৌগোলিক অবস্থানের বিবেচনায় উহার বাস্তবায়নজনিত সুবিধা।
(৪) ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা, যথোপযুক্ত কারণ থাকা সাপেক্ষে, ক্ষুদ্রাকার প্যাকেজ বা লটে বিভক্তিকরণ অনুমোদন করিবেন।
(৫) উপ-বিধি (১), (২) ও (৩) এর অধীন কোন একক ক্রয়কার্য একাধিক প্যাকেজে বা কোন প্যাকেজ একাধিক লটে বিভক্ত করা হইলে, উহার কোন একটি প্যাকেজ বা লটের জন্য চুক্তি সম্পাদনের নোটিশ প্রদানের পূর্বে, প্যাকেজসমূহ বা লটসমূহের মোট মূল্যের সমষ্টি যে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের এখতিয়ারভুক্ত সেই কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিটি প্যাকেজ বা লটের দরপত্র অনুমোদনের জন্য পেশ করিতে হইবে।
উদাহরণ ১।− যদি ৮০ (আশি) কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষ ৫০ কি- মি- দীর্ঘ রাস্তা-কাম-বাধ নির্মাণের জন্য কোন ক্রয় প্যাকেজকে ৪(চার) টি লটে বিভক্ত করিয়া দরপত্র আহবান করা হয়, তাহা হইলে উহার কোন একটি লটের জন্য চুক্তি সম্পাদনের পূর্বে ৪(চার) টি দরপত্রেরই হালনাগাদ অগ্রগতি সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নিকট পেশ করিতে হইবে।
উদাহরণ ২। যদি ১০০ (একশত) কোটি টাকা মূল্যের ক্রয়ের দরপত্র আইটেম ভিত্তিক আহবান করা হইয়া থাকে, তাহা হইলে বিলম্ব এড়ানোর জন্য পর্যায়ক্রমে উহার বাস্তবায়ন যুক্তিযুক্ত বিবেচিত হইলে উহার যে কোন একটি আইটেমের জন্য চুক্তি সম্পাদনের পূর্বে উক্ত টেন্ডারের ভিত্তিতে সম্পাদিতব্য সকল চুক্তি সংক্রান্ত হালনাগাদ অগ্রগতি সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নিকট পেশ করিতে হইবে।
১৮। ক্রয়কার্যে প্রতিযোগিতা।-
(১) ক্রয়কারী-
(ক) সম্ভাব্য দরপত্রদাতাগণ কর্তৃক প্রকল্প বা কার্যের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শনের যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিবে;
(খ) কার্য বা জটিল সরবরাহ চুক্তির ক্ষেত্রে, বিশেষত- বিদ্যমান কার্য বা যন্ত্রপাতির নবরূপদানের (refurbishing) জন্য, সম্ভাব্য দরপত্রদাতাগণ ক্রয়কারীর প্রতিনিধিদের সহিত সাক্ষাত করিয়া যাহাতে কোন বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন বা ব্যাখ্যা চাহিতে পারে তজ্জন্য প্রাক-দরপত্র সভা আহবান করিবে;
(গ) দফা (খ) এর অধীন কোন প্রাক-দরপত্র সভা অনুষ্ঠিত হইলে, উক্ত সভার কার্যবিবরণী যে সকল সম্ভাব্য দরপত্রদাতা দরপত্র দলিল ক্রয় করিয়াছেন এবং যাহারা দরপত্র দলিল ক্রয় করিয়াছেন কিন্তু সভায় যোগদান করেন নাই তাহাদের সকলকে তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে প্রদান করিতে হইবে; এবং
(ঘ) দরপত্র দলিলের ভুলত্রুটি সংশোধন বা প্রদত্ত অতিরিক্ত তথ্য পরিশিষ্ট (addendum) আকারে বিধি ৯৫ অনুযায়ী সকল দরপত্রদাতাদের নিকট বিতরণ করিতে হইবে।
(২) যে মানদণ্ডের ভিত্তিতে আবেদনকারী, দরপত্রদাতা বা পরামর্শকদের যোগ্যতা নিরূপণ করা হইবে উহা সংশ্লিষ্ট দলিলে স্পষ্টভাবে উল্লেখকরিয়া আবেদনকারী বা দরপত্রদাতাকে আহবানে সাড়া প্রদানের জন্য পর্যাপ্ত সময় প্রদান করিতে হইবে এবং উক্ত সময় প্রযোজ্য দলিলে সুনির্দিষ্টভাবে ঊল্লেখ করিতে হইবে।
অংশ-২: দরপত্র বা প্রস্তাবের বৈধতার মেয়াদ নির্ধারণ এবং নিরাপত্তা জামানত
১৯। দরপত্র বা প্রস্তাবের বৈধতার মেয়াদ নির্ধারণ।-
(১) দরপত্র বা প্রস্তাবের বৈধতার মেয়াদ, দরপত্র বা প্রস্তাবের জটিলতা (complexity) এবং উহা মূল্যায়ন ও অনুমোদনের জন্য আবশ্যক সময় বিবেচনায় নির্ধারণ করিতে হইবে, তবে উহা নির্ধারণের ক্ষেত্রে তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমা অনুসরণ করিতে হইবে।
(২) উপ-বিধি (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন বিশেষ ক্রয় কর্মকাণ্ডের শর্তের সহিত সঙ্গতি রক্ষার প্রয়োজনে ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা, দরপত্র বা প্রস্তাবের বৈধতার মেয়াদ কমাইতে বা বাড়াইতে পারিবেন।
২০। দরপত্র বা প্রস্তাব মূল্যায়নের সময়সীমা।-
(১) ক্রয়কারী, বিধি ১৯ অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে দরপত্র বা প্রস্তাবের মূল্যায়ন এবং চুক্তি সম্পাদনের কার্যাদি সম্পন্ন করিবে।
(২) ক্রয়কারী, দরপত্র বা প্রস্তাবের বৈধতার মেয়াদ নির্ধারণের ক্ষেত্রে, দরপত্র বা প্রস্তাব পরীক্ষণ প্রক্রিয়া, মূল্যায়ন, অনুমোদন ও চুক্তি সম্পাদনের জন্য বিধি ৩৬ এর বিধান অনুসরণ করিবে।
২১। বৈধতার মেয়াদ বৃদ্ধি।-
(১) ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে যুক্তিযুক্ত বিবেচিত হইলে, দরপত্র বা প্রস্তাবের জন্য নির্ধারিত মেয়াদ অতিক্রান্তের পূর্বে, উহার বৈধতার মেয়াদ সর্বোচ্চ ২ (দুই) বার বৃদ্ধির জন্য ক্রয়কারী কোন দরপত্রদাতা বা আবেদনকারীকে লিখিতভাবে অনুরোধ করিতে পারিবে –
তবে শর্ত থাকে যে, প্রথমবার মেয়াদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে, ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান এবং দ্বিতীয়বার মেয়াদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে, পরবর্তী উচ্চতর পর্যায়ের অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে।
(২) উপ-বিধি (১) এর অধীন বৈধতার মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য কোন অনুরোধ করা হইলে উক্ত অনুরোধপত্রে দরপত্র বা প্রস্তাবের মেয়াদ অবসানের নূতন তারিখ উল্লেখ করিতে হইবে, এবং মেয়াদ বৃদ্ধির উক্ত অনুরোধপত্র তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে দরপত্রদাতা বা আবেদনকারীগণের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।
২২। দরপত্র জামানত।-
(১) অসদুদ্দেশ্যে দরপত্র দাখিল নিরুৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে, ক্রয়কারী দরপত্র দলিলে এই মর্মে শর্ত আরোপ করিতে পারিবে যে, প্রতিটি দরপত্রের সহিত, দরপত্রদাতার পছন্দ অনুযায়ী, বাংলাদেশের কোন তফসিলি ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত ব্যাংক ড্রাফট, পে-অর্ডার, বা দরপত্র দলিলে নির্দি ষ্টকৃত ছকে ব্যাংক গ্যারান্টি, জামানত হিসাবে দাখিল করিতে হইবে।
তবে শর্ত থাকে যে, তফসিল-২ এ উল্লিখিত মূল্যসীমা পর্যন্ত কার্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে দরপত্রের সহিত জামানত হিসাবে বাংলাদেশের কোন তফসিলি ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত ব্যাংক ড্রাফ্ট বা পে-অর্ডার হিসাবে দাখিল করিতে হইবে।
(২) আন্তর্জাতিক ক্রয়ের ক্ষেত্রে, কোন সুখ্যাতিপূর্ণ আন্তর্জাতিক ব্যাংক কর্তৃক দরপত্র দলিলে নির্দিষ্টকৃত ছকে ব্যাংক গ্যারান্টি দাখিল করিতে হইবে, যাহা বলবৎযোগ্য করার জন্য বাংলাদেশে উহার কোন সহযোগী ব্যাংক কর্তৃক সমর্থিত হইতে হইবে;
তবে শর্ত থাকে যে, আন্তর্জাতিক দরপত্রের ক্ষেত্রে দরপত্রদাতা দেশীয় হইলে উক্ত দরপত্রদাতা দরপত্রের সহিত বাংলাদেশের যে কোন তফসিলি ব্যাংক হইতে ব্যাংক গ্যারান্টি দাখিল করিতে পারিবে।
(৩) অহেতুক অংশগ্রহণকারী দরপত্রদাতাদের নিরুৎসাহিত করার জন্য দরপত্র জামানতের অংক পর্যাপ্তভাবে নির্ধারণ করিতে হইবে এবং উহা দরপত্র দলিলে মোটামুটি স্থির অংকে (rounded fixed amount) উল্লেখ করিতে হইবে এবং কখনও প্রাক্কলিত চুক্তি মূল্যের শতকরা হারে উল্লেখ করা যাইবে না এবং উক্ত স্থির অংক তফসিল-২ অনুসারে নির্ধারণ করিতে হইবে।
(৩ক) দরপত্রদাতা কর্তৃক দরপত্র জামানত প্রদত্ত হইবে।
উদাহরণ।− যদি কোন দরপত্রের প্রাক্কলিত চুক্তি মূল্য ৫(পাঁচ) লক্ষ টাকা হয়, তাহা হইলে উক্ত চুক্তি মূল্যের ৩% হারে দরপত্র জামানত হইবে ১৫(পনের) হাজার টাকা, ২% হারে ১০(দশ) হাজার টাকা এবং ১% হারে ৫(পাঁচ) হাজার টাকা এবং দরপত্রদাতা যাহাতে প্রাক্কলিত চুক্তি মূল্যের পরিমাণ সম্পর্কে কোন নির্ভরযোগ্য ধারণা লাভ করিতে না পারে, সেই জন্য দরপত্র জামানত উল্লিখিত হারের ভিত্তিতে উপনীত টাকার পরিমাণ হইতে কিছুটা কম পরিমাণ নির্ধারণ করিতে হইবে। এই ক্ষেত্রে ৩% হারে ১৪(চৌদ্দ) হাজার টাকা, ২% হারে ৯(নয়) হাজার টাকা ও ১% হারে ৬(ছয়) হাজার টাকা নির্ধারণ করা যাইতে পারে।
(৪) এক বা একাধিক আইটেমের জন্য আইটেম ভিত্তিক দরপত্র আহবান করা হইলে, তফসিল-২ উল্লিখিত হারে দরপত্র দাতা কর্তৃক প্রস্তাবিত আইটেমসমূহের মোট মূল্যের শতকরা হারে একটি দরপত্র জামানত দাখিল করিবার জন্য বলা যাইতে পারে –
তবে শর্ত থাকে থাকে যে, উক্ত ক্ষেত্রে দরপত্র জামানত একটি আলাদা খামে দাখিল করিতে হইবে।
(৫) দরপত্র লট ভিত্তিক আহবান করা হইলে, প্রত্যেকটি লটের জন্য ভিন্ন ভিন্ন শতকরা হারের ভিত্তিতে দরপত্র জামানতের পরিমাণ নির্ধারণ করা যাইবে, তবে দরপত্র দলিলে উক্ত জামানতের পরিমাণ, উপ-বিধি (৪) এর ক্ষেত্র ব্যতীত, তফসিল-২ এ উল্লিখিত স্থির অংকে উল্লেখ করিতে হইবে।
(৬) সরাসরি দরপত্র পদ্ধতি এবং কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপন পদ্ধতির অধীন পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা, এবং কার্য ও ভৌত সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে, দরপত্র জামানত দাখিলের জন্য অনুরোধ জ্ঞাপন করা যাইবে না।
(৭) বিধি ২৫ এ বর্ণিত পরিস্থিতিতে কোন দরপত্রদাতার নিকট যথাসময়ে কোন দাবী উত্থাপনের প্রয়োজনে দরপত্রের বৈধ মেয়াদ পূর্তির তারিখের পর কমপক্ষে ২৮ (আটাশ) দিন পর্যন্ত দরপত্র জামানত বৈধ থাকিতে হইবে।
(৮) এই বিধির অধীন বর্ধিত মেয়াদের দরপত্র জামানত কোন তারিখ পর্যন্ত গ্রহণ করা হইবে, তদ্বিষয়ে সে সম্পর্কে ক্রয়কারী দরপত্রদাতাকে অবহিত করিবে।
২৩। দরপত্র জামানতের মেয়াদ বৃদ্ধি।-
(১) দরপত্রদাতা, দরপত্রের বৈধতার মেয়াদ বৃদ্ধিতে সম্মত হওয়া সাপেক্ষে, উক্ত মেয়াদ বৃদ্ধির সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উপ-বিধি (৩) অনুসারে দরপত্র জামানতের বৈধতার মেয়াদও বৃদ্ধি করিতে হইবে।
(২) কোন দরপত্রদাতা দরপত্র বৈধতার মেয়াদ বৃদ্ধি করিতে সম্মত না হইলে, তাহার দরপত্র পরবর্তীতে মূল্যায়নের জন্য বিবেচিত হইবে না এবং উক্ত ক্ষেত্রে দরপত্র জামানত, যতশীঘ্র সম্ভব, দরপত্রদাতাকে ফেরত প্রদান করিতে হইবে।
(৩) দরপত্রের বৈধতার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হইলে, দরপত্র জামানতের মেয়াদ দরপত্রের নূতন মেয়াদ পূর্তির তারিখের পর কমপক্ষে ২৮(আটাশ) দিন বৃদ্ধি করিতে হইবে।
২৪। দাখিলকৃত দরপত্র জামানতের সঠিকতা যাচাইকরণ।-
(১) মূল্যায়ন কমিটি কর্তৃক, মূল্যায়ন প্রতিবেদন চূড়ান্তকরণের পূর্বে, জামানত ইস্যুকারী ব্যাংকের নিকট হইতে দরপত্রদাতা কর্তৃক দাখিলকৃত দরপত্র জামানতের সঠিকতা লিখিতভাবে যাচাই করিতে হইবে।
(২) কোন দরপত্র জামানত সঠিক বলিয়া পাওয়া না গেলে, উক্ত জামানত সংশ্লিষ্ট দরপত্র পরবর্তীতে মূল্যায়নের জন্য বিবেচনা করা যাইবে না এবং এইক্ষেত্রে ক্রয়কারী আইনের ধারা ৬৪ (৫) অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
২৫। দরপত্র জামানত বাজেয়াপ্তকরণ।-
(১) কোন দরপত্র জামানত বাজেয়াপ্ত করা যাইবে, যদি দরপত্রদাতা-
(ক) দরপত্র উন্মুক্তকরণের পর দরপত্র জামানতের বৈধতার মেয়াদের মধ্যে দরপত্র প্রত্যাহার করে;
(খ) চুক্তি সম্পাদনের নোটিশ গ্রহণ করিতে অস্বীকার করে;
(গ) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, কার্য সম্পাদন জামানত দিতে ব্যর্থ হয়;
(ঘ) চুক্তি সম্পাদন করিতে অস্বীকার করে; বা
(ঙ) বিধি ৯৮ (১১) এর অধীন কোন গাণিতিক ভুল সংশোধনের কারণে দরপত্র মূল্যের সংশোধন গ্রহণ করিতে অস্বীকার করে।
২৬। দরপত্র জামানত ফেরত প্রদান।-
(১) দরপত্র উন্মুক্তকরণের পরে দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটি কর্তৃক কোন দরপত্র জামানত দরপত্রদাতাকে ফেরত দেওয়া যাইবে না।
(২) ক্রয়কারী কর্তৃক মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোদনের অব্যবহিত পওে অগ্রহণযোগ্য দরপত্রসমূহের দরপত্র জামানত, ধারা ৫৩ এর বিধান সাপেক্ষে, ফেরত দিতে হইবে
(৩) ক্রয়কারী কর্তৃক মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোনের পর মূল্যায়িত গ্রহণযোগ্য ১ম, ২য় এবং ৩য় সর্বনিম্ন দরপত্রের জামানত ব্যতীত অন্যান্য মূল্যায়িত গ্রহণযোগ্য দরপত্রদাতাদেও দরপত্র জামানত, ধারা ৫৩ এর বিধান সাপেক্ষে, তাহাদেও আবেদনের প্রেক্ষিতে, ফেরত দেওয়া যাইবে।
(৪) সর্বনিম্ন মূল্যায়িত গ্রহণযোগ্য দরপত্রের দরপত্রদাতার সহিত চুক্তিস্বাক্ষরের পরেই কেবল অবশিষ্ট দরপত্রসমূহের দরপত্র জামানত ফেরত দেওয়া যাইবে, তবে সকল ক্ষেত্রেই দরপত্র জামানত বৈধতার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পূর্বেই ফেরত দিতে হইবে।
২৭। কার্য-সম্পাদন জামানত (Performance Security)।-
(১) কৃতকার্য দরপত্রদাতাকে তফসিল-২ এ বর্ণিত হার অনুসরণক্রমে দরপত্র উপাত্ত শীট (tender data sheet) এ নির্দিষ্টকৃত পরিমাণের কার্য-সম্পাদন জামানত প্রদান করিতে হইবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, তফসিল-২ এর বিধি ২৮ এর উপ-বিধি (১) এর বিপরীতে উল্লিখিত কার্য ও ভৌত সেবাক্রয় চুক্তির ক্ষেত্রে অনুমিত রক্ষনযোগ্য অর্থ (Retention Money) কার্য-সম্পাদন জামানত হিসাবে গণ্য হইবেঃ
আরো শর্ত থাকে যে, সরকারের নিজস্ব তহবিলের অর্থ দ্বারা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, বা আধা-শ্বাসিত প্রতিষ্ঠান হইতে পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে কার্য সম্পাদন জামানত গ্রহণের পরিবর্তে তফসিল-২ এ বর্ণিত হারে, পরিশোধযোগ্য বিল থেকে, নিরাপত্তা জামানত হিসাবে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কর্তন করা যাইবে এবং পরবর্তীতে দরপত্র দলিল এ বর্ণিত শর্ত মোতাবেক উহা সংরক্ষন এবং ফেরত প্রদান করিতে হইবে।
(২) ফ্রন্ট লোডিং এর কারণে দরপত্রে ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি হইয়াছে বলিয়া দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির নিকট প্রতীয়মান হইলে, উক্ত কমিটি তফসিল-২ এ নির্দিষ্টকৃত কার্যস¤পাদন জামানতের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য ক্রয়কারীর নিকট সুপারিশ করিতে পারিবে এবং ক্রয়কারী উক্ত সুপারিশ অনুসারে কার্যসম্পাদন জামানত বৃদ্ধি করিবে।
(৩) ক্রয়কারীর নিকট গ্রহণযোগ্য ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত ব্যাংক ড্রাফট, পে-অর্ডার বা ব্যাংক গ্যারান্টি আকারে কার্য-সম্পাদন জামানত দাখিল করিতে হইবে।
(৪) আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে, বাংলাদেশে সহযোগী ব্যাংক আছে এইরূপ আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাত কোন ব্যাংক কর্তৃক কার্য-সম্পাদন জামানত ইস্যু করিতে হইবে যাহাতে উহা বলবৎযোগ্য হয়।
(৫) রক্ষণযোগ্য অর্থ (retention money) জমা রাখার শর্ত না থাকিলে, প্রত্যাশিত কার্যসমাপ্তির তারিখের পর ২৮ (আটাশ) দিন পর্যন্ত কার্য-সম্পাদন জামানত বৈধ থাকিতে হইবে।
(৬) যদি কার্য সমাপ্তির তারিখ বৃদ্ধি করা আবশ্যক হয়, তাহা হইলে প্রত্যাশিত কার্য সমাপ্তির নূতন তারিখের পরবর্তী ২৮ (আটাশ) দিনের জন্য কার্য-সম্পাদন জামানতের বৈধতা বৃদ্ধি করিতে হইবে।
(৭) ত্রুটিজনিত দায়ের মেয়াদ (defects liability period) পূরণের লক্ষ্যে কার্য-সম্পাদন জামানতের ৫০% (শতকরা পঞ্চাশ ভাগ) অর্থ সম্বলিত নূতন জামানত দ্বারা কার্য- সম্পাদন জামানত প্রতিস্থাপন করিতে হইবে।
(৮) উপ-বিধি (৭) এর অধীন প্রদেয় নূতন জামানত চূড়ান্ত চুক্তিমূল্যের ভিত্তিতে হিসাব করিতে হইবে।
(৯) মূল প্রস্তুতকারী বা উহার একমাত্র এজেন্টের নিকট হইতে যন্ত্রাংশ সরাসরি ক্রয়ের ক্ষেত্রে, কার্য-সম্পাদন জামানত প্রদান বাধ্যতামূলক হইবে না।
(১০) পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হইতে বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা ক্রয়ে, ক্রয়কারী তফসিল-২ এ বর্ণিত হার অনুসরণপূর্বক, প্রয়োজন ও বাস্তবতার নিরিখে কার্য-সম্পাদন জামানত নির্ধারণক্রমে প্রস্তাব দলিলে উল্লিখিত নির্দিষ্ট হারে কার্য-স¤পাদন জামানত আরোপ করিতে পারিবে।
(১১) বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা ক্রয়ে ব্যক্তি পরামর্শকের উপর কার্যস¤পাদন জামানত আরোপ করা যাইবে না।
২৮। রক্ষণযোগ্য অর্থ (retention money)।-
(১) সমুদয় কার্য বা সরবরাহ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক বিলে ঠিকাদারের প্রাপ্য অর্থ হইতে তফসিল-২ অনুসারে নির্ধারিত শতকরা হারে রক্ষণযোগ্য অর্থ কর্তনযোগ্য হইবে।
(২) সমুদয় কার্য সমাপ্তির পর রক্ষিত মোট অর্থের অর্ধেক ঠিকাদারকে পরিশোধ করিতে হইবে এবং অবশিষ্ট অর্থ বাবদ ঠিকাদার শর্তহীন ব্যাংক গ্যারান্টি প্রদান করিলে উক্ত অর্থও ঠিকাদারকে পরিশোধ করা যাইবে।
(৩) প্রকল্প পরিচালক বা অন্য কোন উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিধি ৩৯ (২৯) অনুযায়ী সকল ত্রুটি সংশোধন সংক্রান্ত সনদপত্র (defects correction certificate) প্রদানের পর তফসিল-২ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে উপ-বিধি (২) এ বর্ণিত বাকী সমুদয় অর্থ পরিশোধ করা হইবে বা ব্যাংক গ্যারান্টি ফেরত দিতে হইবে।
(৪) ঠিকাদারকে কোন অগ্রিম অর্থ প্রদান করা না হইলে, ছোট আকারের কার্যচুক্তির ক্ষেত্রে কোন অর্থ রক্ষণযোগ্য হইবে না, তবে সেই ক্ষেত্রে বিধি ২৭ এর উপ-বিধি (৭) ও (৮) এর বিধান প্রযোজ্য হইবে।
অংশ-৩: বিনির্দেশ প্রস্তুতকরণ এবং গোপনীয়তা রক্ষা
২৯। পণ্য, ইত্যাদির কারিগরী বিনির্দেশ প্রস্তুতের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় কার্যপ্রণালী।-
(১) ক্রয়কারী কোন সুনির্দ্দিষ্ট ক্রয়ের প্রয়োজনীয় শর্তসমূহের বিবরণ প্রদানের সময়, অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে,নিম্নবর্ণিত তথ্যাদি প্রদান করিবে-
(ক) ক্রয়ের জন্য নির্ধারিত পণ্য, কার্য বা সেবার নাম ও বিবরণ;
(খ) পণ্য, কার্য বা সেবার মান;
(গ) প্রার্থিত কার্য-সম্পাদন যোগ্যতা (required performance standard); এবং কর্মক্ষমতার মেয়াদকাল;
(ঘ) নিরাপত্তার মান ও মাত্রা;
(ঙ) ক্রয়ের জন্য নির্ধারিত পণ্য মোড়কজাতকরণ, চিহ্নিতকরণ ও লেবেল আঁটার জন্য ব্যবহার্য প্রতীক ও পরিভাষা;
(চ) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, ক্রয়ের জন্য নির্ধারিত পণ্য উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতি এবং প্রক্রিয়া;
(ছ) পণ্যের উপযোগিতা নিরূপণের জন্য কোন পরীক্ষা পদ্ধতি থাকিলে তাহার উল্লেখ।
(২) ক্রয়কারী কর্তৃক প্রস্তুতকৃত কারিগরী বিনির্দেশে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে-
(ক) প্রতিযোগিতা সীমিত করিতে পারে এইরূপ সরাসরি সম্পর্কযুক্ত নকশা বা বর্ণনামূলক বৈশিষ্ট্য উল্লেখনা করিয়া, কার্য-সম্পাদন যোগ্যতা বা উৎপাদন ক্ষমতা স্পষ্টভাবে বর্ণনা করিতে হইবে;
উদাহরণ।− জেনারেটর ক্রয়ের জন্য উহার কারিগরী বিনির্দেশ প্রস্তুতের সময় উহার কার্য-সম্পাদন যোগ্যতার শর্তাদি নিম্নরুপ নির্ধারণ করা যাইেতপারে, যথা –
(১) জেনারেটরের প্রতি ঘন্টায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ;
(২) জেনারেটর চালু থাকা অবস্থায় প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টায় ব্যবহৃত জ্বালানীর সর্বোচ্চ পরিমাণ;
(৩) জেনারেটর চালু থাকা অবস্থায় উহার সর্বোচ্চ শব্দ নিঃসরণ মাত্রা (noise level)।
(খ) আন্তর্জাতিক মান নির্ধারিত থাকিলে উহার ভিত্তিতে বা স্বীকৃত জাতীয় মান বা কোডবা বর্গনাম (generic name) এর স্পষ্ট বর্ণনা প্রদান করিতে হইবে।
(৩) কারিগরী বিনির্দেশে কোন পণ্যের ট্রেডমার্ক বা পণ্যের ব্যবসায়িক নাম (trade name), পেটেন্ট, নকশা বা ধরন, নির্দিষ্ট উৎস দেশের নাম (country of origin), উৎপাদনকারী বা সেবা সরবরাহকারীর নাম সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখকরা যাইবে না।
উদাহরণ ।-(১) ফোর হুইল ড্রাইভ গাড়ী ক্রয়ের ক্ষেত্রে, ক্রয়কারী কোন নির্দিষ্ট গাড়ীর নাম উল্লেখ করিয়া (named vehicle) দরপত্র আহবান করিতে পারিবে না বা কোন নির্দিষ্ট প্রস্তুতকারীর গাড়ীর কারিগরী বিনির্দেশের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত বিস্তারিত কারিগরী বিনির্দেশ উল্লেখ করিতে পারিবে না, যাহাতে উক্তরূপে উল্লিখিত কারিগরী বিনির্দেশের কঠিন (tight) শর্তের কারণে অন্যান্য গাড়ী প্রস্তুতকারীগণ দরপত্র দাখিল করিতে সক্ষম না হয়; ভিন্ন ভিন্ন প্রস্তুতকারীগণের গাড়ী এক ও অভিন্ন নয়, কিন্তু অনেক গাড়ীর গুণাগুণ ও কার্য সম্পাদন যোগ্যতা খুব কাছাকাছি হইতে পারে। এইক্ষেত্রে গাড়ীর কারিগরী বিনির্দেশ সাধারণভাবে প্রস্তুত করা হইলে উক্ত ধরনের সকল গাড়ী প্রস্তুতকারীগণ বা তাহাদের এজেন্ট দরপত্রে অংশগ্রহণ করিতে সক্ষম হইবে। যেমন-কোন গাড়ীর ওজন ১,০২১ কেজি হইতে হইবে, তাহা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখনা করিয়া কারিগরী বিনির্দেশে এইভাবে উল্লেখকরা সমীচীন যে, গাড়ীর ওজন ১,০০০ কেজি হইতে ১,০৫০ কেজির মধ্যে হইতে হইবে।
উদাহরণ।-(২) কম্পিউটার ক্রয়ের ক্ষেত্রে, কারিগরী বিনির্দেশে “শুধুমাত্র আইএসও কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত কম্পিউটার গ্রহণযোগ্য হইবে” মর্মে উল্লেখকরা যাইবে, কিন্তু কোনক্রমেই কোন সুনির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের কম্পিউটারের নাম উল্লেখকরা যাইবে না।
(৪) উপ-বিধি (৩) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি বিনির্দেশের সাধারণরূপ প্রস্তুতক্রমে উহা দরপত্রদাতাগণের নিকট সহজে বোধগম্য করিয়া উপস্থাপন করিবার জন্য ক্রয়কারীর পর্যাপ্ত কারিগরী দক্ষতা না থাকে, তাহা হইলে ক্রয়কারী কারিগরী বিনির্দেশে কোন সুনির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের পণ্যের বিবরণ উল্লেখ করিতে পারিবে, তবে এই ক্ষেত্রে উহাতে “বা একইরূপ বা সমতুল্য” শব্দগুচ্ছ যোগ করিতে হইবে।
(৫) ক্রয়কারী, যতদূর সম্ভব, পণ্য, কার্য বা সেবা সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারী বা সুবিধাভোগীগণের নিবিড় সহযোগিতা গ্রহণক্রমে বিনির্দেশ প্রস্তুত করিবে এবং অন্যান্যের মধ্যে নিম্নবর্ণিত প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক অনুমোদিত বা প্রকাশিত মানদণ্ড অনুসরণ করিবে, যথা —
(ক) ইন্টারন্যাশনাল স্টান্ডার্ড অর্গানাইজেশন (International Organisation for Standardisation);
(খ) ইন্টারন্যাশনাল ইলেকট্রোটেকনিক্যাল কমিশন (International Electrotechnical Commission); এবং
(গ) বাংলাদেশ স্টান্ডার্ড এন্ড টেষ্টিং ইনষ্টিটিউট (BSTI) বা অন্য কোন জাতীয় বা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত কোন মানদণ্ড।
(৬) পুন: পুন: ক্রয় করা হইয়া থাকে এইরূপ সাধারণভাবে ব্যবহার্য পণ্য (যেমন-কাগজ, অফিস সরঞ্জামাদি বা দৈনন্দিন ব্যবহৃত অন্য কোন পণ্য) ক্রয়ের ক্ষেত্রে, ক্রয়কারী উক্ত পণ্য প্রস্তুতকারীর সহিত আলোচনাক্রমে বিনির্দেশের মানদণ্ড নির্দিষ্ট করিয়া উহা ক্রয়কারীর ওয়েব সাইটে, যদি থাকে, প্রকাশ করিতে পারিবে।
৩০। পরামর্শক সেবার কর্মপরিধি নির্ধারণ।-
(১) আবেদনকারীদেরকে প্রস্তাব প্রস্তুতিতে সহায়তা প্রদানের জন্য, বিধি ১১৬ অনুসারে পরামর্শকদের কর্মপরিধি নির্ধারণ করিতে হইবে।
৩১। ক্রয় প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশে বাধা-নিষেধ, ইত্যাদি।-
(১) আবেদনপত্র, দরপত্র,কোটেশন, আগ্রহব্যক্তকরণপত্র বা প্রস্তাবসমূহ উন্মুক্তকরণের পর চুক্তি সম্পাদনের নোটিশ জারী না করা পর্যন্ত, কোন দরপত্রদাতা বা আবেদনকারী, উহার আবেদনপত্র, দরপত্র বা প্রস্তাব সম্পর্কে স্পষ্টীকরণের জন্য অনুরোধ জ্ঞাপন করা না হইয়া থাকিলে বা অভিযোগ দাখিলের জন্য আবশ্যক না হইলে, সংশ্লিষ্ট ক্রয়কারীর সহিত কোনরূপ যোগাযোগ করিবে না।
(২) দরপত্রদাতা বা আবেদনকারী কোনক্রমেই আবেদনপত্র, দরপত্র, আগ্রহ ব্যক্তকরণপত্র বা প্রস্তাবসমূহের পরীক্ষা ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া কোনভাবে প্রভাবিত করিবার চেষ্টা করিবে না।
(৩) কোন দরপত্রদাতা বা আবেদনকারী দরপত্র, কোটেশন, আবেদনপত্র, আগ্রহব্যক্তকরণপত্র বা প্রস্তাব মূল্যায়ন বা চুক্তি সম্পাদন সংক্রান্ত ক্রয়কারীর সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করিবার চেষ্টা করিলে উক্ত দরপত্রদাতা বা আবেদনকারীর দরপত্র, আবেদন বা প্রস্তাব বাতিলক্রমে আইনের ধারা ৬৪ (৫) এর অধীন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
৩২। গৃহীত দরপত্র, ইত্যাদির নিরাপদ হেফাজত।-
ক্রয়কারী, তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমা অনুযায়ী মূল্যায়ন কমিটির সভাপতির নিকট হস্তান্তরিত না হওয়া পর্যন্ত, গৃহীত সকল আবেদনপত্র, দরপত্র, কোটেশন বা প্রস্তাব নিরাপদ হেফাজতে রাখার নিশ্চয়তা বিধান করিবে এবং উক্ত দলিলপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভাপতির নিকট হস্তান্তরিত হওয়ার পর উহার নিরাপত্তার জন্য উক্ত কমিটির সভাপতি দায়ী থাকিবেন।
অংশ-৪: দরপত্র, প্রস্তাব, ইত্যাদি বাতিলকরণ
৩৩। দরপত্র, প্রস্তাব বা কোটেশন বাতিলের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় কার্যপ্রণালী।-
(১) ক্রয়কারী উপ-বিধি (২) এ উল্লিখিত পরিস্থিতিতে মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং তৎসংক্রান্ত সুপারিশ ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান কর্তৃক অনুমোদনের পর সকল দরপত্র, প্রস্তাব বা কোটেশন বাতিল করিতে পারিবে।
(২) নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে, সকল দরপত্র, প্রস্তাব বা কোটেশন বাতিল করা যাইবে, যদি-
(ক) দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় বাস্তবসম্মত হওয়া সত্ত্বেও সর্বনিন্ম মূল্যায়িত দরপত্র বা কোটেশন উক্ত প্রাক্কলিত ব্যয় অপেক্ষা অধিক হয়;
(খ) ক্রয় প্রক্রিয়ায় কার্যকর প্রতিযোগিতার অভাব থাকার প্রমান পাওয়া যায় (যথা-সম্ভাব্য কতিপয় দরপত্রদাতা কর্তৃক অংশগ্রহণ না করা); বা
(গ) কোন সরবরাহ বা কার্য সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত সময় যুক্তিসঙ্গত বা বাস্তবসম্মত হওয়া সত্ত্বেও, দরপত্রদাতাগণ তাহাদের প্রস্তাবে উক্ত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উহা সম্পন্ন করিবার প্রস্তাব দাখিল করিতে সক্ষম না হয়; বা
(ঘ) সকল দরপত্র, প্রস্তাব বা কোটেশন অগ্রহণয্যো হয়; বা
(ঙ) ক্রয় প্রক্রিয়াকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে এইরূপ পেশাগত অসদাচরণের বিষয়টি সপ্তম অধ্যায় অনুসারে প্রমাণিত হয়; বা
(চ) বিধি ১২৩ অনুযায়ী নিগোসিয়েশন ব্যর্থ হয়।
(৩) উপ-বিধি ২ (ক) তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সর্বনিন্ম মূল্যায়িত দর বাজার মূল্যের সহিত সংগতিপূর্ণ হইলে উক্ত দরপত্র বা কোটেশন বাতিল বাধ্যতামূলক হইবে না।
(৩ক) উপ-বিধি(২) ও (৩) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সীমিত দরপত্র পদ্ধতির ক্ষেত্রে ধারা ১৯ এর উপ-ধারা (১ক) এর বিধান অনুসৃত হইবে।
উদাহরণ।-কোন কার্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে দরপত্র দলিলে প্রাক্কলিত মূল্য ১০০.০০ লক্ষ টাকা উল্লেখ করা হইলে, কোন দরদাতা + ৫% বা ৯৫.০০ লক্ষ টাকা হইতে ১০৫.০০ লক্ষ টাকা দরে দরপত্র দাখিল করিতে পারিবে। তবে দরদাতা ৯৫.০০ লক্ষ টাকা কম বা ১০৫.০০ লক্ষ টাকার বেশী দরে দরপত্র দাখিল করিলে তাহার দরপত্র বাতিল হইয়া যাইবে।
(৪) সকল গ্রহণযোগ্য দরপত্রদাতা বা আবেদনকারী দরপত্র, প্রস্তাব বা কোটেশন দাখিল-উত্তর যোগ্যতা যাচাই নির্ণায়ক অনুসারে গ্রহণযোগ্য হইতে ব্যর্থ হওয়ার কারণ ব্যতীত, অন্য কোন কারণে কোন দরপত্র, প্রস্তাব বা কোটেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে ক্রয়কারী উক্ত কারণসমূহ সতর্কতার সহিত পর্যালোচনা করিবে।
৩৪। বাতিল পরবর্তী গৃহীতব্য ব্যবস্থা।-
(১) কোন দরপত্র, কোটেশন বা প্রস্তাব বাতিলের পর উহা নূতনভাবে আহ্বানের ক্ষেত্রে, ক্রয়কারী-
(ক) দাপ্তরিক প্রাক্কলন বা বাজেট বা উভয়ই সম্মিলিতভাবে পুনঃনির্ধারণ করিবে; এবং
(খ) তৎপরবর্তীতে চুক্তির শর্ত, নকশা ও বিনির্দেশ এবং চুক্তির পরিধি, পৃথকভাবে বা প্রয়োজনে সম্মিলিতভাবে, সংশোধন করিবার বিষয়টি বিবেচনা করিবে।
(২) যদি বিধি ৩৩(২)(খ) তে উল্লিখিত কারণে সকল দরপত্র, কোটেশন বা প্রস্তাব বাতিল করা হয়, তাহা হইলে ক্রয়কারী নূতন দরপত্র, কোটেশন বা আগ্রহব্যক্তকরণের আবেদনপত্র আহ্বানের ক্ষেত্রে, এই মর্মে নিশ্চয়তা বিধান করিবে যে-
(ক) দরপত্র বা আগ্রহব্যক্তকরণের অনুরোধ সম্বলিত বিজ্ঞপ্তির ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে, এবং মূল্য সীমার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিকভাবে, অধিকতর ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়; এবং
(খ) কোটেশনের ক্ষেত্রে, কোটেশনের অনুরোধ সম্বলিত দলিল ইতঃপূর্বে যাহাদের প্রদান করা হইয়াছিল তাহাদের অতিরিক্ত অন্যান্য ব্যক্তিগণের নিকটও জারী করা হয়।
(৩) গ্রহণযোগ্য না হওয়ার কারণে কোন দরপত্র, কোটেশন বা প্রস্তাব বিধি ৩৩(২) অনুসারে বাতিল করা হইলে, সংশোধিত দলিলের ভিত্তিতে নূতনভাবে দরপত্র, কোটেশন, আগ্রহব্যক্তকরণের অনুরোধ সম্বলিত আবেদনপত্র বা প্রস্তাব আহবান করা যাইতে পারে, যাহাতে ইতঃপূর্বে যাহারা অংশগ্রহণ করিয়াছে বা প্রাক-যোগ্য বা সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত হইয়াছে তাহারা সকলে অংশগ্রহণের সুযোগ পায় বা তাহাদেরকে পুন- আহ্বান জানানো যায়।
(৪) সপ্তম অধ্যায় অনুসারে পেশাগত অসদাচরণের বিষয়টি প্রমাণিত হইলে, বিধি ১২৭(৪) অনুসারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে।
৩৫। বাতিলের কারণ অবহিতকরণ।-
(১) ক্রয়কারী, সকল দরপত্র, প্রস্তাব বা কোটেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণের, পর তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে, তৎসম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকল দরপত্রদাতা ও আবেদনকারীকে অবহিত করিবে।
(২) ক্রয়কারী, আবেদনকারী বা দরপত্রদাতার লিখিত অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে, দরপত্র, কোটেশন বা প্রস্তাব বাতিলের কারণ অবহিত করিবে।
(৩) ক্রয়কারী, যুক্তিসংগত কারণে ও ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধানের পূর্ব অনুমোদনক্রমে, দরপত্র, কোটেশন বা প্রস্তাব দাখিলের সর্বশেষ সময়সীমা উত্তীর্ণের পূর্বে, যে কোন সময়, সংশ্লিষ্টক্রয় প্রক্রিয়া বাতিল করিতে পারিবে, এবং উক্তরূপে কোন ক্রয় প্রক্রিয়া বাতিল করা হইলে ক্রয়কারী কর্তৃক গৃহীত সকল আবেদন, দরপত্র, কোটেশন বা প্রস্তাব উন্মুক্ত না করিয়া সংশ্লিষ্ট দরপত্রদাতা বা আবেদনকারীকে ফেরত প্রদান করিবে।
অংশ-৫: ক্রয় অনুমোদন প্রক্রিয়া, চুক্তি সম্পাদন নোটিশ এবং উহা প্রকাশ
৩৬। ক্রয় অনুমোদন প্রক্রিয়া।-
(১) ক্রয়কারী, মূল্যায়ন কমিটি এবং অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ, আইনের অধীন কোন ক্রয় চুক্তি সম্পাদনের উদ্দেশ্যে চুক্তি সম্পাদনের নোটিশ জারী করা পর্যন্ত, এই বিধিতে উল্লিখিত অনুমোদন পদ্ধতি যথাযথভাবে অনুসরণ করিবে।
(১ক) অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের জন্য ক্রয় প্রস্তাবের সঙ্গে
(ক) ক্রয়কারী এই মর্মে ঘোষণা প্রদান করিবে যে, সংশ্লিষ্ট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিধি ১৬ এর উপ-বিধি (৫ক) অনুসরণে দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় প্রস্তুত করা হইয়াছে; এবং
(খ) উপস্থাপিত মূল্যায়ন প্রতিবেদনে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি এই মর্মে ঘোষণা প্রদান করিবে যে, দরপত্র মূল্যায়নে দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয়ের সহিত সর্বনিম্ন মূল্যায়িত দর সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না উহা যৌক্তিকতাসহ নিশ্চিত করা হইয়াছে।
(২) বিধি ১০ (১)(খ) তে উল্লিখিত উপজেলা বা অন্যান্য পর্যায় ব্যতীত, কোন অবস্থাতেই মূল্যায়ন কমিটির চেয়ারপারসন ও অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ একই ব্যক্তি হইতে পারিবে না।
(৩) ক্রয় প্রক্রিয়া অনুমোদনের ক্ষেত্রে, নিম্নবর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে, যথা–
(ক) মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর বা অধিদপ্তরের ক্ষেত্রে,-
(১) আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ আদেশ অনুযায়ী অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ, ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান, প্রকল্প পরিচালক, প্রকল্প ব্যবস্থাপক, বা কোন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হইলে-
(অ) মূল্যায়ন কমিটি, আইন ও এই বিধিমালার বিধান অনুসারে মূল্যায়ন কার্যাদি সম্পন্নের পর, দরপত্র মূল্যায়ন প্রতিবেদন ও ক্রয় চুক্তি সম্পাদন সম্পর্কে উহার সুপারিশ, দরপত্র বা প্রস্তাব দলিল ব্যতীত, একটি সীলমোহরযুক্ত বন্ধ খামে ক্ষেত্রমত, ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান, প্রকল্প পরিচালক, প্রকল্প ব্যবস্থাপক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট অনুমোদনের জন্য সরাসরি দাখিল করিবে;
(আ) উপ-দফা (অ) এর অধীন প্রাপ্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদন বিধি ১১ অনুযায়ী অনুমোদন বা অন্য কোন সিদ্ধান্ত প্রদানের পর ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান, প্রকল্প পরিচালক, প্রকল্প ব্যবস্থাপক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উহাতে স্বাক্ষর প্রদান করিয়া উক্ত বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ক্রয়কারীর নিকট ফেরত দিবে;
(ই) উপ-দফা (অ) এবং (আ) তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ক্রয়কারী আঞ্চলিক, উপ-আঞ্চলিক, জেলা বা উপ-জেলা পর্যায়ের হইলে, মূল্যায়ন কমিটি উহার সুপারিশসহ মূল্যায়ন প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাগজপত্র, দরপত্র বা প্রস্তাব দলিল ব্যতীত, একটি সীলমোহরযুক্ত বন্ধ খামে সরাসরি অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবে এবং উক্ত কর্তৃপক্ষ উক্ত প্রতিবেদনে উহার সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ করিবার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ক্রয়কারীর নিকট ফেরত দিবে।
(২) অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ মন্ত্রণালয় হইলে-
(অ) মূল্যায়ন কমিটি, “ক্রয় প্রস্তাব” শিরোনামে একটি সার-সংক্ষেপ, মূল্যায়ন প্রতিবেদন ও চুক্তি সম্পাদন সম্পর্কে উহার সুপারিশ, দরপত্র বা প্রস্তাব দলিল ব্যতীত, একটি সীলমোহরযুক্ত বন্ধ খামে সরাসরি ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধানের নিকট দাখিল করিবে;
(আ) ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান পরবর্তীতে উহা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবের নিকট প্রেরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান নিজেই যদি মূল্যায়ন কমিটির চেয়ারপারসন হন, তাহা হইলে তিনি ক্রয় প্রস্তাবের সার-সংক্ষেপ,মূল্যায়ন প্রতিবেদন ও সুপারিশ সরাসরি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং সচিব উক্ত প্রস্তাবের উপর স্বীয় মন্তব্য লিপিবদ্ধক্রমে উহা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রীর নিকট উপস্থাপন করিবেন;
(ই) উপ-দফা (আ) এর অধীন উপস্থাপিত ক্রয় প্রস্তাবের সার-সংক্ষেপ ও মূল্যায়ন প্রতিবেদন বিধি ১১ অনুযায়ী অনুমোদন বা উক্ত বিষয়ে অন্য কোন সিদ্ধান্ত প্রদানের পর, মন্ত্রী উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উহা ক্রয়কারীর নিকট ফেরত দিবেন।
(৩) সুপারিশকারী কর্তৃপক্ষ সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি হইলে-
(অ) মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদন ও চুক্তি সম্পাদন সম্পর্কে উহার সুপারিশসহ ক্রয় প্রস্তাব উপ-বিধি (৩) এর দফা (ক) এর উপ-দফা (২)(অ) ও (আ) তে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণক্রমে মন্ত্রীর নিকট উপস্থাপন করিতে হইবে;
(আ) উক্তরূপে উপস্থাপিত ক্রয় প্রস্তাব বিবেচনান্তে মন্ত্রী উহার উপর তাঁহার মন্তব্য সন্নিবেশিত করিয়া সংশ্লিষ্ট দলিলসমূহ সচিবের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং সচিব উক্ত ক্রয় প্রস্তাবের বিষয়ে তফসিল-১৪ অনুসারে (নমুনা ছক) একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ সার-সংক্ষেপ প্রস্তুত করিয়া সংশ্লিষ্ট দলিলপত্রসমূহ সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে উপস্থাপনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রেরণ করিবেন;
(ই) উপ-দফা (অ) এবং (আ) এর অধীন উপস্থাপিত ক্রয় প্রস্তাব বিধি ১১ অনুযায়ী অনুমোদন বা উক্ত বিষয়ে অন্য কোন সিদ্ধান্ত প্রদানের পর, সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ক্রয়কারীর নিকট প্রেরণ করিতে হইবে;
(৪) মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব ক্রয়ের ক্ষেত্রে সচিব উক্ত ক্রয়ের অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ হইলে-
(অ) মূল্যায়ন কমিটি, মূল্যায়ন প্রতিবেদন, দরপত্র বা প্রস্তাবের তুলনামূলক বিবরণী সম্বলিত শীট ও চুক্তি সম্পাদনের বিষয়ে সুপারিশ, দরপত্র বা প্রস্তাব দলিল ব্যতীত, একটি সীলমোহরকৃত বন্ধ খামে সরাসরি সচিবের নিকট দাখিল করিবে;
(আ) উপ-দফা (অ) এর অধীন দাখিলকৃত মূল্যায়ন প্রতিবেদন সচিব পর্যালোচনা করিয়া তাহার সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন এবং উহা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ক্রয়কারীর নিকট ফেরত দিবেন।
(খ) সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার ক্ষেত্রে,
(১) আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ আদেশ অনুযায়ী অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রকল্প পরিচালক, প্রকল্প ব্যবস্থাপক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা হইলে-
(অ) বিধি ১১ অনুযায়ী মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোদন বা অন্য কোন সিদ্ধান্ত প্রদানের ক্ষেত্রে উপ-বিধি (৩) এর দফা (ক) এর উপ-দফা (১) (অ) ও (আ) তে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে;
(২) অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ উক্ত সংস্থার পরিচালনা পর্ষদ হইলে-
(অ) মূল্যায়ন কমিটি “ক্রয় প্রস্তাব” শিরোনামে একটি সার-সংক্ষেপ প্রস্তুত করিবে এবং উক্ত সার-সংক্ষেপ, মূল্যায়ন প্রতিবেদন ও ক্রয় চুক্তি সম্পর্কে উহার সুপারিশ, দাখিলকৃত দরপত্র বা প্রস্তাব দলিল ব্যতীত, একটি সীলমোহরযুক্ত বন্ধ খামে সরাসরি ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা উক্ত সংস্থার প্রধান নির্বাহীর নিকট দাখিল করিবে;
(আ) ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা প্রধান নির্বাহী সংশ্লিষ্ট দলিলপত্র সহ উক্ত ক্রয় প্রস্তাব পরিচালনা পর্ষদের নিকট উপস্থাপন করিবে –
তবে শর্ত থাকে যে, ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা উক্ত সংস্থার প্রধান নির্বাহী নিজেই যদি মূল্যায়ন কমিটির চেয়ারপারসন হন, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট দলিলপত্রসহ ক্রয় প্রস্তাব উক্ত পরিচালনা পর্ষদের নিকট সরাসরি প্রেরণ করিতে হইবে; এবং
(ই) উপদফা (অ) ও (আ) এর অধীন উপস্থাপিত ক্রয় প্রস্তাব বিধি ১১ অনুযায়ী অনুমোদন, বা অন্য কোন সিদ্ধান্ত প্রদানের পর পরিচালনা পর্ষদ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ক্রয় প্রস্তাবটি ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ফেরত দিবে।
(৩) অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ মন্ত্রণালয় হইলে, ক্রয় প্রস্তাব বিধি ১১ অনুযায়ী অনুমোদন বা অধীন অন্য কোন সিদ্ধান্ত প্রদানের জন্য, উপ-বিধি (৩) এর দফা (ক) এর উপ-দফা (২) এ বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে।
(৪) সুপারিশকারী কর্তৃপক্ষ সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি হইলে, উক্ত কমিটির নিকট ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপনের ক্ষেত্রে উপ-বিধি (৩) এর দফা (ক) এর উপ-দফা (৩) এ বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে এবং যে পদ্ধতি অনুসরণক্রমে র্সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নিকট প্রস্তাব প্রেরণ করা হইয়াছিল, সেই একই পদ্ধতি অনুসরণক্রমে উক্ত কমিটির সিদ্ধান্ত ক্রয়কারীর নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।
(৪) উপ-বিধি (৩) এর দফা (ক) ও (খ) এর অধীন কোন ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদিত হইলে, ক্রয়কারী উক্ত বিষয়ে নিম্নবর্ণিত পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করিবে-
(ক) ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের সিদ্ধান্ত প্রাপ্তির পর তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়ের মধ্যে ক্রয়কারী, উক্ত দরপত্র বা প্রস্তাবের বিষয়ে আইন বা এই বিধিমালার অধীন কোন অভিযোগ বা আপীল বিবেচনাধীন না থাকিলে, চুক্তি সম্পাদনের নোটিশ জারী করিবে; এবং
(খ) ক্রয় প্রস্তাব প্রক্রিয়ার সহিত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন বিষয়ে গোপনীয়তা রক্ষা করিবে।
(৫) ক্রয়কারী, ক্রয় মুল্য তফসিল-২ এ উল্লিখিত পরিমাণ বা তদূর্ধ্ব পরিমাণের হইলে, ক্রয় প্রক্রিয়ায় কোন পর্যায়ে কতটা সময় ব্যয়িত হইয়াছে উহা এবং কোন বিলম্ব হইয়া থাকিলে, উক্ত বিলম্বের কারণ ঊল্লেখপূর্বক ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন সিপিটিইউ এর নিকট প্রেরণ করিবে।
(৬) দরপত্র উন্মুক্ত করিবার সময় হইতে চুক্তি সম্পাদনের নোটিশ জারীর সময় পর্যন্ত কার্যাদি সম্পন্নের জন্য ক্রয়কারী, মূল্যায়ন কমিটি ও অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ তফসিল-৩ এর ‘ক’ অংশ উল্লিখিত সময়সীমা অনুসরণ করিবে।
(৭) সকল ক্রয়কারী ক্রয় প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ ও অনুমোদনের ক্ষেত্রে তফসিল-৩ এ প্রদত্ত চেকলিষ্টসমূহ অনুসরণ করিবে।
৩৭। চুক্তি সম্পাদন নোটিশ প্রকাশকরণ।-
(১) তফসিল-২ এ বর্ণিত মূল্যসীমার ঊর্ধ্বের ক্রয় সংক্রান্ত সকল চুক্তি সম্পাদনের নোটিশ তফসিল-৬ (Schedule-VI) এ বর্ণিত ছকে সিপিটিইউ এর নিজস্ব ওয়েব সাইটে প্রকাশের জন্য প্রেরণ করিতে হইবে এবং উক্ত নোটিশ তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়ের জন্য ওয়েবসাইটে সংরক্ষণ করিতে হইবে।
(২) তফসিল-২ এ বর্ণিত মূল্যসীমার নিম্নের চুক্তি সম্পাদনের নোটিশ ক্রয়কারীর নোটিশ বোর্ডে এবং উহার নিজস্ব ওয়েবসাইটে, যদি থাকে, প্রকাশ করিতে হইবে এবং উক্ত নোটিশ তফসিল২ এ বর্ণিত সময়ের জন্য ওয়েবসাইটে সংরক্ষণ করিতে হইবে।
(৩) চুক্তি সম্পাদনের নোটিশ জারীর জন্য তফসিল-৭ (Schedule-VII) এ উল্লিখিত আদর্শ ছক ব্যবহার করিতে হইবে।
(৪) কোন দরপত্রদাতা বা পরামর্শক তাহার দাখিলকৃত দরপত্র বা প্রস্তাব গৃহীত না হওয়ার কারণ সম্পর্কে ক্রয়কারীর নিকট জানিতে চাহিলে, ক্রয়কারী উক্ত দরপত্রদাতা বা আবেদনকারীকে শুধু তাহার দাখিলকৃত দরপত্র বা প্রস্তাবের আপেক্ষিক অবস্থান ও ঘাটতিসমূহ অবহিত করিবে, কিন্তু তাহার নিকট অন্য কোন দরপত্রদাতা বা আবেদনকারী সম্পর্কে কোন তথ্য প্রকাশ করিবে না।
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন অবহিতকরণের ক্ষেত্রে, মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার গোপনীয়তা রক্ষা করিতে হইবে।
অংশ-৬: চুক্তি পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা
৩৮। চুক্তি পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা।-
(১) চুক্তি সম্পাদনের পর হইতে উক্ত চুক্তি সফলভাবে সম্পন্ন বা বাতিল এবং উহার অধীনে মূল্য পরিশোধ অথবা বিরোধ বা দাবী নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ক্রয়কারী কর্তৃক সম্পাদিতব্য সকল প্রশাসনিক, আর্থিক, ব্যবস্থাপনাগত ও কারিগরী বিষয়াদি চুক্তি পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার অন্তর্ভুক্ত থাকিবে।
(২) সরবরাহ, মূল্য পরিশোধ, মান নিয়ন্ত্রণ, চুক্তি বাস্তবায়ন, ক্ষতিপূরণ (liquidated damage) প্রদান এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিষ্পত্তির জন্য সম্মত শর্তাদি সম্বলিত স্বাক্ষরিত চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিতকল্পে ক্রয়কারী কার্যকর চুক্তি পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার কলাকৌশল অবলম্বনের লক্ষ্যে পেশাগত রীতি-নীতি প্রয়োগ করিবে।
(৩) ক্রয়কারী নিশ্চিত করিবে যে, ক্রয়তব্য পণ্য, কার্য বা সেবা ক্রয়-চুক্তিতে নির্ধারিত কারিগরী শর্তাবলী পূরণ করে এবং এতদুদ্দেশ্যে ক্রয়কারী পরিদর্শন ও পরীক্ষণের (testing) সুবিধা সৃষ্টি, পরিদর্শন টীম গঠন, পরীক্ষাগার (laboratory) এবং পরিদর্শন ও পরীক্ষণ ব্যবস্থাদির যৌথ বা সম্মিলিত ব্যবহারের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং প্রয়োজন অনুসারে পরিদর্শন ও পরীক্ষণ কাজের জন্য অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সহিত চুক্তি সম্পাদন করিতে পারিবে।
(৪) চুক্তি পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি অন্তর্ভুক্ত থাকিবে –
(ক) কর্ম পরিকল্পনা পুনরীক্ষণ ও অনুমোদন;
(খ) গুণগত মান পরিদর্শন ও পরীক্ষণ এবং কর্ম পরিকল্পনা অনুসারে, নির্দিষ্ট সময় অন্তর-অন্তর, কার্য-সম্পাদনের পরিমাণ নির্ণয়সহ চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতি পরিবীক্ষণ;
(গ) ভেরিয়েশন অর্ডার, চুক্তি স্থগিতকরণ বা অবসান, মূল্য পুনঃনির্ধারণ, চুক্তির প্রতিবিধানমূলক ব্যবস্থাদি (যথা: ক্ষতিপূরণ আরোপ, বিলম্বে প্রাপ্য পরিশোধ) প্রয়োগ এবং বিরোধ বা দাবী নিষ্পত্তি পদ্ধতির ব্যবস্থাপনা;
(ঘ) মূল্য পরিশোধসহ চুক্তি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত আর্থিক বিষয়াদি এবং বাজেট, মূল্য বিশ্লেষন ও হিসাবরক্ষণ সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা;
(ঙ) চুক্তি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত দলিলাদির বিন্যাস ও ব্যবস্থাপনা এবং নির্দিষ্ট সময় অন্তর চুক্তির বাস্তবায়ন সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রণয়ন।
(৫) প্রকল্প ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ চুক্তির দায়বদ্ধতা প্রতিপালন, সময়, ব্যয় ও মান নিয়ন্ত্রণকল্পে সূচনা হইতে সমাপ্তি এবং হস্তান্তর অবধি নির্মাণকার্যের তত্ত্বাবধান ছাড়াও প্রকল্পের ডিজাইনের পুনরীক্ষণ করিতে পারিবে।
(৬) কার্যের বাস্তবায়ন তত্ত্বাবধানের উদ্দেশ্যে ক্রয়কারী, একজন সুযোগ্য প্রকল্প পরিচালক, প্রকল্প ব্যবস্থাপক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, অতঃপর এই বিধিতে যাহাকে প্রকল্প ব্যবস্থাপক বলিয়া অভিহিত করা হইয়াছে, তাহার নিকট প্রকল্প বা চুক্তি ব্যবস্থাপনা ন্যস্ত করিবে।
(৭) কার্যকরভাবে চুক্তি পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার জন্য ক্রয়কারী প্রয়োজনীয় ভৌত সুবিধাদি এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংস্থান করিবে এবং উক্তরূপ পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত থাকিতে পারে, তবে কেবল উহাদের মধ্যেই সীমিত থাকিবে না
(ক) চুক্তি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য ডিজাইন ও পরিবীক্ষণমূলক কার্যাবলীর সংস্থানসহ প্রয়োজন অনুযায়ী প্রকৌশল ও ডিজাইন সার্ভিস প্রদান;
(খ) মূল্য পরিশোধ এবং আর্থিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা;
(গ) চুক্তি পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা কার্যে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য তথ্যের সমন্বিত প্রক্রিয়াকরণ এবং সংশ্লিষ্ট তথ্যের আদান-প্রদান ও প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি; এবং
(ঘ) আইনগত পরামর্শ গ্রহণ।
(৮) দরপত্রদাতাদের জন্য নির্দেশনায় বর্ণিত ভিত্তিতে চুক্তি-মূল্য হিসাব করিতে হইবে, যাহা প্রকৃত সরবরাহকৃত পণ্য বা প্রকৃত বাস্তবায়িত কার্য বা প্রকৃত সম্পাদিত সেবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য একক দর, অথবা প্রকৃত সরবরাহকৃত পণ্য বা প্রকৃত বাস্তবায়িত কার্য বা প্রকৃত সম্পাদিত সেবা নির্বিশেষে সামগ্রিক চুক্তি বা উহার অংশ বিশেষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য থোক মূল্যের ভিত্তিতে হইতে পারে।
(৯) মূল্য-সমন্বয়নের সংস্থান সম্বলিত কার্য-চুক্তি ব্যতীত, সাধারণত- চুক্তিমূল্য অপরিবর্তনীয় হইবে এবং এই সকল ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক বা বাণিজ্যিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণে একক দর পরিবর্তন করা যাইবে না।
(১০) চুক্তিতে মূল্য সমন্বয়ের বিধান থাকিলে, যে সকল শর্ত সাপেক্ষে মূল্য সমন্বয়ের অনুমতি দেয়া যাইবে (যেমন- দ্রব্যাদি, শ্রম এবং জ্বালানী বাবদ ব্যয় বৃদ্ধি), মূল্য সমন্বয়ের সমর্থনে অর্থনৈতিক বা বাণিজ্যিক পরিস্থিতি তাৎপর্যপূর্ণ মাত্রায় পরিবর্তিত হইয়াছে কিনা এবং হইয়া থাকিলে বৃদ্ধির পরিমাণ কত, কতবার মূল্য সমন্বয় করা যাইবে এবং কি পদ্ধতি অনুসরণক্রমে তাহা করা হইবে, এতদ্সংক্রান্ত ফরমূলা ও সূচক চুক্তিতে উল্লেখ করিতে হইবে।
(১১) মূল চুক্তিমূল্যে অনুমোদিত শতকরা হার অপেক্ষা অধিক হারে পণ্য বা কার্যের চাহিদার পরিমাণগত হিসাব এবং সেবার ব্যাপ্তি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইলে, একটি নূতন ক্রয়-প্রক্রিয়া সূচিত করিতে হইবে, অথবা সরাসরি বা একক উৎস হইতে ক্রয়ের সমর্থনে যৌক্তিকতা প্রদর্শন করিতে হইবে।
(১২) ক্রয়কারী বিধি ৭৮, ৭৯ এবং ৮০ অনুযায়ী চুক্তির মূল শর্তাবলীতে আনীত পরিবর্তনসমূহ প্রতিফলিত করিবার উদ্দেশ্যে আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ আদেশ অনুসারে চুক্তি সংশোধন করিবে ।
(১৩) চুক্তির সংশোধনীতে সাধারণত বিধি ৩৯ এর উপ বিধি (৩) ও (৪) অনুসারে প্রত্যাশিত কার্য সমাপ্তির তারিখ সম্প্রসারণ এবং অন্য কোন গ্রহণীয় পরিবর্তনের বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত থাকিবে।
(১৪) যে সকল ক্ষেত্রে সরবরাহকারী বা ঠিকাদার, কার্য সম্পাদনে বিলম্বের কারণে চুক্তির বিশেষ শর্তাবলীতে (Perticular Condition of Contract) উল্লিখিত সম্মত অংকের অর্থ পরিশোধে বাধ্য থাকে, সেই সমস্ত দায় পরিশোধের ব্যাপারে ক্রয়কারী নিম্নরূপ অনুবর্তী ব্যবস্থাসমূহ গ্রহণ করিবে, যথাঃ
(ক) বিলম্বের সময়-এককের ভিত্তিতে প্রদেয় সম্মত অর্থ আদায়;
(খ) ক্ষতিপূরণ হিসাবে প্রদেয় অর্থ আদায়; এবং
(গ) বিলম্বজনিত ক্ষতিপূরণ হিসাবে অর্থ প্রদানের কারণে, সরবরাহকারী বা ঠিকাদারকে চুক্তির কার্য সম্পাদনের দায়-দায়িত্ব হইতে অব্যাহতি প্রদান না করা।
(১৫) ক্রয়কারী চুক্তি পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার পরিবীক্ষণের প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির চাহিদা মোতাবেক দলিলাদি, প্রতিবেদন এবং অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করিবে।
৩৯। কার্যচুক্তি পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা।-
(১) সময়, ব্যয় ও মান নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে প্রকল্প ব্যবস্থাপক কর্ম-পরিকল্পনা এর ব্যাপারে অনুবর্তী ব্যবস্থাসমূহ গ্রহণ করিবে এবং এই মর্মে নিশ্চয়তা বিধান করিবে যে, চুক্তি মোতাবেক নির্ধারিত সময়-সীমার মধ্যে ঠিকাদার যেন-
(অ) কার্যসম্পাদনের সাধারণ পদ্ধতি, ব্যবস্থা, ধারাবাহিকতা এবং সময়সূচী প্রদর্শনপূর্বক প্রকল্প ব্যবস্থাপকের বরাবরে একটি কর্মসূচী দাখিল করে;
(আ) চুক্তির শর্তাবলীতে বর্ণিত সময়সীমা অতিক্রম না করিয়া নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রকল্প ব্যবস্থাপকের বরাবরে কর্ম-পরিকল্পনার হালনাগাদ বিবরণী দাখিল করে; এবং
(ই) কর্ম-পরিকল্পনার হালনাগাদকরণকালে প্রকল্প ব্যবস্থাপকের বরাবরে নগদ অর্থ প্রবাহের একটি হালনাগাদকৃত অর্থ প্রবাহ (cash flow) এর পূর্বাভাষ দাখিল করে।
(২) উপ-বিধি (১) এর অধীন কর্ম-পরিকল্পনা দাখিল না করা পর্যন্ত প্রকল্প ব্যবস্থাপক পরিশোধ সংক্রান্ত সনদসমূহ (payment certificates) হইতে চুক্তির বিধান অনুযায়ী কোন অর্থ পরিশোধ স্থগিত করিতে পারিবে।
(৩) যদি ক্ষতিপূরণের কোন ঘটনা ঘটে বা ভেরিয়েশন অর্ডার জারী করা হয়, যাহার দরুণ ঠিকাদার কর্তৃক অতিরিক্ত ব্যয় নির্বাহ ব্যতিরেকে প্রত্যাশিত কার্য সমাপ্তির তারিখের মধ্যে কার্য সমাপ্ত করা সম্ভব না হয়, সেইক্ষেত্রে ক্রয়কারী তফসিল-২ এ বর্ণিত শতকরা হারের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত কার্য সমাপ্তির তারিখ সম্প্রসারিত করিবে।
(৪) ক্রয়কারী প্রত্যাশিত কার্য-সমাপ্তির তারিখ সম্প্রসারণ করা হইবে কিনা এবং হইলে কতদিন হইবে সেই ব্যাপারে তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে।
(৫) প্রকল্প ব্যবস্থাপক ঠিকাদার কর্তৃক সম্পাদিত কার্য পরীক্ষা করিবে এবং কার্যের মান সংক্রান্ত চুক্তির দায়বদ্ধতা হইতে ঠিকাদারকে অব্যাহতি প্রদান ব্যতিরেকে দৃষ্ট ত্রুটিপূর্ণ কার্যের ব্যাপারে ঠিকাদারকে অবহিত করিবে।
(৬) প্রকল্প ব্যবস্থাপক ঠিকাদারকে কোন ত্রুটি অনুসন্ধান বা প্রকল্প ব্যবস্থাপকের বিবেচনায় ত্রুটি রহিয়াছে এইরূপ সন্দেহযুক্ত কোন কার্য উদঘাটন ও পরীক্ষণের জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দিতে পারিবে।
(৭) চুক্তির বাস্তবায়ন সমাপ্ত হওয়ার পর হইতে সূচিত এবং চুক্তিতে যথাযথভাবে নির্ধারিত ত্রুটিজনিত দায়ের মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পূর্বে কোন ত্রুটি পরিলক্ষিত হইলে প্রকল্প ব্যবস্থাপক তদ্বিষয়ে ঠিকাদারকে নোটিশ প্রদান করিবে এবং ত্রুটি সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত ত্রুটিজনিত দায়ের মেয়াদ সম্প্রসারিত হইবে।
(৮) যদি প্রকল্প ব্যবস্থাপক কর্তৃক প্রদত্ত নোটিশের সময়-সীমার মধ্যে ঠিকাদার ত্রুটি সংশোধন না করে, তাহা হইলে প্রকল্প ব্যবস্থাপক উক্ত ত্রুটি সংশোধনের ব্যয় নিরূপণ করিবে এবং ঠিকাদার উক্তরূপে নিরূপিত ব্যয় পরিশোধ করিবেন।
(৯) চুক্তিতে অগ্রিম প্রদানের কোন বিধান থাকিলে, ক্রয়কারীর নিকট গ্রহণযোগ্য ছকে ও গ্রহণযোগ্য কোন ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত ব্যাংক গ্যারান্টি দাখিল সাপেক্ষে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, চুক্তিতে নির্ধারিত পরিমাণে এবং নির্ধারিত তারিখের মধ্যে প্রকল্প ব্যবস্থাপক ঠিকাদারের অনুকূলে অগ্রিম অর্থ প্রদান করিতে পারিবেন।
(১০) ঠিকাদার উক্ত অগ্রিম প্রদত্ত অর্থ শুধু চুক্তি সম্পাদনের জন্য সুনির্দিষ্টভাবে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি, যন্ত্রপাতি, দ্রব্যাদি এবং আয়োজনের ব্যয় (mobilisation) বাবদ ব্যবহার করিতে পারিবেন, এবং প্রদত্ত অগ্রিম যে উক্তরূপে ব্যয় হইয়াছে তাহা প্রকল্প ব্যবস্থাপকের নিকট চালান বা দলিলাদি দাখিলের মাধ্যমে প্রমাণ করিবেন।
(১১) প্রকৃত কার্যসম্পাদনের শতকরা হারের ভিত্তিতে ঠিকাদারের পাওনা হইতে আনুপাতিক হারে কর্তন করত- প্রদত্ত অগ্রিম আদায় করিতে হইবে।
(১২) প্রদত্ত অগ্রিম পূর্ণ সমন্বয় না হওয়া পর্যন্ত ব্যাংক গ্যারান্টি বলবৎ থাকিবে, তবে ঠিকাদার কর্তৃক অগ্রিম সমন্বয়ের অনুপাতে উক্ত ব্যাংক গ্যারান্টির পরিমাণ হ্রাস পাইতে থাকিবে এবং প্রদত্ত অগ্রিমের উপর কোন সুদ আরোপিত হইবে না।
(১৩) চুক্তিমূল্য নিরূপণে ব্যবহৃত কার্যের পরিমাণগত হিসাব সম্বলিত তফসিল মূল্য পরিশোধের ভিত্তি হইবে।
(১৪) ঠিকাদার সম্পাদিত কার্যের প্রাক্কলিত মূল্য হইতে পূর্ববর্তী সনদে প্রত্যায়িত ক্রমপুঞ্জিত মূল্য বাদ দিয়া মাসিক বিবরণী প্রকল্প ব্যবস্থাপকের নিকট দাখিল করিবেন।
(১৫) প্রকল্প ব্যবস্থাপক ঠিকাদারের মাসিক বিবরণী পরীক্ষা করিবেন এবং ঠিকাদারের অনুকূলে পরিশোধযোগ্য অর্থের পরিমাণ প্রত্যায়িত করিবেন।
(১৬) প্রকল্প ব্যবস্থাপক কার্যের পরিমাণগত হিসাব সম্বলিত তফসিলে উল্লেখিতদর মোতাবেক সম্পন্ন আইটেমসমূহের মূল্য নিরূপণ করিবেন।
(১৭) পরবর্তী সময়ে প্রাপ্ত কোন তথ্যের ভিত্তিতে প্রকল্প ব্যবস্থাপক পূর্ববর্তী কোন সনদে প্রত্যায়িত কোন আইটেম বাদ দিতে বা পূর্ববর্তী কোন সনদে প্রত্যায়িত কোন আইটেমের অনুপাত হ্রাস করিতে পারিবেন।
(১৮) বিধি ৭৮, ৭৯ এবং ৮০ এর বিধান অনুসরণক্রমে প্রকল্প ব্যবস্থাপক কর্তৃক ভেরিয়েশন অর্ডার প্রণয়ন করিতে হইবে।
(১৯) সম্পাদিত কার্যের মূল্যে ভেরিয়েশন ও ক্ষতিপূরণজনিত ঘটনার (compensation events) মূল্য অন্তর্ভুক্ত থাকিবে।
(২০) যদি কোন আইটেমের বিপরীতে সম্পাদিত কার্যের চূড়ান্ত পরিমাণ, কার্যের পরিমাণগত হিসাব সম্বলিত বিবরণ (bill of quantity) এ বর্ণিত পরিমাণ অপেক্ষা শতকরা ২৫ ভাগের অধিক হয়, সেইক্ষেত্রে প্রকল্প ব্যবস্থাপক ভেরিয়েশন অর্ডার এর প্রেক্ষাপট এবং সীমা বিবেচনাক্রমে উক্ত বিশেষ আইটেমের একক দরের সমন্বয় সাধন করিবেন –
তবে শর্ত থাকে উক্তরূপে পরিবর্তন প্রতিটি ক্ষেত্রে মূল চুক্তিমূল্যের শতকরা ১ (এক) ভাগের অধিক হইতে হইবে।
(২১) অগ্রিম প্রদত্ত অর্থ এবং অনুমিত রক্ষণযোগ্য অর্থ বাবদ, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, পরিশোধযোগ্য অর্থের প্রয়োজনীয় সমন্বয় করিতে হইবে।
(২২) ক্রয়কারী, প্রকল্প ব্যবস্থাপক কর্তৃক প্রত্যায়িত অর্থ, তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে, পরিশোধ করিবে।
(২৩) ভিন্নরূপ কোন কিছু উল্লেখনা থাকিলে, সকল পরিশোধ এবং কর্তন চুক্তিমূল্যে বর্ণিত মুদ্রা বা মুদ্রাসমূহের অনুপাত অনুযায়ী হইবে।
(২৪) কার্যের পরিমাণগত হিসাব সম্বলিত তফসিলে সংখ্যায় ব্যক্ত করা হইয়াছে এইরূপ আইটেমসমূহের মূল্য বা হার উদ্ধৃত করা না হইয়া থাকিলে, সেই সকল আইটেমের মূল্য চুক্তির অন্যান্য হার এবং মূল্যে অন্তর্ভুক্ত রহিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
(২৫) সম্পাদিত কার্যের মূল্য, ভেরিয়েশন, মূল্য সমন্বয়, ক্ষতিপূরণজনিত ঘটনা, বোনাস বা ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রদেয় অর্থ নিরূপণে অগ্রিম প্রদত্ত অর্থ বা উহা পরিশোধের বিষয় বিবেচ্য হইবে না।
(২৬) ক্ষতিপূরণজনিত ঘটনা সমূহের ক্ষেত্রে চুক্তির সাধারণ ও বিশেষ শর্তাদি অনুসরণ করিতে হইবে।
(২৭) মূল চুক্তিতে প্রত্যাশিত বা সম্প্রসারিত সমাপ্তির তারিখ হইতে প্রতিদিন বিলম্বের জন্য ঠিকাদার চুক্তিতে নির্ধারিত দৈনিক বা সাপ্তাহিক হারে বিলম্বজনিত ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে হইবে –
তবে শর্ত থাকে যে,-
(ক) বিলম্বজনিত ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রদেয় জরিমানার মোট পরিমাণ চুক্তিতে নির্ধারিতপরিমাণ অপেক্ষা অধিক হইবে না; এবং
(খ) ক্রয়কারী কর্তৃক ঠিকাদারের পাওনা হইতে বিলম্বজনিত ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রদেয়অর্থ কর্তন করিতে হইবে।
(২৭ক) উপ-বিধি (২৭) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মূল চুক্তিতে উল্লিখিত প্রত্যাশিত সমাপ্তির তারিখ যুক্তিসঙ্গত কারণে সম্প্রসারণ করা হইলে বিলম্বজনিত ক্ষতিপূরণ আরোপযোগ্য হইবে না।
(২৮) বিলম্বজনিত ক্ষতিপূরণ পরিশোধ ঠিকাদারকে উহার দায়-দায়িত্ব হইতে অব্যাহতি প্রদান করিবে না।
(২৯) প্রকল্প ব্যবস্থাপক, সংশ্লিষ্ট কার্য সমাপ্ত হইয়া থাকিলে এবং ঠিকাদারের দাবী অনুযায়ী প্রদেয় টাকার অংক সঠিক হইলে, তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে, চূড়ান্ত পাওনা প্রত্যায়ন করিবেন –
তবে শর্ত থাকে যে,-
(ক) যদি উক্ত হিসাব সঠিক না থাকে, তাহা হইলে প্রয়োজনীয় সংশোধন বা সংযোজনের বর্ণনাসহ প্রকল্প ব্যবস্থাপক তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে ত্রুটিজনিত দায়ের একটি তালিকা প্রদান করিবেন;
(খ) যদি প্রকল্প ব্যবস্থাপকের নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংশোধন বা সংযোজন সম্পন্ন করা হইয়া থাকে, তাহা হইলে তিনি একটি ত্রুটি সংশোধন সংক্রান্ত সনদ (defects correction certificate) প্রদান করিবেন; এবং
(গ) পুনঃদাখিলের পরও যদি চূড়ান্ত হিসাব বিবরণী অসন্তোষজনক থাকে, তাহা হইলে প্রকল্প ব্যবস্থাপক পরিশোধযোগ্য অর্থের পরিমাণ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করত- একটি পরিশোধ সনদ জারী করিবেন।
(৩০) যেরূপে নির্মিত হইয়াছে উহার নকশা বা পরিচালন এবং রক্ষণাবেক্ষণ ম্যানুয়াল প্রয়োজন হইলে ঠিকাদার চুক্তিপত্রে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে তাহা সরবরাহ করিবেন।
(৩১) ঠিকাদার চুক্তিপত্রে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে উপ-বিধি (৩০) এ উল্লিখিত অঙ্কন বা ম্যানুয়াল সরবরাহ না করিলে, বা উহা প্রকল্প ব্যবস্থাপকের অনুমোদন প্রাপ্ত না হইলে, প্রকল্প ব্যবস্থাপক ঠিকাদারের পাওনা হইতে চুক্তিতে নির্ধারিত অর্থ পরিশোধ স্থগিত করিবেন।
(৩২) প্রকল্প ব্যবস্থাপক কর্তৃক কার্য সমাপ্তির সনদ প্রদান করা হইবে, এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপক উপ-বিধি (২৯) অনুসারে কার্য সমাপ্ত হইয়াছে মর্মে সিদ্ধান্তে উপনীত হইলে উহা জারী করিবেন।
(৩৩) ক্রয়কারী, তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে কার্যস্থল এবং কার্য বুঝিয়া লইবে।
(৩৪) ত্রুটিজনিত দায়ের মেয়াদ সমাপ্ত হইবার পূর্বেই ঠিকাদার তাহার বিবেচনায় চুক্তি মোতাবেক পরিশোধযোগ্য অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করত- প্রকল্প ব্যবস্থাপকের নিকট একটি বিস্তারিত হিসাব দাখিল করিবেন।
৪০। পণ্য চুক্তি ব্যবস্থাপনা।-
(১) প্রকল্প ব্যবস্থাপক কারিগরী বিনির্দেশের সঙ্গে পণ্যের সামঞ্জস্য পরীক্ষা করিয়া দেখিবেন এবং উহার মান ও পরিমাণ পরিদর্শনের ব্যবস্থা করিবেন।
(২) ক্রয়কারী, চুক্তিবদ্ধ পণ্যের প্রাক-জাহাজীকরণ পরিদর্শন সম্পাদন করিবার জন্য বহিঃস্থ এজেন্ট নিয়োগ করিতে পারিবে।
(৩) প্রকল্প ব্যবস্থাপক সরবরাহের সময় তালিকা (delivery schedule) এবং শর্তাবলী প্রতিপালিত হইতেছে কিনা তাহা পরীক্ষা করিয়া দেখিবেন এবং বিলম্ব নিস্পত্তির ব্যবস্থা করিবেন।
(৩ক) যদি ক্ষতিপূরণের কোন ঘটনা ঘটে বা ভেরিয়েশন অর্ডার জারি করা হয়, যাহার দরুন সরবরাহকারী কর্তৃক অতিরিক্ত ব্যয় নির্বাহ ব্যতিরেকে প্রত্যাশিত সরবরাহ সমাপ্তির তারিখের মধ্যে সরবরাহ সমাপ্ত করা সম্ভব না হয়, সেই ক্ষেত্রে ক্রয়কারী তফসিল-২ এ বর্ণিত শতকরা হারের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত সরবরাহ সমাপ্তির তারিখ সম্প্রসারিত করিবে।
(৩খ) প্রত্যাশিত সরবরাহের তারিখ সম্প্রসারণ করা হইবে কিনা এবং হইলে কত দিন হইবে ক্রয়কারী সেই বিষয়ে তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে।
(৪) প্রকল্প ব্যবস্থাপক, চুক্তির শর্তাদি এবং অপ্রত্যাহারযোগ্য ঋণপত্র অনুসারে, যথাসময়ে মূল্য পরিশোধ করিবার ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
(৫) প্রকল্প ব্যবস্থাপক রক্ষণাবেক্ষণ গ্যারান্টি, বিক্রয়োত্তর সেবা এবং নির্ভরপত্র মোতাবেক দায়বদ্ধতার প্রতিপালন নিশ্চিত করিবেন;
(৬) প্রকল্প ব্যবস্থাপক চুক্তির সাধারণ শর্তাবলী (General Condition of Contract) এবং বিশেষ শর্তাবলীতে উল্লিখিত অন্যান্য শর্ত প্রতিপালনের নিশ্চয়তা বিধান করিবেন।
৪১। পরামর্শক সেবা সংক্রান্ত চুক্তি ব্যবস্থাপনা।-
(১) সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে সময়, ব্যয় এবং মান নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে চুক্তি পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় সূচনা হইতে সমাপ্তি পর্যন্ত নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি অন্তর্ভুক্ত হইতে পারে-
(ক) নির্ধারিত দায়িত্বের আওতায় প্রণীত ডিজাইন, সমীক্ষা এবং অন্যান্য বিষয়াদির মান পরীক্ষণ;
(খ) থোক মূল্যের চুক্তির ক্ষেত্রে সেবা প্রদানের অগ্রগতি এবং সময়মত উহা সম্পাদনের বিষয় এবং সময়-ভিত্তিক চুক্তির ক্ষেত্রে জনমাসের কাজের অগ্রগতি পরিবীক্ষণ;
(গ) সকল প্রকার পরামর্শক সেবা সংক্রান্ত চুক্তির ক্ষেত্রে পরামর্শকের প্রতিবেদন এবং চুক্তির পরিশিষ্টে বর্ণিত মুখ্য জনবলের প্রাপ্যতা পরিবীক্ষণ;
(ঘ) চুক্তির সংস্থান মোতাবেক পরামর্শকের প্রতিবেদনের উপর সময়মত মন্তব্য এবং ভববফনধপশ প্রদান;
(ঙ) কর্ম-পরিকল্পনা এবং নির্ধারিত কাজের জন্য বরাদ্দকৃত সময় এর প্রতি অনুবর্তিতা;
(চ) চুক্তির সংস্থান মোতাবেক পরামর্শককে সময়মত সহায়তা প্রদান;
(ছ) মাসিক মূল্য পরিশোধ বা প্রদত্ত সেবার বিপরীতে মূল্য পরিশোধ;
(জ) কাজের ব্যাপ্তির কোনরূপ পরিবর্তন যথাযথ কিনা তাহা নির্ধারণ;
(ঝ) বিলম্ব, অতিরিক্ত কাজ এবং চুক্তি বর্ধিতকরণের প্রয়োজন পরিবীক্ষণ;
(ঞ) ক্ষতিপূরণ (indemnification) সংক্রান্ত বিষয়াদি; এবং
(ট) চুক্তির সাধারণ শর্তাবলী, চুক্তির বিশেষ শর্তাবলী এবং প্রস্তাব দাখিলের অনুরোধসম্বলিত দলিলে বর্ণিত অন্যান্য শর্ত।
(২) যদি ক্ষতিপূরণের কোন ঘটনা ঘটে বা ভেরিয়েশন অর্ডার জারি করা হয়, যাহার দরুণ পরামর্শক কর্তৃক অতিরিক্ত ব্যয় নির্বাহ ব্যতিরেকে প্রত্যাশিত সেবা সমাপ্তির তারিখের মধ্যে সেবা সমাপ্ত করা সম্ভব না হয়, সেই ক্ষেত্রে ক্রয়কারী তফসিল-২ এ বর্ণিত শতকরা হারের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত সেবা সমাপ্তির তারিখ সম্প্রসারিত করিবে।
(৩) প্রত্যাশিত সেবা-সমাপ্তির তারিখ সম্প্রসারণ করা হইবে কিনা এবং হইলে কতদিন হইবে ক্রয়কারী সেই বিষয়ে তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে।
৪২। চুক্তি বাতিল এবং বিরোধ নিষ্পত্তি।-
(১) কোন পক্ষ কর্তৃক চুক্তির মৌলিক কোন শর্ত লংঘন করা হইলে ক্রয়কারী, ঠিকাদার বা পরামর্শক চুক্তির সাধারণ শর্তাবলী অনুসারে চুক্তি বাতিল করিতে পারিবে।
(২) ক্রয়কারী চুক্তির সাধারণ শর্তের সংস্থান অনুসারে চুক্তি অবসানের কারণ উল্লেখকরিবে, যাহার মধ্যে বিশেষত- নিম্নবর্ণিত কারণসমূহ অন্তর্ভুক্ত থাকিতে পারে –
(ক) চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরবরাহকারী, ঠিকাদার বা পরামর্শকের ত্রুটির কারণে ক্রয়কারী কর্তৃক চুক্তি বাতিল;
(খ) জনস্বার্থে ক্রয়কারী কর্তৃক চুক্তি বাতিল;
(গ) দৈব দুর্ঘটনা (Force Majeure) এর কারণে চুক্তির অবসান; এবং
(ঘ) ক্রয়কারীর নিজস্ব স্বার্থে চুক্তির অবসান।
(৩) কোন চুক্তির অবসান হইলে, উক্ত চুক্তি বাস্তবে এবং আর্থিকভাবে সমাপ্তকরণের জন্য পরবর্তী কার্যধাপসমূহ চুক্তির শর্তাদিতে সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
(৪) চুক্তি বাস্তবায়ন হইতে উদ্ভুত বিরোধ বা অন্যবিধ দাবীসমূহ চুক্তির সংস্থান অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে আপস-মীমাংসা এবং সালিস এর মাধ্যমে নিস্পত্তি করিতে হইবে।
(৫) উপ-বিধি (৪) এর অধীন আপস-মীমাংসা এবং সালিস এর রূপরেখা এবং পদ্ধতি সিপিটিইউ সাধারণ বা ক্ষেত্রমত, বিশেষ আদেশ দ্বারা নির্ধারণ করিবে।
অংশ-৭: ক্রয় সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংরক্ষণ
৪৩। ক্রয়সংক্রান্ত রেকর্ড সংরক্ষণের মেয়াদ, ইত্যাদি।-
(১) ক্রয়কারী, আইনের ধারা ৬৭ এর অধীন সিপিটিইউ’কে ক্রয়সংক্রান্ত বিষয়াদির পরিবীক্ষণের দায়িত্ব পালন এবং অর্থবহ ক্রয় প্রক্রিয়া-উত্তর পুনরীক্ষণ এবং হিসাব নিরীক্ষণ কাজ সম্পাদনে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়ের জন্য সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত সকল কর্মকাণ্ডের রেকর্ড ও দলিলপত্র সংরক্ষণ করিবে।
(২) ক্রয় পরিকল্পনা গ্রহণের শুরু হইতে চুক্তিবদ্ধ দায়দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে পালিত হওয়া পর্যন্ত সময়ের ক্রয়কার্য সংক্রান্ত রেকর্ড সংরক্ষণ করিতে হইবে।
(৩) ক্রয়কার্য সংক্রান্ত রেকর্ডে নিম্নবর্ণিত কাগজপত্র ও তথ্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকিবে-
(ক) পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা, কার্য ও ভৌত সেবা বা বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা ক্রয়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, উন্মুক্ত ক্রয় পদ্ধতি ব্যতীত অন্য ক্রয়পদ্ধতি ব্যবহারের যৌক্তিকতা;
(খ) আবেদনপত্র, দরপত্র, প্রস্তাব, কোটেশন বা অন্য কোন অনুরোধ সম্বলিত আহ্বানপত্রের কপিসহ প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের কপি;
(গ) সংশ্লিষ্ট চুক্তির মূল প্রাক্কলিত ব্যয়ের কপি;
(ঘ) দরপত্র, প্রস্তাব বা কোটেশন দাখিলকারী দরপত্রদাতা বা আবেদকারীদের নাম ও ঠিকানা এবং চুক্তিমূল্যসহ চুক্তি সম্পাদনকারী দরপত্রদাতা বা পরামর্শকের নাম ও ঠিকানা;
(ঙ) প্রাক-যোগ্যতা, দরপত্র, প্রস্তাব বা অন্য কোন অনুরোধ সম্বলিত আহবানপত্রের (solicitation documents) কপি;
(চ) দরপত্র বা প্রস্তাব উন্মুক্তকরণ সভার কার্য-বিবরণী;
(ছ) দরপত্রদাতা বা আবেদনকারীদের সহিত সকল পত্র যোগাযোগের কপি;
(জ) মূল্যায়নের জন্য পূর্ব-ঘোষিত নির্ণায়কসমূহ ও উহার প্রয়োগ, মূল্যায়ন প্রতিবেদন এবং গৃহীত দরপত্র, কোটেশন বা প্রস্তাবসমূহের তুলনামূলক বিবরণীর কপি;
(ঝ) মূল্যায়ন প্রতিবেদন ও চুক্তি দলিল অনুমোদন সম্পর্কিত কাগজপত্র;
(ঞ) কোন ক্রয় কার্যক্রম শুরু করিবার পর উক্ত কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত বা বাতিলের কোন সিদ্ধান্ত গৃহীত হইয়া থাকিলে তৎসম্পর্কিত তথ্য;
(ট) ক্রয় কার্যক্রম সংক্রান্ত অভিযোগ ও আপীলের কাগজপত্র;
(ঠ) পণ্য সরবরাহ ও গ্রহণের প্রতিবেদন, কার্য সমাপ্তির প্রতিবেদন ও কার্যের পরিমাপ বহি (measurement book) এবং সেবা প্রদান সম্পন্ন হওয়ার প্রতিবেদন;
(ড) চুক্তিতে আনীত সংশোধনীসমূহ, এবং চুক্তিমূল্য, সরবরাহ বা কার্য সমাপ্তির সময়সূচী সংক্রান্ত চুক্তির শর্তাদি প্রভাবিত করে এইরূপ কোন অতিরিক্ত কাজ বা ভেরিয়েশন অর্ডার এর কপিসমূহ; এবং
(ঢ) পণ্য, কার্য এবং সেবা ক্রয় বাবদ মূল্য পরিশোধ সংক্রান্ত বিল ও ইনভয়েসসহ সকল রেকর্ডপত্র।
(৪) এই বিধি মোতাবেক ক্রয় সংক্রান্ত রেকর্ডপত্রসমূহ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে, ক্রয়কারী, ক্ষেত্রমত তফসিল-৮ (Schedule-VIII) এর অংশ-ক এবং অংশ-খ এর নির্দেশনা ও চেকলিস্ট অনুসরণ করিতে হইবে।
৪৪। ক্রয় সংক্রান্ত কার্যক্রমের রেকর্ডপত্র প্রাপ্তিসাধ্যকরণ।-
(১) চুক্তি স্বাক্ষর বা চুক্তি স্বাক্ষরের পূর্বে ক্রয় কার্যক্রম বাতিলের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট কোন ক্রয় কার্যক্রম সমাপ্ত হইলে, উক্ত কার্যক্রমের রেকর্ডপত্র সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তির প্রাপ্তিসাধ্য করিতে হইবে।
(২) উপ-বিধি (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন উপযুক্ত আদালতের আদেশ ব্যতীত ক্রয়কারী নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে কোন তথ্য প্রকাশ করিবে না, যদি উহা-
(ক) বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থী হয়; বা
(খ) আইন প্রয়োগকে বাধাগ্রস্ত করে; বা
(গ) জনস্বার্থের পরিপন্থী হয়; বা
(ঘ) ক্রয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী পক্ষসমূহের আইনসঙ্গত ব্যবসায়িক স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে; বা
(ঙ) অবাধ প্রতিযোগিতাকে বাধাগ্রস্ত করে; এবং
(চ) প্রাপ্ত দরপত্র, কোটেশন বা প্রস্তাব মূল্যায়ন সংক্রান্ত সার-সংক্ষেপ ব্যতীত, উক্ত দরপত্র, কোটেশন বা প্রস্তাব পরীক্ষা ও মূল্যায়ন এবং উহার অন্তঃস্থ বিষয়বস্তু সংক্রান্ত হয়।
অংশ-৮: ক্রয় প্রক্রিয়া-উত্তর পুনরীক্ষণ
৪৫। ক্রয় প্রক্রিয়া-উত্তর পুনরীক্ষণ।-
(১) নিরপেক্ষ পরামর্শক কর্তৃক নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর ক্রয় কার্যের রেকর্ড পুনরীক্ষণ করিতে হইবে এবং উহার ফলাফল সিপিটিইউ’কে অবহিত করিতে হইবে, যাহাতে সিপিটিইউ উহার পরিবীক্ষণ সংক্রান্ত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করিতে পারে এবং সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধানের প্রতিপালন, চুক্তি ব্যবস্থাপনা, বিলম্ব ও উক্ত বিষয়ে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা হিসাবে করণীয় সম্পর্কে উহার সুপারিশ সরকার ও সর্বসাধারণকে অবহিত করিতে পারে।
(২) পরামর্শক নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলি নিশ্চিত করিবেন-
(ক) আইন ও এই বিধিমালার বিধান অনুসরণক্রমে ক্রয়কারী কর্তৃক ক্রয় কর্মকান্ড পরিচালিত ও বাস্তবায়িত হইয়াছে কিনা; এবং
(খ) আইন ও এই বিধিমালার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নকল্পে, অর্থের সুষ্ঠু ব্যবহার হইয়াছে কিনা।
৪৬। নিরপেক্ষ পরামর্শক কর্তৃক ক্রয় প্রক্রিয়া-উত্তর পুনরীক্ষণ।-
(১) ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান, তফসিল-২ এ উল্লিখিত পরিমাণের ক্রয় সম্পাদিত হইয়া থাকিলে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে, নিরপেক্ষ পরামর্শক দ্বারা উহার নিয়ন্ত্রণাধীন ক্রয়কারী কর্তৃক সম্পাদিত ক্রয়কার্যের ক্রয় প্রক্রিয়া-উত্তর পুনরীক্ষণ সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করিবে।
(২) বিধি ১০৩ ও ১০৪ এর বিধান অনুসরণক্রমে যথাযথ যোগ্যতাসম্পন্ন নিরপেক্ষ পরামর্শক নিয়োগ করিতে হইবে।
(৩) কোন অর্থ বৎসরে সম্পাদিত চুক্তির মোট সংখ্যা ও মূল্যের ন্যূনতম এমন একটি সমানুপাতিক অংশ পুনরীক্ষণের আওতায় আনিতে হইবে, যাহাতে কমপক্ষে তফসিল-২ এ উল্লিখিত ন্যূনতম সংখ্যা ও মূল্যের চুক্তি পুনরীক্ষণের আওতায় আসে।
(৪) পরামর্শক তাহার সহিত সম্পাদিত নিয়োগ চুক্তিতে বর্ণিত কর্মের পরিধি ও সীমার আওতায় স্বাধীনভাবে পুনরীক্ষণের জন্য যে কোন ক্রয় চুক্তি বাছাই করিতে পারিবে।
(৫) ক্রয়কারী নিরপেক্ষ পরামর্শক নির্বাচন এবং ক্রয় প্রক্রিয়া-উত্তর পুনরীক্ষণ কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে, সিপিটিইউ কর্তৃক জারীকৃত ক্রয় প্রক্রিয়া-উত্তর পুনরীক্ষণ কার্যপ্রণালী অনুসরণ করিবে।
(৬) ক্রয়কারী এই মর্মে নিশ্চয়তা বিধান করিবে যে, তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে যেন পুনরীক্ষণ সম্পন্ন করিয়া ক্রয়কারী এবং সিপিটিইউ এর নিকট প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
(৭) আইন ও এই বিধিমালার অধীন পরিবীক্ষণের দায়িত্ব পালনকল্পে, সিপিটিইউ নিজস্ব লোকবল দ্বারা, যদি থাকে, বা নিরপেক্ষ পরার্মশক নিযুক্তির মাধ্যমে কোন ক্রয়কারীর ক্রয় কর্মকান্ডের নমুনা ভিত্তিক পুনরীক্ষণের ব্যবস্থা করিতে পারিবে।
(৮) ক্রয় প্রক্রিয়া-উত্তর পুনরীক্ষণ কাজ সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয়ের সংস্থান ক্রয়কারী এবং সিপিটিইউ এর বাজেটে রাখিতে হইবে।
(৯) সিপিটিইউ ক্রয় প্রক্রিয়া-উত্তর পুনরীক্ষণের ফলাফল এবং সুপারিশ উহার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করিবে।
অংশ-৯: ব্যক্তির যোগ্যতা
৪৭। বৈষম্যহীনতা সংক্রান্ত অনুসরণীয় বিধান।-
(১) সরকার কর্তৃক জারীকৃত কোন স্থায়ী আদেশ বা স্বাক্ষরিত চুক্তিতে নিম্নবর্ণিত কোন ক্ষেত্রে ক্রয়কার্যে অংশগ্রহণ সীমিত বা নিষিদ্ধ করা হইলে, সেই ক্ষেত্রে বৈষম্যহীনতার নীতি প্রযোজ্য হইবে না, যথা –
(ক) কোন দ্বি-পাক্ষিক চুক্তির অধীন সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন সহযোগী কর্তৃক প্রদত্ত তহবিলের অর্থ দ্বারা সম্পাদিতব্য ক্রয়কার্যে অংশগ্রহণের বিষয়টি শুধু বাংলাদেশ বা তহবিল প্রদানকারী রাষ্ট্রের দরপত্রদাতা বা আবেদনকারীদের মধ্যে সীমিত করা হইলে; বা
(খ) কোন বহুপাক্ষিক উন্নয়ন সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত তহবিলের অর্থদ্বারা সম্পাদিতব্য ক্রয়কার্যে অংশগ্রহণের যোগ্যতা শুধু সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন সহযোগী কর্তৃক নির্ধারিত দরপত্র দাতা বা আবেদনকারীদের মধ্যে সীমিত করা হইলে; বা
(গ) ইতঃপূর্বে কোন চুক্তির অধীন ত্রুটিপূর্ণ কার্য সম্পাদনের কারণে কোন ব্যক্তিকে ক্রয়কার্যে অংশগ্রহণ করা হইতে বিরত রাখা বা নিষিদ্ধ করা হইলে; বা
(ঘ) দুর্নীতি, প্রতারণা, চক্রান্ত বা জবরদস্তিমূলক কোন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে কোন ব্যক্তিকে ক্রয়কার্যে অংশগ্রহণ করা হইতে বিরত রাখা বা নিষিদ্ধ করা হইলে; এবং
(ঙ) সরকার কর্তৃক কোন দেশের সহিত বাণিজ্যিক সম্পর্ক না রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইলে, সেই দেশের উৎপাদিত পণ্য বা দরপত্রদাতাদের ক্ষেত্রে।
(২) ক্রয়কারী কর্তৃক সাধারণভাবে বা সুনির্দিষ্টভাবে কোন দরপত্র বা প্রস্তাবে অংশগ্রহণ করা হইতে বিরত রাখা হইয়াছে এইরূপ সরবরাহকারী, ঠিকাদার বা পরামর্শক সংক্রান্ত তথ্য বিরত রাখার কারণ সংক্ষেপে ঊল্লেখপূর্বক উহার নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করিবে এবং উক্ত তথ্যাদি যুগপৎ সিপিটিইউ এর ওয়েবসাইটে প্রকাশের জন্য প্রেরণ করিবে।
৪৮। ব্যক্তির যোগ্যতা।-
(১) ক্রয়কার্যে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক ব্যক্তিকে এই মর্মে প্রামাণিক তথ্য উপস্থাপন করিতে হইবে যে,
(ক) তাহারা আইন ও এই বিধিমালায় উল্লিখিত পেশাগত ও নৈতিকতার মানদন্ড মানিয়া চলিতে সক্ষম; এবং
(খ) তাহারা যে চুক্তি সম্পাদনের উদ্দেশ্যে দরপত্র বা সেবা প্রদানের প্রস্তাব দাখিল করিয়াছে উহা বাস্তবায়ন করিতে সক্ষম।
(২) ক্রয়ের ধরন ও আকারের ভিত্তিতে ক্রয়কার্যে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক ব্যক্তি কর্তৃক অবশ্য পূরণীয় যোগ্যতার শর্ত দরপত্র দলিলে বিশদভাবে উল্লেখ করিতে হইবে এবং উহাতে, অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত থাকিবে, যথা –
(ক) পেশাগত ও কারিগরী সক্ষমতার ক্ষেত্রে, ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এই মর্মে প্রামাণিক তথ্য প্রদান করিবে যে, তাহার-
(অ) প্রস্তাবিত কার্য সম্পাদন, পণ্য সরবরাহ বা সেবা প্রদানের জন্য পেশাগত ও কারিগরী যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা রহিয়াছে;
(আ) যথোপযুক্ত যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য ভৌত সুবিধা থাকাসহ প্রয়োজনে, কোন চুক্তির অধীন উক্ত যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য ভৌত সুবিধাদি ভাড়া বা লীজের মাধ্যমে সংগ্রহের সামর্থ্য রহিয়াছে;
(ই) সন্তোষজনকভাবে উৎপাদন বা তৈরীর সামর্থ্য রহিয়াছে;
(ঈ) বিক্রয় পরবর্তী সেবা প্রদানের সুবিধাদি রহিয়াছে;
(উ) ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা রহিয়াছে;
(ঊ) কার্য সম্পাদন, পণ্য সরবরাহ বা সেবা প্রদান সংক্রান্ত অনুরূপ কাজে, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বা ক্রয়কারী কর্তৃক নির্ধারিত, পূর্ব অভিজ্ঞতা রহিয়াছে;
(ঋ) কোনরূপ সমস্যা সৃষ্টি ব্যতিরেকে সতর্কতা ও কঠোর শ্রমের মাধ্যমে কোন ক্রয় চুক্তির অধীন কার্য সম্পাদনের সুনাম রহিয়াছে; এবং
(এ) চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সংখ্যা ও দক্ষতার বিচারে উপযুক্ত লোকবল রহিয়াছে;
(খ) আইনগত সক্ষমতার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিশ্চয়তা প্রদান করিবে যে প্রস্তাবিত ক্রয়কার্য সম্পাদনের নিমিত্ত কোন ক্রয়কারীর সহিত তাহার চুক্তি সম্পাদনের আইনগত অধিকার রহিয়াছে;
(গ) আর্থিক সামর্থ্য ও অবস্থান নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সন্তোষজনক আর্থিক সামর্থ্যরে সমর্থনে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি (যথা- প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ব্যালান্স সীট, বাৎসরিক টার্ন ওভার ও নগদ অর্থ সংক্রান্ত তথ্যাদি) প্রদান করিবে এবং এই মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করিবে যে-
(অ) তাহারা অসচ্ছল নন অর্থাৎ প্রস্তাবিত ক্রয়কার্য সম্পাদনের জন্য তাহাদের প্রয়োজনীয় আর্থিক সামর্থ্য আছে;
(আ) সংকটজনক আর্থিক অবস্থার কারণে পাওনাদারদের অনুরোধে তাহাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কার্য পরিচালনার জন্য আদালত কর্তৃক কোন রিসিভার বা স্বাধীন নিরীক্ষক নিয়োগ করা হয় নাই;
(ই) তাহাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয় নাই বা দেউলিয়া ঘোষণার জন্য কোন প্রক্রিয়া চালু নাই, অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আর্থিক অবস্থা এইরূপ নহে যে উহার আয়ের অপেক্ষা ঋণ বেশী এবং তাহারা ব্যবসায়িক কার্য পরিচালনায় সক্ষম নহেন;
(ঈ) আর্থিক কারণে তাহাদেরকে ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে বিরত করা হয় নাই; এবং
(উ) উপ-দফা (অ), (আ), (ই) এবং (ঈ) তে বর্ণিত কোন কারণে বা অন্য কোন কারণে তাহাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা বিচারাধীন নাই;
(ঘ) কর পরিশোধ সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতা প্রতিপালনের বিষয়ে উক্ত ব্যক্তি নিশ্চয়তা প্রদান করিবে যে, তাহারা প্রচলিত আইনের অধীন কর পরিশোধের শর্তাদি পূরণ করিয়াছেন; এবং
(ঙ) নৈতিক বিধি প্রতিপালনের ক্ষেত্রে, উক্ত ব্যক্তি নিশ্চয়তা প্রদান করিবে যে, আইনের ধারা ৬৪ এবং এই বিধিমালার অধীন কোন ক্রয়কারী কর্তৃক তাহাদেরকে কোন ক্রয়কার্যে অংশগ্রহণ করা হইতে বিরত করা হয় নাই বা কোন আদালত কর্তৃক তাহাদেরকে প্রতারণা, দুর্নীতি, ষড়যন্ত্র বা জবরদস্তিমূলক কার্যকলাপের জন্য দন্ড প্রদান করা হয় নাই।
(চ) উপ-দফা (ঙ) এর অধীন বিরতকরণ, তাহাদের স্বনামে, বেনামে বা ভিন্ন কোন নামে প্রতিষ্ঠানসমূহের ক্ষেত্রেও, যদি থাকে, প্রযোজ্য হইবে।
(৩) উপ-বিধি (২) এ বর্ণিত যোগ্যতার সাধারণ মানদণ্ড এবং কোন নির্দিষ্ট ক্রয়ের প্রকৃতি ও গুরুত্ব বিবেচনাক্রমে ক্রয়কারী প্রাক-যোগ্যতা, দরপত্র বা প্রস্তাব দলিলে কোন ব্যক্তির আবশ্যকীয় যোগ্যতা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখকরিবে।
(৪) লটভিত্তিক দরপত্রের ক্ষেত্রে, দরপত্রদাতাগণ কর্তৃক এক বা একাধিক লটের জন্য দরপত্র দাখিল করা হইলে, যে লট বা লটসমূহের জন্য দরপত্র দাখিল করা হইবে, ক্রয়কারী শুধু সেই লট বা লটসমূহের জন্য দরপত্রদাতাদের কারিগরী ও আর্থিক যোগ্যতা প্রমাণের শর্ত আরোপ করিতে পারিবে।
(৫) কোন সম্ভাব্য (potential) ব্যক্তি এই বিধিতে বর্ণিত যোগ্যতার শর্ত পূরণ করে কিনা তাহা যাচাই করিবার উদ্দেশ্যে, ক্রয়কারী উক্ত ব্যক্তিকে যোগ্যতার শর্তাদি পূরণের সমর্থনে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার নিকট হইতে দলিলপত্র ও অন্য কোন তথ্য দাখিলের নির্দেশ দিতে পারিবে।
(৬) এই বিধিতে যাহা কিছু থাকুক না কেন, সীমিত দরপত্র পদ্ধতির আওতায় অনধিক ৩ (তিন) কোটি টাকাটার অভ্যন্তীরণ কার্যক্রমের ক্ষেত্রে ব্যক্তির যোগ্যতা নির্ধারণে অতীতে সম্পাদিত ক্রয় কার্যের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হইবে না।
৪৯। ব্যক্তির যোগ্যতার সমর্থনে আবশ্যকীয় দলিলপত্র।-
(১) ক্রয়কারী, দরপত্রদাতা বা আবেদনকারীকে নিম্নবর্ণিত দলিলপত্র দাখিলের জন্য অনুরোধ জানাইতে পারিবে-
(ক) পেশাগত ও কারিগরী সক্ষমতার ক্ষেত্রে-
(অ) বাংলাদেশ, বা দরপত্রদাতা বা আবেদনকারী যে দেশের নাগরিক সেই দেশের সংশ্লিষ্ট পেশাগত বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিত হওয়ার কাগজপত্র, অথবা যোগ্যতার সমর্থনে শপথপূর্বক ঘোষণাপত্র, বা দরপত্র বা আবেদনকারীর মূল দেশের বা বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের শর্ত মোতাবেক কোন পেশাগত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্র;
(আ) ব্যক্তির কারিগরী সুবিধা-সুযোগ, বিদ্যমান যন্ত্রপাতি, মান নিশ্চিতকরণ ব্যবস্থা, (যেমন-আই এস ও সনদপত্র) এবং ডিজাইন, গবেষণা ও উন্নয়ন সুবিধাদির বিবরণ;
(ই) কোন নির্দিষ্ট সময়ে পৃথক পৃথক ক্রয় প্রক্রিয়ায় পণ্যের গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহের বিবরণ এবং তৎসহ উহাতে জড়িত অর্থের পরিমাণ, সরবরাহের তারিখ এবং সরকারী বা বেসরকারী নির্বিশেষে সরবরাহ গ্রহীতার তথ্য সম্বলিত তালিকা;
(ঈ) ক্রয়কারী, প্রয়োজনে, যোগাযোগ করিতে পারে এইরূপ ক্রয়কারীগণের তালিকা;
(উ) সরবরাহের জন্য নির্ধারিত পণ্যের নমুনা, বিবরণ ও ছবি এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে, উক্ত পণ্যের বিশুদ্ধতার সমর্থনে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সনদপত্র; এবং
(ঊ) ব্যক্তি কর্তৃক নিযুক্ত কারিগরী এবং প্রশাসনিক জনবলের সংখ্যা সম্বলিত বিবরণ।
(খ) আর্থিক সামর্থ্যরে ক্ষেত্রে-
(অ) ব্যক্তির আর্থিক সামর্থ্য সম্পর্কিত যথোচিত ব্যাংক প্রতিবেদন;
(আ) ব্যক্তি যে দেশে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে, সেই দেশের কোম্পানী আইনের বিধান অনুসারে ব্যালেন্স সীট প্রকাশ আবশ্যক হওয়া সাপেক্ষে উক্ত ব্যক্তির ব্যালেন্সসীট বা উহার প্রয়োজনীয় উদ্ধৃতাংশ;
(ই) ব্যক্তির বার্ষিক লেনদেন (Turnover) এবং কোন নির্দিষ্ট সময়ে সংশ্লিষ্ট চুক্তির সহিত সম্পর্কিত পণ্য সরবরাহ, কার্য সম্পাদন বা সেবা প্রদান সংক্রান্ত লেনদেনের বিবরণ; এবং
(ঈ) Tender capacity নিরূপণের লক্ষ্যে উহার সমর্থনে প্রয়োজনীয় দলিলাদি;
(গ) ক্রয়কারীর সহিত চুক্তি সম্পাদনের বিষয়ে কোন আদালত কর্তৃক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা উহার কোন কর্ম চারীর উপর কোন বাধা নিষেধ আরোপ করা হয় নাই মর্মে উহার আইনগত সক্ষমতার সমর্থনে এফিডেভিট দাখিল করিতে হইবে; এবং
(ঘ) কর পরিশোধ করার বিষয়টি প্রমাণের ক্ষেত্রে ক্রয়কারী উক্ত বিষয়ে বাংলাদেশের কোন উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সনদপত্র এবং দরপত্রদাতা বিদেশী নাগরিক হইলে তিনি যে দেশের নাগরিক সেই দেশের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সনদপত্র এবং উক্ত সনদপত্রে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহের উল্লেখথাকিতে হইবে-
(অ) কর নিবন্ধন নম্বর বা করদাতার পরিচিতি নম্বর (tax payer’s identification number);
(আ) মূল্য সংযোজন কর নিবন্ধন নম্বর;
(২) বিধি ৪৮ (২) এ উল্লিখিত প্রতিকূল পরিস্থিতি বিদ্যমান না থাকার বিষয়ে ক্রয়কারীকে নিশ্চিত হইতে হইবে, তবে উক্ত কোন প্রতিকূল পরিস্থিতি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ক্ষেত্রে যে প্রযোজ্য নহে তদ্বিষয়ে উক্ত ব্যক্তিকে বাংলাদেশের বা সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের যথোপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত দালিলিক প্রমাণ দাখিল করিতে হইবে।
৫০। বিশেষ কোন দরপত্রের ক্ষেত্রে অবশ্যপূরণীয় শর্ত সংশোধন।-
(১) ক্রয়কারী বিশেষ কোন দরপত্রের জন্য অবশ্যপূরণীয় শর্ত সম্প্রসারিত বা সংশোধন করিতে পারিবে, যথা-
(ক) টার্ন কী চুক্তি, যাহার ডিজাইন প্রণয়ন, নির্মাণ, যন্ত্রপাতি ক্রয় ও স্থাপন এবং চালুকরণ (commissioning) সম্পর্কিত দায়িত্ব কোন ঠিকাদারের উপর বর্তায়, সেই সকল কার্য কোন দরপত্রদাতা কর্তৃক সমন্বিতভাবে সম্পাদন করার সামর্থ্য আছে কিনা উহা নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে যোগ্যতা সম্পর্কিত অতিরিক্ত তথ্য প্রদানের জন্য; বা
(খ) পরিচালনা সংক্রান্ত কোন সেবা (commissioning) প্রদানের চুক্তির (যেমন-নিরাপত্তা বা ক্যাটারিং সেবা) ক্ষেত্রে, ক্রয়কারীর প্রয়োজনীয়তার নিরিখে অতিরিক্ত বা ভিন্নতর তথ্য প্রদানের জন্য।
(২) লটের ভিত্তিতে পণ্য ও কার্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে, প্রত্যেক লটের জন্য এবং লটের সমষ্টির জন্য যোগ্যতার ন্যূনতম শর্ত নির্ধারণ করা যাইতে পারে।
৫১। প্রাক-যোগ্যতার ক্ষেত্রে অনুসরণীয় কার্যপ্রণালী।-
(১) কোন ক্রয়কার্যে প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হইলে দরপত্রদাতা বা আবেদনকারীকে যোগ্যতা সংক্রান্ত অবশ্যপূরণীয় সকল শর্ত সম্পর্কে অবহিত করিতে হইবে এবং উক্ত ক্ষেত্রে যোগ্যতা সংক্রান্ত অবশ্যপূরণীয় শর্তাদি সুস্পষ্টভাবে প্রাক-যোগ্যতার দলিলে উল্লেখ করিতে হইবে।
(২) উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা না হইলে, দরপত্র দলিলে যোগ্যতা সংক্রান্ত অবশ্যপূরণীয় শর্তাদি উল্লেখ করিতে হইবে।
(৩) ক্রয়কারী, প্রাক-যোগ্যতা বা দরপত্র দলিলে বর্ণিত মানদন্ড অনুসারে, আবেদনকারী কর্তৃক প্রদত্ত তথ্যাদি বিধি ৯৩ মোতাবেক মূল্যায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
(৪) আবেদনকারী কর্তৃক ন্যূনতম যোগ্যতার শর্ত পূরণ করা না হইলে, তাহাদেরকে অযোগ্য বলিয়া ঘোষণা করিতে হইবে –
তবে শর্ত থাকে যে-
(ক) কোন আবেদনপত্রে এক বা একাধিক শর্ত পূরণে ছোটখাট ত্রুটি বা ঘাটতি থাকিলেও যদি উক্ত ত্রুটি বা ঘাটতিসমূহ দরপত্র দাখিলের জন্য ধার্যকৃত তারিখের পূর্বে সংশোধনযোগ্য হয়, তাহা হইলে আবেদনকারীকে ‘‘শর্তযুক্তভাবে প্রাকযোগ্য” হিসাবে বিবেচনা করা যাইবে; এবং
(খ) উক্তরূপ শর্তযুক্ত প্রাক-যোগ্যতার ক্ষেত্রে আরোপিত শর্ত বা শর্তাদি পূরণ করা সাপেক্ষে উক্ত আবেদনকারী মূল দরপত্র কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করিতে পারিবে।
(৫) নির্দিষ্ট চুক্তির অধীন কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে, আবেদনকারীর সামর্থ্য নিরূপণের জন্য ক্রয়কারী নিম্নবর্ণিত মানদন্ড অনুসরণ করিবে
(ক) একই ধরনের প্রকল্প বা কর্মসূচীতে অভিজ্ঞতা ও অতীত কর্মদক্ষতা নিরূপণের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ বিবেচনা করা যাইবে
(অ) সমাপ্ত অনুরূপ প্রকল্প বা কর্মসূচীর ন্যূনতম সংখ্যা;
(আ) অনুরূপ সমাপ্ত প্রকল্প বা কর্মসূচীর, পৃথক ও যৌথভাবে, চুক্তিমূল্যের পরিমাণ;
(ই) আবেদনকারী যে সকল দেশে ইতঃপূর্বে কার্য সম্পাদন করিয়াছে; এবং
(ঈ) সংশ্লিষ্ট ক্রয়কারী, বা দেশে বা বিদেশের অন্যান্য ক্রয়কারীর নিকট সরবরাহকৃত প্লান্ট (plant), সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতিসহ অন্যান্য পণ্যের কার্য সম্পাদন দক্ষতা।
(খ) লোকবল, যন্ত্রপাতি এবং নির্মাণ বা উৎপাদন সুবিধাদি সম্পর্কিত দক্ষতা নিরূপণার্থে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ বিবেচনা করা যাইবে
(অ) আবেদনকারীর প্রতিষ্ঠানের মুখ্য (শবু) লোকবলের পেশাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা;
(আ) চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য আবেদনকারীর হেফাজতে বা দখলে থাকা আবশ্যক বলিয়া বিবেচিত ন্যূনতম যন্ত্রপাতির ধরন ও সংখ্যা, বা চুক্তির অধীন কার্য সম্পাদনের প্রয়োজনে চুক্তির প্রত্যাশিত মেয়াদের মধ্যে উক্ত যন্ত্রপাতি ভাড়ায় বা লীজে সংগ্রহ করার জন্য কোন চুক্তিমূলক ব্যবস্থা (contractual arrangement);
(ই) প্রস্তুতকারকের সহিত সম্পাদিত কোন চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ন্যূনতম উৎপাদন ক্ষমতা; এবং
(ঈ) আবেদনপত্র মূল্যায়নের অংশ হিসেবে ক্রয়কারী কর্তৃক যন্ত্রপাতি বা স্থাপনা পরিদর্শনের অভিপ্রায় আছে কিনা;
(গ) কারিগরী, আর্থিক ও আইনগত বিষয়সমূহে অবশ্যপূরণীয় শর্তাদি বিধি ৪৮(২) এ বর্ণিত শর্তাদির অনুরূপ হইবে।
(৬) ক্রয়কারী, উহার বিশেষ প্রয়োজনে, ধারা ৪৮, ৪৯, ৫০ এবং এই বিধিতে বর্ণিত আদর্শ প্রাক-যোগ্যতা মূল্যায়নের বিশেষ নির্ণায়কসমূহ এবং দলিলাদি দাখিলের আবশ্যকতার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করিতে পারিবে।
(৭) কোন আবেদনকারীই প্রাক-যোগ্যতার নির্ণায়কসমূহ পূরণ করিতে সক্ষম না হইলে, ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধানের অনুমোদনক্রমে, সকল আবেদনপত্র বাতিল করা যাইবে।
(৮) উপ-বিধি (৭) এর অধীন আবেদনপত্র বাতিল করা হইলে, ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার অনুমোদন সাপেক্ষে ক্রয়কারী নিম্নবর্ণিত পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করিবে-
(ক) প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণের জন্য আহবানপত্রে অন্তর্ভুক্ত বিষয়সমূহ পুনরীক্ষণক্রমে সন্তোষজনক বলিয়া বিবেচিত হইলে, ক্রয়কারী উক্ত আহবান সম্বলিত বিজ্ঞাপন বহুল প্রচারের উদ্দেশ্যে পুনরায় প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে, এবং বিপুল ব্যয় সাপেক্ষ ও জটিল ধরনের ক্রয়ের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
(খ) প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণের জন্য আহবানপত্রে অন্তভুর্ক্ত বিষয়সমূহ সংশোধন করিবার প্রয়োজন হইলে, উক্তরূপে সংশোধিত আহ্বানপত্র ইতঃপূর্বে আবেদনপত্র দাখিলকারী সকল ব্যক্তি বা ফার্মের অনুকূলে বিতরণের ব্যবস্থা করা যাইতে পারে; বা
(গ) দফা (ক) ও (খ) তে বর্ণিত উভয় কারণই সম্মিলিতভাবে গ্রহণযোগ্য আবেদনপত্র দাখিল না হওয়ার কারণ বলিয়া বিবেচিত হইলে, পুন- বিজ্ঞাপন প্রদান করাসহ সংশোধিত আহ্বানপত্র পূর্ববর্তী সকল আবেদনকারীর নিকট প্রেরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইতে পারে।
(৯) কোন আবেদনকারী কর্তৃক যোগ্যতা অর্জনের উদ্দেশ্যে দাখিলকৃত তথ্য কোন সময় অসম্পূর্ণ বা অসত্য বলিয়া প্রমাণিত হইলে, ক্রয়কারী উক্ত আবেদনকারীকে অযোগ্য বলিয়া ঘোষণা করিবে, তবে সেই ক্ষেত্রে অযোগ্য ঘোষণার কারণ মূল্যায়ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করিতে হইবে।
৫২। ক্রয়কারী কর্তৃক যোগ্যতাসম্পন্ন সরবরাহকারী বা ঠিকাদারদের তালিকা সংরক্ষণ।-
(১) শুধু সীমিত দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে কোন ক্রয়কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে, ক্রয়কারী যোগ্যতাসম্পন্ন সম্ভাব্য বা তালিকাভুক্ত দরপত্রদাতাগণের তালিকা সংরক্ষণ করিবে এবং উক্ত ক্ষেত্রে, দরপত্রদাতার যোগ্যতা বৎসরভিত্তিক পুনর্বিবেচনাক্রমে হালনাগাদ করিতে হইবে।
(২) ক্রয়কারী সীমিত দরপত্র পদ্ধতির অধীন ক্রয়কার্যে অংশগ্রহণে আগ্রহী সম্ভাব্য সরবরাহকারী এবং ঠিকাদারদের তালিকাভুক্তির উদ্দেশ্যে তাহাদের যোগ্যতার সমর্থনে প্রয়োজনীয় দলিলাদি দাখিলের জন্য আহবান জানাইতে পারিবে।
(৩) ক্রয়কারী কর্তৃক, সরবরাহকারী বা ঠিকাদারের তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে, নিম্নবর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে-
(ক) ক্রয়কারী সরবরাহ বা কার্যের ধরনের ভিত্তিতে তালিকা সংরক্ষণ করিবে;
(খ) দফা (ক) তে বর্ণিত তালিকা, তফসিল-২ অনুসারে গঠিত একটি কমিটি কর্তৃক প্রস্তুত করিতে হইবে এবং উক্ত তালিকা ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা কর্তৃক অনুমোদিত হইতে হইবে;
(ঘ) বার্ষিক বিজ্ঞাপনে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা সংক্রান্ত তথ্য প্রদানের জন্য সকল আগ্রহী ব্যক্তিকে তফসিল-২ এ বর্ণিত সময় প্রদান করিতে হইবে; এবং
(ঙ) তালিকাভুক্তিকরণ এবং নবায়ন ফি তফসিল-২ এ উল্লিখিত পরিমাণে নির্ধারণ করিত হইবে।
(৪) উপ-বিধি (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিধি ৪৮(৬) অনুযায়ী সীমিত দরপত্র পদ্ধতির আওতায় অনধিক ৩ (তিন) কোটি টাকার অভ্যন্তরীণ কার্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে অতীতে সম্পাদিত ক্রয়কার্যের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হইবে না।
৫৩। সহ-ঠিকাদার বা সহ-পরামর্শক নিয়োগ।-
(১) ক্রয়কারী, আদর্শ দরপত্র বা প্রস্তাব দাখিলের অনুরোধ সম্বলিত দলিলে উল্লিখিত যথাযথ যোগ্যতা থাকার সমর্থনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করা সাপেক্ষে, কোন সরবরাহকারী, ঠিকাদার বা পরামর্শককে সহ-ঠিকাদার বা সহ-পরামর্শক নিয়োগের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে।
(২) সহ-পরামর্শক হিসাবে কোন প্রস্তাবে উল্লিখিত কোন প্রতিষ্ঠান (firm) একাধিক প্রস্তাবে অংশগ্রহণ করিতে পারিবে, তবে উক্ত অংশগ্রহণ শুধু সহ-পরামর্শক হিসাবেই করিতে হইবে।
(৩) দরপত্রে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লিখিত সহ-ঠিকাদারের যোগ্যতা ঠিকাদারের যোগ্যতা মূল্যায়নে শুধু তাহার (সহ-ঠিকাদারের) জন্য নির্ধারিত কাজের ক্ষেত্রে বিবেচনা করা যাইতে পারে।
(৪) সহ-ঠিকাদারের সাধারণ অভিজ্ঞতা এবং আর্থিক সম্পদ দরপত্রদাতার সাধারণ অভিজ্ঞতা ও আর্থিক সম্পদের সহিত যোগ করা যাইবে না।
(৫) কোন আবেদনকারী যদি ব্যক্তিগতভাবে, বা যৌথ উদ্যোগের অংশীদার হিসাবে কোন প্রস্তাব দাখিল করে, তাহা হইলে একই ক্রয় প্রক্রিয়ায় অন্য কোন আবেদনকারীর সহ-পরামর্শক হিসাবে তিনি গ্রহণযোগ্য হইবেন না।
(৬) সহ-ঠিকাদার বা সহ-পরামর্শক নিয়োগ সত্ত্বেও, সংশ্লিষ্ট ক্রয় চুক্তির অধীন পালনযোগ্য দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে সরবরাহকারী, ঠিকাদার ও পরামর্শকের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং উক্ত দায়দায়িত্ব সহ-ঠিকাদার বা সহ-পরামর্শকের নিকট হস্তান্তর করা যাইবে না, বা কোন অবস্থাতেই চুক্তিবদ্ধ দায়-দায়িত্ব সহ-ঠিকাদার বা সহ-পরামর্শকের নিকট অর্পণের অনুমতি প্রদান করা যাইবে না।
(৭) মুখ্য সরবরাহকারী বা ঠিকাদার বা পরামর্শক তাহার সহ-ঠিকাদার বা সহ-পরামর্শকগণের ব্যবস্থাপনার জন্য দায়ী থাকিবে, এবং সাব-কন্ট্রাক্টসমূহের ব্যাপারে ক্রয়কারীর পর্যালোচনা সাধারণত মুখ্য সরবরাহকারী বা ঠিকাদার বা পরামর্শক কর্তৃক সাব-কন্ট্রাক্টসমূহের ব্যবস্থাপনাগত মূল্যায়নের মধ্যেই সীমিত থাকিবে।
অংশ-১০: যৌথ উদ্যোগ (JVCA)
৫৪। যৌথ উদ্যোগ।-
(১) ক্রয়কারী, এককভাবে বা যৌথ উদ্যোগ গঠনের মাধ্যমে, কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে কার্য ও ভৌত সেবা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা ক্রয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করিতে পারিবে –
(২) যৌথ উদ্যোগ সংক্রান্ত চুক্তি তফসিল-২ এ বর্ণিত মূল্যের নন-জুডিশিয়াল ষ্টাম্পে সম্পাদন করিতে হইবে এবং উক্ত চুক্তির পক্ষভুক্ত সকল ব্যক্তির আইনসম্মতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধিগণ কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইতে হইবে।
(৩) উপ-বিধি (২) এর বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে, দরপত্র বা প্রস্তাব কৃতকার্য হইলে যৌথ উদ্যোগ চুক্তি সম্পাদন করা হইবে মর্মে সকল অংশীদার কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি লেটার অফ ইনটেন্ট প্রস্তাবিত চুক্তিপত্রসহ দরপত্র বা প্রস্তাবের সঙ্গে দাখিল করিতে হইবে – তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত লেটার অফ ইনটেন্ট যৌথ উদ্যোগের সকল অংশীদার কর্তৃক স্বাক্ষরিত এবং নোটারী পাবলিক কর্তৃক প্রমাণীকৃত হইতে হইবে।
(৪) যৌথ উদ্যোগের ক্ষেত্রে, উহার প্রত্যেক অংশীদার চুক্তির অধীন সকল দায় এবং নৈতিক বা আইনগত বাধ্যবাধকতার ক্ষেত্রে যৌথভাবে এবং পৃথকভাবে দায়ী থাকিবে।
(৫) ক্রয় প্রক্রিয়া চলাকালে এবং চুক্তি সম্পাদন করা হইলে চুক্তি বাস্তবায়নকালে, উপ-বিধি (২) ও (৩) এর অধীন গঠিত যৌথ উদ্যোগের কোন অংশীদার বা অংশীদারগণের পক্ষে সকল কর্ম সম্পাদন এবং সকল পাওনা গ্রহণের জন্য ক্ষমতা অর্পণপূর্বক যৌথ উদ্যোগ কর্তৃক একজন প্রতিনিধি মনোনীত করিতে হইবে।
(৬) যৌথ উদ্যোগের মুখ্য অংশীদার এবং অন্যান্য অংশীদারগণের ন্যূনতম যোগ্যতার শর্ত প্রাক-যোগ্যতা, দরপত্র বা প্রস্তাব দাখিলের অনুরোধ সম্বলিত দলিলে উল্লেখকরা যাইতে পারে।
(৭) উদ্ভুত কোন বিরোধের কারণে কোন যৌথ উদ্যোগের অংশীদারদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত কার্যধারা গ্রহণ করা হইলে, যৌথ উদ্যোগের সকল অংশীদারের বিরুদ্ধে, প্রাপ্তিসাধ্য হওয়া সাপেক্ষে, উক্ত আইনগত কার্যধারা গ্রহণ করা হইবে এবং শুধু একজন অংশীদার পাওয়া গেলে, উক্ত অংশীদার সকল অংশীদারের পক্ষে জবাব প্রদান করিবে এবং দায়েরকৃত অভিযোগ প্রমাণিত হইলে, সকল অংশীদারকে যে দণ্ড প্রদেয় হইত, উহা তাহার উপর এককভাবে প্রয়োগযোগ্য হইবে –
তবে শর্ত থাকে যে, আইনগত কার্যধারা সমাপ্ত হইবার পূর্বে যদি অন্যান্য অংশীদারদের পাওয়া যায়, তাহা হইলে উক্ত অংশীদারদের বিরুদ্ধেও ক্রয়কারী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
(৮) উপ-বিধি (৬), (৭) এবং (৮) এর শর্তাদি পূরণ সাপেক্ষে, শুধু বাংলাদেশী নাগরিকগণের অংশীদারিত্বে গঠিত যৌথ উদ্যোগকে স্থানীয় অগ্রাধিকার (domestic preference) প্রদান করা যাইবে।
(৯) কোন নির্দিষ্ট ক্রয় কার্যের জন্য গঠিত যৌথ উদ্যোগ, একবার গঠিত হইলে চুক্তি সম্পাদনের পূর্বে উহাতে কোন পরিবর্তন আনয়ন করা যাইবে না, তবে চুক্তি সম্পাদন পরবর্তী সময়ে ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধানের পূর্বানুমোদন গ্রহণপূর্বক কোন পরিবর্তন সাধন করা যাইবে।
(১০) কোন নির্দিষ্ট ক্রয়কার্যের জন্য গঠিত যৌথ উদ্যোগের কোন অংশীদার অযোগ্য বলিয়া প্রতিভাত হইলে বা সামগ্রিক কার্যসম্পাদনে বিরূপ প্রভাব ফেলিতে পারে এইরূপ গুরুতর কোন অসুবিধার সম্মুখীন হইলে, শুধু সেই ক্ষেত্রে কোন অংশীদার পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া যাইবে, তবে নূতন অংশীদারকে বিদায়ী অংশীদার অপেক্ষা উচ্চতর যোগ্যতাসম্পন্ন হইতে হইবে।
(১১) যৌথ উদ্যোগের কোন অংশীদার আইনের ধারা ৬৪ মোতাবেক দুর্নীতি, প্রতারণা, চক্রান্ত বা জবরদস্তিমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার কারণে ক্রয়কার্যে অংশগ্রহণের অযোগ্য (debarred) বলিয়া ঘোষিত হইয়া থাকিলে, উক্ত যৌথ উদ্যোগ কোন ক্রয়কার্যে অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবে না এবং অনুরূপভাবে কোন যৌথ উদ্যোগ উক্ত ধারা মোতাবেক ক্রয়কার্যে অংশগ্রহণের অযোগ্য বলিয়া ঘোষিত হইয়া থাকিলে, উক্ত ঘোষণা যৌথ উদ্যোগের প্রত্যেক অংশীদারের ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য হইবে।
(১২) যেক্ষেত্রে বিশেষ কোন অংশের (component) জন্য মনোনীত যৌথ উদ্যোগের কোন অংশীদার উক্ত অংশের জন্য আবশ্যক ন্যূনতম যোগ্যতার শর্ত পূরণে সক্ষম, সেইক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগের জন্য আবশ্যকীয় সর্বমোট যোগ্যতা নিরূপণের ক্ষেত্রে উক্ত অংশীদারের অতীত অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য সামর্থ্য অন্যান্য অংশীদারের যোগ্যতার সহিত যোগ করিতে হইবে।
(১৩) নিম্নের উদাহরণসমূহের অনুরূপ ক্ষেত্রসমূহে, যৌথ উদ্যোগের অংশীদারদের বা তাহাদের মুখ্য জনবলের (key staff) নির্দিষ্ট কারিগরী অভিজ্ঞতা ন্যূনতম যোগ্যতার শর্ত পূরণের ক্ষেত্রে যোগ করা যাইবে না।
উদাহরণ।-(১)- কোন ক্রয় দলিলে প্রকল্প ব্যবস্থাপকের যোগ্যতার শর্তে অনুরূপ ধরনের ও পরিমাণের কাজে ৫(পাঁচ) বৎসরের অভিজ্ঞতার শর্ত থাকিলে, উক্ত ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগের কোন একজন অংশীদারের প্রকল্প ব্যবস্থাপকের ৩(তিন) বৎসর এবং অপর আরেক অংশীদারের প্রকল্প ব্যবস্থাপকের ২ (দুই) বৎসরের অভিজ্ঞতা যোগ করিয়া মোট ৫(পাঁচ) বৎসরের অভিজ্ঞতার শর্ত পূরণ হইয়াছে বলিয়া নিরূপণ করা যাইবে না।
উদাহরণ।-(২) – কোন ক্রয় দলিলে দরপত্রদাতার কমপক্ষে ১০০ (একশত) মিটার স্প্যানের আরসিসি ব্রিজ নির্মাণের অতীত অভিজ্ঞতার শর্ত থাকিলে, যৌথ উদ্যোগের অংশীদারগণের অনুরূপ ব্রিজ নির্মাণের পৃথক পৃথক অভিজ্ঞতা একত্রে গণনা করিয়া (যেমন-৫০মি-+৩০মি-+২০মি-=১০০মি-) উক্ত নির্ণায়ক বা শর্ত পূরণ হইয়াছে বলিয়া নিরূপণ করা যাইবে না।
উদাহরণ।-(৩) – কোন ক্রয় দলিলে যৌথ উদ্যোগের যোগ্যতার শর্তে কোন নির্দিষ্ট ধরনের নির্মাণ কাজে দরপত্র বা প্রস্তাব দাখিলকারী প্রতিষ্ঠানের ৫(পাঁচ) বৎসরের অভিজ্ঞতা অবশ্যই থাকিতে হইবে মর্মে শর্ত থাকিলে, উক্ত ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগের কোন একটি অংশীদার প্রতিষ্ঠানের ৩(তিন) বৎসর এবং অপর আরেক অংশীদার প্রতিষ্ঠানের ২(দুই) বৎসরের অভিজ্ঞতা যোগ করিয়া মোট ৫(পাঁচ) বৎসরের অভিজ্ঞতার শর্ত যৌথ উদ্যোগের দ্বারা পূরণ হইয়াছে বলিয়া নিরূপণ করা যাইবে না।
অংশ-১১: স্বার্থের সংঘাত
৫৫। স্বার্থের সংঘাত।-
(১) বিদ্যমান বা সম্ভাব্য স্বার্থের সংঘাত যাহা ক্রয়কারীকে সর্বোত্তম সেবা প্রদানে বিঘœ সৃষ্টি করিতে পারে বা সংশ্লিষ্ট কাজের ক্ষেত্রে উহা বিরূপ প্রভাব ফেলিবে বলিয়া যুক্তিসঙ্গতভাবে ধারণা করা যায়, উক্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে ক্রয়কারীকে অবহিতকরণ আবেদনকারীর দায়িত্ব বলিয়া গণ্য হইবে এবং উহা অবহিতকরণে ব্যর্থতার কারণে তফসিল-৯ (Schedule-IX) এর অংশ-ক তে বর্ণিত সারণী (Consultants’ conflicts of interest: Range of possible cases) তে বর্ণিত পরিস্থিতিতে উক্ত পরামর্শক অযোগ্য ঘোষিত বা উহার চুক্তি বাতিল হইতে পারে।
(২) কোন পরামর্শক এবং উহার সহিত সম্বন্ধযুক্ত বা সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহ বস্তুনিষ্ঠ ও পেশাগত পরামর্শ প্রদান এবং সর্বদা ক্রয়কারীর স্বার্থ সমুন্নত রাখার শর্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকিয়া অন্য কোন কার্যসম্পাদন বা উহার স্বীয় যৌথ স্বার্থের সহিত সংঘাত সৃষ্টি হইতে পারে এইরূপ কার্যকলাপ হইতে বিরত থাকিবে এবং ভবিষ্যতে কোন দায়িত্ব প্রাপ্তির প্রত্যাশায় কার্য সম্পাদন করিবে না।
(৩) কোন ক্রয়কারী কর্তৃক ইতঃপূর্বে কোন প্রকল্পে পণ্য সরবরাহ, কার্য সম্পাদন, বা ভৌত সেবা প্রদানের জন্য যদি কোন ব্যক্তি নিয়োজিত হইয়া থাকে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি বা উহার সহিত সম্বন্ধযুক্ত কোন প্রতিষ্ঠান পরবর্তীতে উক্ত পণ্য, কার্য বা সেবার ক্ষেত্রে পরামর্শক সেবা প্রদানের অযোগ্য বিবেচিত হইবে।
(৪) কোন প্রকল্প প্রণয়ন বা বাস্তবায়নের জন্য কোন ব্যক্তিকে পরামর্শক সেবা প্রদানের জন্য নিয়োজিত করা হইয়া থাকিলে, উক্ত ব্যক্তি বা উহার সহিত সম্বন্ধযুক্ত কোন প্রতিষ্ঠান পূর্বে প্রদত্ত পরামর্শক সেবা হইতে উদ্ভূত বা সরাসরি সম্পর্কযুক্ত পণ্য সরবরাহ, পরামর্শক সেবা, ভৌত সেবা বা কার্য সম্পাদনের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হইবে।
(৫) কোন পরামর্শক, উহার লোকবল ও সহ-পরামর্শকবৃন্দসহ, বা উহার সহিত সম্বন্ধযুক্ত কোন প্রতিষ্ঠানকে কোন দায়িত্ব পালনের জন্য নিযুক্ত করা যাইবে না, যদি উক্ত পরামর্শক কর্তৃক একই ক্রয়কারী বা অন্য কোন ক্রয়কারীর জন্য একই ধরনের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সংঘাতের সৃষ্টি করে।
(৬) ক্রয়কার্যে জড়িত ক্রয়কারীর কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর সহিত কোন পরামর্শক এবং উহার সহ-পরামর্শক ও কর্মীবৃন্দের কাহারও কোন ব্যবসায়িক সম্পর্ক থাকিলে উহার সহিত চুক্তি সম্পাদন করা যাইবে না, যদি না পরামর্শক নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালে উক্ত সম্পর্কজনিত সংঘাতের বিষয়টি যথাযথভাবে বিবেচনা করা হইয়া থাকে।
(৭) ক্রয়কার্যে অংশগ্রহণ করিতেছে বা করিয়াছে এইরূপ কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির সহিত সংশ্লিষ্ট ক্রয়কার্যে জড়িত ক্রয়কারীর কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর সরাসরি বা পরোক্ষভাবে কোন স্বার্থের সংশ্লিষ্ট তা থাকিলে, উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সহিত উহার সম্পর্কের বিষয়ে একটি ঘোষণা প্রদান করিবে এবং উক্ত ক্রয়কার্যের বিনির্দেশ এবং যোগ্যতার নির্ণায়কসমূহ প্রস্তুতকরণ হইতে আরম্ভ করিয়া সংশ্লিষ্ট পণ্য সরবরাহ বা কার্য সম্পন্ন এবং ক্রয় সংক্রান্ত দায়বদ্ধতা পরিপূর্ণভাবে পালিত না হওয়া পর্যন্ত ক্রয়ের কোন পর্যায়ে উক্ত কর্মকর্তা বা কর্মচারী অংশগ্রহণ করিতে পারিবে না।
অংশ-১২: অভিযোগ ও আপীল
৫৬। অভিযোগ করার অধিকার।-
নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে বা পরিস্থিতিতে কোন ক্রয়কারীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা যাইবে, যথা –
(ক) প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে-
(১) বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হওয়ার তারিখে প্রাক-যোগ্যতার দলিল প্রস্তুত করা না থাকিলে বা সম্ভাব্য আবেদনকারীর অনুরোধে উহা প্রাপ্তিসাধ্য না করা গেলে; বা
(২) সম্ভাব্য আবেদনকারীর স্পষ্টীকরণের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে যথাসময়ে তৎসম্পর্কে ব্যাখ্যা প্রদান না করা হইলে; বা
(৩) প্রাক-যোগ্যতার দলিলে উল্লিখিত নির্ণায়কের আলোকে মূল্যায়ন কমিটি যোগ্যতা মূল্যায়ন করিতে ব্যর্থ হইলে; বা
(৪) প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণে অন্যায়ভাবে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করা হইয়াছে মর্মে ধারণা করিবার সঙ্গত কারণ থাকিলে; বা
(৫) দুর্নীতি বা চক্রান্তমূলক কার্যকলাপ সম্পর্কে সন্দেহ হইলে।
(খ) উন্মুক্ত, সীমিত, সরাসরি, দুই-পর্যায় ও কোটেশন পদ্ধতির ক্ষেত্রে-
(১) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, বিধি ৯০ অনুসরণক্রমে বিজ্ঞাপন প্রদান করা না হইয়া থাকিলে; বা
(২) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হওয়ার তারিখে দরপত্র দলিল প্রস্তুত না হইয়া থাকিলে বা সম্ভাব্য দরপত্রদাতা বা কোটেশনদাতার অনুরোধে উহা প্রাপ্তিসাধ্য করা না গেলে; বা
(৩) সম্ভাব্য দরপত্রদাতার অনুরোধে যথাসময়ে ব্যাখ্যা প্রদান না করা হইলে; বা
(৪) কেবল একটি বা স্বল্পসংখ্যক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পূরণ করা সম্ভব, এইরূপ কারিগরী বিনির্দেশ প্রস্তুত করা হইলে; বা
(৫) প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের শর্ত মোতাবেক, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, প্রাক-দরপত্র সভা অনুষ্ঠান করিতে ব্যর্থ হইলে বা উক্ত সভার জন্য পূর্ব নির্ধারিত তারিখ, স্থান ও সময় পরিবর্তিত হইলে যথাসময়ে উহা সম্ভাব্য দরপত্রদাতাগণকে অবহিত না করার কারণে সম্ভাব্য কতিপয় দরপত্রদাতা সভায় যোগদান করিতে সক্ষম না হইলে; বা
(৬) দরপত্র আহ্বানের বিজ্ঞাপনে প্রদত্ত বিবৃতি মোতাবেক দরপত্র উন্মুক্ত করিতে ব্যর্থ হইলে বা দরপত্র উন্মুক্তকরণের সময় অসঙ্গত আচরণ করা হইলে; বা
(৭) বিশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার ফলে এক বা একাধিক দরপত্র নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই উন্মুক্তক্রমে উহার গোপনীয়তা ফাঁস করিয়া দেওয়া বা প্রকাশ্য সভায় দরপত্র উন্মুক্তকরণে ব্যর্থ হইলে; বা
(৮) দরপত্র দাখিলের জন্য নির্ধারিত সময়ের পূর্বে প্রাপ্ত সকল দরপত্র উন্মুক্তকরণ করা না হইলে; বা
(৯) মূল্যায়ন কমিটি দরপত্র দলিলে উল্লিখিত নির্ণায়ককের আলোকে দরপত্র মূল্যায়ন করিতে ব্যর্থ হইলে; বা
(১০) ক্রয়কারী কর্তৃক কৃতকার্য দরপত্রদাতার সহিত নিগোসিয়েশনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হইলে; বা
(১১) দুর্নীতি বা চক্রান্তমূলক কার্যকলাপ সম্পর্কে সন্দেহ হইলে; বা
(১২) ত্রুটিপূর্ণ বা অন্যায্যভাবে চুক্তি সম্পাদন করা হইয়াছে বলিয়া ধারণা করিবার সঙ্গত কারণ থাকিলে; বা
(১৩) দুই পর্যায় বিশিষ্ট দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে, প্রথম পর্যায়ে দরপত্র মূল্যায়নের সময় প্রত্যেক ব্যক্তির নিকট হইতে ব্যাখ্যা গ্রহণের সময় গোপনীয়তা রক্ষার শর্ত লংঘন করা হইলে।
(গ) প্রস্তাব দাখিলের অনুরোধ জ্ঞাপনের ক্ষেত্রে,-
(১) কারিগরী প্রস্তাবের খাম উন্মুক্তকরণের পর ক্রয়কারী উহার গোপনীয়তা রক্ষা করিতে ব্যর্থ হইলে; বা
(২) কারিগরী প্রস্তাব উন্মুক্তকরণের সময় আর্থিক প্রস্তাব খোলা হইলে; বা
(৩) প্রস্তাব দলিলে উল্লিখিত নির্ণায়কের ভিত্তিতে প্রস্তাব মূল্যায়ন করিতে ব্যর্থ হইলে; বা
(৪) মূল্য যেখানে মূল্যায়নের একটি নিয়ামক (factor), সেইক্ষেত্রে নিগোসিয়েশনের সময় আবেদনকারীকে তৎপ্রস্তাবিত ফিসের হার পরিবর্তনের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হইলে; বা
(৫) দুর্নীতি বা চক্রান্তমূলক কার্যকলাপ সম্পর্কে সন্দেহ হইলে; বা
(৬) অন্যায্য ও পক্ষপাতিত্বপূর্ণভাবে চুক্তি সম্পাদন করা হইয়াছে বলিয়া ধারণা করিবার সঙ্গত কারণ থাকিলে।
৫৭। প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ দায়ের, নিস্পত্তি, ইত্যাদি।-
(১) কোন ব্যক্তিকে তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে লিখিতভাবে তাহার অভিযোগ দাখিল করিতে হইবে।
(২) ক্রয়কারী কার্যালয়ের যে কর্মকর্তা কর্তৃক দরপত্র বা প্রস্তাব দলিল ইস্যু করা হইয়াছে প্রথমত সেই কর্মকর্তার নিকট (যেমন-প্রকল্প পরিচালক, লাইন ডাইরেক্টর, প্রকল্প ব্যবস্থাপক, ক্রয় কর্মকর্তা, ক্রয়ের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) কোন ব্যক্তি লিখিতভাবে অভিযোগ দাখিল করিবে।
(৩) উপ-বিধি (২) এ উল্লিখিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা অভিযোগের বিষয়বস্তু বিবেচনাক্রমে উহা বাতিল বা কোন সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে কিনা তদ্বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন।
(৪) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে, অভিযোগ বাতিলের কারণ বা উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে কি কি সংশোধনমূলক ব্যবস্থা (যেমন- দরপত্র বা প্রস্তাব দলিলের অগ্রহণযোগ্য শর্তের সংশোধনী আদেশ জারী) গ্রহণ করা হইয়াছে বা হইবে তদ্বিষয়ে লিখিত সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অবহিত করিবেন।
(৫) কোন ব্যক্তি উপ-বিধি (৪) এর অধীন ক্রয়কারী কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হইলে এবং অভিযোগ নিস্পত্তির বিষয়ে আগ্রহী হইলে, তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধানের নিকট লিখিতভাবে পুনরায় একই অভিযোগ দায়ের করিতে পারিবে।
(৬) কোন ব্যক্তি কর্তৃক উপ-বিধি (৫) এর অধীন ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধানের নিকট অভিযোগ দাখিল করা হইলে-
(ক) ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান যদি মূল্যায়ন কমিটির চেয়ারপারসন বা সদস্য হন, তাহা হইলে তিনি উক্ত অভিযোগ প্রাপ্তির পর তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে, উহা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিবের নিকট প্রেরণপূর্বক তৎসম্পর্কে সংশ্লিষ্ট অভিযোগকারীকে অবহিত করিবেন; বা
(খ) উক্ত অভিযোগ নিস্পত্তির বিষয়টি তাহার আওতাভুক্ত হইলে, তিনি অভিযোগের বিষয়বস্তু বিবেচনাক্রমে উহা বাতিল বা কোন সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে কিনা তদ্বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন এবং তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে কারণ উল্লেখপূর্বক অভিযোগ বাতিল বা গৃহীত সংশোধনমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে তাহার সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অবহিত করিবেন।
(৭) কোন ব্যক্তি ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হইলে, তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিবের নিকট উহার অভিযোগ দায়ের করিতে পারিবে।
(৮) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব, তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়ের মধ্যে, উপ-বিধি (৬) অথবা (৭) এর অধীন দাখিলকৃত অভিযোগের বিষয়বস্তু বিবেচনাক্রমে উহা বাতিল বা কোন সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ হইবে কিনা তদ্বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন এবং কারণ উল্লেখপূর্বক অভিযোগ বাতিল বা কি কি সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইয়াছে তদ্বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে লিখিতভাবে অবহিতক্রমে উক্ত সিদ্ধান্তের কপি সংশ্লিষ্ট ক্রয়কারী ও সিপিটিইউকে প্রদান করিবেন।
(৯) কোন ব্যক্তি প্রত্যেকটি স্তরের জন্য নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে লিখিত সিদ্ধান্ত প্রাপ্ত না হইলে, উক্ত ব্যক্তি তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে সরাসরি উক্ত কর্তৃপক্ষের পরবর্তী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ দায়ের করিতে পারিবে।
(১০) কোন ব্যক্তি যদি সচিব কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হয়, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি রিভিউ প্যানেলের নিকট আপীল করিতে পারিবে।
(১১) এই বিধির অধীন প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ দায়েরের সকল বিধান নিঃশেষ করিবার পরই কেবল কোন ব্যক্তি রিভিউ প্যানেলের নিকট আপীল করিতে পারিবে।
(১২) কোন ব্যক্তি, উপবিধি (৮) এর অধীন মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত প্রাপ্তির পর, বা তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে কোন সিদ্ধান্ত প্রাপ্ত না হইলে রিভিউ প্যানেলের চেয়ারম্যানকে সম্বোধন করিয়া “গোপনীয়” বলিয়া চিহ্নিত একটি সীলগালা করা খামে সিপিটিইউ এর ঠিকানায় নিম্নবর্ণিতভাবে অভিযোগ দায়ের করিতে পারিবেন-
(ক) অভিযোগ এবং উহার সমর্থনে দলিলাদি একটি সীলগালা করা খামে দায়ের করিবেন, যাহা কেবল রিভিউ প্যানেলের চেয়ারপারসন কর্তৃক খোলা হইবে;
(খ) দফা (ক) তে বর্ণিত সীলগালা করা ‘গোপনীয়’ খাম মহাপরিচালক, সিপিটিইউ কে সম্বোধনক্রমে একটি অগ্রায়নপত্রে রিভিউ প্যানেলের নিকট আপীল করিবার ইচ্ছা ব্যক্ত করিয়া এবং অভিযোগের ধরন উল্লেখকরিয়া প্রেরণ করিবেন; এবং
(গ) দফা (খ) তে বর্ণিত অগ্রায়নপত্রের সহিত তফসিল-২ এ বর্ণিত অংকের নিবন্ধন ফী এবং ফেরতযোগ্য নিরাপত্তা জামানত মহা-পরিচালক, সিপিটিইউ-এর অনুকূলে ব্যাংক ড্রাফট আকারে সংযোজন করিবেন।
(১৩) ক্রয়কারী এবং অন্যান্য স্তরের প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ একটি “অভিযোগ রেজিষ্টার” খুলিয়া উহাতে অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ করিবে।
৫৮। রিভিউ প্যানেল গঠন।-
(১) সিপিটিইউ দায়েরকৃত কোন আপীল পর্যালোচনা এবং তৎসম্পর্কে সিদ্ধান্ত প্রদানের জন্য উপ-বিধি (২) এ উল্লিখিত বিশেষজ্ঞগণের সমন্বয়ে রিভিউ প্যানেল গঠন করিবে।
(২) আইনের ধারা ৩০ অনুসারে, রিভিউ প্যানেল গঠন করিবার উদ্দেশ্যে সিপিটিইউ, তফসিল-২ অনুযায়ী এবং নিম্নবর্ণিতভাবে সুবিদিত বিশেষজ্ঞগণের একটি তালিকা প্রস্তুত করিবে-
(ক) নিম্নবর্ণিত ৩ (তিন) শ্রেণীর প্রতিটি হইতে ১ (এক) জন করিয়া সদস্য সমন্বয়ে রিভিউ প্যানেল গঠন করিতে হইবে;
(অ) ক্রয় সংক্রান্ত আইনগত বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সুখ্যাত বিশেষজ্ঞগণ, যাহাদের মধ্যে সরকারী, আধা-সরকারী, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহ বা কর্পোরেশনের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র কর্মকর্তাগণ অন্তর্ভুক্ত হইতে পারেন;
(আ) কারিগরী বিশেষ জ্ঞানসম্পন্ন এবং ক্রয়কার্যে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সুখ্যাত বিশেষজ্ঞগণ; এবং
(ই) ক্রয়কার্য ও চুক্তি ব্যবস্থ াপনার রীতিনীতি এবং অভিযোগ ও বিরোধ নিস্পত্তির বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সুখ্যাত বিশেষজ্ঞগণ, যাহারা ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রী কর্তৃক মনোনীত হইতে পারেন –
তবে শর্ত থাকে যে প্রজাতন্ত্রের চাকুরীতে কর্মরত কোন কর্মকর্তা রিভিউ প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হইতে পারিবে না।
(খ) তফসিল-২ অনুসারে বিশেষজ্ঞগণকে কতিপয় রিভিউ প্যানেলে শ্রেণীভুক্ত করিতে হইবে;
(গ) রিভিউ প্যানেল কমপক্ষে ৩(তিন) জন সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে এবং তাহাদের মধ্যে একজন চেয়ারপারসন হিসেবে মনোনীত হইবেন;
(ঘ) সিপিটিইউ, উহার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রীর পূর্বানুমোদনক্রমে যথোপযুক্ত শর্তে রিভিউ প্যানেলের সদস্য ও চেয়ারপারসন মনোনীত করিবেন;
(ঙ) রিভিউ প্যানেল, অভিযোগের প্রকৃতি বিবেচনায়, সিপিটিইউ কর্তৃক সংরক্ষিত তালিকা হইতে সর্বোচ্চ ২ (দুই) জন সদস্য কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে কো-অপট করিবার জন্য সিপিটিইউ কে অনুরোধ জানাইতে পারিবে।
(৩) রিভিউ প্যানেল ও বিশেষজ্ঞগণের তালিকা সিপিটিইউ সংরক্ষণ করিবে এবং উহা আগ্রহী ব্যক্তিদের প্রাপ্তিসাধ্য করিবে।
(৪) রিভিউ প্যানেলের কার্যপরিচালনা সহজতর করিবার বিষয়টি নিশ্চিত করিবার জন্য রিভিউ প্যানেলের প্রত্যেক সদস্যকে তফসিল-২ এ বর্ণিত আকারে উৎসাহ ভাতা বা সম্মানী প্রদানের সংস্থান রাখিতে হইবে।
(৫) সিপিটিইউ, রিভিউ প্যানেলের কার্যক্রম পরিচালনায় অনুসরণীয় একটি বিস্তারিত কার্যপদ্ধতি জারী করিবে।
(৬) সিপিটিইউ কোন অবস্থাতেই কোন অভিযোগ বা আপীল কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হইতে পারিবে না, তবে রিভিউ প্যানেলের দায়িত্ব ও কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় লজিষ্টিক সুবিধা প্রদান করিবে।
৫৯। আপীলের নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চুক্তি সম্পাদনের নোটিশ জারী করা হইতে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদানের ক্ষমতা।-
(১) সিপিটিইউ, তফসিল-২ এ উল্লিখিত নির্ধারিত নিবন্ধন ফী এবং নিরাপত্তা জামানতসহ কোন আপীল আবেদন প্রাপ্তির পর, তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে, পালাক্রমে একটি রিভিউ প্যানেল নির্বাচন করিয়া উহার নিকট উক্ত আপীল আবেদন নিস্পত্তির জন্য প্রেরণ করিবে এবং উক্ত বিষয়ে রিভিউ প্যানেলের সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত রিভিউ প্যানেল এর বিবেচনাধীন কোন ক্রয়কার্য বিষয়ে চুক্তি সম্পাদন করা হইতে বিরত থাকার জন্য ক্রয়কারীকে নির্দেশ প্রদান করিয়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব ও আবেদনকারীকে গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে পত্র মারফত অবহিত করিবে।
(২) ক্রয়কারী বা রিভিউ প্যানেলের নিকট কোন অভিযোগ বা আপীল বিবেচনাধীন থাকিলে উক্ত অভিযোগ বা আপীলের উপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত চুক্তি সম্পাদনের নোটিশ জারী করা যাইবে না, তবে অভিযোগ বিবেচনাধীন থাকাকালীন দরপত্র মূল্যায়ন ও উহার অনুমোদন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা যাইবে।
(৩) উপ-বিধি (১) এর অধীন চুক্তি সম্পাদনের নোটিশ জারী করা হইতে বিরত থাকার নির্দেশনা প্রদানের বিষয়টি প্রযোজ্য হইবে না যদি ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান, সংশ্লিষ্ট সচিব বা মন্ত্রীর অনুমোদন গ্রহণপূর্বক, এই মর্মে সার্টিফিকেট প্রদান করে যে জনস্বার্থ বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট ক্রয় কার্য পরিচালনা করা অপরিহার্য।
(৪) উপ-বিধি (৩) এর অধীন প্রদত্ত সনদপত্রে উক্ত ক্রয়কার্য পরিচালনার অপরিহার্যতা বিবেচনার ভিত্তি ক্রয় কার্যক্রমের রেকর্ডে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করিতে হইবে এবং উক্ত সনদপত্র বিচার বিভাগীয় পুনর্বিবেচনা ব্যতীত অভিযোগের সকল পর্যায়ে চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
(৫) কোন আপীল আবেদনের সহিত উপ-বিধি (১) এর অধীন নির্ধারিত নিবন্ধন ফিস এবং নিরাপত্তা জামানত জমা না দেওয়া হইলে, উক্ত কারণে আবেদনটি রিভিউ প্যানেলের নিকট উপস্থাপন করা যাইবে না মর্মে সিপিটিইউ সংশ্লিষ্ট আপীল আবেদনকারীকে অবহিত করিয়া ক্রয়কারীকে উহার অনুলিপি প্রদান করিবে।
(৬) নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার অব্যবহিত পরে রিভিউ প্যানেলের চেয়ারপারসন সিপিটিইউ কর্তৃক জারীকৃত কার্যপ্রণালী মোতাবেক উহার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিবে।
৬০। রিভিউ প্যানেল কর্তৃক আপীল নিস্পত্তি।-
(১) কোন আপীল আবেদন রিভিউ প্যানেলের সিদ্ধান্তের জন্য প্রেরণ করা হইলে এবং উক্ত আপীল যথাযথ নিরাপত্তা জামানত ও নিবন্ধন ফিসসহ দায়েরকৃত হইলে রিভিউ প্যানেল, উহার সিদ্ধান্ত প্রদানের সময় পর্যন্ত, চুক্তি সম্পাদনের নোটিশ জারী সংক্রান্ত স্থগিতাদেশ অব্যাহত রাখিতে ক্রয়কারীকে পরামর্শ দিবে।
(২) রিভিউ প্যানেল, তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে উহার লিখিত সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে এবং উক্ত সিদ্ধান্তের কপি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব, সিপিটিইউ এবং ক্রয়কারীকে প্রদান করিবে।
(৩) তুচ্ছ (frivolous) কারণে অভিযোগ দায়েরের কারণে উহা খারিজ এবং, ক্ষেত্রমত, নিরাপত্তা জামানত বাজেয়াপ্ত করার ক্ষেত্র ব্যতীত, আপীল নিস্পত্তির ক্ষেত্রে, রিভিউ প্যানেল নিম্নবর্ণিত যে কোন সিদ্ধান্ত স্বতন্ত্রভাবে বা সম্মিলিতভাবে প্রদান করিতে পারিবে, যথা –
(ক) কারণ উল্লেখপূর্বক আপীল আবেদন খারিজ করিয়া ক্রয়কারীকে ক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখার পরামর্শ প্রদান;
(খ) আপীল আবেদনে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়বস্তু নিস্পত্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধিবিধান ও নীতি ঊল্লেখপূর্বক উহার আওতায় অভিযোগকৃত বিষয় নিস্পত্তির জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পক্ষবৃন্দকে পরামর্শদান;
(গ) ক্রয়কারী কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ এই বিধিমালার পরিপন্থী হইলে উহার প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ প্রদান;
(ঘ) ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি কার্যকরণে গৃহীত ব্যবস্থা বা সিদ্ধান্ত ব্যতীত, ক্রয়কারী কর্তৃক বিধি-বিধানের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ নহে এইরূপ কোন কার্য বা সিদ্ধান্ত, সম্পূর্ণ বা আংশিক, বাতিলের সুপারিশ প্রদান;
(ঙ) ক্রয়কারী, এই বিধিমালার অধীন উহার বাধ্যবাধকতা প্রতিপালনে ব্যর্থ হইয়া থাকিলে, রিভিউ প্যানেল আপীল আবেদন দাখিলকারী ব্যক্তিকে দরপত্র দলিল প্রস্তুতকরণ ও আইন সংক্রান্ত ব্যয় এবং অভিযোগ দাখিল সংক্রান্ত অন্যান্য ব্যয় বাবদ ক্ষতিপূরণসহ বিধি ৫৭ (১২) (গ) এর অধীন প্রদত্ত নিরাপত্তা জামানত ফেরত প্রদানের সুপারিশ প্রদান; এবং
(চ) ক্রয় কার্যক্রম সমাপ্তির জন্য সুপারিশ প্রদান।
(৪) রিভিউ প্যানেলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে।
(৫) রিভিউ প্যানেলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ উক্ত সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
(৬) রিভিউ প্যানেলের সিদ্ধান্ত প্রদানের পর, অবিলম্বে আপীলে উত্থাপিত অভিযোগ ও প্রদত্ত সিদ্ধান্ত সর্বসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখিতে হইবে –
তবে শর্ত থাকে যে, নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে কোন তথ্য প্রকাশ করা যাইবে না, যদি উক্ত প্রকাশ-
(ক) কোন আইনের পরিপন্থী হয়;
(খ) কোন আইনের প্রয়োগকে বাধাগ্রস্ত করে;
(গ) জনস্বার্থের পরিপন্থী হয়;
(ঘ) পক্ষবৃন্দের আইনানুগ ব্যবসায়িক স্বার্থকে বিঘ্নিত করে; বা
(ঙ) ক্রয় কার্যের অবাধ প্রতিযোগিতাকে বাধাগ্রস্ত করে।
(৭) ক্রয়কারী বা রিভিউ প্যানেল কর্তৃক এই বিধির অধীন গৃহীত সিদ্ধান্ত, উহার সমর্থনে যৌক্তিকতা ও অনুষাঙ্গিক বিষয়াদি রেকর্ডের অংশ হইবে।
৪র্থ অধ্যায়ঃ পণ্য, কার্য ও ভৌত সেবার ক্রয় পদ্ধতি (বিধি ৬১-৮৯)
চতূর্থ অধ্যায়: পণ্য, কার্য ও ভৌত সেবার ক্রয় পদ্ধতি (বিধি ৬১-৮৯)
এখানে কয়েকটি বিধি নিয়ে আলোচনা করা হলো। তবে পাঠকদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এই “প্রকিউরমেন্টবিডি” তে উল্লেখিত আইন বা বিধির কোন ধারা বা বিধিমালার কোন বিষয় যাচাই ব্যতীত ব্যবহার না করার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে। এখানে ব্যবহৃত যে কোন ধারা বা বিধি শুধু মাত্র বিভিন্ন আলোচনা ও সংশ্লিষ্ট প্রেক্ষাপট বোধগম্য করার জন্য উল্লেখ করা হয়েছে। বাস্তবিক প্রয়োজনে সিপিটিইউ এর ওয়েব-সাইটে সংযুক্ত আইন বা বিধিমালা থেকে তা ব্যবহার করতে হবে।
অংশ-১: অভ্যন্তরীণ ক্রয় – উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি
৬১। পণ্য, কার্য, ইত্যাদি ক্রয়ের ক্ষেত্রে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির প্রয়োগ।-
(১) বিশেষ পরিস্থিতিতে নির্দিষ্ট কোন ক্রয়ের ক্ষেত্রে অথবা মূল্য-সীমার পরিপ্রেক্ষিতে অন্যান্য ক্রয় পদ্ধতির কোন একটি পদ্ধতির ব্যবহার অধিকতর যুক্তিযুক্ত না হইলে, পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা, কার্য বা ভৌত সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে অগ্রে বিবেচ্য পদ্ধতি হিসাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগ করিতে হইবে।
(২) বিধি ৯০ এর অধীন বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে সকল যোগ্য দরপত্রদাতার নিকট হইতে দরপত্র আহবান করিতে হইবে।
(৩) সরকারী মালিকানাধীন কারখানা বা প্রতিষ্ঠানসমূহ আইনত এবং আর্থিকভাবে স্বশাসিত হিসাবে প্রমাণ করিতে সক্ষম হইলে উহারাও সরকারী দরপত্র প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করিতে পারিবে।
(৪) বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখে দরপত্র দলিল বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত ও প্রাপ্তিসাধ্য থাকা সাপেক্ষে, পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা, কার্য বা ভৌত সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে দরপত্রদাতাগণকে দরপত্র প্রণয়ন ও দাখিলের জন্য প্রদেয় সময় তফসিল-২ এ বর্ণিত ন্যূনতম সময়ের কম হইবে না।
(৫) রাষ্ট্রীয় জরুরী প্রয়োজনে ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকার, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশক্রমে, ক্রয় প্রক্রিয়ার সময় হ্রাস করিতে পারিবে।
(৬) বিধি ৯১, ৯২ এবং ৯৩ তে উল্লিখিত বিধান অনুযায়ী আবেদনকারীদের প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণ করা হইয়া থাকিলে, সেই ক্ষেত্রে ক্রয়কারী শুধু প্রাক-যোগ্য আবেদনকারীদের মধ্যে দরপত্র দলিল বিতরণ সীমিত রাখিবে।
(৭) উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির অধীন পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা এবং কার্য ও ভৌত সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে তফসিল-৩ এর অংশ-খ ও অংশ-খখ অংশে প্রদত্ত ফ্লো-চার্ট এ উল্লিখিত প্রক্রিয়া এবং কার্যক্রম অনুসরণীয় হইবে।
৬২। পণ্য, কার্য, ইত্যাদি ক্রয়ের ক্ষেত্রে অন্যান্য ক্রয় পদ্ধতির প্রয়োগ।-
(১) ক্রয়কারী, পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা, কার্য ও ভৌত সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে, উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির স্থলে অন্য কোন ক্রয় পদ্ধতি যথা, সীমিত দরপত্র পদ্ধতি, সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি, দুই পর্যায় বিশিষ্ট দরপত্র পদ্ধতি, একধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতি এবং কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপন পদ্ধতি ব্যবহার করিতে পারিবে –
তবে শর্ত থাকে যে, উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি ব্যতীত এই বিধিমালায় বর্ণিত শর্তসমূহ প্রতিপালনপূর্বক অন্য কোন ক্রয় পদ্ধতি নির্বাচনের কারণ ও যৌক্তিকতা রেকর্ডভুক্ত করিতে হইবে।
(২) সীমিত দরপত্র-পদ্ধতি, দুই পর্যায় বিশিষ্ট দরপত্র পদ্ধতি, এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতি, কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপন পদ্ধতি এবং সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির অধীন পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা এবং কার্য ও ভৌত সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে যথাক্রমে তফসিল-৩ এর গ, ঘ, ঘঘ, ঙ এবং চ অংশে প্রদত্ত ফ্লো-চার্ট এ উল্লিখিত প্রক্রিয়া এবং কার্যক্রম অনুসরণীয় হইবে।
(২) সীমিত দরপত্র পদ্ধতি, দুই পর্যায় বিশিষ্ট দরপত্র পদ্ধতি, কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপন পদ্ধতি এবং সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির অধীন পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা এবং কার্য ও ভৌত সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে যথাক্রমে তফসিল ৩ এর গ, ঘ, ঙ এবং চ অংশে প্রদত্ত ফ্লো-চার্ট এ উল্লিখিত প্রক্রিয়া এবং কার্যক্রম অনুসরণীয় হইবে।
অংশ-২: অভ্যন্তরীণ ক্রয় – সীমিত দরপত্র পদ্ধতি
৬৩। সীমিত দরপত্র পদ্ধতির প্রয়োগ।-
(১) নিম্নবর্ণিত পরিস্থিতিতে ক্রয়কারী সীমিত দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগ করিয়া ক্রয়কার্য সম্পন্ন করিতে পারিবে, যথা –
(ক) যে সকল ক্ষেত্রে পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা এবং কার্য ও ভৌত সেবা তাহাদের বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে কেবল সীমিত সংখ্যক যোগ্যতাসম্পন্ন সম্ভাব্য সরবরাহকারী বা ঠিকাদারের নিকট হইতে প্রাপ্তিসাধ্য (যথা- বিমান, রেল ইঞ্জিন, বিশেষায়িত চিকিৎসা সরঞ্জাম, গর্ভনিরোধক সামগ্রী, টেলি-যোগাযোগ সরঞ্জামাদি, খাদ্য-গুদাম,বন্দর, পোতাশ্রয়, ইত্যাদি); বা
(খ) জরুরী প্রয়োজনে পণ্য, কার্য বা সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে উন্মুক্ত অভ্যন্তরীণ অথবা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র প্রক্রিয়া গ্রহণ বাস্তবসম্মত নহে বলিয়া প্রতীয়মান হইলে; বা
(গ) যে পরিস্থিতির কারণে উপ-দফা (খ) এ বর্ণিত জরুরী অবস্থার উদ্ভব হইয়াছে,ক্রয়কারী কর্তৃক উহার পূর্বানুমান সম্ভব ছিল না অথবা ক্রয়কারীর দীর্ঘসূত্রতার কারণেও তাহা সূচিত হয় নাই; বা
(ঘ) যে সকল ক্ষেত্রে রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় হ্রাস এবং খুচরা যন্ত্রাংশের মজুদ সীমিতকরণের লক্ষ্যে সরকার নির্দিষ্ট কতিপয় ব্র্যান্ডের (যথা-কম্পিউটার , গবেষণাগারের যন্ত্রপাতি, গবেষণার যন্ত্রপাতি ইত্যাদি) প্রমিতকরণ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রবর্তন করিয়াছে।
(২) উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির মাধ্যমে ক্রয়ে আবশ্যক সময় এবং প্রশাসনিক ব্যয় ক্রয়ের জন্য নির্ধারিত পণ্য বা কার্যের মূল্যের তুলনায় অধিক হইলে, ক্রয়কারী, তফসিল-২ এ বর্ণিত মূল্যসীমা সাপেক্ষে, তালিকাভুক্ত সরবরাহকারী বা ঠিকাদারদের নিকট হইতে দরপত্র আহবান করিতে পারিবে।
(৩) মূল্যায়িত সর্বনিন্ম দর যদি উপ-বিধি (২) এ বর্ণিত মূল্যসীমার অধিক হয়, তাহা হইলে পরবর্তী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে উক্ত ক্ষেত্রে চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে।
(৪) সীমিত দরপত্র পদ্ধতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পূর্বানুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে।
(৫) এই পদ্ধতির অধীন দরপত্র জামানত প্রদান ও অনুমিত রক্ষণযোগ্য অর্থ বাধ্যতামূলক করা যাইবে না, তবে তফসিল-২ এ বিধি ২৭(১) এর বিপরীতে বর্ণিত হারে কার্যসম্পাদন জামানত গ্রহণ করিতে হইবে;
(১) নিম্নবর্ণিত পরিস্থিতিতে ক্রয়কারী সীমিত দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগ করিয়া ক্রয়কার্য সম্পন্ন করিতে পারিবে, যথা:-
(ক) যে সকল ক্ষেত্রে পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা এবং কার্য ও ভৌত সেবা তাহাদের বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে কেবল সীমিত সংখ্যক যোগ্যতা সম্পন্ন সম্ভাব্য সরবরাহকারী বা ঠিকাদারেরর নিকট হইতে প্রাপ্তিসাধ্য (যথা-বিমান, রেল ইঞ্জিন, বিশেষায়িত চিকিৎসা সরঞ্জাম, গর্ভনিরোধক সামগ্রী, টেলি-যোগাযোগ সরঞ্জামাদি, খাদ্য-গুদাম, বন্দর,পোতাশ্রয়, ইত্যাদি); বা
(খ) জরুরী প্রয়োজনে পণ্য, কার্য বা সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে উন্মুক্ত অভ্যন্তরীণ অথবা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র প্রক্রিয়া গ্রহণ বাস্তবসম্মত নহে বলিয়া প্রতীয়মান হইলে:
তবে শর্ত থাকে যে, যে পরিস্থিতির কারণে বর্ণিত জরুরী অবস্থার উদ্ভব হইয়াছে, ক্রয়কারী কর্তৃক উহার পূর্বানুমান করা সম্ভব ছিল না অথবা ক্রয়কারীর দীর্ঘসূত্রতার কারণেও উহা সূচিত হয় নাই; বা
(গ) যে সকল ক্ষেত্রে রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় হ্রাস এবং খুচরা যন্ত্রাংশের মজুদ সীমিতকরণের লক্ষ্যে সরকার নির্দিষ্ট কতিপয় ব্রান্ডের (যথা-কম্পিউটার, গবেষণাগারের যন্ত্রপাতি, গবেষণা যন্ত্রপাতি, ইত্যাদি) প্রমিতকরণ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রবর্তন করিয়াছে; বা
(ঘ) দরপত্র প্রক্রিয়ায়াকরণে আবশ্যক সময় এবং ব্যয় ক্রয়ের জন্য নির্ধারিত পণ্য বা কার্যের সম্ভাব্য চুক্তি মূল্যের তুলনায় অসমঞ্জস হইলে, ক্রয়কারী, তফসিল-২ এ বর্ণিত মূল ̈সীমা সাপেক্ষে, তালিকাভুক্ত সরবরাহকারী বা ঠিকাদারদের নিকট হইতে দরপত্র আহবান করিতে পারিবে।
(২) মূল্যায়িত সর্বনিম্ন দর যদি উপ-বিধি ১ এর দফা (ঘ) এ বর্ণিত মূল্যসীমার অধিক হয়, তাহা হইলে পরবর্তী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে উক্ত ক্ষেত্রে চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে
(৩) সীমিত দরপত্র পদ্ধতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পূর্বানুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে।
(৪) বর্ণিত পদ্ধতির অধীন দরপত্র জামানত প্রদান ও অনুমিত রক্ষণযোগ্য অর্থ বাধ্যতামূলক করা যাইবে না, তবে তফসিল-২ এ বিধি ২৭ (১) এর বিপরীতে বর্ণিত হারে কার্যসম্পাদন জামানত গ্রহণ করিতে হইবে।
৬৪। সীমিত দরপত্র ক্রয় পদ্ধতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় কার্যপ্রণালী।-
(১) বিশেষায়িত পণ্য এবং সংশ্লিষ্ট সেবা এবং কার্য ও ভৌত সেবা ক্রয়ের প্রয়োজনে ক্রয়কারী যদি সরবরাহকারীর সরবরাহকারীর বা ঠিকাদারের বা ঠিকাদারেরসংখ্যাল্পতা সম্পর্কে অবহিত থাকে, তাহা হইলে সরাসরি সম্ভাব্য সরবরাহকারীদের সরবরাহকারীর বা ঠিকাদারের নিকট হইতে দরপত্র আহবান করিতে পারিবে।
(২) বিধি ৫২ এর অধীন ক্রয়কারী কর্তৃক সম্ভাব্য সরবরাহকারী অথবা ঠিকাদারদের হালনাগাদকৃত তালিকা সংরক্ষণ করা হইলে, সেই ক্ষেত্রে বিধি ৬৩(২) বিধি ৬৩ এর উপ-বিধি (১) এর দফা (ঘ) এর অধীন ক্রয়ের ক্ষেত্রে উক্ত তালিকাভুক্ত সরবরাহকারী বা ঠিকাদারদের নিকট হইতে দরপত্র আহ্বান করা যাইতে পারে।
(৩) উপ-বিধি (২) এর আওতায় দরপত্র আহ্বান ছাড়াও প্রতিযোগিতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্রয়কারীর ওয়েবসাইটে, যদি থাকে এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, স্থানীয় পত্রিকাতেও সংক্ষিপ্ত আকারে যুগপৎ বিজ্ঞাপন প্রদান বাঞ্ছনীয় হইবে, যদি এইরূপ বিজ্ঞাপনের কারণে এই ক্রয় পদ্ধতি প্রয়োগের উদ্দেশ্য অর্থাৎ সময় ও অর্থ সাশ্রয়ের উদ্দেশ্য ব্যাহত না হয়।
(৪) সম্ভাব্য সরবরাহকারী বা ঠিকাদারগণের হালনাগাদকৃত তালিকা সংরক্ষণ করে না, এমন ক্রয়কারী অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্রয়কারী কর্তৃক সংরক্ষিত অথবা এতদুদ্দেশ্যে সিপিটিইউ এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সরবরাহকারী ও ঠিকাদারগণের তালিকা ব্যবহার করিতে পারিবে।
(৫) দরপত্র দাখিলের জন্য প্রদেয় সময় তফসিল-২ অনুযায়ী নির্ধারিত হইবে।
(৬) বিধি ৬৩(২) বিধি ৬৩ এর উপ-বিধি (১) এর দফা (ঘ) এর অধীন কার্যক্রেমের ক্ষেত্রে Activity Schedule এর ভিত্তিতে প্রণীত Lump-sum দরপত্র দলিল ব্যবহার করা যাইবে।
অংশ-৩: অভ্যন্তরীণ ক্রয় – দুই পর্যায় বিশিষ্ট দরপত্র পদ্ধতি
৬৫। দুই পর্যায় বিশিষ্ট দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগের শর্ত।-
(১) ক্রয়কারী, টার্ন-কী চুক্তি বা বৃহদাকার জটিল প্রকৃতির প্লান্ট স্থাপন সংক্রান্ত চুক্তির (যথা-প্রক্রিয়াকরণ স্থাপনা সরবরাহ, স্থাপন এবং চালুকরণ, বা জটিল প্রকৃতির কার্য বা যোগাযোগ প্রযুক্তি সংক্রান্ত চুক্তি ইত্যাদি) ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করিতে পারিবে।
(২) দুই পর্যায় বিশিষ্ট ক্রয়পদ্ধতিতে ক্রয়ের ক্ষেত্রে, জটিল বলিতে যে সকল ক্রয়ের ক্ষেত্রে, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির কারণে পূর্ব হইতেই পূর্ণাঙ্গ কারিগরী বিনির্দেশ নির্ধারণ করা ক্রয়কারীর সর্বোত্তম স্বার্থের অনুকূল নাও হইতে পারে বা বিকল্প কারিগরী সমাধান বিদ্যমান থাকার সম্ভাবনা থাকা সত্বেও, ক্রয়কারী তদ্বিষয়ে ওয়াকিবহাল না থাকায় পূর্ণাংগ কারিগরী বিনির্দেশ প্রণয়নে ক্রয়কারীর সক্ষমতার অভাব রহিয়াছে তাহা বুঝাইবে।
৬৬। দুই পর্যায় বিশিষ্ট দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় কার্যপ্রণালী।-
(১) প্রথম পর্যায়ে ক্রয়কারী মূল্য উল্লেখব্যতিরেকে একটি ধারণাগত ডিজাইনের রূপরেখা সম্বলিত কারিগরী প্রস্তাব দাখিলের আহ্বান জানাইয়া বিজ্ঞাপন প্রকাশ করিবে এবং উক্ত ধারণাগত ডিজাইনে সম্ভাব্য দরপত্রদাতাগণের জন্য মৌলিক কারিগরী তথ্য (যথা-প্রত্যাশিত কার্য-সম্পাদনের উৎপাদন ক্ষমতা সংক্রান্ত শর্ত, কারিগরী বিনির্দেশের রূপরেখা ও ক্রয়ের জন্য নির্ধারিত বিষয়ের বাহ্যিক চিত্র, পরিচালনা ও আর্থিক বিষয়াদি ইত্যাদি) সবিস্তারে উল্লেখ থাকিবে।
(২) উপ-বিধি (১) এর অধীন বিজ্ঞাপনে কারিগরী প্রস্তাবের গ্রহণযোগ্যতা নির্ধারণের মানদণ্ডের উল্লেখ করিতে হইবে, যাহার মধ্যে নিম্নবর্ণিত বিষয়েরও উল্লেখথাকিবে-
(ক) দরপত্রদাতার ব্যবস্থাপনাগত এবং কারিগরী যোগ্যতা; এবং
(খ) সংশ্লিষ্ট ক্রয়কারীর ক্রয়ের চাহিদা পূরণে দরপত্রদাতা কর্তৃক দাখিলকৃত কারিগরী প্রস্তাবের কার্যকারিতা এবং ভবিষ্যৎ অভিযোজ্যতা (adaptability)।
(৩) প্রথম পর্যায়ে দরপত্রদাতাগণ কর্তৃক দরপত্রের সহিত কোন দরপত্র জামানত দাখিলের প্রয়োজন হইবে না
(৪) কারিগরী প্রস্তাব আহবানের পরিপ্রেক্ষিতে, দরপত্রদাতাগণ ক্রয়কারীর চাহিদার শর্ত যথাযথভাবে পূরণে পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা এবং কার্য ও ভৌত সেবার কারিগরী মান, গুণাবলী, এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য উল্লেখপূর্বক কারিগরী প্রস্তাব দাখিল করিবে, এবং চুক্তি সম্পাদন ব্যবস্থাপনায় সহায়ক শর্তাবলী সম্পর্কে তাহাদের মতামত ব্যক্ত করিবে।
(৫) প্রথম পর্যায়ে কারিগরী প্রস্তাব দাখিলের জন্য তফসিল-২ এ বর্ণিত ন্যূনতম সময় প্রদান করিতে হইবে।
৬৭। দুই পর্যায় বিশিষ্ট দরপত্র পদ্ধতিতে প্রথম পর্যায়ের মূল্যায়ন।-
(১) মূল্যায়ন কমিটি প্রাপ্ত সকল কারিগরী প্রস্তাব মূল্যায়ন করিবে এবং বিধি ৬৫ এর অধীন ক্রয়ের জটিল প্রকৃতি বিবেচনায়, ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে সংশ্লিষ্ট দরপত্র মূল্যায়নে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি কারিগরী সাব-কমিটি, অথবা উপকার ভোগী বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ক্রয়ের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট জ্ঞানের অধিকারী কারিগরী বিশেষজ্ঞগণের সহায়তা গ্রহণ করিতে পারিবে।
(২) দরপত্রের শর্ত মোতাবেক দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি দরপত্রের নির্ধারিত শর্তের আলোকে গ্রহণযোগ্য দরপত্র চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যে দরপত্রসমূহ পর্যালোচনা করিবে, তবে অন্য যে সমস্ত দরপত্র গ্রহণযোগ্য হইবে না, সেই সকল দরপত্র পরবর্তীতে বিবেচনাযোগ্য হইবে না।
(৩) দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি প্রয়োজনে সকল দরপত্রদাতাগণের সহিত দরপত্র মূল্য ব্যতীত, প্রস্তাবিত অন্য যে কোন বিষয়ে পৃথকভাবে এবং গোপনীয়তার সহিত আলোচনা করিবে এবং প্রত্যেক দরপত্রদাতা দরপত্রের গোপনীয়তা রক্ষা করিবে এবং অন্য কোন দরপত্রদাতার নিকট কোন গোপনীয় তথ্য বা পরিকল্পনা প্রকাশ করিবে না।
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন আলোচনান্তে মূল্যায়ন কমিটি প্রত্যেক গ্রহণযোগ্য দরপত্রদাতার বরাবরে উহার কারিগরী প্রস্তাবে আবশ্যকীয় পরিবর্তনের রূপরেখা সম্বলিত দরপত্র সমন্বয় সংক্রান্ত কার্যবিবরণী প্রেরণ করিবে, যাহা দ্বিতীয় পর্যায়ের দরপত্রে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে ক্রয়কারী সম্মত হইয়াছে।
(৫) মূল্যায়ন কমিটির সকল সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট দরপত্রদাতাগণ কর্তৃক স্বাক্ষরিত খসড়া দরপত্র সমন্বয় সংক্রান্ত কার্যবিবরণীসহ মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোদনের জন্য ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের নিকট তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে দাখিল করিতে হইবে।
(৬) অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ মূল্যায়ন প্রতিবেদনের কোন বিষয়ে একমত পোষণ না করিলে বিষয়টি সম্পর্কে বিধি ১১ এর বিধান মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে।
৬৮। দুই পর্যায় বিশিষ্ট পদ্ধতিতে দ্বিতীয় পর্যায়ের মূল্যায়নে অনুসরণীয় কার্যপ্রণালী।-
(১) দ্বিতীয় পর্যায়ের কার্যধারা শুরু করিবার পূর্বে, ক্রয়কারী সম্মত নূতন কারিগরী পরিধির আলোকে দরপত্র সংশোধনপূর্বক দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য দরপত্র মূল্যায়নের নির্ণায়কসমূহ স্থির করিবে।
(২) স্বচ্ছতা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তির অধিকার (Intellectual property rights) সহিত সংগতি রক্ষাকল্পে, দ্বিতীয় পর্যায়ে দরপত্র দলিল সংশোধনের সময়, প্রথম পর্যায়ে প্রদত্ত দরপত্রদাতাদের কারিগরী প্রস্তাবের গোপনীয়তা রক্ষা করিতে হইবে।
(৩) প্রথম পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য সকল দরপত্রদাতাকে দ্বিতীয় পর্যায়ের দরপত্র দলিল ও দরপত্র সমন্বয় সংক্রান্ত প্রতিটি কার্যবিবরণীর শর্তানুসারে, তফসিল-২ এ বর্ণিত ন্যূনতম সময় প্রদান পূর্বক মূল্য সম্বলিত সর্বোত্তম ও চূড়ান্ত দরপত্র (‘best and final’ tenders) দাখিলের জন্য আহ্বান জানাইতে হইবে।
(৪) দ্বিতীয় পর্যায়ের দরপত্র প্রক্রিয়ায় দরপত্র দাখিল, উন্মুক্তকরণ, মূল্যায়ন এবং চুক্তি সম্পাদন প্রক্রিয়া উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় প্রক্রিয়ার অনুরূপ হইবে।
অংশ-৩ক: অভ্যন্তরীণ ক্রয় ও এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতি
৬৮ক। এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগের শর্ত।-
(১) টার্ন-কী চুক্তি বা বৃহদাকার প্লান্ট স্থাপন সংক্রান্ত চুক্তির (যথা-প্রক্রিয়াকরণ স্থাপনা সরবরাহ, স্থাপন এবং চালুকরণ, বা বৃহদাকার কার্য বা যোগাযোগ প্রযুক্তি সংক্রান্ত চুক্তি ইত্যাদি) ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ কারিগরি বিনির্দেশ, কার্যের হিসাব সম্বলিত বিবরণ (Bill of Quantities) বা আবশ্যকীয় পণ্যের সরবরাহ সম্বলিত বিবরণ (Schedule of Requirement), ডিজাইন ইত্যাদিসহ পূর্ণাঙ্গ দরপত্র দলিল প্রণয়ন করিতে ক্রয়কারী সক্ষম হইলে, তিনি ধারা ৩২ এর উপর উপ-ধারা (১) এবং দফা (গগ) এর বিধান অনুসারে এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগ করিতে পারিবেন।
(২) এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পূর্বানুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে।
৬৮খ। এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় কার্যপ্রণালী।-
(১) ক্রয়কারী প্রত্যেক দরদাতাকে কারিগরি এবং আর্থিক প্রস্তাব যথাযথভাবে বিহ্নিত পৃথক পৃথক দুইটি খামে সীলগালা করিয়া অন্য একটি বহিঃস্থ খামে স্থাপন ও উক্ত বহিঃস্থ খাম পুনরায় সীলগালা করিয়া দরপত্র জমাদানের আহ্বান জানাইয়া বিজ্ঞাপন প্রকাশ করিবে।
(২) দরপত্রদাতাকে কারিগরি প্রস্তাবের সহিত বিজ্ঞাপনে বর্ণিত স্থির অংকে (rounded fixed amount) দরপত্র জামানত দাখিল করিবার জন্য আহ্বান জানাইতে হইবে।
(৩) বিধি ৬১ এর উপ-বিধি (৪) এর অধীনে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির জন্য প্রদেয় সময় এই বিধির অধীনে আলোচ্য দরপত্র পদ্ধতির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।
৬৮গ। এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে কারিগরি প্রস্তাব উন্মুক্তকরণ ও মূল্যায়ন।-
(১) উন্মুক্তকরণ কমিটি বিধি ৯৭ প্রতিপালনপূর্বক প্রথমে শুধুমাত্র কারিগরি প্রস্তাব দরপত্র দলিলে উল্লিখিত স্থানে ও সময়ে উন্মুক্ত করিবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত বিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কারিগরি প্রস্তাব উন্মুক্তকরণের সময় উক্ত বিধির উপ-বিধি (৪) এর দফা (চ) এর উপ-দফা (ই), (ঈ) ও উপ-বিধি (৫) এবং তফসিল-৪ এর অংশ এর serial no. (15), (16) ও (24) প্রযোজ্য হইবে না।
(২) কারিগরি প্রস্তাব গৃহীত ও উন্মুক্ত করিবার পর কোন অবস্থাতেই কারিগরি প্রস্তাব সংশোধন বা পরিবর্তন করা যাইবে না।
(৩) বিধি ৯৮ অনুযায়ী দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি দরপত্র দলিলে উল্লিখিত শর্ত, কারিগরি যোগ্যতা ও নির্ণায়কসমূহের আলোকে কৃতকার্যতা বা অকৃতকার্যতার (pass or fail) ভিত্তিতে কারিগরি প্রস্তাবসমূহ মূল্যায়ন করিবে।
(৪) দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি প্রতটি দরদাতার কারিগরি প্রস্তাব কারিগরি যাগ্যতার শর্তসমূহ পূরণ করে কি না উহা নিরূপণ করিবে এবং কারিগরি যোগ্যতার শর্তসমূহ পূরণ না করিলে উক্ত দরপত্র নন-রেসপনসিভ বলিয়া বিবেচিত হইবে।
(৫) কারিগরি প্রস্তাবসমূহের মূল্যায়ন সমাপ্ত হইবার পর উক্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদন ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক অনুমোদিত হইতে হইবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ অনুমোদিত না হওয়া পর্যন্ত আর্থিক প্রস্তাবসমূহ ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি একটি নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করিবে।
৬৮ঘ। এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে আর্থিক প্রস্তাব উন্মুক্ত ও মূল্যায়ন।-
(১) ক্রয়কারী কার্যালয়ের প্রধান বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক কারিগরি মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোদনের পর ক্রয়াকারী কারিগরি মূল্যায়নে কৃতকার্য দরদাতাদেরকে আর্থিক প্রস্তাব উন্মুক্তকরণ স্থান, তারিখ ও সময় জানাইয়া প্রকাশ্যে উন্মুক্তকরণ সভায় উপস্থিত থাকিবার জন্য লিভিতভাবে অনুরোধ করিবে।
(২) দরপত্র উন্মুক্তকরণ সভায় দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি কারিগরি মূল্যায়নে কৃতকার্য সকল দরদাতার আর্থিক প্রস্তাব বিধি ৯৭ অনুযায়ী উন্মুক্ত করিবে।
(৩) দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি বিধি ৯৮ অনুযায়ী আর্থিক প্রস্তাব মূল্যায়নপূর্বক সর্বনিম্ন মূল্যায়িত দরদাতা নির্বাচন করিবে।
(৪) ক্রয়কারী কৃতকার্য দরপত্রদাতার সহিত চুক্তি স্বাক্ষরের পর, কারিগরি প্রস্তাব মূল্যায়নের নন-রেসপনসিভ বিবেচিত দরপত্রদাতাদের নন-রেসপনসিভ হওয়ার বিষয়টি অবহিত করিবে এবং আর্থিক প্রস্তাব উন্মুক্ত করিয়া ফেরত দিবে।
অংশ-৪: অভ্যন্তরীণ ক্রয় – কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপন পদ্ধতি
৬৯। কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপন পদ্ধতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় কার্যপ্রণালী, শর্তাবলী, ইত্যাদি।-
(১) ক্রয়কারী বাজারে বিদ্যমান প্রমিত মানের স্বল্প মূল্যের সহজলভ্য পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা, এবং স্বল্পমূল্যের সাধারণ কার্য ও ভৌত সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে তফসিল-২ এ উন্নয়ন এবং রাজস্ব বাজেটের জন্য পৃথকভাবে নির্দিষ্টকৃত মূল্যসীমা অতিক্রম না করা সাপেক্ষে কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপন পদ্ধতি প্রয়োগ করিতে পারিবে।
(২) অপপ্রয়োগ রোধ নিশ্চিতকল্পে, ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপন পদ্ধতির প্রয়োগ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করিবেন এবং এই বিধিতে উল্লিখিত আইটেমসমূহের মধ্যেই যেন ক্রয় সীমিত থাকে তাহার নিশ্চয়তা বিধান করিবেন।
(৩) বিধি ১৬(৭) এর অধীন অনুমোদিত ক্রয় পরিকল্পনায় সংশ্লিষ্ট ক্রয়ের জন্য কোটেশন পদ্ধতি নির্ধারিত না থাকিলে, কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপন পদ্ধতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার লিখিত অনুমোদন আবশ্যক হইবে।
(৪) কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপন পদ্ধতি প্রয়োগের যথার্থতা নিরূপণে নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি বিবেচনা করিতে হইবে-
(ক) দরপত্র কার্যক্রমে অধিকতর প্রতিযোগিতা পরিহার বা কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপন পদ্ধতি প্রয়োগে ক্রয়ের জন্য সম্ভাব্য বৃহদাকার চুক্তিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে ভাগ করা যাইবে না;
(খ) কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপন পদ্ধতির মাধ্যমে কোন ক্রয়ের ক্ষেত্রে জটিল দলিলপত্র সম্পাদন বা সাধারণ দরপত্র পদ্ধতিতে ব্যবহৃত আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন হইবে না।
(৫) স্বল্প মূল্যের সাধারণ কার্য বা ভৌত সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে, নিম্নবর্ণিতভাবে কোটেশন দাখিলের অনুরোধ জ্ঞাপন করা যাইবে-
(ক) যুক্তিসঙ্গতভাবে সঠিক ক্রয়ের পরিমাণ প্রাক্কলন করা সম্ভব হইলে, একক হারের (unit rate) ভিত্তিতে দর উদ্ধৃতকরণ; বা
(খ) যুক্তিসঙ্গতভাবে ক্রয়ের পরিমাণ অগ্রিম নিরূপণ বা পূর্বানুমান করা সম্ভব না হইলে, ব্যয় ও পারিশ্রমিক (cost plus fee) একত্রে যোগ করিয়া মূল্য উদ্ধৃতকরণ; বা
(গ) স্বল্প মূল্যের কার্য বা ভৌত সেবা মূল্যের সঠিক প্রাক্কলন করা গেলে থোক মূল্য উদ্ধৃতকরণ।
(৬) ক্রয়কারী, রক্ষণাবেক্ষণ বা জরুরী মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য এবং সংশ্লিষ্ট সেবা ক্রয়ের নিমিত্তে নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপন পদ্ধতি প্রয়োগ করিতে পারিবে
(ক) তফসিল-২ এ বর্ণিত মূল্যসীমা অতিক্রম না করা সাপেক্ষে, জন-উপযোগমূলক সরকারী প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়ার্কসপের রক্ষণাবেক্ষণ বা জরুরী মেরামত কাজের জন্য (যথা- বাস, রেল ইঞ্জিন, মালবাহী বা যাত্রীবাহী রেল বগী, ফেরী, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বা স্থাপনা, টেলি-যোগাযোগ স্থাপনা, গ্যাস স্থাপনা, পানি স্থাপনা ইত্যাদি) ক্রয়কারী কর্তৃক কোন খুচরা যন্ত্রাংশ অথবা সংশ্লিষ্ট সেবা ক্রয়; বা
(খ) তফসিল-২ এ বর্ণিত মূল্যসীমা অতিক্রম না করা সাপেক্ষে, জাতীয় পতাকাবাহী বাহনের রক্ষণাবেক্ষণ ও জরুরী মেরামত কাজের জন্য পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা ক্রয়; বা
(গ) তফসিল-২ এ বর্ণিত মূল্যসীমা অতিক্রম না করা সাপেক্ষে, সরকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও উৎপাদন কারখানার (যথা- সার, রাসায়নিক, ই¯পাত ও প্রকৌশল, সিমেন্ট, পেট্রোলিয়াম, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ইত্যাদি) নিজস্ব ওয়ার্কসপে প্রক্রিয়াজাতকরণ ও উৎপাদন কারখানার রক্ষণাবেক্ষণ বা জরুরী মেরামত কাজের জন্য কোন খুচরা যন্ত্রাংশ বা সংশ্লিষ্ট সেবা ক্রয়।
৭০। কোটেশন পদ্ধতির ক্ষেত্রে আবশ্যক তথ্য, দলিলাদি, ইত্যাদি।-
(১) কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপন পত্রে, পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা বা স্বল্পমূল্যের সাধারণ কার্য বা ভৌত সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রয়কারীর সুনির্দিষ্ট প্রয়োজনের বিবরণ যেমন- মান, সংখ্যা অথবা পণ্যের পরিমাণ, ভৌত সেবার পরিসর এবং উহার মেয়াদ, সরবরাহ বা কার্য সম্পাদনের সময়, মূল্য পরিশোধের শর্তাবলী এবং বিশেষ প্রয়োজনীয় বিষয়াদিসহ পণ্যের চালান পদ্ধতি (Invoicing procedures) সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ এবং অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে।
(২) দরপত্রদাতাগণকে যোগ্যতার সমর্থনে বৈধ ট্রেড লাইসেন্স, আয়কর সনাক্তকরণ নম্বর (TIN), ভ্যাট নিবন্ধন নম্বর সংক্রান্ত দালিলিক প্রমাণাদি এবং আর্থিক স্বচ্ছলতার সমর্থনে ব্যাংকের সনদপত্র দাখিল করিবার জন্য অনুরোধ করা যাইবে।
(৩) দরপত্রদাতাগণকে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির ক্ষেত্রে যে পদ্ধতিতে মূল্য উদ্ধৃত করা হয়, সেই একই পদ্ধতিতে মূল্য বা দর উদ্ধৃত করিবার জন্য অনুরোধ জ্ঞাপন করিতে হইবে।
(৪) পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা বা স্বল্প মূল্যের সাধারণ কার্য বা ভৌত সেবা ক্রয়ের ধরন ও মূল্য বিবেচনায় কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপন পত্রে উহা যে নির্ণায়কের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হইবে উহার উল্লেখথাকিতে হইবে।
(৫) কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপন পদ্ধতির জন্য নির্ধারিত আদর্শ দলিল ব্যবহার করিবে।
(৬) কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপন পদ্ধতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে দরপত্র জামানত বা কার্যসম্পাদন জামানতের প্রয়োজন হইবে না ।
৭১। কোটেশন আহবানের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় কার্যপ্রণালী।-
(১) ক্রয়কারী পত্র, ফ্যাক্স বা ইলেকট্রনিক মেইলের মাধ্যমে সরবরাহকারীদের নিকট হইতে কোটেশন আহবান করিবে এবং উহাতে কোটেশন দাখিলের সর্বশেষ সময়সীমার উল্লেখ থাকিবে।
(২) কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপনের বিজ্ঞাপন পত্রিকায় প্রকাশের প্রয়োজন নাই, তবে ন্যূনতম প্রচারের লক্ষ্যে ক্রয়কারীর নোটিশ বোর্ডসহ উহার ওয়েবসাইটে, যদি থাকে, উক্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশ করিতে হইবে এবং ক্রয়কারীর নিকটবর্তী অন্য ক্রয়কারীর প্রশাসন শাখার নিকট, প্রচারের অনুরোধপূর্বক, প্রেরণ করিতে হইবে।
(৩) কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপন দলিলের জন্য কোন মূল্য আদায় করা যাইবে না।
(৪) তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমা সাপেক্ষে, কোটেশন দাখিলের জন্য প্রদত্ত সময় যথাসম্ভব কম বা যুক্তিসঙ্গত হইবে।
(৫) ক্রয়কারী সংশ্লিষ্ট পণ্য বা কার্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে উহার সুনির্দিষ্ট চাহিদা বিবেচনার পাশাপাশি দরপত্রদাতাগণের সুনাম এবং যোগ্যতা বিবেচনাপূর্বক সতর্কতার সঙ্গে দরপত্রদাতা নির্বাচন করিয়া কোটেশন দাখিলের আহ্বান জানাইবে।
(৬) ক্রয়কারী যথাসম্ভব সর্বোচ্চ সংখ্যক দরদাতার নিকট হইতে কোটেশন আহ্বান করিবে এবং দরপত্রদাতাগণ কর্র্তৃক উদ্ধৃত দরের প্রতিযোগিতামূলক ভিত্তি নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে কমপক্ষে ৩(তিন)টি রেসপনসিভ কোটেশন আবশ্যক হইবে।
(৭) সন্তোষজনক সংখ্যক গ্রহণযোগ্য কোটেশন না পাওয়ার ঝুঁকি হ্রাসের লক্ষ্যে, ক্রয়কারী সম্ভাব্য দরপত্রদাতাগণ কোটেশন দাখিল করিবে কি করিবে না সেই সম্পর্কে নিশ্চিত হইয়া, কোটেশন দাখিল করিবে না এইরূপ দরপত্রদাতাদের স্থলে অন্য দরপত্রদাতাগণকে কোটেশন দাখিলের অনুরোধ জ্ঞাপন করিবে।
(৮) যতক্ষণ পর্যন্ত সম্ভাব্য দরপত্রদাতাগণ উত্তমরূপে কার্য সম্পাদন এবং সাশ্রয়ী দর নিশ্চিত করে, ততক্ষণ পর্যন্ত সকল সম্ভাব্য দরপত্রদাতার প্রতি সম-আচরণ নিশ্চিত করা এবং সরবরাহের উৎস সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে ক্রয়কারী ইহা নিশ্চিত করিবে যে, একই দরপত্রদাতার নিকট হইতে সর্বদা কোটেশন আহ্বান করা হইবে না।
(৯) বাংলাদেশে বসবাসকারী এবং বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে নিবন্ধিত ব্যক্তিবর্গের মধ্যেই এবং বাংলাদেশেই একাধিক উৎস হইতে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে প্রাপ্তিসাধ্য এইরূপ পণ্য, স্থানীয়ভাবে বা বিদেশে উৎপাদিত পণ্য ক্রয়ের মধ্যে সাধারণত এই কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপন পদ্ধতি সীমিত থাকিবে।
৭২। কোটেশন দাখিল পদ্ধতি।-
(১) দরপত্রদাতা একটি সীলগালা করা খামের উপরি অংশে সুস্পষ্টভাবে “কোটেশন” শব্দটি লিপিবদ্ধ করিয়া, অথবা ফ্যাক্স বা ইলেকট্রনিক মেইলের মাধ্যমে কোটেশন দাখিল করিতে পারিবে।
(২) ক্রয়কারী বন্ধ খামে বা অন্যভাবে প্রাপ্ত সকল কোটেশন গ্রহণের সময় ও তারিখ ঊল্লেখপূর্বক সীলমোহর প্রদান করিয়া গ্রহণ করিবে এবং প্রাপ্ত কোটেশনসমূহ উন্মুক্ত না করিয়া নির্ধারিত তারিখে উহা মূল্যায়নের জন্য দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভাপতির নিকট প্রেরণ করিবে।
(৩) যদি ক্রয়কারী কোটেশন দাখিলের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কমপক্ষে ৩(তিন)টি গ্রহণযোগ্য কোটেশন প্রাপ্ত না হয়, তাহা হইলে অন্যান্য দরপত্রদাতা যাহাদের বরাবরে কোটেশন দাখিলের জন্য অনুরোধপত্র প্রেরণ করা হইয়াছিল, তাহারা কোটেশন দাখিলে আগ্রহী কিনা, এবং আগ্রহী হইলে কত শীঘ্র দাখিল করিতে পারিবে তাহা ক্রয়কারী যাচাই করিবে।
(৪) অতি জরুরী বলিয়া বিবেচিত না হইলে বা ইতোমধ্যে তিন বা ততোধিক কোটেশন প্রাপ্ত না হইলে, ক্রয়কারী অন্যান্য দরপত্রদাতাকে কোটেশন দাখিলের জন্য যুক্তিসঙ্গত অতিরিক্ত সময় প্রদান করিতে পারিবে, এবং উক্ত অতিরিক্ত সময় অতিক্রান্ত হইবার পর কমপক্ষে ৩(তিন)টি গ্রহণযোগ্য কোটেশন পাওয়া গেলে প্রাপ্ত কোটেশনসমূহ মূল্যায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
৭৩। কোটেশন মূল্যায়ন এবং ক্রয়াদেশ বা কার্যাদেশ প্রদান।-
(১) সীলগালা করা খামে বা অন্যভাবে প্রাপ্ত সকল কোটেশন উহা দাখিলের জন্য সর্বশেষ সময়সীমার পর ঐ তারিখেই দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি বিধি ৯৮ এর বিধান অনুসারে পরীক্ষা ও মূল্যায়ন করিবে।
(২) কোটেশন মূল্যায়নের ক্ষেত্রে, কোটেশন প্রদানের অনুরোধজ্ঞাপনপত্রে উল্লিখিত শর্তাদি পূরণ হইয়াছে কিনা শুধু তাহা পরীক্ষা করিতে হইবে এবং উক্তরূপে মূল্যায়িত সর্বনিন্ম কোটেশনদাতাকে কার্যাদেশ প্রদানের জন্য নির্বাচিত করিতে হইবে –
তবে শর্ত থাকে যে, বিশেষ পরিস্থিতিতে, কারিগরী, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক বিবেচনায় যুক্তিযুক্ত বলিয়া প্রতীয়মান হইলে, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি সর্বনিম্ন দর দাখিল করে নাই, এইরূপ কোন দরপত্রদাতাকে কার্যাদেশ প্রদানের জন্য সুপারিশ করিতে পারিবে।
(৩) বিলম্বে সরবরাহের কারণে ক্রয়কারী ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে দ্রুত সরবরাহ অথবা অবিলম্বে প্রাপ্যতার স্বার্থে সামান্য মাত্রায় উচ্চতর মূল্য যুক্তিযুক্ত বলিয়া বিবেচনা করা যাইবে
তবে শর্ত থাকে যে, দ্রুত সরবরাহের বিষয়টি অনুকূল বিবেচনা লাভ করিবে মর্মে কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপন পত্রে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করিতে হইবে।
(৪) ক্রয়াদেশ বা কার্যাদেশ প্রদানের সুপারিশ প্রণয়নের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক বিবেচনা বিচক্ষণতার সহিত প্রয়োগ করা হইয়াছে বলিয়া মূল্যায়ন প্রতিবেদন হইতে স্পষ্টভাবে প্রতিভাত হইতে হইবে।
(৫) পণ্যের ক্ষেত্রে কৃতকার্য দরপত্রদাতাকে ক্রয়াদেশ প্রেরণ করিতে হইবে এবং কার্য ও ভৌত সেবার ক্ষেত্রে চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের জন্য কৃতকার্য দরপত্রদাতাকে আমন্ত্রণ জানাইতে হইবে।
(৬) কৃতকার্য দরপত্রদাতা ক্রয়াদেশ বা কার্যাদেশ প্রাপ্তির বিষয়টি লিখিতভাবে ক্রয়কারী নিশ্চিত করিবে।
(৭) কমপক্ষে ৩ (তিন)টি গ্রহণযোগ্য কোটেশন না পাওয়া গেলে, ক্রয়কারী কোটেশনসমূহ বাতিল বা সরাসরি ক্রয়সহ অন্য কোন পদ্ধতি প্রয়োগ করিয়া সংশ্লিষ্ট ক্রয়কার্য সম্পাদনের সুপারিশ ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধানের নিকট পেশ করিবে।
(৮) সকল দরপত্রদাতার নামের তালিকা, মূল্যসহ প্রাপ্ত কোটেশনের তালিকা এবং মূল্যায়ন প্রতিবেদন বিধি ৪৩ অনুসারে ক্রয়কার্য পরিচালনা সংক্রান্ত রেকর্ডের অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে।
অংশ-৫: অভ্যন্তরীণ ক্রয় – সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি
৭৪। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি।-
(১) ক্রয়কারী দরপত্র প্রক্রিয়া বা অন্য কোন ক্রয় পদ্ধতি প্রয়োগ ব্যতিরেকে, সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি প্রয়োগ করিয়া একটি উৎস হইতে পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা, বা কার্য ও ভৌত সেবা ক্রয় করিতে পারিবে, তবে কোন অবস্থাতেই অবাধ প্রতিযোগিতা এড়াইবার বা কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি, সরবরাহকারী ও ঠিকাদারের প্রতি বৈষম্য সৃষ্টি বা আনুকূল্য প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা যাইবে না ।
(২) সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে অবাধ প্রতিযোগিতার সুফল পাওয়া যায় না বা স্বচ্ছতার অভাব থাকে বা অগ্রহণযোগ্য এবং প্রতারণামূলক তৎপরতাকে উৎসাহিত করা হইতে পারে বিধায় ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান এই পদ্ধতির প্রয়োগ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করিবেন।
(৩) এই বিধিমালায় বর্ণিত পরিস্থিতিতেই যেন এই পদ্ধতির প্রয়োগ সীমিত থাকে এবং ইহার কোন অপব্যবহার না হয়, তাহা নিশ্চিত করার জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক অনুমোদিত হইতে হইবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, বিধি ৮১ এবং বিধি-৮২ এ বর্ণিত ক্রয় পদ্ধতির ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ এবং বাজেট বিভাজন অনুমোদন সাপেক্ষে, ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুমোদন প্রয়োজন হইবে না।
(৪) ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে, কোন মূল চুক্তির ব্যাপ্তি মোতাবেক কাজ জরুরী ভিত্তিতে সমাপ্ত করা আবশ্যক হইলে, যে অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ মূল চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন প্রদান করিয়াছিল, উহার পরবর্তী উচ্চতর পর্যায়ের কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে তফসিল-২ এ বর্ণিত মূল্যসীমার ঊর্ধ্বের ভেরিয়েশন অর্ডার বা অতিরিক্ত কার্যাদেশ বা পুনরাবৃত্ত ক্রয়াদেশ অথবা অতিরিক্ত পণ্য সরবরাহের আদেশ প্রদান করা যাইবে।
ব্যাখ্যা – মূল অনুমোদনকারী কর্তৃ পক্ষ ক্রয়কারী হইলে, ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান, এবং ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান মূল অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ ও সচিব পর্যায়ের নিন্মে হইলে, মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব এবং অনুরূপভাবে পরবর্তী পর্যায়ের কর্তৃপক্ষ, তফসিল-২ এ বর্ণিত মূল্যসীমার ঊর্ধ্বের ভেরিয়েশন অর্ডার বা অতিরিক্ত কার্যাদেশ বা পুনরাবৃত্ত ক্রয়াদেশ অথবা অতিরিক্ত পণ্য সরবরাহের আদেশ অনুমোদন করিবে।
৭৫। সরাসরি ক্রয় চুক্তির ধরন।-
(১) প্রসঙ্গের পরিপন্থী না হওয়া সাপেক্ষে, নিুবর্র্ণিত যে কোন ক্ষেত্রে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি প্রয়োগ করা যাইতে পারে-
(ক) সরাসরি চুক্তি (direct contracting);
(খ) অতিরিক্ত সরবরাহ এবং পুনরাবৃত্ত ক্রয়াদেশ (additional deliveries and repeat orders);
(গ) ভেরিয়েশন অর্ডার (Variation orders);
(ঘ) অতিরিক্ত কার্যাদেশ (extra work order);
(ঙ) সরাসরি নগদ ক্রয় (direct cash purchase); বা
(চ) ফোর্স একাউন্ট (Force account).
(২) এই বিধি অনুসরণে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে ক্রয়কারী উহার প্রয়োজনীয়তা এবং মান, পরিমাণ, এবং সরবরাহের সময় ও শর্তাদির বিস্তারিত বর্ণনা প্রণয়ন করিবে।
(৩) ক্রয়কারী প্রথমে সরাসরি দরপত্রদাতার নিকট হইতে মূল্য সম্বলিত প্রস্তাব (priced offer) আহ্বান করিবে এবং পরবর্তীতে নির্বাচিত একমাত্র দরপত্রদাতার সহিত নিগোসিয়েশন করিতে পারিবে।
(৪) সরাসরি ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোন বিজ্ঞাপন প্রকাশের প্রয়োজন হইবে না।
(৫) সরাসরি ক্রয়ের ক্ষেত্রে দরপত্র জামানতের প্রয়োজন নাই, তবে সরবরাহকারী বা ঠিকাদারের নিকট হইতে, বিধি ২৭ এর উপ-বিধি (৯) এবং বিধি ৮১ ও ৮২ এর অধীন ক্রয়ের ক্ষেত্র ব্যতীত, কার্য সম্পাদন জামানত গ্রহণ করিতে হইবে।
(৬) বিধি ৮১ এবং ৮২ এর অধীন ক্রয় ব্যতিরেকে, নূতন চুক্তির ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের মধ্যে নূতন চুক্তি স্বাক্ষর করিতে হইবে এবং ভেরিয়েশন অর্ডার, অতিরিক্ত কার্যাদেশ, পুনরাবৃত্ত ক্রয়াদেশ বা অতিরিক্ত পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে মূল চুক্তির সংশোধন সম্বলিত সংশোধিত চুক্তি স্বাক্ষর করিতে হইবে।
৭৬। সরাসরি চুক্তির প্রয়োগ।-
(১) নিম্নবর্ণিত যে কোন শর্ত প্রতিপালন সাপেক্ষে, ক্রয়কারী কেবল একজন সরবরাহকারী বা ঠিকাদারকে দরপত্র দাখিলের জন্য আহ্বান জানাইতে পারিবে –
(ক) যদি পেটেন্ট, ব্যবসায়িক গোপনীয়তা এবং একক স্বত্বাধিকারের (copyrights) কারণে একই ধরনের পণ্য প্রস্তুতকরণে অন্যদেরকে নিবৃত্ত রাখা হয়, সেইক্ষেত্রে একক স্বত্বাধিকারভুক্ত পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা কেবলমাত্র একক স্বত্বাধিকারীর নিকট হইতেই ক্রয়ের ক্ষেত্রে; বা
(খ) কোন নির্দিষ্ট উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী বা পরিবেশকের প্রকল্পের কার্য সম্পাদনের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে চুক্তির শর্তানুযায়ী উক্ত উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী বা পরিবেশকের নিকট হইতে জটিল ধরনের প্লান্টের গুরুত্বপূর্ণ অংশসমূহ ক্রয় করিতে হইবে মর্মে কোন পূর্বশর্ত থাকিলে; বা
(গ) যে সকল পণ্য কোন একক ডিলার বা উৎপাদনকারী কর্তৃক বিক্রয় করা হয় এবং যাহার এমন কোন সাব-ডিলার নাই যাহারা নিম্নতর মূল্যে উক্ত পণ্য বিক্রয় করিতে পারে, বা অধিকতর সুবিধাজনক শর্তে উহার উপযুক্ত কোন বিকল্প পণ্য প্রাপ্তির সুযোগ নাই; বা
(ঘ) ক্রয়ের সময়ে বলবৎ যুক্তিসঙ্গত বাজারমূল্যে পচনশীল পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে (যেমন- তাজা ফল, সব্জী এবং অনুরূপ পণ্য); বা
(ঙ) ব্যতিক্রমী সুবিধাজনক শর্তে পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা ক্রয়, যদি উক্ত পণ্য অতি সাম্প্রতিক কালে উৎপাদিত, অব্যবহৃত এবং উৎপাদনকারীর গ্যারান্টিযুক্ত হয়; বা
(চ) কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকল্পে সরকার কর্র্তৃক নির্ধারিত মূল্যে কৃষকদের নিকট হইতে সরাসরি কৃষিপণ্য এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ক্রয় করা হইলে; বা
(ছ) বিশেষ ক্ষেত্রে সরকারি মালিকানাধীন শিল্প ও কারখানায় সংযোজিত ও উৎপাদিত পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা সরকারের নিজস্ব অর্থে ক্রয় করা হইলে;
ব্যাখ্যা: “সরকারি মালিকানাধীন শিল্প ও কারখানায় সংযোজিত ও উৎপাদিত পণ্য” বলিতে জাহাজে করিয়া ইতোমধ্যে অধিক পরিমাণে কোন বিভাজ্য পণ্য যেমন, খাদ্যশস্য, গম, চিনি, সার, ইত্যাদি বন্দরে আসিয়াছে, তাহা জরুরি প্যাকেটজাত করিবার লক্ষ্যে সরকারি মালিকানাধীন শিল্প ও কারখানা হইতে সরকারের নিজস্ব অর্থে বস্তা ক্রয়, সরকারি কারখানা হইতে যানবাহন বা যন্ত্রপাতি মেরামত, সরকারি কারখানার বিদ্যমান সরঞ্জামাদি অন্য সরকারি কারখানা হইতে মেরামত, ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৯/ ৩১ শে ভাদ্র ১৩১৬ তারিখে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত শিল্প/স্বস-৩/পার-১১/৮৮/২৫৫ নং প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কর্পোরেশন, রাষ্ট্রায়ত্ব শিল্প প্রতিষ্ঠান/কারখানা এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মধ্যে সাব-কন্ট্রাকটিং ব্যবস্থাধীনের মাধ্যমে লিংকেজ স্থাপনপূর্বক ধাতব, প্লাষ্টিক, চীনামাটি প্রভৃতি হইতে প্রস্তুত যন্ত্রপাতি/যন্ত্রাংশ সংগ্রহের জন্য প্রণীত বিধিমালা ও জাতীয় শিল্পনীতি, ২০১০ এর নীতি ১৫.৪ এর (খ) এর আলোকে প্রয়োজনীয় খুচরা যন্ত্রাংশ বা যন্ত্রপাতির চাহিদা দেশীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মাধ্যমে পূরণ, ইত্যাদিকে বুঝাইবে;
(জ) কোন সরকারী বা বিধিবদ্ধ সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত বিনির্দেশ অনুসারে স্থানীয় ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান হইতে কোন বিশেষায়িত পণ্য ক্রয় করা হইলে; বা
(ঝ) বিদ্যমান সরঞ্জামাদির খুচরা যন্ত্রাংশ ক্রয়ের ক্ষেত্রে, সরবরাহকারীর পরিবর্তনের ফলে যদি সংগৃহীতব্য বা প্রাপ্তব্য খুচরা যন্ত্রাংশ বা সেবা, বিদ্যমান স্থাপনা ও সরঞ্জামাদি, যন্ত্রাংশ বা সেবার ক্ষেত্রে প্রতিস্থাপনযোগ্য না হয়; বা
(ঞ) প্রাকৃতিক দুর্যোগ হইতে উদ্ভূত কোন জরুরী পরিস্থিতি বা অনুরূপ সংকট মোকাবেলায় তফসিল-২ এ বর্ণিত মূল্যসীমার মধ্যে পণ্য, কার্য এবং সেবা ক্রয় করা হইলে; বা
(ট) তফসিল-২ এ বর্ণিত মূল্যসীমা অতিক্রম না করা সাপেক্ষে, অতি জরুরী বা প্রয়োজনীয় পণ্য, কার্য এবং সেবা ক্রয় (যথা: ক্যাটারিং সেবা, অ্যামবুলেন্স সেবা, পরিবহণ সেবা, অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনা, মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণ কাজ, প্লামবিং সেবা, কাঠের কাজ সংক্রান্ত সেবা, স্থাপত্য সেবা, ইত্যাদি)।
(২) সরকার, আইনের ধারা ৬৮ অনুসারে, জরুরী প্রয়োজনে তফসিল-২ এ বিধি-৭৬(১) এর বিপরীতে বর্ণিত মূল্যসীমার ঊর্ধ্বের ক্রয়ের ক্ষেত্রে, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশক্রমে, সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি প্রয়োগ করিয়া ক্রয়কার্য সম্পন্ন করিতে পারিবে।
(৩) দারিদ্র্য নিরসনের লক্ষ্য সম্বলিত প্রকল্পের প্রকল্প দলিলে বা কর্মসূচীতে অথবা অন্য কোন অনুমোদিত প্রকল্প দলিল বা কর্মসূচীতে, সংস্থান থাকা সাপেক্ষে, প্রকল্পের বা কর্মসূচীর পরিচালন ম্যানুয়াল (Operation manual) অনুসরণক্রমে প্রকল্পের বা কর্মসূচীর সুবিধাভোগী সংগঠন, ভূমিহীন জনগোষ্ঠী অথবা গ্রামীণ সংগঠনের সহিত ক্রয়কারী সরাসরি চুক্তি সম্পাদন করিতে পারিবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, প্রকল্প বা কর্মসূচী বাস্তবায়ন কমিটি উক্ত ম্যানুয়াল অনুসরণে ক্ষুদ্র কার্য, আনুষঙ্গিক মালামাল অথবা সরাসরি শ্রম ক্রয় করিবে।
(৪) স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ (জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ) প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি, শ্রম চুক্তি সমিতি, স্কীম বাস্তবায়ন কমিটি বা অন্য কোন কমিটি, উহা যেই নামে অভিহিত করা হউক না কেন, এর মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক সময় সময় জারীকৃত নির্দেশিকায় বর্ণিত আর্থিক সীমা ও পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক কোন প্রকল্পের জন্য ক্ষুদ্র কার্য, পণ্য এবং সরাসরি শ্রম ক্রয় করিতে পারিবে।
(৫) ক্যাটারিং সার্ভিস, নিরাপত্তা সেবা, কুরিয়ার ডাক সেবা বা অনুরূপ অন্য কোন সেবার ন্যায় একক সেবাদানমূলক কাজ (stand alone service) সংক্রান্ত মূল ঠিকাদারের সহিত সম্পাদিত চুক্তি বৎসরভিত্তিক বা সীমিত কালের জন্য অনধিক দুইবারের জন্য বৃদ্ধি করা যাইবে, যদি প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে উক্ত ঠিকাদারকে মূল কার্যাদেশ প্রদান করা হইয়া থাকে।
(৫) ভৌত সেবা প্রদানকারীর সহিত সম্পাদিত চুক্তি, সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক, বৎসরভিত্তিক বা তদপেক্ষা সল্পতর সময়ের জন্য বৃদ্ধি করা যাইবে, যদি প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে উক্ত সেবা প্রদানকারীকে কার্যাদেশ প্রদান করা হইয়া থাকে এবং ইতঃপূর্বেকার চুক্তি অনুযায়ী প্রদত্ত সেবা সন্তোষজনকভাবে প্রতিপালিত হয়।;
৭৭। পণ্যের অতিরিক্ত সরবরাহ এবং পুনরাবৃত্ত ক্রয়াদেশ।-
(১) মূল সরবরাহকারী বা ঠিকাদারকে সমধর্মী পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবার অতিরিক্ত সরবরাহের আদেশ, অথবা পণ্য বা কার্যের পুনরাবৃত্ত ক্রয়াদেশ প্রদানের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত সকল শর্ত প্রতিপালন করিতে হইবে –
(ক) চুক্তিমূল্য তফসিল-২ এ বর্ণিত মূল্যসীমা অতিক্রম করিতে পারিবে না, তবে মূল্য যাচাই করিবার পর উক্ত মূল্য তখনও ক্রয়কারীর ক্ষেত্রে সুবিধাজনক হইতে হইবে;
(খ) আইন ও বিধিমালায় নির্ধারিত শর্ত পালন এবং বিকল্প ক্রয় পদ্ধতিসমূহের আবশ্যকতাকে কোন উপায়ে পরিহার করিবার উদ্দেশ্যে সামগ্রিক চুক্তি বা ক্রয়াদেশকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সংখ্যায় এবং মূল্যসীমায় বিভক্ত করিয়া অথবা চুক্তি বাস্তবায়নকে কৃত্রিম পর্বে অথবা সাব-কন্ট্রাক্টে বিভাজনপূর্বক পুনরাবৃত্ত ক্রয়াদেশ (repeat order) প্রদানের মাধ্যমে ক্রয় করা যাইবে না; এবং
(গ) সরবরাহ, সেবা বা স্থাপন সংক্রান্ত বিদ্যমান চুক্তি বর্দ্ধিতকরণ, যদি প্রতিযোগিতামূলক ক্রয় প্রক্রিয়া অনুসরণক্রমে মূল চুক্তি স¤পাদিত হইয়া থাকে।
৭৮। ভেরিয়েশন অর্ডার বা অতিরিক্ত কার্যাদেশ জারী।-
(১) বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পরিকল্পনা, ডিজাইন অথবা বিন্যাসের পরিবর্তনজনিত কারণে কার্যের সংযোজন বা বিয়োজন, প্রকল্পের সাধারণ ব্যাপ্তি ও ভৌত সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা সাপেক্ষে, কার্যের নূতন আইটেম অন্তর্ভুক্তিসহ পরিমাণগত বৃদ্ধি বা হ্রাসের জন্য ক্রয়কারী মূল ঠিকাদারের নিকট হইতে কার্য ও ভৌত সেবা ক্রয়ের জন্য ভেরিয়েশন অর্ডার জারী করিতে পারিবে।
(২) ক্রয়কারী, প্রকল্প এলাকার ভূ-গর্ভস্থ অথবা প্রচ্ছন্ন ভৌত অবস্থা চুক্তিতে বর্ণিত অবস্থা হইতে ঊল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্নতর হওয়ার কারণে, অথবা সাধারণভাবে চুক্তির সংস্থান মোতাবেক প্রত্যাশিত বা স্বীকৃত নহে প্রকল্পস্থলের এইরূপ অজ্ঞাত এবং অস্বাভাবিক ধরনের ভৌত অবস্থার কারণে মূল কার্যের সমাপ্তি, উন্নতিবিধান অথবা সংরক্ষণের প্রয়োজনে মূল চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল না এইরূপ কোন নূতন কার্যের জন্য অতিরিক্ত কার্যাদেশ জারী করিতে পারিবে।
(৩) ভেরিয়েশন অর্ডার এর ক্রমপুঞ্জিত মূল্য তফসিল-২ এ উল্লিখিত সীমার অতিরিক্ত হইলে এবং উক্তরূপ কার্য মূল চুক্তি হইতে আলাদা করা সম্ভব হইলে, উহার জন্য দরপত্র আহ্বান করিয়া পৃথক চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে উক্ত কার্য সম্পাদন করিতে হইবে।
৭৯। ভেরিয়েশন অর্ডার বা অতিরিক্ত কার্যাদেশ প্রণয়ন।-
(১) যে কোন ভেরিয়েশন অর্ডার এর দাবী উপস্থাপনের জন্য যে কোন অতিরিক্ত ব্যয়ের পূর্র্ণ এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণসহ ঠিকাদার তফসিল-২ এ বর্ণিত সময় সীমার মধ্যে লিখিত নোটিশ প্রদান করিবে, যাহাতে উক্ত সময়ে বিষয়টি তদন্ত করা যাইতে পারে এবং এইরূপ নোটিশ দাখিলে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে ঠিকাদার কোন দাবী উপস্থাপন করিতে পারিবেন না।
(২) ভেরিয়েশন অর্ডার নিম্নবর্ণিতরূপে প্রণয়ন এবং দাখিল করিতে হইবে-
(ক) যদি প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রয়োজনীয় বলিয়া মনে করেন যে, ভেরিয়েশন অর্ডার বা অতিরিক্ত কার্যাদেশ জারী করা আবশ্যক, তাহা হইলে তিনি প্রস্তাবিত আদেশ প্রণয়ন করিবেন এবং উক্ত আদেশে ঠিকাদার কর্তৃক দাখিলকৃত নোটিশসহ প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা, সম্পাদিতব্য কার্যের যৌক্তিকতাসহ আইটেম অনুসারে অতিরিক্ত কার্যের পরিমাণ ভিত্তিক হিসাব, পরিদর্শন ও অনুসন্ধানের তারিখ, লগ বহি, উক্ত কার্যের প্রতি আইটেমের প্রাক্কলিত ইউনিট মূল্যের বিবরণাদি অন্তর্ভুক্ত করিয়া অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করিবেন;
(খ) কার্যের সহিত সংশ্লিষ্ট পরিকল্পনা, পরিমাণ এবং নূতন কার্যের আইটেমসমূহের জন্য প্রস্তাবিত একক মূল্য পুনরীক্ষণের পর ভেরিয়েশন অর্ডার বা অতিরিক্ত কার্যাদেশ সঠিক ও সন্তোষজনক হইলে এবং উক্ত ভেরিয়েশন অর্ডার বা অতিরিক্ত কার্যাদেশ তফসিল-২ এ বর্ণিত মূল্যসীমার মধ্যে থাকিলে অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ, আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ আদেশ অনুযায়ী, উহা অনুমোদন করিবেন, অথবা ধারা ৭৪(৪) অনুসারে মূল চুক্তি অনুমোদনকারী কর্মকর্তার পরবর্তী ধাপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমোদন গ্রহণের ব্যবস্থা করিবেন;
(গ) ভেরিয়েশন অর্ডার বা অতিরিক্ত কার্যাদেশ প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে, উহা প্রস্তুতকরণ হইতে শুরু করিয়া অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উহা অনুমোদিত হওয়া পর্যন্ত সময়সীমা তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমার অধিক হইবে না।
৮০। ভেরিয়েশন বা অতিরিক্ত কার্যের মূল্যনির্ধারণ।-
(১) অতিরিক্ত আইটেমের কার্যের জন্য নিম্নবর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণক্রমে ঠিকাদারকে উহার মূল্য প্রদান করিতে হইবে-
(ক) অতিরিক্ত কার্যের আইটেমসমূহ মূল চুক্তির অনুরূপ বা একই হইলে, উক্ত অতিরিক্ত আইটেমসমূহের মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে মূল চুক্তির একক মূল্য প্রযোজ্য হইবে;
(খ) নূতন কার্যের যে সকল আইটেম মূল চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল না, সেই সকল আইটেমের একক মূল্য নির্ধারণের ভিত্তি নিম্নরুপ হইবে –
(অ) ঠিকাদারের ব্যয়-প্রাক্কলনে (cost estimate) প্রদত্ত মূল্য বিভাজনে (price breakdown) থাকা সাপেক্ষে, অন্যান্য আইটেমের জন্য মূল চুক্তিতে ব্যবহৃত প্রত্যক্ষ একক মূল্য (direct unit cost), (যেমন, সিমেন্ট, রড, শ্রম দর, যন্ত্রপাতির ভাড়া ইত্যাদির একক মূল্য); বা
(আ) ক্রয়কারী এবং ঠিকাদার উভয়ের নিকট গ্রহণযোগ্য বাজার মূল্য অনুযায়ী স্থিরমূল্য (ভরীবফ ঢ়ৎরপবং); বা
(ই) উপ দফা (অ) ও (আ) এর ভিত্তিতে নূতন কার্যের আইটেমের প্রত্যক্ষ একক ব্যয় নির্ধারণের জন্য ঠিকাদার কর্তৃক দরপত্রে ব্যবহৃত মার্ক-আপ ফ্যাক্টর (যেমন: কর, ওভারহেড ও মুনাফা) যোগ করিয়া নূতন কার্যের আইটেমসমূহের একক দর নির্ধারণ করিতে হইবে।
(২) কোন অতিরিক্ত কার্যের বিপরীতে ঠিকাদার কর্র্তৃক মূল্য পরিশোধের অনুরোধের সহিত দাবীকৃত পাওনার বিস্তারিত হিসাব ও পরিমাণের ঊল্লেখসহ অনুমোদিত ছকে একটি বিবরণ দাখিল করিতে হইবে এবং পাওনা পরিশোধের দাবী ঠিকাদারের ধারাবাহিক মূল্য পরিশোধ (progress payment) প্রতিবেদনের সহিত অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে।
(৩) অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতিরেকে কোন অবস্থাতেই কোন ঠিকাদার ভেরিয়েশন অর্ডার বা অতিরিক্ত কার্যাদেশের অধীন কোনরূপ কার্য-সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করিবে না।
(৪) উপ-বিধি (৩) এর ব্যতিক্রম হিসাবে, তহবিলের সংস্থান থাকা সাপেক্ষে ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান কোন ভেরিয়েশন অর্ডার বা অতিরিক্ত কার্যাদেশের অধীন নিম্নবর্ণিত যে কোন শর্তে অনতিবিলম্বে কার্য-সম্পাদন শুরু করার আদেশ প্রদান করিতে পারিবেঃ
(ক) জরুরী ভিত্তিতে কার্য-সম্পাদন শুরু করা না হইলে যদি জনসেবা (public service) বিঘ্নিত হইবার বা জীবন ও সম্পত্তি বা উভয়ের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে; বা
(খ) সময় যখন মুখ্য বিবেচ্য –
তবে শর্ত থাকে যে,-
(অ) সংশ্লিষ্ট সময় পর্যন্ত অনুমোদিত হয় নাই প্রকল্পের এইরূপ কার্য মূল্যের ক্রমপুঞ্জিত বৃদ্ধির পরিমাণ, তফসিল-২ এ বর্ণিত শতকরা হারের মধ্যে সীমিত থাকিবে; এবং
(আ) কার্য শুরুর অব্যবহিত পরে এই ধরনের ভেরিয়েশন অর্ডার বা অতিরিক্ত আদেশ প্রণয়ন করিয়া বিধি ৩৬ অনুসারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট অনুমোদনের জন্য দাখিল করিতে হইবে।
(৫) যথাযথ অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পর ভেরিয়েশন অর্ডার বা অতিরিক্ত কার্যাদেশের অধীন সন্তোষজনকভাবে সম্পাদিত কার্যের মূল্য পরিশোধ করা যাইতে পারে।
(৬) ভেরিয়েশন অর্ডার বা অতিরিক্ত কার্যাদেশের সহিত জড়িত ক্রমপুঞ্জিত কার্যের মূল্যের পরিমাণ তফসিল-২ এ বিধি ৭৮(৩) এর বিপরীতে মূল চুক্তিমূল্যের অতিরিক্ত হইলে, যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত কার্যাদেশের অধীন সম্পাদিতব্য কার্য শুরু করা যাইবে না।
৮১। সরাসরি নগদ ক্রয়।-
(১) ক্রয়কারী, তফসিল-২ এ বর্ণিত মূল্য ও বাৎসরিক মোট ব্যয় সীমার মধ্যে স্বল্প মূল্যের পণ্য এবং জরুরী ও আবশ্যকীয় সেবা (যেমন- রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত,পরিবহণ এবং অন্যান্য সেবা, ইত্যাদি) সরাসরি ক্রয় করিতে পারিবে।
(২) ক্রয়কারী, ক্রয়ের প্রকৃতি বিবেচনায়, কোন কর্মকর্তা বা, তৎকর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে গঠিত অনধিক ৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট ক্রয় কমিটি এর মাধ্যমে এই ধারার অধীন কোন ক্রয়কার্য সম্পন্ন করিতে পারিবে।
(৩) উপ-বিধি (১) এর অধীন ক্রয়ের ক্ষেত্রে নগদ বা চেকের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করা যাইবে এবং উক্ত ক্ষেত্রে কোন ক্রয় আদেশ বা চুক্তি স্বাক্ষর করা আবশ্যক হইবে না।
৮২। ফোর্স একাউন্ট এর প্রয়োগ।-
(১) তফসিল-২ এ বর্ণিত মূল্যসীমার মধ্যে ব্যয় সীমিত থাকা সাপেক্ষে, বিভাগীয় প্রয়োজনে মজুরীর বিনিময়ে সরাসরি শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে Force Account প্রয়োগ করা যাইতে পারে।
(২) ফোর্স একাউন্ট এর অধীন বিভাগীয় কার্য সম্পাদনের লক্ষ্যে উপকরণ ও যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং অতিরিক্ত সরঞ্জামাদি ভাড়া করিবার ক্ষেত্রে অন্যান্য ক্রয়পদ্ধতি যথা- কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপন পদ্ধতি বা ধারা ৭৬ এর অধীন সরাসরি চুক্তি পদ্ধতি ব্যবহার করা যাইতে পারে।
অংশ-৬: আন্তর্জাতিক ক্রয়
৮৩। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগের শর্তাবলী ও কার্যপ্রণালী।-
(১) আইনের ধারা ৩৩ এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, আন্তর্জাতিক দরপত্রের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত অতিরিক্ত শর্তাবলীর প্রতিপালন নিশ্চিত করিতে হইবে –
(ক) দরপত্র দাখিলের জন্য সময়সীমা এমনভাবে নির্ধারণ করিতে হইবে, যাহাতে সম্ভাব্য সকল দরপত্রদাতার নিকট দরপত্র দাখিলের আহ্বান পৌঁছায় এবং তাহারা দরপত্র প্রস্তুত ও দাখিলের জন্য পর্যাপ্ত সময় পায় এবং পুনরায় দরপত্র আহ্বান করার ক্ষেত্রে তফসিল-২ এ বর্ণিত ন্যূনতম সময় প্রদান করিতে হইবে;
(খ) আন্তর্জাতিক মান বা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বহুল ব্যবহৃত মানের ভিত্তিতে কারিগরী মান নির্ধারণ করিতে হইবে, এবং উহা বাংলাদেশে ব্যবহৃত মানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হইতে হইবে;
(গ) বাংলাদেশী মান অনন্য (unique) বলিয়া বিবেচিত হইলে, অধিক প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করিবার জন্য উক্ত মানের সঙ্গে “অথবা সমতুল্য (equivalent)” শব্দগুলি যুক্ত করিতে হইবে;
(ঘ) দরপত্রদাতাকে দরপত্র, দরপত্র জামানত বা কার্য সম্পাদন জামানত যে সকল মুদ্রায় উদ্ধৃত করিবার অনুমতি প্রদান করা হইবে উহা দরপত্র দলিলে উল্লেখ করিতে হইবে এবং দরপত্রে উদ্ধৃত উক্ত মুদ্রা বা মুদ্রাসমূহ উল্লেখ করিয়া চুক্তি সম্পাদন ও চুক্তি মূল্য পরিশোধ করিতে হইবে;
(ঙ) আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীগণের বিপরীতে মূল্য-সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে, দেশীয় শিল্প অথবা পণ্য উৎপাদনের বিকাশে সহায়তা প্রদানের জন্য তফসিল-২ এ বর্ণিত হারে স্থানীয় উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী এবং ঠিকাদারগণের অনকূলে স্থানীয় অগ্রাধিকার প্রদান করার বিষয়টি দরপত্র দলিলে উল্লেখকরা যাইতে পারে।
(চ) ক্ষেত্র বিশেষে, প্রযোজ্য ইনকোটার্ম (INCOTERM) এর প্রয়োগ উল্লেখ করিতে হইবে।
(২) পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে, যদি ক্রয়কারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত পদ্ধতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয় অগ্রাধিকারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন, তাহা হইলে উক্ত দরপত্রসমূহ নিম্নবর্ণিত গ্রুপেভাগ করা হইবেঃ
(ক) গ্রুপ-ক- এক্স-ওয়ার্কস মূল্যের ৩০% এর অধিক শ্রম, কাঁচামাল ও উপকরণ বাংলাদেশের অভ্যন্তর হইতে যোগান দেওয়ার ব্যবস্থা রহিয়াছে বাংলাদেশে উৎপাদিত এইরূপ পণ্যের বিক্রয়ের প্রস্তাব সম্বলিত দরপত্র এবং যে কারখানায় উক্ত পণ্য উৎপাদিত হইবে, উহা যদি অন্তত: দরপত্র দাখিলের তারিখ হইতে উক্ত পণ্য উৎপাদন বা সংযোজনে নিয়োজিত থাকে, তাহা হইলে সেই সকল দরপত্র এই গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(খ) গ্রুপ-খ- বিদেশী উৎস হইতে ক্রয়কারী কর্তৃক সরাসরি অথবা সরবরাহকারীর স্থানীয় প্রতিনিধি কর্তৃক আমদানি করা হইবে, এইরূপ পণ্য সরবরাহের প্রস্তাব সম্বলিত দরপত্রসমূহ এই গ্রুপেঅন্তর্ভুক্ত হইবে।
(৩) কার্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে যদি কোন ক্রয়কারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, কোন আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির অধীন স্থানীয় অগ্রাধিকারের সংস্থান রাখা হইবে, তাহা হইলে স্থানীয় অগ্রাধিকারের সুবিধা প্রাপ্তির যোগ্য হইবার জন্য স্থানীয় দরপত্রদাতাগণকে নিম্নবর্ণিত শর্তাবলী পূরণ করিতে হইবে, যথাঃ
(ক) দরপত্রদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে নিবন্ধীকৃত হইতে হইবে;
(খ) উক্ত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের মালিকানা বাংলাদেশী নাগরিকদের থাকিবে;
(গ) ‘প্রভিশনাল সাম’ ব্যতীত, মোট চুক্তিমূল্যের ২০% (শতকরা বিশ ভাগ) এর বেশী কোন বিদেশী ঠিকাদারের অনুকূলে সাব-কন্ট্রাক্ট প্রদান করা যাইবে না;
(ঘ) দরপত্র দলিলে বর্ণিত স্থানীয় অগ্রাধিকারের সুবিধা প্রাপ্তির অন্যান্য শর্তাবলী পূরণ করিতে হইবে।
(৪) নিম্নবর্ণিত শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে, বিধি ৫৪ এর বিধান অনুসরণক্রমে গঠিত দেশীয় কোম্পানীসমূহের যৌথ উদ্যোগ স্থানীয় অগ্রাধিকারের যোগ্য বলিয়া বিবেচনা করা যাইবেঃ
(ক) যৌথ উদ্যোগের প্রত্যেক অংশীদারকে বাংলাদেশে নিবন্ধীকৃত হইতে হইবে এবং উহার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের মালিক বাংলাদেশী নাগরিক হইতে হইবে;
(খ) যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে গঠিত কোম্পানীকে বাংলাদেশে নিবন্ধীকৃত হইতে হইবে;
(গ) ‘প্রভিশনাল সাম’ ব্যতীত, উক্ত কোম্পানী মোট চুক্তিমূল্যের ২০% (শতকরা বিশ ভাগ) এর বেশী কোন বিদেশী ঠিকাদারের অনুকূলে সাব-কন্ট্রাক্ট প্রদান করিতে পারিবে না; এবং
(ঘ) উক্ত যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে গঠিত কোম্পানীকে দরপত্র দলিলে উল্লিখিত স্থানীয় অগ্রাধিকারের সুবিধা প্রাপ্তি সংক্রান্ত অন্যান্য শর্তাবলী পূরণ করিতে হইবে।
(৫) দেশীয় ও বৈদেশিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সমন্বয়ে গঠিত কোন যৌথ উদ্যোগে স্থানীয় অংশীদারদের অংশ ৫০% (শতকরা পঞ্চাশ ভাগ) এর নিন্মে হইলে, উক্ত যৌথ উদ্যোগ স্থানীয় অগ্রাধিকারের সুবিধা প্রাপ্তির যোগ্য হইবে না।
(৬) কার্য ক্রয় সংক্রান্ত দরপত্রসমূহ মূল্যায়নের ক্ষেত্রে, নিম্নবর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে –
(ক) গ্রহণযোগ্য দরপত্রসমূহকে নিম্নরূপ গ্রুপেশ্রেণীভুক্ত করা হইবেঃ
(অ) উপ-বিধি (৩) এবং (৪) এ বর্ণিত শর্তাবলী পূরণকারী বাংলাদেশী দরপত্রদাতা এবং যৌথ উদ্যোগ গ্রুপ ‘ক’ এর অন্তর্ভুক্ত হইবে; এবং
(আ) অন্য সকল দরপত্র গ্রুপ-খ এর অন্তর্ভুক্ত হইবে।
(খ) শুধু দরপত্রসমূহের মূল্যায়ন ও তুলনার উদ্দেশ্যে, গাণিতিক ভুল অথবা অন্যান্য অসঙ্গতিসমূহের সমন্বয় সাধনের পর ‘প্রভিশনাল সাম’ এবং আনুষঙ্গিক ব্যয় বাবদ দরপত্র মূল্যে কোন অর্থ অন্তর্ভুক্ত থাকিলে উহা বাদ দিয়া, তবে বিধি ৫(৬) অনুযায়ী প্রদত্ত ‘ডে-ওয়ার্ক’ এর মূল্যসহ গ্রুপ-খ ভুক্ত দরপত্রসমূহের স্ব স্ব মূল্যায়িত দর, তফসিল-২ এ বর্ণিত স্থানীয় অগ্রাধিকারের শতকরা হার প্রয়োগের মাধ্যমে বৃদ্ধি করিতে হইবে।
(গ) গ্রুপ-ক বা খ এর অন্তর্ভুক্ত কোন দরপত্র সর্বনিন্ম হইলে সর্বনিন্ম মুল্যায়িত দর পরস্পরের বিপরীতে তুলনা করিতে হইবে এবং উক্ত সর্বনিন্ম দরপত্র কার্যাদেশের জন্য সুপারিশকৃত হইবে।
(৭) স্থানীয় অগ্রাধিকার সংক্রান্ত নীতিমালা ও নির্দেশনাসমূহ আদর্শ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র দলিলে অন্তর্ভুক্ত করা যাইবে।
(৮) সরকার কর্তৃক আহবানকৃত আন্তর্জাতিক দরপত্রে স্থানীয় ঠিকাদার অথবা বাংলাদেশী অংশীদারসহ যৌথ উদ্যোগে অংশগ্রহণ করিলে আন্তর্জাতিক দরদাতাগণের মত তাঁহারাও স্থানীয় এবং বৈদেশিক মুদ্রার সমন্বয়ে দরপত্র দাখিল করিতে পারিবে এবং উক্ত ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদার বিপরীতে ব্যয়ের বিভাজন প্রদান করিতে হইবে।
(৯) আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী স্থানীয় সরবরাহকারীগণ বাংলাদেশে উৎপাদিত বা সংযোজিত পণ্য সরবরাহের প্রস্তাব দিলে দেশীয় শিল্পকে উৎসাহ প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক দরদাতাগণের মত তাঁহারাও স্থানীয় এবং বৈদেশিক মুদ্রার সমন্বয়ে দরপত্র দাখিল করিতে পারিবে।
(১০) উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির অধীন আন্তর্জাতিক ক্রয়ের ক্ষেত্রে তফসিল-৩ এর খ অংশে প্রদত্ত ফ্লো-চার্ট এ উল্লিখিত প্রক্রিয়া এবং কার্যক্রম অনুসরণীয় হইবে।
৮৪। দুই পর্যায় বিশিষ্ট দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগের শর্তাদি।-
(১) কোন ক্রয়কারী কর্তৃক কার্যকর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় দুই পর্যায়বিশিষ্ট দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগ সম্পর্কিত বিধি ৬১ এবং ৮৩ এর বিধান প্রযোজ্য হইবে।
(২) দুই পর্যায় বিশিষ্ট দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে কোন ক্রয়কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন প্রদান, দরপত্রের মেয়াদ, কারিগরী বিনির্দেশ, মূল্য পরিশোধে প্রযোজ্য মুদ্রার ক্ষেত্রে ক্রয়কারী বিধি ৬৬ তে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিবে, তবে সেইক্ষেত্রে স্থানীয় অগ্রাধিকারের বিধান প্রযোজ্য হইবে না, কারণ উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি ব্যতীত অন্য কোন পদ্ধতির ক্ষেত্রে উহা প্রযোজ্য নহে।
(৩) বিধি ৪৩ অনুসারে দুই পর্যায় বিশিষ্ট দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগের কারণ নথিবদ্ধ করিয়া সংরক্ষণ করিতে হইবে।
(৪) দুই পর্যায় বিশিষ্ট দরপত্র পদ্ধতির অধীন আন্তর্জাতিক ক্রয়ের ক্ষেত্রে তফসিল-৩ এর (ঘ) তে প্রদত্ত ফ্লো-চার্ট এ উল্লিখিত প্রক্রিয়া এবং কার্যক্রম অনুসরণীয় হইবে।
৮৪ক। এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগের শর্ত-
(১) টার্ণ-কী চুক্তি বা বৃহদাকার প্লান্ট স্থাপন সংক্রান্ত চুক্তির (যথা-প্রক্রিয়াকরণ স্থাপনা সরবরাহ, স্থাপন এবং চালুকরণ বা বৃহদাকার কার্য বা যোগাযোগ প্রযুক্তি সংক্রান্ত চুক্তি,ইত্যাদি) ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ কারিগরি বিনির্দেশ, কার্যের হিসাব সম্বলিত বিবরণ (Bill of Quantities) বা আবশ্যকীয় পণ্যের সরবরাহ সম্বলিত বিবরণ (Schedule of Requirement) ডিজাইন, ইত্যাদিসহ পূর্ণাঙ্গ দরপত্র দলিল প্রণয়ন করিতে ক্রয়কারী সক্ষম হইলে, তিনি ধারা ৩৪ এর উপ-ধারা (১ক) এর বিধান অনুসারে এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগ করিতে পারিবেন।
(২) এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পূর্বানুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে।
৮৪খ। এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় কার্যপ্রণালী-
(১) ক্রয়কারী প্রত্যেক দরদাতাকে কারিগরি এবং আর্থিক প্রস্তাব যথাযথভাবে চিহ্নিত পৃথক পৃথক দুইটি খামে সীলগালা করিয়া অন্য একটি বহিঃস্থ খামে স্থাপন ও উক্ত বহিঃস্থ খাম পুনরায় সীলগালা করিয়া দরপত্র জমাদানের আহ্বান জানাইয়া বিজ্ঞাপন প্রকাশ করিবে।
(২) দরপত্রদাতাকে কারিগরি প্রস্তাবের সহিত বিজ্ঞাপনে বণির্ত স্থির অংকে (rounded fixed amount) দরপত্র জামানত দাখিল করিবার জন্য আহ্বান জানাইতে হইবে।
(৩) এই বিধির অধীন আলোচ্য দরপত্র পদ্ধতির ক্ষেত্রে বিধি ৮৩ এর উপ-বিধি (১) এর দফা (ক) এর অধীনে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির জন্য প্রদেয় সময় প্রযোজ্য হইবে।
৮৪গ। এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে কারিগরি প্রস্তাব উন্মুক্তকরণ ও মূল্যায়ন-
(১) উন্মুক্তকরণ কমিটি বিধি ৯৭ প্রতিপালনপূর্বক প্রথমে শুধুমাত্র কারিগরি প্রস্তাব দরপত্র দলিলে উল্লিখিত স্থানে ও সময়ে উন্মুক্ত করিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত বিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কারিগরি প্রস্তাব উন্মুক্তকরণের সময় উক্ত বিধির উপ-বিধি (৪) এর দফা (চ) এর উপ-দফা (ই), (ঈ), উপ-বিধি (৫) এবং তফসিল-৪ এর অংশ-ঘ এর Serial No. (15), (16) ও (24) প্রযোজ্য হইবে না।
(২) কারিগরি প্রস্তাব গৃহীত ও উন্মুক্ত করিবার পর কোন অবস্থাতেই কারিগরি প্রস্তাব সংশোধন বা পরিবর্তন করা যাইবে না।
(৩) বিধি ৯৮ অনুযায়ী দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি দরপত্র দলিলে উল্লিখিত শর্ত, কারিগরি যোগ্যতা ও নির্ণায়কসমূহের আলোকে কৃতকার্যতা বা অকৃতকার্যতার (pass or fail) ভিত্তিতে কারিগরি প্রস্তাবসমূহ মূল্যায়ন করিবে।
(৪) দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি প্রত্যেক দরদাতার কারিগরি প্রস্তাব কারিগরি যোগ্যতার শর্তসমূহ পূরণ করে কি না উহা নিরূপণ করিবে এবং কারিগরি যোগ্যতার শর্তসমূহ পূরণ না করিলে উক্ত দরপত্র নন্-রেসপনসিভ বলিয়া বিবেচিত হইবে।
(৫) কারিগরি প্রস্তাবসমূহের মূল্যায়ন সমাপ্ত হইবার পর উক্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদন ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক অনুমোদিত হইতে হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ অনুমোদিত না হওয়া পর্যন্ত আর্থিক প্রস্তাবসমূহ ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি একটি নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করিবে।
৮৪ঘ। এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে আর্থিক প্রস্তাব উন্মুক্তকরণ ও মূল্যায়ন-
(১) ক্রয়কারী কার্যালয়ের প্রধান বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক কারিগরি মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোদনের পর ক্রয়কারী কারিগরি মূল্যায়নে কৃতকার্য দরদাতাদেরকে আর্থিক প্রস্তাব উন্মুক্তকরণের স্থান, তারিখ ও সময় জানাইয়া প্রকাশ্যে উন্মুক্তকরণ সভায় উপস্থিত থাকিবার জন্য লিখিতভাবে অনুরোধ করিবে।
(২) দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি কারিগরি মূল্যায়নে কৃতকার্য সকল দরদাতার আর্থিক প্রস্তাব বিধি ৯৭ অনুযায়ী উন্মুক্ত করিবে।
(৩) দরপত্র উম্মুক্তকরণ সভায় দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি বিধি ৯৮ অনুযায়ী আর্থিক প্রস্তাব মূল্যায়নপূর্বক সর্বনিম্ন মূল্যায়িত দরদাতা নির্বাচন করিবে, তবে সেই ক্ষেত্রে স্থানীয় অগ্রাধিকারের বিধান প্রযোজ্য হইবে না।
(৪) ক্রয়কারী কৃতকার্য দরপত্রদাতার সহিত চুক্তি স্বাক্ষরের পর, কারিগরি প্রস্তাব মূল্যায়নে নন্-রেসপনসিভ বিবেচিত দরপত্রদাতাদের নন্-রেসপনসিভ হওয়ার বিষয়টি অবহিত করিবে এবং আর্থিক প্রস্তাব উন্মুক্ত না করিয়া ফেরত প্রদান করিবে।
৮৫। আন্তর্জাতিক ক্রয়ে কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপন পদ্ধতি প্রয়োগের শর্তাবলী ও প্রক্রিয়া।-
(১) ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধানের পূর্ব অনুমোদনক্রমে আইনের ধারা ৩৪(২) অনুসারে আন্তর্জাতিক বাজার হইতে বিভাজ্য পণ্যসামগ্রী অধিক পরিমাণে (inbulk) ক্রয়ের ক্ষেত্রে, কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপন পদ্ধতির ব্যবহার করিতে হইবে।
(২) নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে, বিভাজ্য পণ্য সামগ্রী অধিক পরিমাণে ক্রয়ের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা যাইবে, যথা —
(ক) জরুরী চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে, বিভাজ্য পণ্য সামগ্রী ক্রয় (যথা-খাদ্য-শস্য, চিনি, সার, ভোজ্য তেল, জ্বালানী ও পশু-খাদ্য) যাহার দর কোন নির্দিষ্ট সময়ে সরবরাহ ও চাহিদার ভিত্তিতে উঠা-নামা করে;
(খ) প্রতিষ্ঠিত পণ্য-বাজারে উদ্ধৃত পণ্য সামগ্রী ক্রয়;
(গ) অনুকূল বাজার পরিস্থিতির সুবিধা গ্রহণের উদ্দেশ্যে, দীর্ঘ মেয়াদ ব্যাপী সরবরাহের নিশ্চয়তা বিধানকল্পে প্রতিটি ক্ষেত্রে আংশিক পরিমাণের জন্য কতিপয় কার্যাদেশ প্রদানের মাধ্যমে পণ্যসামগ্রী ক্রয়;
(৩) এই বিধির অধীনে পণ্য সামগ্রী ক্রয়ের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় পদ্ধতি বিধিমালার চতুর্থ অধ্যায়ের অংশ-৪ এ বর্ণিত অভ্যন্তরীণ কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপন পদ্ধতির অনুরূপ, এবং নিম্নরুপ হইবে –
(ক) একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য সম্ভাব্য সরবরাহকারীদের একটি তালিকা প্রণয়ন করিয়া উক্ত সরবরাহকারীদের নিকট হইতে সময় সময় কোন নির্দিষ্ট পণ্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য পর্যায়ক্রমিক কোটেশন আহ্বান করিতে হইবে;
(খ) জাহাজীকরণের সময় বা উহার পূর্বে বিদ্যমান বাজার দরের ভিত্তিতে সরবরাহকারীদের নিকট হইতে দর আহ্বান করিতে হইবে;
(গ) সাধারণত- যে মুদ্রায় পণ্যসামগ্রীর বাজার মূল্য উদ্ধৃত করা হয়, দর দাখিল এবং মূল্য পরিশোধের জন্য সেই একক মুদ্রা ব্যবহার করা যাইতে পারে, তবে উহা কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপন দলিলে উল্লেখ করিতে হইবে;
(ঘ) বাজারে প্রচলিত ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ফরম এবং আদর্শ শর্তাবলী সম্বলিত চুক্তিপত্র ব্যবহৃত হইবে;
(৪) কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপনের পদ্ধতির অধীন আন্তর্জাতিক ক্রয়ের ক্ষেত্রে তফসিল-৩ এর ঙ অংশতে প্রদত্ত ফ্লো-চার্ট এ উল্লিখিত প্রক্রিয়া এবং কার্যক্রম অনুসরণীয় হইবে।
৮৬। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সীমিত দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগের শর্তাবলী ও প্রক্রিয়া।-
(১) কার্যকর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত হইলে, ক্রয়কারী আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার আওতায় পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা বা কার্য ও ভৌত সেবা এই বিধিতে বর্ণিত শর্ত ও প্রক্রিয়া অনুসরণে সীমিত দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগ করিয়া ক্রয় করিতে পারিবে।
(২) বিধি ৬৪ তে বর্ণিত বিধান অনুসারে সীমিত দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধি-বিধান আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সীমিত দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।
(৩) বিধি ৪৩ অনুসারে এই পদ্ধতি প্রয়োগের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া সংরক্ষণ করিতে হইবে।
(৪) সীমিত দরপত্র পদ্ধতির অধীন আন্তর্জাতিক ক্রয়ের ক্ষেত্রে তফসিল ৩ এ প্রদত্ত ফ্লো-চার্ট এ উল্লিখিত প্রক্রিয়া এবং কার্যক্রম অনুসরণীয় হইবে।
৮৭। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি প্রয়োগের শর্তাবলী ও প্রক্রিয়া।-
(১) আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার প্রয়োজনে কোন ক্রয়কারী এই অধ্যায়ের অংশ-৫ অনুসরণক্রমে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি প্রয়োগ করিবে।
(২) বিধি ৪৩ অনুসারে এই পদ্ধতি প্রয়োগের কারণ নথিতে লিপিবদ্ধক্রমে সংরক্ষণ করিতে হইবে।
(৩) সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির প্রয়োগের মাধ্যমে কোন ক্রয়ের ক্ষেত্রে এই অধ্যায়ের অংশ-৫ এ বর্ণিত অভ্যন্তরীণ ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধি-বিধান আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি প্রয়োগের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।
(৪) সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির অধীন আন্তর্জাতিক ক্রয়ের ক্ষেত্রে তফসিল ৩ এর ‘চ’ অংশতে প্রদত্ত ফ্লো-চার্ট এ উল্লিখিত প্রক্রিয়া এবং কার্যক্রম অনুসরণীয় হইবে।
৮৮। দূতাবাস ও বিশেষ ক্ষেত্রে জাতীয় পতাকাবাহী বাহনের জন্য ক্রয় (আইনের ধারা ৩৫)।-
(১) বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার বা মিশনসমূহের প্রধানগণ তফসিল-২ এ উল্লিখিত মূল্যসীমাভুক্ত প্রমিতমানের স্বল্পমূল্যের সহজলভ্য পণ্য ও অপ্রত্যাশিত ভৌত সেবা বিধি ৬৯ অনুসারে কোটেশন প্রদানের অনুরোধ জ্ঞাপন পদ্ধতি প্রয়োগ করিয়া ক্রয় করিতে পারিবে।
(২) জাতীয় পতাকাবাহী বাহনের জন্য আইনের ধারা ৩৫(২) এর বিধান অনুসারে তফসিল-২ এ বর্ণিত মূল্যসীমার মধ্যে বাংলাদেশের বাহিরে জ্বালানী তেল, যন্ত্রাংশ ক্রয় বা জরুরী ধরনের মেরামত কার্য সম্পন্ন করা যাইবে।
অংশ-৭: ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি
৮৯। ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে ক্রয়ের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় কার্যপ্রণালী।-
(১) দরপত্র আহ্বানের পুনরাবৃত্তি পরিহারের পাশাপাশি অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ হইতে অপেক্ষাকৃত ভালো মূল্য প্রাপ্তির লক্ষ্যে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদে কোন নির্দিষ্ট মূল্যে একই ধরনের পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা ক্রয়ের প্রয়োজনে আইনের ধারা ৩৬ এর অধীন ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি সম্পাদন করা যাইবে।
(২) তিন বৎসরের অনধিক নির্দিষ্ট সময়ব্যাপী বিভিন্ন প্রকারের পণ্য ও ভৌত সেবা ক্রয়ের লক্ষ্যে উন্মুক্ত বা সীমিত দরপত্র পদ্ধতি অনুসরণক্রমে এক বা একাধিক সরবরাহকারীর সঙ্গে ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি সম্পাদন করা যাইবে।
(৩) ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তির আওতায় বাজার মূল্য হইতে উচ্চ মূল্যে কোন পণ্য ক্রয় করা যাইবে না।
(৪) ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি বিভিন্ন প্রকারের হইতে পারে, যথা-
(ক) একক সরবরাহকারীর নিকট হইতে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদে কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্যের পৌনঃপুনিক সরবরাহ প্রাপ্তির লক্ষ্যে এবং প্রয়োজনমতে অতিরিক্ত পরিমাণ ক্রয়ের অধিকার সম্ব লিত চুক্তি;
উদাহরণ।- কোন ক্রয়কারী কর্তৃক ১২ (বার) মাসের প্রাক্কলিত চাহিদার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফটোকপি করার কাগজ ও স্টেশনারী সামগ্রী ক্রয়।
(খ) পূর্ব-নির্ধারিত মেয়াদে, মেয়াদ বৃদ্ধির সংস্থানসহ বা ব্যতিরেকে, কোন একক সরবরাহকারীর নিকট হইতে পৌনঃপুনিক সরবরাহ প্রাপ্তির লক্ষ্যে আনুমানিক (approximate) পরিমাণ পণ্য ক্রয়;
উদাহরণ।- একাধিক সরকারী সংস্থা ১২ (বার) মাস ব্যাপী অনির্দিষ্ট পরিমাণ অফিস সরঞ্জামাদি ক্রয়ের উদ্দেশ্যে একটি গ্রুপ গঠন করিয়া একটি সংস্থাকে প্রধান সংস্থা (lead agency) হিসাবে ক্রয় ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব অর্পণ করিতে পারে এবং উক্ত গ্রুপেঅন্তর্ভুক্ত সকল সংস্থাকে একটি ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তির আওতায় সরাসরি ক্রয়াদেশ প্রদানের অধিকার প্রদান করিতে পারে।
(গ) একটি নির্দিষ্ট মেয়াদে, মেয়াদ বৃদ্ধির সংস্থানসহ বা ব্যতিরেকে, আইটেম-বাই-আইটেম ভিত্তিতে অনুমিত পরিমাণ পণ্য একাধিক সরবরাহকারীর নিকট হইতে, পৌনঃপুনিক সরবরাহের মাধ্যমে ক্রয়;
(ঘ) ক্রয়কারী একটি সংক্ষিপ্ত মেয়াদে, মেয়াদ বৃদ্ধির সংস্থান ব্যতিরেকে, এক বা একাধিক আইটেম সম্বলিত অনুমিত পরিমাণ পণ্য একক বা কতিপয় সরবরাহকারী নিকট হইতে পৌনঃপুনিক সরবরাহের মাধ্যমে ক্রয় করিতে পারিবে;
(ঙ) অনূর্ধ্ব ২(দুই) বৎসর মেয়াদের জন্য আইটেম ভিত্তিক বা লট ভিত্তিক দর প্রদানের জন্য ঠিকাদারগণকে আহ্বান জানানোর মাধ্যমে পরিবহণ সেবা ক্রয়ের জন্য ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি সম্পাদন করা যাইবে এবং উক্ত ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে-
(অ) পরিবহন পথের সুনির্দিষ্ট রুটসমূহ কোন স্থান, অঞ্চল বা জেলা ভিত্তিতে ঊল্লেখপূর্বক আইটেমসমূহ নিরূপণ করিতে হইবে এবং প্রতি আইটেমের একক মূল্য “প্রতি মেট্রিক টন” বা “প্রতি মেট্রিক টন প্রতি কিলোমিটার” হিসাবে নির্ধারণ করা যাইতে পারে;
(আ) পরিবহণ পথের দূরত্ব প্রেরণ ও প্রাপক কেন্দ্রের প্রকৃত দূরত্বের ভিত্তিতে অথবা সুনির্দিষ্ট পরিবহণ পথ এর ভিত্তিতে হইবে;
(ই) একটি লটে জেলা ভিত্তিতে (অর্থাৎ উৎস হইতে স্থানীয় গুদাম) একাধিক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আইটেম অন্তর্ভুক্ত করা যাইতে পারে;
(ঈ) সরবরাহ বা পরিবহণ তফসিলে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ পরিমাণ ও উহা পরিবহণের মুখ্য সময়ের (peak period) উল্লেখথাকিতে হইবে;
(উ) ক্রয়কারী দরপত্রদাতাদের যোগ্যতার নির্ণায়কে, ভরা মৌসুমে এবং পরিবহণ সংক্রান্ত সাধারণ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে, আবশ্যক ন্যূনতম ট্রাকের সংখ্যা এবং পরিবহণ সামর্থ্য অন্তর্ভুক্ত করিবে;
(ঊ) বৃহৎ আইটেমসমূহ পরিবহণে প্রতিযোগিতা উৎসাহিত করিবার লক্ষ্যে, ঠিকাদারদের গ্রপ, সাময়িক যৌথ উদ্যোগ বা অল্প সংখ্যক ঠিকাদার বা ট্রাক মালিকদের সমন্বয়ে সমবায় গঠনের মাধ্যমে দরপত্র দাখিলে উৎসাহ প্রদান করিতে হইবে;
(ঋ) দরপত্রদাতাগণকে তাহাদের কারিগরী ও আর্থিক প্রস্তাব আলাদা দুইটি খামে দাখিল করিবার জন্য আহবান করা যাইবে;
(এ) দাখিলকৃত দরপত্রে পণ্য কিভাবে পরিবহণ করা হইবে তাহা কারিগরী প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত করাসহ কার্য সম্পাদনের বিস্তারিত বিবরণ থাকিতে হইবে এবং গ্রুপ বা সাময়িক যৌথ উদ্যোগ বা সমবায় ভিত্তিক দরপত্রের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঠিকাদারদের মধ্যে দূরত্ব বন্টনের বিষয় উল্লেখ করিতে হইবে;
(ঐ) দরপত্রদাতাদের শুধু কারিগরী প্রস্তাবসমূহ মূল্যায়ন করা হইবে এবং গ্রহণযোগ্য কারিগরী প্রস্তাবসমূহের আর্থিক প্রস্তাবসমূহ উন্মুক্ত করা হইবে এবং বিবেচনাযোগ্য হইবে;
(ও) ক্ষেত্রমত, আইটেম বা লট প্রতি সর্বনিন্ম দরদাতাদের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করিতে হইবে;
(ঔ) প্রয়োজনে বা কোন ঠিকাদার যদি একটি আইটেমের পূর্ণ পরিমাণ পরিবহণে সক্ষম না হয় বা অতি জরুরী সরবরাহ নিশ্চিতকরণে কোন প্রতিবন্ধকতা এড়াইবার লক্ষ্যে, ক্রয়কারী, দরপত্র দলিলে উল্লেখথাকা সাপেক্ষে, বিধি ৯৯(১) (খ) (ই) এর বিধান অনুসরণক্রমে, দরপত্রদাতাদের পর্যায়ক্রম (ranking) অনুযায়ী সর্বনিন্ম মূল্যায়িত দরে পণ্য পরিবহণে সম্মত একাধিক দরপত্রদাতার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করিতে পারিবে;
(অঅ) গ্রুপের ক্ষেত্রে ক্রয়কারী কর্তৃক আইনগতভাবে গঠিত গ্রুপের সঙ্গে বা কারিগরী প্রস্তাবে উল্লিখিত দূরত্ব বন্টন অনুসারে গ্র“পের প্রত্যেক সদস্যদের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করা যাইতে পারে;
(আআ) এই ধরনের সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রয়কারী ভৌত সেবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আদর্শ দরপত্র দলিল ব্যবহার করিবে।
৫ম অধ্যায়ঃ ক্রয় প্রক্রিয়াকরণ (বিধি ৯০-১০২)
পঞ্চম অধ্যায়: ক্রয় প্রক্রিয়াকরণ (বিধি ৯০-১০২)
এখানে কয়েকটি বিধি নিয়ে আলোচনা করা হলো। তবে পাঠকদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এই “প্রকিউরমেন্টবিডি” তে উল্লেখিত আইন বা বিধির কোন ধারা বা বিধিমালার কোন বিষয় যাচাই ব্যতীত ব্যবহার না করার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে। এখানে ব্যবহৃত যে কোন ধারা বা বিধি শুধু মাত্র বিভিন্ন আলোচনা ও সংশ্লিষ্ট প্রেক্ষাপট বোধগম্য করার জন্য উল্লেখ করা হয়েছে। বাস্তবিক প্রয়োজনে সিপিটিইউ এর ওয়েব-সাইটে সংযুক্ত আইন বা বিধিমালা থেকে তা ব্যবহার করতে হবে।
অংশ-১: বিজ্ঞাপন
৯০। বিজ্ঞাপন।-
(১) পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা, কার্য ও ভৌত সেবা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা ক্রয়ের জন্য ক্রয়কারী, আইনের ধারা ৪০ অনুসারে, ক্ষেত্রমত, প্রাক-যোগ্যতা বা তালিকাভুক্তির আবেদন বা দরপত্র আহবান এবং আগ্রহব্যক্তকরণের অনুরোধ সম্বলিত বিজ্ঞাপন সরাসরি প্রকাশ করিবে।
(২) ক্রয়কারী উহার বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত আবশ্যকীয় ক্রয়কার্য সম্পাদনের জন্য বিজ্ঞাপন প্রদানের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিবে –
(ক) প্রাক-যোগ্যতা, তালিকাভুক্তিকরণ, দরপত্র বা আগ্রহ ব্যক্তকরণের অনুরোধ সম্বলিত বিজ্ঞাপন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বহুল প্রচারিত কমপক্ষে একটি বাংলা এবং একটি ইংরেজী সংবাদপত্রে প্রকাশ করিতে হইবে;
(খ) ক্রয়কারী বিজ্ঞাপন প্রদানের জন্য সুবিদিত এবং সর্বজনগ্রাহ্য বহুল প্রচারিত জাতীয় সংবাদপত্র নির্বাচনের ক্ষেত্রে সতর্কতার সহিত বিচার-বিবেচনা প্রয়োগ করিবে;
(গ) জাতীয় পর্যায়ে বিজ্ঞাপন প্রদানের অতিরিক্ত হিসাবে তফসিল-২ এ বর্ণিত মূল্যসীমার অভ্যন্তরীণ ক্রয়ের ক্ষেত্রে ঢাকার বাহিরে কার্যরত ক্রয়কারী, সরকারি মিডিয়া তালিকাভুক্ত বহুল প্রচারিত ১ (এক) টি আঞ্চলিক বা স্থানীয় দৈনিক সংবাদপত্রে ১ (এক) দিনের জন্য বিজ্ঞাপন প্রকাশ করিবে;
(ঘ) বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখে সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্রের একাধিক সংস্করণ প্রকাশিত হইলে, ক্রয়কারী উক্ত সংস্করণের প্রতিটি কপিতে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞাপন প্রচারের নিশ্চয়তা বিধান করিবে;
(ঙ) যদি বিজ্ঞাপনের ব্যয় বহুল প্রচারের ক্ষেত্রে বাধাস্বরূপ হয়, তাহা হইলে ক্রয়কারী বিজ্ঞাপনের আকার হ্রাস করিবার বিষয়টি বিবেচনা করিতে পারিবে এবং বহুল প্রচার ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করিবার জন্য অধিক সংখ্যক সংবাদপত্রে উহা প্রচারের ব্যবস্থা করিতে পারিবে;
(চ) বিজ্ঞাপন প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে প্রাক-যোগ্যতা দরপত্র বা প্রস্তাব দলিল আগ্রহী আবেদনকারী বা দরপত্রদাতাদের নিকট বিতরণের জন্য প্রস্তুত রাখিতে হইবে;
(ছ) বিজ্ঞাপন প্রকাশের পর যদি পরবর্তীতে উক্ত বিজ্ঞাপনের পরিবর্তন বা সংশোধন করা হয়, তাহা হইলে পূর্ববর্তী বিজ্ঞাপন যে যে সংবাদপত্রে ও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হইয়াছিল উক্ত পরিবর্তন বা সংশোধন সেই একই সংবাদপত্রে ও ওয়েবসাইটে পুনঃপ্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করা শ্রেয় হইবে;
(জ) আহ্বান সম্বলিত সকল বিজ্ঞাপন ক্রয়কারীর ওয়েবসাইটেও যদি থাকে, প্রকাশ করিতে হইবে; এবং
(ঝ) ক্রয়কারী, তফসিল-২ এ উল্লিখিত বা সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত মূল্যসীমার ঊর্ধ্বের ক্রয়ের জন্য দরপত্র বা প্রস্তাব আহ্বানসম্বলিত বিজ্ঞাপন সিপিটিইউ এর ওয়েবসাইটে প্রকাশের জন্য প্রেরণ করিবে।
(৩) কোন ক্রয় কার্যে অংশগ্রহণের সুযোগ আর্ন্তজাতিক আবেদনকারী, দরদাতা ও পরামর্শকদের জন্য অবারিত করা হইলে, সেই ক্ষেত্রে কোন ইংরেজী সংবাদপত্র বা আন্তর্জাতিকভাবে বহুল প্রচারিত কোন প্রকাশনায়, বা জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচীর প্রকাশনার ডেভলাপমেন্ট গেইটওয়ে মার্কেট এবং প্রয়োজনবোধে, বাংলাদেশে অবস্থিত বৈদেশিক বাণিজ্যিক মিশনসমূহে বা বিদেশে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক মিশনসমূহে প্রচার করিতে হইবে।
(৪) অভ্যন্তরীণ ও আর্ন্তজাতিক ক্রয়ের বিজ্ঞাপন প্রকাশের ক্ষেত্রে, ক্রয়কারী বিজ্ঞাপন প্রকাশের জন্য তফসিল-২ এ নির্ধারিত সময়সীমা অনুসরণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করিবে।
(৫) তালিকাভুক্তি, প্রাক-যোগ্যতা, বা দরপত্র আহবানপত্র এবং আগ্রহ ব্যক্তকরণের অনুরোধ সম্বলিত বিজ্ঞাপন প্রকাশের ক্ষেত্রে তফসিল-১০ (Schedule-X) এবং তফসিল-১১ (Schedule-XI) এ প্রদত্ত ছক অনুসরণ করিতে হইবে।
অংশ-২: প্রাক-যোগ্যতা
৯১। পণ্য, কার্য, ইত্যাদির ক্ষেত্রে প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণ।-
(১) ক্রয়কারী, তফসিল-২ এ বর্ণিত মূল্যসীমা সাপেক্ষে, নিম্নবর্ণিত বৃহৎ ও জটিল ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণ করিতে পারিবে, যথা-
(ক) নির্মাণ কার্য;
(খ) রক্ষণাবেক্ষণ কার্য;
(গ) প্লান্ট ও যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও স্থাপন;
(ঘ) কোন স্থাপনার নকশা তৈরী ও অবকাঠামো নির্মাণ কার্য;
(ঙ) নির্দিষ্ট নকশা ও মাপে যন্ত্রপাতি তৈরী (custom designed equipment); এবং
(চ) ব্যবস্থাপনা চুক্তি।
(২) পণ্য বা কার্য ক্রয়ের উদ্দেশ্যে প্রাক-যোগ্যতার প্রক্রিয়া শুরু করিবার পূর্বে ক্রয়কারী উহার সুবিধা-অসুবিধার বিষয়টি সতর্কতার সহিত বিবেচনা করিবে এবং ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমকর্তার পূর্বানুমোদন গ্রহণ করিবে।
(৩) প্রাক-যোগ্যতার দলিলে বিধি ৫৪ এর অধীন যৌথ উদ্যোগে অংশগ্রহণ করা যাইবে মর্মে শর্ত অন্তর্ভুক্ত করা যাইবে।
(৪) আগ্রহী আবেদনকারীকে প্রাক-যোগ্যতার আবেদনপত্র প্রস্তুত করিবার জন্য তফসিল-২ এ বর্ণিত সময় দিতে হইবে, তবে বিজ্ঞাপন জারীর তারিখে প্রাক-যোগ্যতার দলিল প্রস্তুত রাখিতে হইবে।
(৫) জটিল ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রয়কারী, ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পূর্বানুমোদনক্রমে, আবেদনকারীদের অনুরোধ যথাযথ বলিয়া বিবেচিত হইলে, প্রাকযোগ্যতার আবেদনপত্র দাখিলের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা বৃদ্ধি করিতে পারিবে।
(৬) প্রাক-যোগ্যতার আবেদনপত্র দাখিলের জন্য নির্ধারিত সর্বশেষ সময়সীমা উত্তীর্ণের পূর্ব কার্যদিবস পর্যন্ত প্রাক-যোগ্যতার দলিল বিক্রয় করা যাইবে।
(৭) কোন আবেদনকারী ক্রয়কারীর নিকট প্রাক-যোগ্যতার দলিলের যে কোন বিষয়ে স্পষ্টীকরণের জন্য তফসিল-২ এ বর্ণিত যুক্তিসংগত সময়ের জন্য অনুরোধ করিলে, ক্রয়কারী উহার জবাব প্রদান করিবে।
(৮) ক্রয়কারী কোন অনুরোধ প্রাপ্তির পর তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়ের মধ্যে যাচিত স্পষ্টীকরণের বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করিবে, যাহাতে উক্ত আবেদনকারী উক্ত ব্যাখ্যার ভিত্তিতে আবেদনপত্র দাখিলের জন্য নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তাহার আবেদনপত্র দাখিল করিতে সমর্থ হয় –
তবে শর্ত থাকে যে-
(ক) যাচিত স্পষ্টীকরণের প্রকৃতি ও ব্যাপ্তির প্রেক্ষাপটে ক্রয়কারী প্রাক-যোগ্যতার আবেদন দাখিলের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা যুক্তিসংগত সময়ের জন্য বৃদ্ধি করিতে পারিবে; এবং
(খ) স্পষ্টীকরণের জন্য অনুরোধের উৎস উল্লেখনা করিয়া ক্রয়কারী কর্তৃক প্রদত্ত ব্যাখ্যার কপি যাহারা প্রাক-যোগ্যতার দলিল ক্রয় করিয়াছেন, তাহাদের সকলকে প্রদান করিতে হইবে।
(৯) প্রাক-যোগ্যতার দলিলে বর্ণিত বিষয়াদি হইতে উদ্ভূত কোন প্রশ্নের উত্তর বা ব্যাখ্যা প্রদানের প্রয়োজনে ক্রয়কারী সম্ভাব্য সকল বেদনকারীকে প্রাক-যোগ্যতার দলিলে উল্লিখিত স্থান, তারিখ ও সময়ে প্রাক-যোগ্যতা সভায় যোগদানের আহবান জানাইতে পারিবে।
(১০) প্রাক-যোগ্যতার আবেদনপত্রসমূহ ক্রয়কারী কর্তৃক গৃহীত হইবে এবং দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটি কর্তৃক উহা উন্মুক্ত না করা পর্যন্ত উহা ক্রয়কারীর নিরাপত্তা হেফাজতে রাখিতে হইবে।
(১১) প্রাক-যোগ্যতার আবেদনপত্র দাখিলের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা উত্তীর্ণের পর প্রাপ্ত সকল আবেদনপত্র উন্মুক্ত না করিয়া ক্রয়কারী উহা সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে ফেরত প্রদান করিবে।
(১২) ক্রয়কারী তফসিল-১০ (Schedule-X) তে বর্ণিত ফরম ও বিবরণ অনুসরণক্রমে প্রাক-যোগ্যতার জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করিবে।
(১৩) প্রাক-যোগ্যতার প্রক্রিয়া অনুসরণক্রমে কোন ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রয়কারী সিপিটিইউ কর্তৃক জারীকৃত প্রাক-যোগ্যতার আদর্শ দলিল ব্যবহার করিবে।
(১৪) ক্রয়কারী প্রাক-যোগ্যতার আবেদনপত্র দাখিলের জন্য উহার ওয়েব সাইটে প্রকাশিত প্রাক-যোগ্যতা দলিল ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে।
৯২। প্রাক-যোগ্যতার আবেদনপত্র উন্মুক্তকরণ।-
(১) আইনের ধারা ৭ অনুসারে গঠিত দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটি প্রাক-যোগ্যতার আবেদনপত্র দাখিলের সর্বশেষ সময়সীমা উত্তীর্ণের পর প্রাক-যোগ্যতার দলিলে উল্লিখিত স্থান, তারিখ ও সময়ে উক্ত আবেদনপত্রসমূহ প্রকাশ্যে উন্মুক্ত করিবে।
(২) দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটি প্রাক-যোগ্যতার আবেদনপত্র উন্মুক্তকরণের কাজ শেষ করিবার পর আবেদনকারীগণের নাম, ঠিকানা ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্য লিপিবদ্ধ করিবে এবং সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীর লিখিত অনুরোধে উক্ত কমিটি কর্তৃক লিপিবদ্ধ তথ্যের অনুলিপি তাহাকে প্রদান করিবে।
(৩) দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটি প্রাক-যোগ্যতার আবেদনপত্র ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাগজপত্র ক্রয়কারীর নিকট দাখিল করিবে এবং ক্রয়কারী বিধি ৩২ অনুসারে উহা নিরাপদ হেফাজতে রাখিবে ও পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করিবে।
৯৩। প্রাক-যোগ্যতার আবেদনপত্র মূল্যায়ন।-
(১) মূল্যায়ন কমিটি প্রাক-যোগ্যতার দলিলে উল্লিখিত প্রয়োজন, শর্ত ও নির্ণায়কসমূহের আলোকে প্রাপ্ত আবেদনপত্র সমূহ মূল্যায়ন করিবে।
(২) ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান দরপত্র মূল্যায়ন কমিটিকে সহায়তা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তি ও বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে একটি কারিগরী সাব-কমিটি গঠন করিতে পারিবে।
(৩) কৃতকার্য বা অকৃতকার্যতার ভিত্তিতে প্রাপ্ত আবেদনপত্রসমূহ মূল্যায়ন করিবে।
(৪) প্রাক-যোগ্য আবেদনকারীদের সংখ্যার ক্ষেত্রে কোন উর্দ্ধসীমা থাকিবে না এবং যে সকল আবেদনকারী যোগ্যতার শর্ত পূরণ করিয়াছেন তাহাদের সকলকেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে।
(৫) চুক্তির অধীন কার্য-সম্পাদন করার ক্ষেত্রে আবেদনকারীর সামর্থ্য মূলত- ক্ষুণ্ন হইবে না মর্মে অনুমিত হইলে মূল্যায়ন কমিটি প্রাক-যোগ্যতার নির্ণায়কসমূহের সাধারণ বিচ্যুতি বিবেচনা করিতে পারিবে।
(৬) আবেদনপত্রে উল্লিখিত সহ-ঠিকাদারের যোগ্যতা আবেদনকারীর যোগ্যতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বিবেচনা করা যাইবে, তবে উহা শুধু সহ-ঠিকাদারের নির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে বিবেচ্য হইবে।
(৭) কোন আবেদনকারীর প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সহ-ঠিকাদারদের সাধারণ অভিজ্ঞতা এবং আর্থিক সামর্থ্য আবেদনকারীর অভিজ্ঞতা ও আর্থিক সামর্থ্যরে সঙ্গে যোগ করা যাইবে না।
(৮) আবেদনপত্র পরীক্ষা ও মূল্যায়নের প্রয়োজনে মূল্যায়ন কমিটি কোন নির্দ্দিষ্ট বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য কোন আবেদনকারীকে অনুরোধ জানাইতে পারিবে।
(৯) প্রয়োজনীয় যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি তফসিল-২ এ উল্লিখিত ন্যূনতম সংখ্যার কম হয়, তাহা হইলে কোন আবেদনকারী কতিপয় কম গুরুত্বপূর্ণ ত্রুটি (minor deficiencies) ব্যতীত ঊল্লেখযোগ্যভাবে যোগ্যতার নির্ণায়কসমূহ পূরণ করিয়া থাকিলে উহাকে শর্ত সাপেক্ষে প্রাক-যোগ্য হিসেবে গণ্য করা যাইতে পারে –
তবে শর্ত থাকে যে, শর্ত সাপেক্ষে প্রাক-যোগ্য আবেদনকারীগণ কর্তৃক দরপত্র দাখিল করার পূর্বে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি কর্তৃক চিহ্নিত উক্ত কম গুরুত্বপূর্ণ ত্রুটিসমূহ সংশোধন করিতে হইবে।
(১০) বহুসংখ্যক চুক্তির ক্ষেত্রে, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি প্রত্যেক আবেদনকারীকে প্রাক-যোগ্যতা দলিলে বর্ণিত এই ধরনের চুক্তিসমূহের ক্ষেত্রে আবশ্যকীয় শর্তসমূহ যথাযথভাবে পূরণসাপেক্ষে, এ ধরনের সর্বোচ্চ সংখ্যক চুক্তির জন্য প্রাক-যোগ্য হিসাবে নির্বাচন করিবে।
(১১) যদি ন্যূনতম সংখ্যক যোগ্যতা সম্পন্ন আবেদনকারী পাওয়া না যায়, তাহা হইলে ক্রয়কারী প্রাক-যোগ্যতার দলিল পুনরীক্ষণপূর্বক উহাতে প্রয়োজনীয় সংশোধন করিয়া ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধানের অনুমোদনক্রমে বিধি ৯০ অনুসারে পুনঃবিজ্ঞাপন জারীর ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
(১২) দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি মূল্যায়ন প্রাক-যোগ্যতার মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রস্তুত করিবে এবং কোন কোন আবেদনকারীকে প্রাক-যোগ্য হিসেবে নির্বাচন করা যাইতে পারে উহা উক্ত প্রতিবেদনে ঊল্লেখপূর্বক সরাসরি ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধানের নিকট দাখিল করিবে।
(১৩) ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান উপ-ধারা (১২) এর অধীন দাখিলকৃত মূল্যায়ন প্রতিবেদন বিবেচনাক্রমে প্রাক-যোগ্যতার আবেদনপত্র গ্রহণ করা, অথবা যদি প্রতীয়মান হয় যে, মূল্যায়নের কোন কোন বিষয় প্রাক-যোগ্যতার দলিলের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নহে তাহা হইলে উক্ত ত্রুটিসমূহ সংশোধন করিবার জন্য উহা পুনঃমূল্যায়নের জন্য উক্ত কমিটিকে অনুরোধ করিতে পারিবেন।
(১৪) ক্রয়কারী, মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোদনের পর প্রাক-যোগ্য আবেদনকারীগণের তালিকা প্রকাশ করিবেন এবং প্রাক-যোগ্য হওয়া বা না হওয়ার বিষয়ে সকল আবেদনকারীকে অবহিত করিবেন।
(১৫) প্রাক-যোগ্য আবেদনকারীরাই কেবল পরবর্তীতে ক্রয় প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করিবার যোগ্য হইবেন।
(১৬) প্রাক-যোগ্য এবং দরপত্রে অংশগ্রহণের জন্য আহবান করা হইয়াছে এইরূপ কোন আবেদনকারীর গঠন কাঠামোতে কোন পরিবর্তন করা হইলে, উক্ত পরিবর্তন সম্পর্কে দরপত্র দাখিলের সর্বশেষ সময়সীমার পূর্বে ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধানের অনুমোদন না লইয়া উক্ত আবেদনকারী দরপত্র দাখিল করিতে পারিবে না।
(১৭) যদি ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান কর্তৃক বিবেচিত হয় যে, উক্ত পরিবর্তনের ফলে অতঃপর আবেদনকারী প্রাক-যোগ্যতা দলিলে বর্ণিত শর্তাদি ঊল্লেখযোগ্যভাবে পূরণ করে না এবং ইহাতে প্রতিযোগিতা ঊল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাইবে, সেইক্ষেত্রে উপ-বিধি (১৬) তে বর্ণিত অনুমোদন প্রদান করা যাইবে না ।
(১৮) উপ-বিধি (১৬) এর অধীন পরিবর্তনের বিষয়টি তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে ক্রয়কারীর নিকট উপস্থাপন করিতে হইবে।
(১৯) ক্রয়কারী, অকৃতকার্য আবেদনকারীর অনুরোধে, আবেদন বাতিলের কারণ লিখিতভাবে আবেদনকারীকে অবহিত করিবে, কিন্তু ক্রয়কারী উক্ত বাতিল সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য ও ব্যাখ্যা প্রদানে বাধ্য থাকিবে না।
(২০) প্রাক-যোগ্যতার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও, চুক্তি সম্পাদনের পূর্বে কৃতকার্য দরপত্রদাতার উত্তর-যোগ্যতা যাচাই করিতে হইবে।
অংশ-৩: দরপত্র প্রক্রিয়াকরণ
৯৪। দরপত্র দলিল বিক্রয়, প্রাক-যোগ্যতা সভা, ইত্যাদি।-
(১) বিধি ৯০ অনুযায়ী বিজ্ঞাপন প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে আগ্রহী দরপত্রদাতাগণের নিকট দরপত্র দলিল প্রাপ্তিসাধ্য করিতে হইবে।
(২) সকল সম্ভাব্য আবেদনকারী বা দরপত্রদাতাকে একই তথ্য প্রদান করিতে হইবে এবং অতিরিক্ত তথ্যের জন্য অনুরোধ করা হইলে উহা দ্রুততার সাথে প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তাহাদের সমসুযোগ নিশ্চিত করিতে হইবে।
(৩) দরপত্র দলিল, ক্রয়কারীর নিজস্ব ওয়েবসাইটে, যদি থাকে, প্রকাশ করিতে হইবে।
(৪) ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা দরপত্র দলিলের মূল্য নির্ধারণ করিবেন, তবে উহা উক্ত দলিল প্রস্তুত এবং সরবরাহ করিবার ব্যয়ের অধিক হইবে না।
(৫) দরপত্র আহ্বানের বিজ্ঞাপন পত্রিকায় প্রকাশ হওয়া সাপেক্ষে, যথাযথ মূল্য পরিশোধপূর্বক সংশ্লিষ্ট দরপত্র দলিল ক্রয় করিতে আগ্রহী কোন ব্যক্তির নিকট ক্রয়কারী উহা প্রাপ্তিসাধ্য করিতে অস্বীকার করিতে পারিবে না।
(৬) ক্রয়কারী যে সকল ব্যক্তির নিকট দরপত্র দলিল বিক্রয় করা হইয়াছে, উহার রেকর্ড সংরক্ষণ করিবে এবং উক্ত রেকর্ডে বিক্রয়ের রেফারেন্স নম্বরসহ ক্রয়কারীর সহিত যোগাযোগের বিস্তারিত ঠিকানা (যথা-ব্যক্তিগত পরিচয় বা পরিচয়পত্র সংক্রান্ত তথ্য, ফোন, ফ্যাক্স এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, ই-মেইল নম্বর) থাকিবে।
(৭) দরপত্র দলিল বিক্রয়ের সময় কোন পূর্বশর্ত আরোপ করা যাইবে না এবং দরপত্র দাখিলের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা উত্তীর্ণের পূর্বদিন পর্যন্ত দরপত্র দলিল বিক্রয়ের অনুমতি প্রদান করিতে হইবে।
(৮) দরপত্র দলিল ও বিধি ৯৫ অনুসারে উহার সংশোধনসমূহ দরপত্রদাতাদের নিকট নিম্নবর্ণিত স্থান বা মাধ্যমসমূহ দ্বারা প্রাপ্তিসাধ্য করিতে হইবেঃ
(ক) ক্রয়কারীর কার্যালয়;
(খ) বিজ্ঞাপনে উল্লেখথাকা সাপেক্ষে, ক্রয়াকরীর অনুমোদিত এজেন্ট;
(গ) দরপত্র দলিলের মূল্য ছাড়াও সম্ভাব্য দরদাতাগণের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ বা কুরিয়ার ডাক যোগে প্রেরণ ব্যয় পরিশোধ সাপেক্ষে সাধারণ বা কুরিয়ার ডাক যোগে; এবং
(ঘ) বিজ্ঞাপনে অন্তর্ভুক্ত ক্রয়কারীর ওয়েবসাইটের ঠিকানা।
(৯) কোন দরপত্র দলিল ক্রয়কারীর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হইলে, ক্রয়কারী নিশ্চিত করিবে যে-
(ক) দরপত্র দাখিলের জন্য নির্ধারিত সর্বশেষ সময়সীমা উত্তীর্ণের পূর্বে উহা ওয়েবসাইট হইতে সরানো হইবে না; এবং
(খ) দরপত্র দলিলে কোন সংশোধন আনয়ন করা হইলে এবং দরপত্র দলিল সম্পর্কিত বিষয়ে কোন ব্যাখ্যা প্রদান করা হইলে, রেফারেন্স নম্বর ও তারিখসহ উহা ওয়েব সাইটে প্রকাশ করিতে হইবে।
(১০) ক্রয়কারী কোন সুনির্দিষ্ট ক্রয়ের উদ্দেশ্য ও অন্যান্য শর্তের ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য প্রাক-দরপত্র সভা আহ্বান করিতে পারিবে।
(১১) যে সকল দরপত্রদাতা দরপত্র দলিল ক্রয় করিয়াছেন বা যাহারা উহা ক্রয় করিতে আগ্রহী তাহারা সকলেই প্রাক-দরপত্র সভায় যোগদান করিতে পারিবেন, তবে যে সকল দরপত্রদাতা দরপত্র দলিল ক্রয় করিয়াছেন শুধু তাহাদেরকেই তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে সভার কার্যবিবরণী প্রদান করিতে হইবে।
(১২) ইলেকট্রনিক পরিচালন পদ্ধতিতে ক্রয়ের ক্ষেত্রে এই বিধিমালার অষ্টম অধ্যায়ের বিধান প্রাধান্য পাইবে।
৯৫। দরপত্র দলিলের সংশোধন।-
(১) দরপত্র দাখিলের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা উত্তীর্ণের পূর্বে ক্রয়কারী, যে কোন সময়, স্বীয় উদ্যোগে বা দরপত্র দলিল ক্রয় করিয়াছে এইরূপ দরপত্রদাতার অনুসন্ধানের প্রেক্ষিতে মূল দরপত্র দলিলের সংশোধন বা সংযোজন হিসাবে ইস্যুর মাধ্যমে কোন দরপত্র দলিল পরিবর্তন বা সংশোধন করিতে পারিবে।
(২) উপ-বিধি-১ এ উল্লিখিত সংশোধন বা সংযোজন দরপত্র দলিলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হইবে এবং উহা ইস্যুর তারিখ ও নম্বর উল্লেখথাকিবে এবং যে সকল দরপত্রদাতা দরপত্র দলিল ক্রয় করিয়াছেন তাহাদের নিকট তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে উহা ফ্যাক্স, ই-মেইল বা ডাকযোগে প্রেরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে, যাহাতে দরপত্রদাতাগণ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারেন।
(৩) দরপত্রদাতাগণ তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে সংশ্লিষ্ট সংশোধন বা সংযোজনের প্রাপ্তি স্বীকার করিবে।
(৪) যে সকল দরপত্রদাতা দরপত্র দলিল ক্রয় করিয়াছেন কিন্তু উপ-বিধি (২) এর অধীন ইস্যুকৃত সংশোধন বা সংযোজন প্রাপ্ত হন নাই, তাহারা তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে ফ্যাক্স,ই-মেইল বা ডাকযোগে উক্ত বিষয়ে ক্রয়কারীকে অবহিত করিবেন।
(৫) বিধি ৯০ মোতাবেক দরপত্র দলিল ক্রয়কারীর ওয়েবসাইটে, যদি থাকে, প্রকাশ করা হইলে উক্ত দলিলের পরিবর্তন বা সংশোধন, উহার রেফারেন্স নম্বর ও তারিখ সহকারে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করিতে হইবে।
(৬) দরপত্র প্রস্তুতের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের কম সময় অবশিষ্ট থাকাবস্থায় দরপত্র দলিলে কোনরূপ পরিবর্তন বা সংশোধন করা হইলে, ক্রয়ের শর্ত এবং সংশোধনের ধরন ও প্রকৃতি বিবেচনাক্রমে তফসিল-২ অনুসারে, ক্রয়কারী দরপত্র দাখিলের সময়সীমা বৃদ্ধি করিবে।
৯৬। দরপত্র দলিল প্রস্তুত ও দাখিল।-
(১) দরপত্রদাতা আইনের ধারা ৪৬, এই বিধি এবং দরপত্র দলিলের নির্দেশনা অনুসরণক্রমে তফসিল-১২ (Schedule-XII) তে প্রদত্ত নমূনা অনুযায়ী দরপত্র প্রস্তুত করিবে।
(২) কোন দরপত্রদাতা, এককভাবে বা কোন যৌথ উদ্যোগের সদস্য হিসাবে একটি মাত্র দরপত্র দাখিল করিবে।
(৩) ক্রয়কারী কর্তৃক জারীকৃত দরপত্র দলিলের ভিত্তিতে দরপত্র দাখিল করিতে হইবে।
(৪) উপ-বিধি (১১) এ বর্ণিত ক্ষেত্র ব্যতীত, দরপত্র বিজ্ঞাপনে নির্দেশিত স্থানে হাতে হাতে, সাধারণ ডাকযোগে বা কুরিয়ার ডাকযোগে দরপত্র দাখিল করিতে হইবে।
(৫) দরপত্রদাতা দরপত্র দলিলের নির্দেশনা অনুসারে দরপত্র যথাযথভাবে চিহ্নিত করিবে, যাহাতে উহা অফিসের কাজে ব্যবহৃত অন্য সাধারণ পত্র যোগাযোগের সহিত বিভ্রান্তির সৃষ্টি না করে।
(৬) দরপত্র বা প্রস্তাব সম্বলিত খাম যথাযথভাবে চিহ্নিত ও সীলগালা না করা হইলে দরপত্রদাতা দরপত্রে প্রদত্ত তথ্য পূর্বে প্রকাশের (pre-disclosure) জন্য একক ও সম্পূর্ণভাবে দায়ী থাকিবে।
(৭) দরপত্রদাতা কর্তৃক দাখিলকৃত সকল দরপত্র ক্রয়কারী নিরাপদে নিজ হেফাজতে সংরক্ষণ করিবে।
(৮) দরপত্র দাখিলের জন্য তালা-চাবি যুক্ত বন্ধ বাক্স বা কেবিনেট ব্যবহার করা যাইবে বা দরপত্রের আকার বৃহৎ হইলে বা দরপত্রের খামের আকার বড় ও পুরু হওয়ার কারণে উহা সাধারণভাবে কোন বাক্সে বা কেবিনেটে প্রবেশ করানো সম্ভব না হইলে উহা ক্রয়কারী কর্তৃক নিযুক্ত কোন কর্মকর্তা দ্বারা সরাসরি গ্রহণ করা যাইবে।
(৯) ক্রয়কারীর নিযুক্ত কর্মকর্তার নিকট সরাসরি কোন দরপত্র দাখিল করা হইলে, দরপত্রদাতার অনুরোধে উক্ত কর্মকর্তা দরপত্র গ্রহণের সময় ও তারিখের ঊল্লেখক্রমে প্রাপ্তি স্বীকার পত্র প্রদান করিবে।
(১০) সাধারণ বা কুরিয়ার ডাকযোগে প্রেরিত দরপত্র গ্রহণের জন্যও প্রাপ্তিস্বীকারপত্র প্রদান করিতে হইবে।
(১১) দরপত্রসমূহ একটি মাত্র স্থানে গ্রহণ ও উন্মুক্ত করিতে হইবে, তবে, প্রয়োজনবোধে, নিম্নবর্ণিত নির্দেশনা অনুসরণ সাপেক্ষে ক্রয়কারী একাধিক স্থানে দরপত্র দাখিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে-
(ক) তফসিল-২ এ বর্ণিত মূল্যসীমার ঊর্ধ্বের ক্রয়ের ক্ষেত্রে দরপত্র বা প্রস্তাব একাধিক স্থানে দাখিলের ব্যবস্থা রাখা যাইতে পারে;
(খ) সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা মন্ত্রণালয়ের সচিব কর্তৃক সংশ্লিষ্ট ক্রয়ের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা অনুমোদিত হইতে হইবে;
(গ) দরপত্র আহবানপত্রে মূল স্থানে এবং অন্যান্য স্থান বা স্থানসমূহে দরপত্র দাখিলের সর্বশেষ সময়সীমা এক এবং অভিন্ন রাখিতে হইবে এবং অন্যান্য স্থান বা স্থানসমূহ হইতে প্রাপ্ত দরপত্রসমূহ তফসিল-২ এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে মূল স্থানে পৌঁছাইতে হইবে এবং উক্ত দরপত্রসমূহ মূল স্থানে গ্রহণের অব্যবহিত পরেই বিধি মোতাবেক উন্মুক্ত করিতে হইবে;
(ঘ) ক্রয়কারী, এই বিধির শর্ত অনুযায়ী, নির্ধারিত অন্যান্য স্থানের দরপত্র গ্রহণ করার পূর্ণ সামর্থ্য রহিয়াছে কিনা তাহা নিশ্চিত করিবে এবং অন্যান্য স্থান বা স্থানসমূহের কর্মকর্তা বা কর্মকর্তাদেরকে দরপত্র গ্রহণের জন্য মনোনীত করিবে;
(ঙ) ক্রয়কারী অন্যান্য স্থান বা স্থানসমূহে দরপত্র গ্রহণের জন্য তালা-চাবিযুক্ত বন্ধ ও নিরাপদ বাক্স বা কেবিনেট রহিয়াছে কিনা তাহা নিশ্চিত করিবে;
(চ) ক্রয়কারী কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা অন্যান্য স্থান হইতে মূল স্থানে প্রেরিত সকল দরপত্রের উপর স্বাক্ষর প্রদানক্রমে গ্রহণ করিবে এবং দরপত্র গ্রহণের প্রাপ্তিস্বীকার পত্র প্রদান করিবে;
(ছ) দরপত্র দাখিলের মেয়াদের মধ্যে এক স্থানের কোন কর্মকর্তা অন্য স্থানের কোন কর্মকর্তাকে দরপত্র সম্পর্কিত কোন তথ্য প্রদান করিতে পারিবে না;
(জ) গৃহীত দরপত্র সম্পর্কিত সার্বিক দায়িত্ব মূল স্থানের থাকিবে এবং উক্ত দায়িত্ব পালনের ধারাবাহিকতায় দরপত্র দাখিলের সময় বৃদ্ধি বা দরপত্র প্রক্রিয়া বাতিল করা হইলে উহা অনতিবিলম্বে অন্যান্য স্থান বা স্থানসমূহকে অবহিত করিতে হইবে;
(ঝ) অন্যান্য স্থানে গৃহীত দরপত্রসমূহ দরপত্র উন্মুক্তকরণের জন্য নির্ধারিত তারিখের পূর্বে মূল স্থানে হাতে হাতে পৌঁছানো এবং উহার নিরাপত্তাসহ দরপত্র দলিলে উল্লিখিত তারিখে, স্থানে এবং দরপত্র দাখিলের সর্বশেষ সময়সীমা উত্তীর্ণ হওয়ার অব্যবহিত পরে সকল দরপত্র একত্রে ন্মুক্তকরণের বিষয়টি ক্রয়কারী নিশ্চিত করিবে;
(ঞ) একাধিক স্থানে দরপত্র দাখিলের ব্যবস্থার অধীন ইস্যুকৃত সকল রসিদ এর কপি বিধি ৪৩ অনুযায়ী ক্রয় প্রক্রিয়া সংক্রান্ত নথির অংশ হইবে।
(১২) ইলেকট্রনিক পরিচালন পদ্ধতিতে ক্রয়ের ক্ষেত্রে অষ্টম অধ্যায়ের বিধান প্রাধান্য পাইবে।
৯৭। দরপত্র উন্মুক্তকরণ।-
(১) ক্রয়কারী দরপত্র উন্মুক্তকরণের জন্য সভা আহ্বান করিবে এবং দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটি দরপত্র আহ্বানের বিজ্ঞাপনে উল্লিখিত তারিখে ও স্থানে আগ্রহী দরপত্রদাতা বা তাহাদের ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধিগণের উপস্থিতিতে দরপত্র উন্মুক্ত করিবে।
(২) দরপত্র উন্মুক্তকরণের উদ্দেশ্যে, দরপত্র উন্মুক্তকরণের স্থান যথোপযুক্তরূপে সজ্জিত ও পূর্ব হইতে সংরক্ষিত রাখিতে হইবে।
(৩) বিধি ১০ এর অধীন গঠিত দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটি দরপত্র দাখিলের জন্য নির্ধারিত তারিখ ও সময় বা তৎপূর্বে গৃহীত সকল দরপত্র প্রকাশ্যে একটিমাত্র স্থানে উন্মুক্ত করিবে।
(৪) কোন দরপত্র উন্মুক্তকরণের সময় দরপত্র বা প্রস্তাব উন্মুক্তকরণ কমিটি কর্তৃক নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহের প্রতিপালন নিশ্চিত করিতে হইবে-
(ক) বিধি ৯৬ এর উপ-বিধি (১১) তে বর্ণিত ক্ষেত্র ব্যতীত, দরপত্র দাখিলের সর্বশেষ সময়সীমা উত্তীর্ণ হওয়ার অব্যবহিত পরে, তবে দরপত্র দাখিলের সর্বশেষ সময়সীমা শেষ হওয়ার এক ঘন্টার মধ্যে অবশ্যই দরপত্রসমূহ উন্মুক্ত করা;
(খ) উপ-বিধি (চ) অনুসারে উন্মুক্তকরণের সময় ঘোষিত দরপত্র বা প্রস্তাব সংক্রান্ত তথ্য সম্বলিত দরপত্র উন্মুক্তকরণ সীট প্রস্তুত করা;
(গ) দরপত্রের সহিত সংশ্লিষ্ট নহে এমন কোন ব্যক্তিকে উন্মুক্তকরণের সময় উপস্থিত থাকিবার অনুমতি প্রদান না করা;
(ঘ) দরপত্র উন্মুক্তকরণের সময় দরপত্রদাতা বা তাহার প্রতিনিধির উপস্থিতি ঐচ্ছিক বিধায় দরপত্রদাতা বা তাহার প্রতিনিধি উপস্থিত না থাকার অজুহাতে কোন দরপত্র উন্মুক্তকরণ কার্যে বিলম্ব না করা;
(ঙ) উপস্থিত দরপত্রদাতার প্রতিনিধি দরপত্রদাতা কর্তৃক যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কিনা;
(চ) দরপত্র উন্মুক্তকরণের পর উহাতে উল্লিখিত তথ্য হইতে নিম্নবর্ণিত তথ্যসমূহ সকলকে পাঠ করিয়া শুনানোর পর উন্মুক্তকরণ কমিটির সদস্যগণ কর্তৃক যাচাইক্রমে দরপত্র উন্মুক্তকরণ সীটে অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে-
(অ) দরপত্রদাতার নাম ও ঠিকানা;
(আ) দরপত্র প্রত্যাহার, প্রতিস্থাপন বা সংশোধন, যদি থাকে;
(ই) দরপত্র মূল্য;
(ঈ) মূল্য ছাড় (discount), যদি থাকে;
(উ) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, দরপত্র জামানত ও উহার পরিমাণ সম্পর্কিত তথ্য;
(ঊ) দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্য ও উহার পরিমাণ সম্পর্কিত তথ্য; এবং
(ছ) তফসিল-৪ এর অংশ-ঘ তে উল্লিখিত দরপত্র উন্মুক্তকরণের ধাপসমূহসহ চেকলিষ্ট অনুসরণ করিতে হইবে।
(৫) দরপত্র সংশোধন বা মূল্য ছাড় সংক্রান্ত কোন বিষয় দরপত্র উন্মুক্তকরণের সময় পাঠ করা না হইলে এবং উহা দরপত্র উন্মুক্তকরণ সীটে লিপিবদ্ধ করা না হইলে, উক্ত বিষয় দরপত্র মূল্যায়নের সময় বিবেচনা করা যাইবে না।
(৬) দরপত্র উন্মুক্তকরণের সময় কোন দরপত্র বাতিল করা যাইবে না এবং দরপত্র দাখিলের সময়সীমা অতিক্রান্তের পর দাখিলকৃত দরপত্র বা প্রত্যাহৃত দরপত্র উন্মুক্ত না করিয়া সরাসরি দরপত্রদাতার নিকট ফেরত প্রদান করিতে হইবে।
(৭) দরপত্র উন্মুক্তকরণের পর উন্মুক্তকরণ কমিটির সকল সদস্য এবং উক্ত সময়ে উপস্থিত দরপত্রদাতা বা তাহার ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি উক্ত দরপত্র উন্মুক্তকরণ সীটে স্বাক্ষর করিবেন এবং উহার কপি ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা এবং উন্মুক্তকরণ কমিটির সকল সদস্য, প্রকল্পের ক্ষমতাপ্রাপ্ত পরামর্শক ও দরপত্রদাতাদেরকে প্রদান করিতে হইবে।
(৮) উন্মুক্তকরণ কমিটির সদস্য-সচিব উপ-বিধি (৪) এ বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণে ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করিবেন এবং তিনি এই মর্মে স্বীয় ক্ষরযুক্ত একটি সনদপত্র প্রদান করিবেন যে, এই উপবিধির বিধান অনুযায়ী দরপত্র দলিল সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ ক্রয়কারীর নিকট দরপত্রসমূহ উন্মুক্তকরণের অব্যবহিত পরে যথাযথভাবে প্রেরণ করা হইয়াছে।
(৯) দরপত্র উন্মুক্ত করিবার পর সকল দরপত্র এবং সংশ্লিষ্ট সকলের স্বাক্ষরযুক্ত দরপত্র উন্মুক্তকরণ সীট ও সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্র ক্রয়কারীর নিরাপদ হেফাজতে রাখিতে হইবে।
৯৮। দরপত্র মূল্যায়ন, ইত্যাদি।-
(১) ক্রয়কারী, বিধি ৮, ৯ এবং এই বিধিতে উল্লিখিত বিধান অনুসারে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি গঠন এবং উহার সদস্য ও সভাপতি নিয়োগ করিবে এবং মূল্যায়ন ও অনুমোদন প্রক্রিয়া এবং আনুষাঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধি ৩৬ এ উল্লিখিত প্রশাসনিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করিবে।
(২) দরপত্র দলিলে উল্লিখিত মূল্যায়নের নির্ণায়কসমূহ ব্যতীত অন্য কোন নির্ণায়কের ভিত্তিতে কোন দরপত্র মূল্যায়ন করা যাইবে না: তবে শর্ত থাকে যে, উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির আওতায় অভ্যন্তরীণ কার্যক্রয়ের ক্ষেত্রে উপ-বিধি (৩১) ও (৩২) প্রয়োগের পূর্বে উপ-বিধি (২ক) তে বর্ণিত শর্তাবলী আবশ্যিকভাবে অনুসরণীয় হইবে।
(২ক) উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির আওতায় অভ্যন্তরীণ কার্যক্রয়ে দরপত্র মূল্যের সমতার ক্ষেত্রে উপ-বিধি (৩১) ও (৩২) প্রয়োগের পূর্বে ক্রয়কারী কর্তৃক দরপত্র দলিলে চাহিত নির্ণায়কসমূহের অতিরিক্ত হিসাবে দরপত্রদাতার অতীত কার্যসম্পাদনের মান নির্ণয় ও মূল্যায়নে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ বিবেচনা করিতে হইবে:
(ক) Litigation history তে বর্ণিত বিগত ৫ (পাঁচ) বৎসরে বিভিন্ন ক্রয়কারীর বিরুদ্ধে দরপত্রদাতা কতটি মামলা দায়ের করিয়াছিলেন এবং উহার মধ্যে কতটি মামলায় তিনি জয়ী হইয়াছেন উহার সংখ্যা উল্লেখ করিতে হইবে;
(খ) দরপত্রদাতা বিগত ৫ (পাঁচ) বৎসরের মধ্যে বিভিন্ন ক্রয়কারী কর্তৃক দরপত্রে অংশগ্রহণে বারিত (debarred) হইয়াছিলেন কিনা, হইলে তাহার বিবরণ;
(গ) দরপত্রদাতার অসমর্থতার কারণে বিভিন্ন ক্রয়কারী কর্তৃক বিগত ৫ (পাঁচ) বৎসরে কোন চুক্তি অসমাপ্ত অবস্থায় বাতিল হইয়াছিল কি-না, হইলে তাহার বিবরণ;
(ঘ) কোন চুক্তি বাস্তবায়নে দরপত্রদাতা যথাসময়ে কার্য স¤পাদন সমাপ্ত না করিবার কারণে বিগত ৫ (পাঁচ) বৎসরে কোন চুক্তির মূল্য সমাপ্তির সময় বর্ধিত করা হইয়াছিল কি-না, হইলে তাহার বিবরণ;
(ঙ) দরপত্রদাতা কর্তৃক কোন চুক্তি বাস্তবায়নকালে দরপত্রদাতার উপরে বিলম্বজনিত ক্ষতিপূরণ (liquidated damage) আরোপ করা হইয়াছিল কি-না, হইলে তাহার বিবরণ;
(চ) দরপত্রদাতা কর্তৃক বিগত ৫ (পাঁচ) বৎসরের মধ্যে স¤পাদিত কার্যসমূহের ত্রুটিজনিত দায় (defect liability) সার্টিফিকেট জমা প্রদান করিতে হইবে এবং কোন কারণে উক্ত ত্রুটিজনিত দায়ের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রয়োজন হইয়াছিল কি-না, হইলে তাহার বিবরণ;
(ছ) দরপত্রদাতা বিগত ৫ (পাঁচ) বৎসরের মধ্যে কখনও দেউলিয়া বা ঋণগ্রস্ত (Insolvent or bankrupt) ছিল কি-না, হইলে তাহার বিবরণ;
(জ) দফা (ক) হইতে (ছ) তে বর্ণিত নির্ণায়কসমূহের পয়েন্ট বন্টন আদর্শ দরপত্র দলিলে উল্লেখ করিতে হইবে।
(২) দরপত্র দলিলে উল্লিখিত মূল্যায়নের নির্ণায়কসমূহ ব্যতীত অন্য কোন নির্ণায়কের ভিত্তিতে কোন দরপত্র মূল্যায়ন করা যাইবে না এবং দরপত্র বা প্রস্তাব দাখিল হইতে চুক্তি সাক্ষর পর্যন্ত সময়ের কোন পর্যায়েই দাখিলকৃত দরপত্রদাতার নাম পরিবর্তন করা যাইবে না।
(২ক) উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির আওতায় অভ্যন্তরীণ কার্যক্রয়ে দরপত্র মূল্যের সমতার ক্ষেত্রে উপ-বিধি (৩১) ও (৩২) এর বিধান প্রয়োগের পূর্বে ক্রয়কারী কর্তৃক দরপত্র দলিলে উল্লিখিত নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ বিবেচনা করিতে হইবে, যথাঃ-
(ক) দত্রপত্রদাতা কেবল সংশ্লিষ্ট ক্রয়কারী সংস্থার আওতায় বিগত ৫ (পাঁচ) বৎসরে কতগুলি চুক্তির সফল বাস্তবায়ন করিয়াছেন উহার সংখ্যা ও বিবরণ;
(খ) দফা (ক) এর অধীন বাস্তবায়িত চুক্তিসূহের মোট চুক্তিমূল্য;
(গ) Tender Capacity-এর ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট এবং অন্যান্য সকল ক্রয়কারীর সহিত চলমান (on-going) এবং প্রতিশ্রুত (committed) কাজের আর্থিক মূল্য;
(ঘ) উপরিউক্ত দফা (ক), (খ) ও (গ) তে বর্ণিত বিষয়সমূহের পয়েন্ট বন্টন আদর্শ দরপত্র দলিলে উল্লেখ করিতে হইবে।;
(৩) দরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে, মূল্যায়ন কমিটি সাধারণত- নিম্নবর্ণিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করিবে, যথা –
(ক) মূল্যায়ন প্রতিবেদনে সকল গ্রহণযোগ্য দরপত্রদাতাগণের মূল্যায়িত দরের, সর্বনিন্ম হইতে ক্রমপর্যায়ানুসারে সর্বোচ্চ, তালিকা প্রদান করিবে, যাহাতে সর্বনিন্ম মূল্যায়িত দরপত্রদাতা যদি চুক্তি সম্পাদনে অপারগতা প্রকাশ করে বা চুক্তি স্বাক্ষর করিতে বা কার্য সম্পাদন জামানত প্রদান করিতে বা উত্তর যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে যেন একই বিষয়ে মূল্যায়ন প্রতিবেদন পুনরায় দাখিলের প্রয়োজন না পড়ে;
(খ) মূল্যায়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী মূল্যায়ন কমিটির সকল সদস্য মূল্যায়ন প্রতিবেদনে নাম ও পদবী উল্লেখকরিয়া স্বাক্ষর করিবেন;
(গ) মূল্যায়ন কমিটির কোন সদস্য যদি অন্য সদস্যগণের সুপারিশের সহিত একমত পোষণ না করেন, তাহা হইলে তিনি ভিন্নমত পোষণ করিবার কারণ সবিস্তারে বর্ণনা করিয়া তাহার মতামত প্রদান করিতে পারিবেন;
(ঘ) মূল্যায়ন কমিটির চেয়ারম্যান সুপারিশসহ মূল্যায়ন প্রতিবেদন এবং ভিন্নমত পোষণকারী সদস্যের মতামতসহ (note of dissent) যদি থাকে অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ করিবেন এবং অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ মূল্যায়ন প্রতিবেদনে প্রদত্ত তথ্য ও সুপারিশের ভিত্তিতে উহার সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে; এবং
(ঙ) কোন সদস্য কর্তৃক ভিন্নমত পোষণ করার ক্ষেত্রে, অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ উহার সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজনে স্বীয় উদ্যোগে দরপত্র মূল্যায়ন প্রতিবেদনের কোন বিতর্কিত বিষয়ে বিশেষজ্ঞের মতামত গ্রহণ করিতে পারিবে।
(৪) মূল্যায়ন কমিটি কৃতকার্য দরপত্রদাতা চিহ্নিত করণার্থ দরপত্র দলিলে উল্লিখিত শর্তের ভিত্তিতে দরপত্র মূল্যায়ন ও তুলনামূলক বিচার করিবে।
(৫) দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি কোন দরপত্রকে গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করিয়া মূল্যায়ন করিতে পারিবে, যদি উহাতে গুরুত্বপূর্ণ কোন বিচ্যুতি (material deviation) বা কোন আপত্তিকর বিষয় (reservation) না থাকে এবং উহা দরপত্র দলিলের অবশ্য পালনীয় শর্ত তিপালনপূর্বক দাখিল করা হইয়া থাকে।
(৬) নিম্নবর্ণিত যে কোন বিষয় অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিচ্যুতি বা আপত্তিকর বলিয়া গণ্য হইবে, যদি উহা-
(ক) কোন কার্যের ব্যাপ্তি, মান বা কার্য-সম্পাদনকে গুরুত্বপূর্ণভাবে প্রভাবিত করে;
(খ) দরপত্র দলিলের সহিত সঙ্গতিপূর্ণ নহে এইরূপ কোন বিষয় হয়, যাহা কোন চুক্তির অধীন ক্রয়কারী অধিকার বা দরপত্রদাতার আইনগত বাধ্যবাধকতা ঊল্লেখযোগ্যভাবে সীমিত করে; এবং
(গ) এরূপ কোন সংশোধন হয়, যাহা অন্যান্য গ্রহণযোগ্য দরপত্রদাতাদের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে অন্যায্যভাবে প্রভাবিত করে।
(৭) দরপত্র মূ মূল্যায়ন কমিটি কোন দরপত্রকে গ্রহণযোগ্য দরপত্র হিসাবে বিবেচনা করিতে পারিবে, যদি উহাতে-
(ক) দরপত্র দলিলে উল্লিখিত কারিগরী বিনির্দেশ, বৈশিষ্ট্য এবং বাণিজ্যিক বা অন্য কোন শর্তের অর্থবহ পরিবর্তন হইবে না এমন গৌণ বা কম গুরুত্বপূর্ণ বিচ্যুতি থাকে এবং উক্তরূপ বিচ্যুতি যথাসম্ভব আর্থিকভাবে (quantify in monetary terms) পরিমাপ করিতে হইবে; বা
(খ) কোন ত্রুটি বা অসাবধানতাজনিত ভুল থাকে, যাহা পরবর্তীতে সংশোধন করা হইলেও দরপত্রের মুখ্য উদ্দেশ্য পরিবর্তিত হইবে না।
(৮) দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির চেয়ারম্যান কোন দরপত্র পরীক্ষা ও মূল্যায়নের প্রয়োজনে দাখিলকৃত দরপত্রের কোন বিষয়ের ব্যাখ্যা প্রদানসহ উদ্ধৃত একক দরের বিভাজন প্রদানের জন্য অনুরোধ করিতে পারিবে –
তবে শর্ত থাকে যে, দরপত্রের বিষয়বস্তু বা কোন অপরিহার্য বিষয় (যেমন-মূল্য, সরবরাহের সময়সূচী) পরিবর্তিত হইতে পারে এমন কোন বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করিবার জন্য দরপত্রদাতাকে অনুরোধ জানানো যাইবে না এবং অনুরূপ কোন ব্যাখ্যা প্রদান করা হইলেও উহা মূল্যায়ন কমিটি কর্তৃক গ্রহণীয় হইবে না।
(৯) ব্যাখ্যা প্রদান সম্পর্কিত প্রতিটি যোগাযোগ লিখিত হইতে হইবে এবং উহা মূল্যায়ন কমিটির সভাপতির স্বাক্ষরে সংশ্লিষ্ট দরপত্রদাতার নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।
(১০) কোন ব্যাখ্যা প্রদানের অনুরোধপত্রে দরপত্রদাতাকে গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টি স্মরণ করাইয়া দিতে হইবে এবং দরপত্রদাতা উক্ত গোপনীয়তা রক্ষা করিতে ব্যর্থ হইলে, তাহার দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি কর্তৃক অযোগ্য ঘোষণা করা যাইবে।
(১১) কোন দরপত্র পরীক্ষা ও মূল্যায়নের সময় দরপত্রে কোন গাণিতিক ভুল পরিলক্ষিত হইলে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি উক্ত ত্রুটি সংশোধন করিয়া উক্ত সংশোধনের বিষয়টি তৎপরতার সহিত সংশ্লিষ্ট দরপত্রদাতা বা দরপত্র দাতাদেরকে অবহিত করিবে।
(১২) কোন কার্য ক্রয়ের দরপত্রে যদি কার্যের পরিমাণগত হিসাব সম্বলিত বিবরণীর কোন আইটেমের মূল্য প্রদান না করা হয়, তাহা হইলে ক্রয়কারী উহার মূল্য অন্যান্য আইটেমে অন্তর্ভুক্ত বলিয়া বিবেচনা করিতে পারিবে এবং উক্ত কারণে দরপত্র মূল্য পরিবর্তন করা যাইবে না।
(১৩) দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি যদি নির্ধারণ করে যে, দরপত্র মূল্য ভারসাম্যমূলকভাবে উদ্ধৃত করা হয় নাই, তাহা হইলে উক্ত কমিটি দরপত্রদাতাকে দরপত্র মূল্যের পূর্ণাঙ্গ বিভাজন প্রদানের নির্দেশ দিতে পারিবে এবং কোন কার্যের একক দরের ফ্রন্ট লোডিং এর ক্ষেত্রে, উক্ত কমিটি কার্য-সম্পাদন জামানত বৃদ্ধির সুপারিশ করিতে পারিবে।
(১৪) কোন ক্রয়ের ক্ষেত্রে ন্যূনতম কতটি গ্রহণযোগ্য দরপত্র আবশ্যক হইবে, তৎসম্পর্কে কোন বাধ্যবাধকতা থাকিবেনা, অর্থাৎ বিধি ৯০ অনুসারে প্রদত্ত বিজ্ঞাপনের ব্যাপক প্রচার, দরপত্রে উদ্ধৃত মূল্য বাজার মূল্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হওয়া বা দাপ্তরিক প্রাক্কলনের মধ্যে থাকা, এবং দরপত্র দলিলে উল্লিখিত কারিগরী বিনির্দেশ এবং বাণিজ্যিক শর্তাদি পূরণ করা সাপেক্ষে একটিমাত্র গ্রহণযোগ্য দরপত্র প্রাপ্ত হইলে, উহা মূল্যায়ন পূর্বক চুক্তি সম্পাদন করা যাইবে।
(১৫) দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে কোন দরপত্র মূল্যায়ন অব্যাহত রাখিবে না-
(ক) কোন দরপত্রদাতা বিধি ৪৯ এর অধীন তাহার যোগ্যতা প্রমাণ করিতে ব্যর্থ হইলে;
(খ) উপ-বিধি (১১) এর অধীন গাণিতিক ত্রুটির সংশোধন গ্রহণ না করিলে; বা
(গ) দরপত্র গ্রহণযোগ্য না হইলে (যেমন- দরপত্র দলিলে উল্লিখিত যোগ্যতা, কারিগরী বিনির্দেশ, আর্থিক এবং বাণিজ্যিক শর্তাদি, ইত্যাদি।
(১৬) দরপত্র দলিলে উল্লেখকরা হয় নাই এইরূপ অতিরিক্ত কোন তথ্য দরপত্রে প্রদান করা হইলেও উহা মূল্যায়নে বিবেচিত হইবে না।
(১৭) সর্বনিন্ম মূল্যায়িত ব্যয় নির্ণয়ের জন্য, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি-
(ক) দরপত্র দলিলে উল্লিখিত মূল্যায়নের সকল নির্ণায়ক বিবেচনা করিবে;
(খ) জাতীয় পর্যায়ে ক্রয়ের অধীন পণ্য, সংশ্লিষ্ট সেবা, কার্য ও ভৌত সেবার ক্ষেত্রে, দরপত্র মূল্যে প্রযোজ্য কর, শুল্ক এবং মূল্য সংযোজন কর অন্তর্ভুক্ত করা হইয়াছে কিনা তৎসম্পর্কে নিশ্চিত হইবে;
(গ) আন্তর্জাতিক ক্রয়ের অধীন আমদানিকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে সিআইএফ ভিত্তিতে প্রদত্ত দরপত্রে প্রযোজ্য শুল্ক, কর ও মূল্য সংযোজন কর বাদ দিবে এবং অভ্যন্তরীণ পরিবহন ব্যয় যোগ করিবে, তবে স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত পণ্যের ক্ষেত্রে শুধু মূল্য সংযোজন কর বাদ দিবে;
(ঘ) আন্তর্জাতিক ক্রয়ের অধীন কার্য-সম্পাদনের দরপত্রের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্ক, কর ও মূল্য সংযোজন কর অন্তর্ভুক্ত করিবে; এবং
(ঙ) মূল্য ব্যতীত মূল্যায়নের নির্ণায়কসমূহের বিচ্যুতি দরপত্রদাতাদের প্রতি নির্দেশনা অনুসরণক্রমে আর্থিকভাবে পরিমাপ করিতে হইবে।
(১৮) লটের ভিত্তিতে কোন পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে, কোন দরপত্রদাতা কর্তৃক যদি কোন লটভুক্ত আইটেমসমূহের ৮০% (শতকরা আশি ভাগ) সরবরাহের প্রস্তাব দেওয়া হয়, তাহা হইলে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি বিজয়ী লট নির্ধারণের জন্য, যে সকল আইটেমের মূল্য প্রস্তাব করা হয় নাই, সেই সকল আইটেমের জন্য অন্যান্য গ্রহণযোগ্য দরপত্রদাতাগণের প্রস্তাবিত গড় মূল্য যোগ করিয়া লটের মোট মূল্য হিসাব করিবে।
(১৯) উপ-বিধি ১৮ অনুসারে বিজয়ী লটে কোন কোন আইটেম বাদ দেওয়া হইয়া থাকিলে এবং উহার পরিমাণ ২০% (শতকরা বিশ ভাগ) এর কম হইলে, ক্রয়কারী উক্ত বাদ যাওয়া আইটেমসমূহের জন্য যে দরপত্রদাতা সর্বনিন্ম মূল্য প্রস্তাব করিয়াছে, তাহার নিকট হইতে উক্ত আইটেমসমূহ ক্রয় করিতে পারিবে।
(২০) কার্যের ক্ষেত্রে লট ভিত্তিতে (lot by lot) দরপত্র আহ্বান করা হইলে, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি সম্মিলিতভাবে নিুতম দর বিশিষ্ট লটসমূহের জন্য কার্যাদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
ব্যাখ্যা- যদি একজন দরদাতা ২ (দুই) বা ততোধিক লটের জন্য বিজয়ী হন, কিন্তু ১ (এক) টি মাত্র লটের জন্য উত্তর যোগ্যতা অর্জন করেন, সেই ক্ষেত্রে ক্রয়কারী যে লটের জন্য কার্যাদেশ প্রদান করিলে সমষ্টিক চুক্তি মূল্য (Sum total) হ্রাস পাইবে তাহাকে উক্ত লটের জন্য কার্যাদেশ প্রদান করিতে পারিবে, কিন্তু দরপত্রদাতার ইচ্ছামতো অবশ্যম্ভাবীরূপে বৃহত্তর লটের জন্য কার্যাদেশ প্রদান করা যাইবে না।
(২১) বিধি ৮৩(২) অনুসারে স্থানীয় অগ্রাধিকার প্রয়োগের বিষয় জড়িত এইরূপ দরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে, ক্রয়কারী নিম্নবর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিবেঃ
(ক) গ্রুপ-ক তে অন্তর্ভুক্ত দরপত্রসমূহে উদ্ধৃত পণ্যের দর, পরিবহণ ব্যয়সহ বা ব্যতীত, এক্স-ওয়ার্কস ভিত্তিতে হইবে এবং স্থানীয় বাজার হইতে ক্রীত অথবা আমদানীকৃত মৌলিক উপকরণ বা উপাদানের উপর প্রদত্ত বা প্রদেয় শুল্ক ও কর উদ্ধৃত মূল্যে অন্তর্ভুক্ত হইবে, তবে চূড়ান্তভাবে উৎপাদিত পণ্যের উপর ধার্য্য বিক্রয় এবং অনুরূপ কর উদ্ধৃত মূল্যে অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
(খ) গ্রুপ-খ ভুক্ত দরপত্রসমূহের পণ্যের দর দরপত্র দলিলের বর্ণনা মোতাবেক সিআইপি (CIP) বা সিআইএফ (CIF) ভিত্তিতে উল্লেখ করিতে হইবে, যাহাতে ইতোমধ্যে প্রদত্ত বা প্রদেয় শুল্ক বা অন্যান্য আমদানী কর অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
(খ) গ্রুপ-খ ভুক্ত দরপত্রসমূহের উদ্ধৃত পণ্যের দর দরপত্র দলিলের বর্ণনা মোতাবেক Carriage & Insurance Paid to (CIP) বা Cost, Insurance & Freight (CIF) ভিত্তিতে উল্লেখ করিতে হইবে, যাহাতে ইতোমধ্যে প্রদত্ত বা প্রদেয় শুল্ক বা অন্যান্য আমদানী কর অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
(গ) প্রত্যেক গ্রুপের সর্বনিন্ম মূল্যায়িত দর পরস্পরের বিপরীতে তুলনা করিতে হইবে;
(ঘ) গ্রুপ-ক এর অন্তর্ভুক্ত কোন দরপত্র সর্বনিন্ম হইলে, উক্ত দরপত্র কার্যাদেশ প্রদানের জন্য সুপারিশকৃত হইবে;
(ঙ) গ্রুপ-খ এর অন্তর্ভুক্ত কোন দরপত্র সর্বনিন্ম মূল্যায়িত দরপত্র হইলে, উক্ত দরপত্রটিকে পুনরায় গ্রুপ-ক এর অন্তর্ভুক্ত সর্বনিন্ম মূল্যায়িত দরপত্রের সঙ্গে তুলনা করিতে হইবে, এবং চূড়ান্তভাবে তুলনা করিবার পূর্বে গ্রুপ-খ ভুক্ত সর্বনিন্ম মূল্যায়িত দরপত্রের, মূল্য সংযোজন কর ব্যতিরেকে, মূল্য তফসিল-২ অনুসারে স্থানীয় অগ্রাধিকারের শতকরা হারে বৃদ্ধি করিতে হইবে; এবং
(চ) গ্রুপ-ক এর অন্তর্ভুক্ত সর্বনিন্ম দরপত্র অতঃপর গ্রুপ-খ এর সর্বনিন্ম মূল্যায়িত দরপত্রের সহিত তুলনীয় হইবে এবং সর্বনিন্ম দরপত্রটি কার্যাদেশের (award) জন্য সুপারিশকৃত হইবে।
(২২) দরপত্রের অর্থনৈতিক মূল্যমান প্রভাবিত করে দরপত্র দলিলে উল্লিখিত এইরূপ নির্ণায়কসমূহের ভিত্তিতে নির্ণীত সর্বনিন্ম মূল্যায়িত ব্যয়ের গ্রহণযোগ্য দরপত্রদাতা কৃতকার্য দরপত্রদাতা হইবেন এবং যতদূর সম্ভব উক্ত উপাদান বা নির্ণায়কসমূহ বস্তুনিষ্ঠ ও পরিমাপযোগ্য হইবে এবং মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় উক্ত নির্ণায়কসমূহকে আপেক্ষিক গুরুত্ব প্রদান করিতে হইবে বা সাধ্যমত, আর্থিক মূল্যে ব্যক্ত করিতে হইবে।
উদাহরণ।- পণ্য সরবরাহ বা কার্য সম্পাদনের সময়সূ চী অর্থনৈতিক মূল্যমানকে প্রভাবান্বিতকরণের একটি উপাদান বা নির্ণায়ক হইতে পারে। যদি দরপত্র দলিলে পণ্য সরবরাহ বা কার্য সম্পাদনের তফসিল ১৫ (পনের) হইতে ১৮(আঠার) মাসের মধ্যে সম্পাদনের জন্য নির্ধারিত থাকে এবং কোন দরপত্রদাতা উক্ত পণ্য বা কার্য ২০ (বিশ) মাস সময়ের মধ্যে সরবরাহ বা সম্পাদনের ভিত্তিতে দরপত্র মূ ল্য প্রস্তাব করে, তাহা হইলে দরপত্র দলিলে সু নির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখথাকা সাপেক্ষে ১৮ (আঠার) মাসের অতিরিক্ত ২ (দুই) মাস বিলম্বে র জন্য দরপত্র মূল্যেরসহিত একটি স্থি র শতকরা হার বা থোক অংক যোগ করিয়া (এইক্ষেত্রে লিকুইডেটেড ড্যামেজ এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নির্ধারিত শতকরা হার বা অর্থে র পরিমাণ প্রয়োগ করা যাইবে) শুধু মূল্যায়নের প্রয়োজনে দরপত্রের মূ ল্য সমন্বয় করা যাইবে। অন্যান্য যে সকল উপাদান সাধারণত- দরপত্র মূল্যের অর্থ নৈতিক মূল্য প্রভাবিত করিয়া থাকে, সেইগুলি হইল, খুচরা যন্ত্রাংশের মূল্য, জ্বালানী, যন্ত্রপাতির উৎপাদনশীলতা বা কার্য সম্পাদন ক্ষমতা প্রভৃতি ব্যয়।
(২৩) দরপত্রদাতা যদি দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্য হইতে ঊল্লেখযোগ্যভাবে কম মূল্য উদ্ধৃত করিয়া কোন দরপত্র দাখিল করে, তাহা হইলে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্য পুন:পরীক্ষা করাসহ উক্ত কম মূল্য উদ্ধৃত করার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানপূর্বক উক্ত দরপত্র গ্রহণযোগ্য নয় মর্মে বিবেচনা করিবে, যদি-
(ক) ইহা স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয় যে, দরপত্রদাতা অনভিজ্ঞ ও দরপত্রমূল্য সঠিক ভাবে উদ্ধৃত করিতে সক্ষম হয় নাই; বা
(খ) দরপত্রদাতা কম মূল্য উদ্ধৃত করার সমর্থনে যুক্তিসঙ্গত কোন কারণ প্রদর্শন করিতে না পারে।
(২৪) যদি দরপত্রদাতা সংশ্লিষ্ট দরপত্র সংক্রান্ত কার্য-সম্পাদনের ক্ষেত্রে কোন সুবিধাজনক অবস্থায় থাকার কারণে কম মূল্য উদ্ধৃত করিয়া থাকে, তাহা হইলে উক্ত দরপত্র গ্রহণযোগ্য বলিয়া বিবেচনা করা যাইবে এবং তদানুসারে উক্ত দরপত্র মূল্যায়ন করিতে হইবে।
উদাহরণ ১।- প্রস্তাবিত কার্য সম্পাদন এলাকার কাছে দরপত্রদাতা কর্তৃক সদ্য সমাপ্ত অন্য কোন কাজের জন্য নিয়োজিত লোকবল ও যন্ত্রপাতি থাকা;
উদাহরণ ২।- ব্যবসায় মন্দার সময় দরপত্রদাতার কর্মী বাহিনীকে নিয়োজিত রাখার জন্য কোন বিশেষ স্বার্থ থাকা।
(২৫) দরপত্র মূল্যায়নের পর যদি পরিলক্ষিত হয় যে, সর্বনিন্ম মূল্যায়িত দরপত্রের উদ্ধৃত মূল্য দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্য বা নির্ধারিত বাজেট বা উভয়ক্ষেত্র হইতে বেশি হয়, কিন্তু উহা বিদ্যমান বাজার মূল্যের গ্রহণযোগ্য মাত্রার সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তাহা হইলে প্রয়োজনীয় বাজেট প্রাপ্তিসাধ্য করা সাপেক্ষে, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি উক্ত দরপত্র গ্রহণ, বা ক্রয়কারী কর্তৃক সংশ্লিষ্ট ক্রয়ের ব্যাপ্তি হ্রাসের নির্দেশ প্রদানের বা চুক্তিমূল্য হ্রাসে সহায়ক হইবে এইরূপ ঝুঁকি ও দায়িত্বের পুনঃবন্ট সুপারিশ করিয়া অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের নিকট মূল্যায়ন প্রতিবেদন পেশ করিতে পারিবে।
(২৬) উপ-বিধি (২৫) অনুসারে সংশ্লিষ্ট ক্রয়ের ব্যাপ্তি হ্রাসের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইলে, ক্রয়কারী নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহের প্রতিপালন নিশ্চিত করি