Megher Chaya By Humayun Ahmed-হুমায়ূন আহমেদের মেঘের ছায়া
বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে জনপ্রিয় বাঙালি কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে হুমায়ুন আহমেদ ছিলেন অন্যতম। হুমায়ুন আহমেদ বাংলাদেশের এক কলম জাদুকর। হুমায়ুন আহমেদের পদচারণা সর্বত্র ব্যাপীত। তিনি বাংলাদেশের প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার নাট্যকার, চিত্রনাট্যকর , গীতিকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। এছাড়াও তার পরিচালিত নাটক ও চলচ্চিত্র হিসেবে সমাদৃত। বাংলা কথাসাহিত্যির শরৎচন্দ্রের পরে এতো জনপ্রিয়তা আর কারো দেখা যায়নি ।
পারিবারিক বলয় থেকে হুমায়ুন আহমেদের সাহিত্যিক হিসেবে গড়ে ওঠে । তার জনপ্রিয়তার কারনে তাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক বলে গণ্য করা হয।
নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় কুতুবপুরে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে) নামক স্থানে ১৯৪৮ সালে ১৩ই নভেম্বর জন্মগ্রহন করেন হুমায়ূন আহমেদ। হুমায়ূন আহমেদ পেশায় ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক। তিনি পারিবারিক ভাবে ১৯৭৩ সালে গুলকেনির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০০৫ সালে ৩২ বছর সংসার করার পর তাদের ডিভোর্স হয়। গুলকেনির ও হুমায়ূন আহমেদ এর ঘরে তিন মেয়ে ও এক ছেলে (নুহাশ হুমায়ূন) আছে। হুমায়ূন আহমেদ ২০০৫ সালে শাওনের সাথে দ্বিতীয় বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
গাজীপুরের গ্রামাঞ্চলে স্থাপিত বাগান বাড়ির নূহাশ পল্লীতে হুমায়ুন আহমেদের বেশির ভাগ সময় কেটেছে ।
হুমায়ুন আহমেদ তিন শতাধিকেরও বেশি গল্প, উপন্যাস, ছোটগল্প, প্রবন্ধ ও গান লিখা লিখে গেছেন। বাংলা সাহিত্যে তার অবদান অপরিসীম। তার প্রথম রচনা নন্দিত নরকে, যা প্রথম দিকেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য শঙ্খনীল কারাগার, রজনী, গৌরীপুর জাংশন, আমার আছে জল, অচিন পুর ইত্যাদি। অধ্যাপনা ছেড়ে হুমায়ুন আহমেদ চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। তার প্রথম চলচ্চিত্র আগুনে পরশমণি, যা মানুষের মধ্য ব্যপক সাড়া পায় ও দেখতে মানুষের উপচে পড়া ভীর জমে। ওভাবে সর্বক্ষেত্রে হুমায়ূন আহমেদ পদচারণ রেখে গেছেন।
অনেক দিন ধরে কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। এই বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ১৯শে জুলাই ২০১২ সালে দেশের বাহিরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গাজীপুরের নুহাশ পল্লীর লিচু তলায় উনাকে সমাহিত করা হয়।

