নাটোরের দর্শনীয় স্থানসমূহ-যাতায়াত ব্যবস্থা ও সেবাসমূহ
জীবননান্দ দাশের কবিতার সেই লাইন – নাটোরের বনলতা সেন এবং নাটোরের কাঁচা গোল্লা বেশ বিখ্যাত। এছাড়া নানান ঐতিহ্যে, প্রাচীন রাজ-রানীদের স্মৃতি, মূল্যবান প্রাচীনত্ব। নাটোরের বিভিন্ন প্রত্নতত্ব নিদর্শন গুলো ইতিহাসের সোনালী দিনগুলোকে ধারণ করে ইতিহাসের সাক্ষী হিসাবে ঐতিহ্য বহন চলছে ।
উত্তরা গণভবনঃ
নাটোরের বিখ্যাত দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি বর্তমানে উত্তরা গণভবন (Uttara Gonovobon) নামে পরিচিত। নাটোরের রানী ভবানী তাঁর নায়েব দয়ারাম রায়কে দিঘাপতিয়া পরগনা উপহার দেন। পরবর্তীতে নায়েব সেখানে কয়েকটি প্রাসাদ গড়ে তোলেন। প্রায় ৪৩ একর আয়তনের লেক ও প্রাচীর বেষ্টিত রাজবাড়িটিতে মোট ১২ টি ভবন রয়েছে।
নাটোর রাজবাড়ীঃ
প্রাচীন জনপদ নাটোর জেলায় সপ্তদশ শতাব্দীতে নির্মিত রাণী ভবানী রাজবাড়ী (Rani Bhawani Rajbari) কে বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৬ সালে রাণী ভবানী কেন্দ্রীয় পার্ক হিসাবে ঘোষনা করে। রাণী ভবানী কেন্দ্রীয় পার্কে রয়েছে ৬ টি দীঘি এবং শ্যামসুন্দর, তারকেশ্বর শিব এবং আনন্দময়ী কালিবাড়ি নামের ৩ টি মন্দির, যেগুলাতে এককালে রাজকীয় ভাবে পূজা – আর্চনার আয়োজন করা হত। রা্ণী ভবানী রাজবাড়ি নাটোর রাজবাড়ি (Natore Rajbari) নামেই অধিক পরিচিত।
গ্রীন ভ্যালী পার্ক (Green Valley Park)
নাটরের লালপুর উপজেলা শহর থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে উঠা সুবিশাল এই বিনোদন কেন্দ্রটি শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকল বিনোদনপ্রেমী ও দর্শনার্থীদের প্রানকেন্দ্র।